মোবারক আলী খান (বাংলার নবাব)
মুবারক আলী খান | |
---|---|
বাংলা, বিহার ও উড়িশ্যার নবাবে নাজিম (বাংলার নবাব) মুতামিদ উল-মুলক (দেশের অভিভাবক) মুবারক উদ-দৌলা (রাষ্ট্রের শুভ) ফিরোজ জাং (যূদ্ধে বিজয়ী) | |
![]() | |
১১ তম বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব নাজিম | |
রাজত্ব | ২১ মার্চ ১৭৭০ – ৬ সেপ্টেম্বর ১৭৯৩ |
রাজ্যাভিষেক | ২৬ মার্চ ১৭৭০ (১২ বছর) |
পূর্বসূরি | আশরাফ আলি খান |
উত্তরসূরি | বাবর আলী খান |
জন্ম | ১৭৫৯ |
মৃত্যু | ১৭৯৩ |
বংশধর | ১২ পুত্র ও ১৫ কন্যা |
পিতা | মীর জাফর |
মাতা | বাবু বেগম |
ধর্ম | শিয়া ইসলাম |
সাইয়িদ মোবারক আলী খান (১৭৫৯- ৬ সেপ্টেম্বর ১৭৯৩), মুবারক উদ-দৌলা নামে পরিচিত, বঙ্গ, বিহার এবং উড়িষ্যার নবাব ছিলেন। তিনি মীর জাফর ও বাব্বু বেগমের ছেলে।
১৭৭০ সালের ১০ মার্চ তার অর্ধ-ভাই আশরাফ আলী খানের মৃত্যুর পর ১৭৭০ সালের ২১ মার্চ তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। মুবারক আলী খান ৬ সেপ্টেম্বর ১৭৯৩ তার মৃত্যুর পর তার পুত্র বাবর আলী খান দ্বারা স্থলাভিষিক্ত হন। [১]
জীবনী
[সম্পাদনা]প্রারম্ভিক বছর
[সম্পাদনা]![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d2/Mubarak_ud-Daula_Nawab_of_Murshidabad.jpg/220px-Mubarak_ud-Daula_Nawab_of_Murshidabad.jpg)
নবাব নাজিম মুবারক আলী খান, মুবারক উদ-দৌলা নামে অধিক পরিচিত ছিলেন বাব্বু বেগম কর্তৃক মীর জাফরের পুত্র। ১৭৭০ সালের ২৪ মার্চ আশরাফ আলী খানের মৃত্যুর পর ১২ বছর বয়সে তিনি তার অর্ধেক ভাই আশরাফ আলী খানের স্থলাভিষিক্ত হন।[২] ওয়ারেন হেস্টিংস মুবারক উদ-দৌলার সৎমা মুন্নি বেগমকে তার অভিভাবক নিযুক্ত করেন, যদিও তার মা বাবু বেগম জীবিত ছিলেন। কেন বাবু বেগমকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়নি তা সন্তোষজনকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি।
পরবর্তী বছর
[সম্পাদনা]![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/30/Nawab_Mubarak_al-Daula_of_Murshidabad_%281770-93%29_enthroned_in_durbar.jpg/250px-Nawab_Mubarak_al-Daula_of_Murshidabad_%281770-93%29_enthroned_in_durbar.jpg)
১৭৯০ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম লর্ড কর্নওয়ালিসের মাধ্যমে নবাব মুবারক উদ-দৌলার এক কন্যাকে তার ছেলের সাথে বিয়ে করতে বলেন। নবাব নিম্নলিখিত শর্তে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, লর্ড কর্নওয়ালিকে লেখা একটি চিঠিতে:
দয়া করে রানীকে অনুরোধ করুন বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি কোনভাবেই এই প্রস্তাব মেনে নিতে পারছি না। এই বিষয়ে অনেক বাধা আছে। উপরন্তু, আমার পরিবারে একটি দীর্ঘদিনের ব্যবহার আছে যে আমাদের মেয়েদের কখনোই সাইয়্যেদ ছাড়া অন্য কারো সাথে বিয়েতে দেওয়া যাবে না। যদি আমি এর পরিপন্থী কাজ করি, আমার পারিবারিক রীতি, আমি ধ্বংস হয়ে যাব। সব অনুষ্ঠানে, আমি আর আমার মা এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি না। —বাংলার নবাব নাজিম মোবারক উদ-দৌলা
যদিও নবাব, তখন ১৩ কন্যা ছিল, এবং কিছু মাত্রায় নিজেকে সম্রাটের দাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তিনি, এমনকি দিল্লির যুবরাজের মত সম্মানিত রাজকুমারের সাথে ১৩ জনের একটি বিয়ে করতে দেননি।
মৃত্যু এবং উত্তরসূরি
[সম্পাদনা]![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/fe/MubarakAliKhan.jpg/220px-MubarakAliKhan.jpg)
নবাব নাজিম মোবারক উদ-দৌলা ১৭ সেপ্টেম্বর ১৭৯৩ সালে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর পুত্র বাবর আলী খান তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Indian Archives (ইংরেজি ভাষায়)। National Archives of India.। ১৯৫৬।
- ↑ Vadivelu, A. (১৯১৫)। The Ruling Chiefs, Nobles & Zamindars of India (ইংরেজি ভাষায়)। G.C. Loganadham।