শহীদ মাহমুদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শহীদ মাহমুদ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামশহীদ মাহমুদ
জন্ম (1939-03-17) ১৭ মার্চ ১৯৩৯ (বয়স ৮৪)
লখনউ, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমানে ভারত)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৪০)
২৬ জুলাই ১৯৬২ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬৬
রানের সংখ্যা ২৫ ৩১১৭
ব্যাটিং গড় ১২.৫০ ৩১.৮০
১০০/৫০ -/- ৫/-
সর্বোচ্চ রান ১৬ ২২০
বল করেছে ৩৬ ৫৯৪০
উইকেট ৮৯
বোলিং গড় - ২১.৬৫
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ১০/৫৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ২৫/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ আগস্ট ২০২০

শহীদ মাহমুদ (উর্দু: شاہد محمود‎‎; জন্ম: ১৭ মার্চ, ১৯৩৯) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের লখনউ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের শুরুরদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি, পাকিস্তান ইউনিভার্সিটিজ ও পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত শহীদ মাহমুদের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও কার্যকরী মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে শহীদ মাহমুদের পরিচিতি ছিল।

১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। নিজস্ব শেষ মৌসুমে অর্থাৎ ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে পাকিস্তানের প্রথম বোলার হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর এক ইনিংসে দশ উইকেটের সবগুলো লাভ করেছিলেন। করাচি হোয়াইটসের সদস্যরূপে খয়েরপুরের বিপক্ষে এ কীর্তিগাঁথা রচনা করেছিলেন তিনি।[১]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন শহীদ মাহমুদ। ২৬ জুলাই, ১৯৬২ তারিখে নটিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯৬২ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে পাকিস্তান দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ সফরেই তিনি তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ইংল্যান্ড সফরে মাঝে-মধ্যে তাকে খেলায় নেয়া হতো। নটিংহাম টেস্টে তিনি ছন্দহীনতায় ছিলেন ও আশাপ্রদ খেলা উপহার দিতে পারেননি তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষার শিকার হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Karachi Whites v Khairpur 1969-70"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৫ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]