বিষয়বস্তুতে চলুন

দালখাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দালখাই হল ওড়িশার সর্বাধিক জনপ্রিয় লোকনৃত্য [] এটি দালখাই নামে পরিচিত কারণ প্রতিটি স্তবকের শুরু এবং শেষের দিকে এই শব্দটি একজন বান্ধবীকে উদ্দেশ্য করে ব্যবহৃত হয়। মূলত এই নৃত্যের মূল বিষয় রাধা এবং কৃষ্ণ, রামায়ণ, মহাভারত, ইত্যাদি।

উৎপত্তি এবং নামকরণের কারণ

[সম্পাদনা]

এটি বিভিন্ন উৎসব যেমন ভাইজিউন্তিয়া, ফাগুন পুনি, নুয়াখাই ইত্যাদিতে পরিবেশিত হয়। দালখাইকে “উর্বরতার দেবী” বলা হয়। ‘দালখাই দেবী' হলেন দেবী দুর্গার দৈহিক প্রকাশ’[] সাধারণত বিনঝাল, কুদা, মিরধা, সামা ও সম্বলপুর, বলাঙ্গির, সুন্দরগড়, বড়গড় এবং নূয়াপড়া জেলার কয়েকটি উপজাতির যুবতীরা এই নৃত্যে অংশ নেয়। দালখাই নৃত্যের উৎপত্তি পূর্ব ভারতের ওড়িশা রাজ্যের সম্বলপুর জেলা থেকে। এটি ওড়িশার পশ্চিমাঞ্চলের সর্বাধিক জনপ্রিয় নৃত্য রূপ। নৃত্যের সাথে গাওয়া গানের প্রতিটি স্তবকের শুরুতে ও পুরুষরা ‘দালখাই বো!’ শব্দটি উচ্চারণ করে। এই কারণেই নাচটি দালখাই নৃত্য হিসাবে পরিচিত।

নৃত্য

[সম্পাদনা]

মেয়েদের সাথে নৃত্যরত পুরুষরা প্রদর্শনের সময় তাদের সম্বোধন করে এবং তাদের সাথে প্রেমের ভান করে। যে বিষয়গুলির উপর নৃত্য পরিবেশিত হয় সেগুলি হল রাধা ও ভগবান কৃষ্ণের চিরন্তন প্রেমের গল্প, হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণ এবং মহাভারতের পর্বগুলি এবং প্রকৃতির বর্ণনা।

সঙ্গীত

[সম্পাদনা]

নৃত্যের সাথে একটি সমৃদ্ধ সমবেত লোক সংগীত বাজানো হয়, বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে থাকে 'ঢোল', 'নিসান' (লোহার ক্ষেত্রে তৈরি একটি বিশাল আকারের ড্রাম), 'তামকি' (একটি ছোট একদিকে বাজানোর ড্রাম, যার ব্যাস ৬ ইঞ্চি এবং দুটি কাঠি দিয়ে বাজানো হয়), 'তাসা' (একদিকের ড্রাম) এবং 'মহুরি'। তবে 'ঢোল' বাদক মেয়েদের সামনে নাচার সময় নৃত্যের তাল নিয়ন্ত্রণ করে।

পোশাক

[সম্পাদনা]

এই নৃত্য রূপের মূল বিষয়বস্তু হল রাধা ও কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী, রামায়ণ এবং মহাভারত। মহিলা ও মেয়েরা রঙ বেরঙয়ের সম্বলপুরি শাড়ি পরে। তারা কাঁধে একটি স্কার্ফ বেঁধে রাখে এবং তার উভয় প্রান্তটি হাতে ধরে রাখে। মেয়েরা গলার হার, চুড়ি ইত্যাদি বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী গহনা পরে সাজ সম্পূর্ণ করে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২১ 
  2. "Dalkhai: A popular folk Dance of Western Odisha"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২১