বিহার বিধান পরিষদ
বিহার বিধান পরিষদ | |
---|---|
ধরন | |
ধরন | বিহার আইনসভা-এর উচ্চ কক্ষ |
মেয়াদসীমা | ৬ বছর |
নেতৃত্ব | |
চেয়ারম্যান | আধেশ নারায়ণ সিং, বিজেপি ১৬ জুন ২০২০ থেকে |
পরিষদীয় নেতা
(বিহারের মুখ্যমন্ত্রী) | |
পরিষদীয় উপনেতা | দেবেশ চন্দ্র ঠাকুর, জেডিইউ ২৭ জুলাই ২০১৭ থেকে |
বিরোধী দলনেতা | |
গঠন | |
আসন | ৭৫ (৬৩ নির্বাচিত + ১২ মনোনীত) |
রাজনৈতিক দল | সরকার (৫০) মহাজোট (৫০) বিরোধী দল (২৫) |
নির্বাচন | |
একক হস্তান্তরযোগ্য ভোট | |
সভাস্থল | |
বিহার বিধান পরিষদ, পাটনা, বিহার, ভারত | |
ওয়েবসাইট | |
http://www.biharvidhanparishad.gov.in |
বিহার বিধান পরিষদ ভারতের বিহার রাজ্যের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার উচ্চকক্ষ।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারত সরকার বিহার ও ওড়িশার একটি নতুন প্রদেশ তৈরি করে। ১৯১২ সালে বিভিন্ন বিভাগের মোট ৪৩ জন সদস্য নিয়ে আইন পরিষদ গঠিত হয়েছিল। পরিষদের প্রথম অধিবেশন ১৯১৩ সালের ২০ জানুয়ারি পাটনা কলেজ বাঁকিপুরে ডাকা হয়। ১৯২০ সালে ভারত শাসন আইন, ১৯১৯ অনুসারে বিহার ও ওড়িশাকে গভর্নর প্রদেশ ঘোষণা করা হয়। ভারত শাসন আইন, ১৯৩৫ অনুসারে বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ, বিহার ও উড়িষ্যার পৃথক প্রদেশে বিভক্ত হয়েছিল। ১৯৩৬ সালে বিহার তার পৃথক রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে। ভারত শাসন আইন, ১৯১৯-এর অধীনে, এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, অর্থাৎ বিহার আইন পরিষদ এবং বিহার আইনসভায় রূপান্তরিত হয়। ভারত সরকার আইন, ১৯৩৫ এর অধীনে বিহার আইন পরিষদ ২৯ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। ২১শে মার্চ, ১৯৩৮ সালে, বিহার আইন পরিষদের অধিবেশন একটি নবনির্মিত ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫০ সালের ১ এপ্রিল, বিহার বিধান পরিষদের সচিবালয় কাজ শুরু করে। ১৯৫২ সালের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পর, সদস্য সংখ্যা ৭২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয় এবং ১৯৫৮ সালের মধ্যে সংখ্যাটি ৯৬-এ উন্নীত হয়। বিহার পুনর্গঠন আইন, ২০০০ সংসদ কর্তৃক পাসের ফলে ঝাড়খণ্ড সৃষ্টির সাথে সাথে, বিহার বিধান পরিষদের শক্তি ৯৬ থেকে ৭৫ সদস্যে হ্রাস পেয়েছে। কয়েকজন প্রবীণ পরিষদ সদস্য বিপি মন্ডল, জগন্নাথ মিশ্র, সত্যেন্দ্র নারায়ণ সিং এবং লালু প্রসাদ যাদব বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
কার্যক্রম
[সম্পাদনা]বিহার আইন পরিষদ একটি স্থায়ী সংস্থা যা কখনো বিলুপ্ত হয় না। কিন্তু যতটা সম্ভব, এর এক-তৃতীয়াংশ সদস্য প্রতি দ্বিতীয় বছরে মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে অবসর গ্রহণ করে। সদস্যরা এখন ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত বা মনোনীত হন এবং তাদের এক-তৃতীয়াংশ প্রতি দ্বিতীয় বছর অবসর গ্রহণ করেন। বিধান পরিষদের প্রিজাইডিং অফিসারগণ এখন চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত। উচ্চকক্ষ হিসেবে বিধান পরিষদের সদস্যবৃন্দ পরোক্ষভাবে একটি ইলেক্টোরাল কলেজের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। পরিষদে বর্তমানে ২৭টি কমিটি কার্যকরী আছে। এছাড়া রাজ্য আইনসভার দুই কক্ষের সদস্যদের নিয়ে তিনটি আর্থিক কমিটি রয়েছে।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]বহিস্থ সংযোগ
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Bihar: विधान परिषद में नेता प्रतिपक्ष बनी राबड़ी देवी, काउंसिल ने जारी किया लेटर"। www.zeenews.india.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "दिलीप जायसवाल विधान परिषद में सत्तारूढ़ दल के उप मुख्य सचेतक बने, नीरज कुमार और रीना देवी सचेतक बने"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২২।