বিষয়বস্তুতে চলুন

আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ

স্থানাঙ্ক: ২৪°২৪′৩৩″ উত্তর ৮৮°৩৬′৩৫″ পূর্ব / ২৪.৪০৯২° উত্তর ৮৮.৬০৯৬° পূর্ব / 24.4092; 88.6096
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ
Ahle Hadeeth Movement Bangladesh
নীতিবাক্যসকল বিধান বাতিল কর, অহির বিধান কায়েম কর
গঠিত২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ (৩০ বছর আগে) (1994-09-23)[]
প্রতিষ্ঠাতাপ্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
প্রতিষ্ঠাস্থাননওদাপাড়া, রাজশাহী, বাংলাদেশ
ধরনঅরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন।
আইনি অবস্থাসক্রিয়।
উদ্দেশ্যনির্ভেজাল ইসলামের প্রচার ও প্রসার।
সদরদপ্তরদারুল ইমারত, নওদাপাড়া (আমচত্ব্রর), রাজশাহী
অবস্থান
অবস্থানসমূহ
স্থানাঙ্ক২৪°২৪′৩৩″ উত্তর ৮৮°৩৬′৩৫″ পূর্ব / ২৪.৪০৯২° উত্তর ৮৮.৬০৯৬° পূর্ব / 24.4092; 88.6096
পরিষেবাধর্মীয় সংস্কার, সমাজ সংস্কার, সমাজ কল্যাণ।
পদ্ধতিসমূহইমারত ও বাইয়াত।
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা, আরবি, ইংরেজি
আমীরে জামাআত
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
সাধারন সম্পাদক
মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম
মজলিশে আমেলা ও মজলিশে শূরা।
মূল ব্যক্তিত্ব
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
ওয়েবসাইটhttps://www.ahlehadeethbd.org/

আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ (আরবি: جَمْعِيَّةُ تَحْرِيكِ أَهْلِ الْحَدِيْثِ بَنْغَلاَدِيْشِ, প্রতিবর্ণীকৃত: Jamyʿāt Tahrik-e Ahlil Hadith Bangladesh; ফরাসি: Association Tahreq Ahl Al-Hadith du Bangladesh) বাংলাদেশের একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সালাফি সংগঠন।[] এটি ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি এটির নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।[][]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

[সম্পাদনা]

সংগঠনটি ভেজালমুক্ত তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে কুরআন ও হাদীসের অনুসরণকে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ সংগঠনের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের রাজনৈতিক লক্ষ্য নেই। বরং মানুষের বিশ্বাস ও আমলগত ভ্রান্তি সংশোধন করার মাধ্যমে সমাজ সংস্কার করাকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য হিসেবে গণ্য করে।

মূলনীতি

[সম্পাদনা]

আহলেহাদীছ আন্দোলন পাঁচটি দফাকে সংগঠনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। সেসব মূলনীতির ভিত্তিতেই সংগঠন পরিচালিত হয়। সেগুলো হলো -

  1. কিতাব ও সুন্নাতের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা,
  2. তাক্বলীদে শাখসী বা অন্ধ ব্যক্তিপূজার অপনোদন,
  3. ইজতিহাদ বা শরীআত গবেষণার দুয়ার উন্মুক্ত করণ,
  4. সকল সমস্যায় ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসাবে পরিগ্রহণ,
  5. মুসলিম সংহতি দৃঢ়করণ ।[]

কর্মসূচী

[সম্পাদনা]

আহলেহাদীছ আন্দোলন তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে চার দফা কর্মসূচি নির্ধারণ করেছে। সেগুলো হল -

  1. তাবলীগ (প্রচার),
  2. তানযীম (সংগঠন),
  3. তারবিয়াত (প্রশিক্ষণ)
  4. তাজদীদে মিল্লাত (সমাজ সংস্কার) ।

এসব কর্মসূচীর মধ্যে সংগঠনটি সমাজ সংস্কারকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে।


তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. বাংলাদেশ, আহলেহাদীছ আন্দোলন (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "গঠনতন্ত্র" (পিডিএফ)আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। সংগ্রহের তারিখ ০২ মার্চ ২০২৩  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Govt 'convinced' about Galib's release, acting Ahab chief claims"দ্য ডেইলি স্টার। ৩১ ডিসেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১৯ 
  3. Riaz, Ali (২০১১)। "Islamist politics and education"। Political Islam and Governance in Bangladesh। Routledge। পৃষ্ঠা 129–130। আইএসবিএন 978-0415-57673-4 
  4. "Leader claims Ahle Hadith has no militancy connection"দ্য ডেইলি স্টার। ১৫ আগস্ট ২০১৬। 
  5. হোসাইন, ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত। "আহলেহাদীছ আন্দোলন-এর পাঁচ দফা মূলনীতি : একটি বিশ্লেষণ (প্রথম কিস্তি)"মাসিক আত-তাহরীক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-০১