সংযোজক পদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সংযোজক পদ বা যোজক পদ হলো সে সকল শব্দ, যা পদ, বর্গ বা বাক্যকে সংযুক্ত করে।[১] বৃহৎ অর্থে এটি বাংলা অব্যয় পদের অংশ, তাই একে সংযোজক অব্যয়ও বলে।

বিভিন্ন প্রকার সংযোজক[সম্পাদনা]

সাধারণ সংযোজক[সম্পাদনা]

সংযোজক পদের মধ্যে এটিই হলো প্রধান ও প্রাথমিক পদ। এই ধরনের সংযোজক পদ দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে। যেমন- ও, এবং।[১]

উদাহরণ:
রহিম করিম এই কাজটি করেছে।
জলদি দোকানে যাও এবং পাউরুটি কিনে আনো।

বিকল্প সংযোজক[সম্পাদনা]

এই ধরনের সংযোজক পদ একাধিক শব্দ বা বাক্যের মধ্যে বিকল্প নির্দেশ করে। এ ধরনের পদ সাধারণত না-বাচক হয়। যেমন- বা, অথবা, না-কি (নাকি), না-হয় (না হয়), আর।[১]

উদাহরণ:
লাল বা নীল কলমটা আনো।
চা না-হয় কফি খান।

বিরোধ সংযোজক[সম্পাদনা]

এই ধরনের সংযোজক পদ বাক্যের দুটি অংশের সংযোগ ঘটায় এবং প্রথম বাক্যের বক্তব্যের সঙ্গে বিরোধ তৈরি করে। যেমন- কিন্তু, তবে, তবু, তবুও, যদি, যত, তত, সুতরাং, অতএব।[১]

উদাহরণ:
এত পড়লাম, কিন্তু পরীক্ষায় ভালো করতে পারলাম না।
তাকে আসতে বললাম, তবু এল না।

কারণ সংযোজক[সম্পাদনা]

এই ধরনের সংযোজক পদ বাক্যের এমন দুটি অংশের মধ্যে সংযোগ ঘটায়, যার একটি অন্যটির কারণ হয়। যেমন- কারণ, তাই, এভাবে, ফলে।[১]

উদাহরণ:
জিনিসের দাম বেড়েছে, কারণ চাহিদা বেশি।
বসার সময় নেই, তাই যেতে হচ্ছে।

সাপেক্ষ সংযোজক[সম্পাদনা]

এ ধরনের সংযোজক পদ একে অন্যের পরিপূরক হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত দুটি বিরোধ সংযোজক পদ বাক্যের দুই স্থানে ব্যবহৃত হয়েও একই আচরণ করলে তা সাপেক্ষ সংযোজক হয়। যেমন- যদি...তবে, যত...তত।[১]

উদাহরণ:
যদি রোদ ওঠে, তবে রওনা দেবো।
যত পড়ছি, ততই নতুন করে জানছি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ। ২০২১ সংস্করণ।