অনুরাধাপুরা
অনুরাধাপুরা අනුරාධපුරය அனுராதபுரம் | |
---|---|
নগর | |
![]() কুট্টম পকুনা | |
শ্রীলংকায় অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৮°২১′০″ উত্তর ৮০°২৩′৭″ পূর্ব / ৮.৩৫০০০° উত্তর ৮০.৩৮৫২৮° পূর্বস্থানাঙ্ক: ৮°২১′০″ উত্তর ৮০°২৩′৭″ পূর্ব / ৮.৩৫০০০° উত্তর ৮০.৩৮৫২৮° পূর্ব | |
দেশ | শ্রীলংকা |
প্রদেশ | উত্তর কেন্দ্রীয় প্রান্ত |
জেলা | অনুরাধাপুরা |
স্থাপিত | খ্রীষ্টপূর্ব ৪র্থ শতকা |
সরকার | |
• ধরন | নগর পরিষদ |
আয়তন | |
• নগর | ৭১৭৯ কিমি২ (২৭৭২ বর্গমাইল) |
• মূল শহর | ৩৬ কিমি২ (১৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৮১ মিটার (২৬৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১২) | |
• নগর | ৫০,৫৯৫ |
• জনঘনত্ব | ২৩১৪/কিমি২ (৫৯৯০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | অনুরাধিয়ানছ |
সময় অঞ্চল | শ্রীলংকা মান সময় (ইউটিসি+5:30) |
ডাক কোড | ৫০০০০ |
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান | |
---|---|
অবস্থান | শ্রীলঙ্কা ![]() |
আয়তন | [রূপান্তর: অকার্যকর সংখ্যা] |
মানদণ্ড | ii, iii, vi[১] |
তথ্যসূত্র | ২০০ |
স্থানাঙ্ক | ৮°২০′০৬″ উত্তর ৮০°২৪′৩৯″ পূর্ব / ৮.৩৩৫° উত্তর ৮০.৪১০৮° পূর্ব |
শিলালিপির ইতিহাস | ১৯৮২ (ষষ্ঠ সভা) |
অনুরাধাপুরা[২] হল শ্রীলঙ্কার একটি ঐতিহাসিক শহর। এটি শ্রীলঙ্কা এর প্রক্তন রাজধানী। এই শহরটি এক সময় অনুরাধাপুরা সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। বর্তমানে অনুরাধাপুরা হল শ্রীলঙ্কার একটি গুরুত্ব পূর্ন শহর ও পর্যটন কেন্দ্র। এই শহরটি উত্তর-মধ্য প্রদেশ এর অন্তর্গত এবং অনুরাধাপুরা শহরটি অনুরাধাপুরা জেলার সদর দপ্তর। শ্রীলঙ্কা সরকার বর্তমানে এই শহরকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশের উপর জোর দিয়েছে। এর ফলে শহরটি পরিকাঠামো গত উন্নয়ন ঘটান হচ্ছে।
পরিচ্ছেদসমূহ
অবস্থান[সম্পাদনা]
অনুরাধাপুরা শহরটি উত্তর-মধ্য প্রদেশের অনুরাধাপুরা জেলায় অবস্থিত। এই শহরটি সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে দেশটির প্রায় মাঝ অংশে অবস্থিত। এটি শ্রীলঙ্কার মধ্য ভাগের মাল ভূমিতে অবস্থিত। এই শহরের উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ৮১ মিটার বা ২৭০ ফুট। এই শহরটি ৮.২১ ডিগ্রী উত্তর ও ৮১.২৩ ডিগ্রী পূর্বে অবস্থিত। এটি কলম্বো শহর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে এবং জাফনা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
শহরটি শ্রীলঙ্কার একটি ঐতিহাসিক শহর। এই শহর শ্রীলঙ্কার এক সত্যতার চিহ্ন বহন করে। এই শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল অনুরাধাপুরা সাম্রাজ্য বা অনুরাধাপুরা সভ্যতা। এই শহরে এর আগে আরও দুটি সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল। তবে এই সাম্রাজ্য গুলি সম্পর্কে আগে কিছুই জানা যায়নি। এই সভ্যাতা গুলির আবিষ্কারের পর অনুরাধাপুরের গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলেন ঐতিহাসিকরা। তাদের মতে শ্রীলঙ্কার প্রাচীন ইতিহাসের জন্য অনুরাধাপুরা এর গুরুত্ব অপরিসীম।
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
জনসংখ্যার হিসাবে এটি অনুরাধাপুরা জেলার মধ্য সর্ব বৃহত্তম শহর।২০১২ সালের হিসাব মতাবি শহরটির মোট জন সংখ্যা ৫০,৫৯৬ জন।বর্ত মানে এই শহরের জন সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাতীয়তা | জনসংখ্যা | মোট জনসংখ্যার হার |
---|---|---|
সিংহলী | ৫১,৭৭৫ | ৯১.৪২ |
শ্রীলংকীয় মূর্ষ | ৩,৮২৫ | ৬.৭৫ |
শ্রীলংকীয় তামিল | ৮৫০ | ১.৫০ |
ভারতীয় তামিল | ৪৫ | ০.০৪ |
অন্যান্য (বুরঘের, মালয়সহ) | ১৩৭ | ০.২৪ |
মোট | ৫৬,৬৩২ | ১০০ |
উৎস: www.statistics.gov.lk - ২০০১ জনসংখ্যা জরীপ
জলবায়ু ও আবহাওয়া[সম্পাদনা]
এই শহরটি বিষুব রেখা থেকে ৮.২১ ডিগ্রী উত্তর এ অবস্থিত। ফলে এই শহরটি ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত। এই শহরটি ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় বছরের সব সময় উষ্ণ আবহাওয়া থাকে। এই এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি হয়। এই শহরের গড় তাপ মাত্রা ২৬ ডিগ্রী থাকে গ্রীষ্ম ককালে আবার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রীর নীচে নেমে যায় শীতকালে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
শহরটি সড়ক পথ ও রেল পথ দুই মাধ্যেই দেশের অন্যান অংশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই শহরে রয়েছে অনুরাধাপুরা রেলওয়ে স্টেশন বা অনুরাধাপুরা স্টেশন। এটি এই শহরের রেলওয়ের প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত। এই রেল স্টেশনটি কলম্বো জাফনা রেল পথের উপর অবস্থিত। এছাড়া শহরটি হাইওয়ে দ্বারা কলম্ব শহরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এছাড়া শহরটি সড়ক পথে দামবুল্লা, পাট্টালাম প্রভূতি শহরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
পর্যটন[সম্পাদনা]
অনুরাধাপুরা একটি ঐতিহাসিক শহর হওয়ার জন্য প্রতি বছর পচুর নরওযটক আসে এই শহরে।অনুরাধাপুরা কে বিশ্ব ঐতিয্য হিসাবে ঘষিত করার পর শহরটিতে পর্যটন সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আলোকচিত্র[সম্পাদনা]
The Ruwanweli Saya dagoba in Anuradhapura
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ http://whc.unesco.org/en/list/200.
- ↑ "Anuradhapura"। সংগ্রহের তারিখ ১৬-১১-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]