লগ্নক
অবয়ব
বাংলা ব্যাকরণ |
---|
ইতিহাস |
ধ্বনিতত্ত্ব |
রূপতত্ত্ব/শব্দতত্ত্ব |
বাক্যতত্ত্ব |
যতিচিহ্ন |
অর্থতত্ত্ব |
ছন্দ ও অলংকার |
শব্দ পদে পরিণত হওয়ার সময়ে এর সঙ্গে কিছু শব্দাংশ যুক্ত হয়, এগুলোর নাম লগ্নক। বাক্যে যেসব পদে লগ্নক থাকে সেগুলোকে সলগ্নক পদ এবং যেসব পদে লগ্নক থাকে না সেগুলোকে অলগ্নক পদ বলে।[১]
লগ্নক পদ চার ধরনের[১]:
- বিভক্তি: ক্রিয়ার কাল নির্দেশের জন্য এবং কারক বোঝাতে পদের সঙ্গে যেসব শব্দাংশ যুক্ত থাকে, সেগুলোকে বিভক্তি বলে। বিভক্তি দুই প্রকার: ক্রিয়া-বিভক্তি ও কারক-বিভক্তি। ‘করলাম’ ক্রিয়াপদের ‘লাম’ শব্দাংশ হলো ক্রিয়া-বিভক্তি এবং 'কৃষকের' পদের 'এর' শব্দাংশ কারক-বিভক্তির উদাহরণ।
- নির্দেশক: যেসব শব্দাংশ পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পদকে নির্দিষ্ট করে, সেগুলোকে নির্দেশক বা পদাশ্রয়ী নির্দেশক বলে। ‘লোকটি’ বা ‘ভালোটুকু' পদের 'টি' বা ‘টুকু' হলো নির্দেশকের উদাহরণ। এছাড়াও টা,খানা,খানি ইত্যাদি নির্দেশকের উদাহরণ।
- বহুবচন: কিছু শব্দাংশ পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পদকে বহুবচনের রূপ দেয়। 'ছেলেরা’ বা 'বইগুলো' পদের 'রা' বা 'গুলো' হলো এই ধরণের শব্দাংশের উদাহরণ।
- বলক: যেসব শব্দাংশ পদের সঙ্গে যুক্ত হলে বক্তব্য জোরালো হয়, সেগুলোকে বলক বলে। 'তখনই' বা ‘এখনও’ পদের শেষাংশের ‘ই' বা 'ও' হলো বলকের উদাহরণ।
বাক্যের যেসব পদে লগ্নক থাকে সেগুলোকে বলে সলগ্নক।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি, ২০২১ শিক্ষাবর্ষ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