বিদেশ মন্ত্রক (ভারত)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিদেশ মন্ত্রক
ভারতের জাতীয় প্রতীক
সংস্থার রূপরেখা
গঠিত২রা সেপ্টেম্বর ১৯৪৬
যার এখতিয়ারভুক্তভারতভারতীয় প্রজাতন্ত্র
সদর দপ্তরসচিবালয় বিল্ডিং, নয়াদিল্লী
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী
সংস্থা নির্বাহী
ওয়েবসাইটবিদেশ মন্ত্রক

বিদেশ মন্ত্রক ভারতের বিদেশ নীতি বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য গঠিত সরকারের একটি মন্ত্রক। বহির্বিশ্বে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রসত্ত্বার যে-প্রকাশ ও ভাবমূর্তি, তার মূল ভিত্তিপ্রস্তর হলো রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি। একটি পরিকল্পিত কাঠামোর মধ্য দিয়ে দেশের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করা হয়। এ নীতির আলোকে পরিচালিত সকল কূটনৈতিক কার্যক্রম বিদেশ মন্ত্রক এবং বহির্বিশ্বে অবস্থিত কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের (দূতাবাস/মিশন) ওপর ন্যস্ত। বিদেশ মন্ত্রক বিবিধ কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ এবং এর পশ্চাতে ক্রিয়াশীল নিয়ামক শক্তিকে প্রভাবিত ক’রে থাকে। এই সব কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বৈদেশিক পরিমণ্ডলে স্বার্থ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা নিবিড়করণ এবং সর্বোপরি, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বসভায় একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে ভাবমূর্তি সংহত ও সুদৃঢ়করণ।

কাঠামো[সম্পাদনা]

মন্ত্রক ও সংযুক্ত বিভাগসমূহ এবং তৎসঙ্গে পৃথিবীর ৫৬টি দেশে[১] অবস্থিত ৭২টি দূতাবাসের মাধ্যমে পররাষ্ট্র বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এটি একটি পরিপূর্ণ মন্ত্রক যা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত একজন পূর্ণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। নেতৃত্ব জোরদার করার জন্য কখনো কখনো প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং/অথবা উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়ে থাকে তবে সরকারের একজন সচিব (পার্মানেন্ট সেক্রেটারী) মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী তথা প্রিন্সিপাল একাউন্টিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। পররাষ্ট্রসচিব হলেন সবচেয়ে বরিষ্ঠ কর্মকর্তা , যিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগের প্রধান, এবং সচিব পর্যায়ের অন্যান্য আধিকারিকেরা তাকে সাহায্য  করেন।

যুগ্ম-সচিব[সম্পাদনা]

যুগ্ম-সচিব নাম
বিভাগ নাম
আমেরিকা গৌরাঙ্গলাল দাস
পশ্চিম ইউরোপ সন্দীপ আর্য
মধ্য ইউরোপ নীতা ভূষণ
ইউরেশিয়া মনীশ প্রভাত
পূর্ব এশিয়া নবীন শ্রীবাস্তব
ইন্দো-প্যাসিফিক শ্রীনিবাস গাত্রু
আসিয়ান সুনিতা নরঙ্গ
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন বিশ্বাস বিদু স্বপ্নাল
সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা যোজনা প্যাটেল
পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকা শ্রীকর কে রেড্ডি
মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকা র. রবীন্দ্র
পারস্য উপসাগর র. রবীন্দ্র
ভারত মহাসাগর অঞ্চল অমিত নারাং
পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান দীপক মিত্তাল
নেপাল, ভুটান অরিন্দম বাগচি
লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান গ্লোরিয়া গ্যাঙ্গে
পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকা নিখিলেশ গিরি
বাংলাদেশ, মায়ানমার স্মিতা পান্ত
বিমস্টেক, সার্ক ও নলন্দা ড বীরেন্দ্র কুমার পল
সংরক্ষণাগার ও রেকর্ড পরিচালনা ডা কেতন শুক্লা
সুরক্ষা ব্যুরো পবন কুমার রাই
সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ মহাবীর সিংভি

[২]

বিদেশ নীতি[সম্পাদনা]

ভারতের বিদেশনীতি বহুমুখী। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর মধ্যে ভারতের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা মন্ত্রকের অন্যতম দায়িত্ব। সংবিধানে বিদেশনীতির মূলনীতিসমূহ সন্নিবেশিত হয়। সংবিধানের প্রস্তাবনায় “মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন” করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে। এরই অনুসৃতিতে সংবিধানে পররাষ্ট্রনীতির অভিমুখ নির্ধারণ করে ৪টি মূল স্তম্ভ উল্লেখ করা হয়েছেঃ

