বিষয়বস্তুতে চলুন

সাজেক উপত্যকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাজেক উপত্যকা
সাজেকের ভোর

সাজেক বা সাজেক উপত্যকা বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ইউনিয়নের একটি বিখ্যাত পর্যটনস্থল।[] এটি রাঙ্গামাটি জেলার সর্ব উত্তরে মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। এর উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা, পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা অবস্থিত।

এই সাজেক উপত্যকায় রয়েছে দুটি পাড়া - রুইলুই এবং কংলাক। ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুই পাড়া ১,৭২০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। আর কংলাক পাড়া ১,৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সাজেক "রাঙামাটির ছাদ" নামেও পরিচিত।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
মেঘে ঢাকা সাজেকের প্রকৃতি

সাজেক রুইলুইপাড়া, হামারিপাড়া এবং কংলাক পাড়া, এই তিনটি পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুই পাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৭২০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত আর কংলাক পাড়া ১,৮০০ ফুট উচ্চতায় কংলাক পাহাড়-এ অবস্থিত।[] সাজেকে মূলত লুসাই, পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা উপজাতি বসবাস করে। রাঙামাটির অনেকটা অংশই দেখা যায় সাজেক উপত্যকা থেকে। এই জন্য সাজেককে রাঙামাটির ছাদ বলা হয়।[]

কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ভূত সাজেক নদী থেকে সাজেক নাম এসেছে।[]

অবস্থান

[সম্পাদনা]
মেঘে আচ্ছন্ন পর্বতশ্রেণী

সাজেক রাঙামাটি জেলার সর্বউত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। আর দীঘিনালা থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার। সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও খাগড়াছড়ি থেকে এখানে যাতায়াত সুবিধাজনক।[] সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা অবস্থিত। সাজেক ইউনিয়ন হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন; যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। এখানে সাজেক বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে।

প্রাকৃতিক রূপ

[সম্পাদনা]

সাজেকে সর্বত্র মেঘ, পাহাড় আর সবুজ। এখান থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। সাজেকের রুই-লুই পাড়া থেকে ট্রেকিং করে কংলাক পাহাড়-এ যাওয়া যায়। কংলাক হচ্ছে সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া। কংলাকে যাওয়ার পথে মিজোরাম সীমান্তের বড় বড় পাহাড়, আদিবাসীদের জীবনযাপন, চারদিকে মেঘের আনাগোনা দেখা যায়। এখানে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে উপজাতির উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এবং তাদের সংস্কৃতির নানা উপকরণ উপভোগ করা যায়।

নৃ-গোষ্ঠী

[সম্পাদনা]

সাজেকে মূলত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস রয়েছে। বিশেষ করে চাকমা, লুসাই, পাংখোয়াত্রিপুরা জনগোষ্ঠীরা বহু আদিকাল থেকে বসবাস করে আসছে। তাঁদের বাড়িঘর বাঁশের মাচাংয়ের উপর তৈরি করা হয়।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি"দৈনিক নয়া দিগন্ত 
  2. মামুন, মুস্তাফিজ। "সাজেকের পাহাড় চূড়ায়"bangla.bdnews24.com। ১৭ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২০ 
  3. "'রাঙ্গামাটির ছাদ' অপূর্ব সাজেক ভ্যালি"DW.COM 
  4. "মেঘের দেশ সাজেক ভ্যালি"দৈনিক সংগ্রাম। ১৬ জুলাই ২০১৯। ২৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২০ 
  5. "সাজেক ভ্যালি, বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন"। ২৪ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২১ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]