(ক) জাতীয় সমতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা ; (খ) শক্তি প্রয়োগ পরিহার এবং সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ প্রয়াস ; (গ) বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের সমর্থন।

ভারত জি২০, পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন , সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা , ব্রিক্‌স-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসংস্থার সদস্য।

এছাড়া বেশ কিছু আঞ্চলিক রাষ্ট্রসংস্থার অতি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যেমন ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন , বিম্‌সটেক, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাবিবিআইএন সংযুক্তি

বিদেশনীতির প্রধান দশটি দিক[সম্পাদনা]

  • ১.প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ বিদেশের সাথে ভারসাম্যমূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ;
  • ৪.বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ এবং নতুন শ্রমবাজার সন্ধান ;
  • ৫.প্রবাসী স্বার্থ সংরক্ষণ ;
  • ৬.জাতিসংঘ ব্যবস্থায় সক্রিয় অংশগ্রহণ, আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রসার এবং ক্রমবিকাশমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি প্রণয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ ;
  • ৭.বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারকরণ ;
  • ৮.বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা ও শান্তিপ্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ;
  • ৯.বিদেশে সংস্কৃতির যথাযথ প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন ;

বিদেশ মন্ত্রকে দায়িত্বসমূহ[সম্পাদনা]

রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব[সম্পাদনা]

সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও প্রতিনিধিত্বমূলক কার্যক্রম, বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও সকল প্রকার যোগাযোগ বিদেশ মন্ত্রক ও বিদেশস্থ মিশনসমূহের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। দূতাবাসের কর্মকাণ্ড, কূটনৈতিক পদ প্রদান সহ দূতাবাসের কাঠামো, জনবল, সংস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়াদি এ মন্ত্রকে কার্যবিধির অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে বিদেশস্থ কূটনৈতিক, কনস্যুলার ও বাণিজ্য মিশন স্থাপন এবং কূটনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণকল্পে তাদের দায়মুক্তি-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের দায়িত্বও এ মন্ত্রকের ওপর ন্যস্ত।[৩]

আন্তর্জাতিক সংস্থা, চুক্তি ইত্যাদি[সম্পাদনা]

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এর সিদ্ধান্তবলী সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম এ মন্ত্রকের এখতিয়ারভুক্ত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্যান্য রাষ্ট্র ও আন্তর্জাাতিক সংস্থার সাথে সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পরিপালন, সমন্বয়সাধন, বাস্তবায়ন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করে থাকে। [৩]

প্রশাসনিক বিষয়াদি[সম্পাদনা]

সিভিল সার্ভিসের (বি. সি. এস.) বিদেশ বিষয়ক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কার্যাদি সম্পাদন, কূটনৈতিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান, সাংকেতিক বার্তা সঞ্চালন ও এর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি বিদেশ মন্ত্রকের ওপর ন্যস্ত। তদুপরি,বিদেশ সংক্রান্তীয় প্রশাসনিক দায়িত্ব এবং আর্থিক বিষয়সহ যাবতীয় সাচিবিক দায়িত্ব এই মন্ত্রকের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।[৩]

আন্তর্জাতিক আইন-সংশ্লিষ্ট কার্যাদি[সম্পাদনা]

এই কার্যসমষ্টির আওতায় প্রধান প্রধান দায়িত্ব হলো : আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ, বিদেশ থেকে নাগরিক প্রত্যাবাসন বিষয়ক নীতিমালা, জলদস্যুতাসহ গভীর সমুদ্রে অথবা আকাশ পথে সংঘটিত অপরাধ, অন্যান্য দেশের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা, বিদেশী শরণার্থীদের পরিপোষণ, বিদেশী সামরিক বা বেসামরিক অনির্ধারিত বিমান চলাচলের ছাড়পত্র প্রদান, জলসীমা ও মহীসোপানসহ দেশের সীমা নির্ধারণ, সমুদ্রে সম্পদ আহরণের আইন ও অধিকার সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী, আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিষয়সমূহ, কোন নাগরিক বিদেশে সম্মান, খেতাব বা উপাধিতে ভূষিত হলে তদসংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতা ইত্যাদি।[৩]

প্রচারণা ও ভাবমূর্তি[সম্পাদনা]

বর্হিবিশ্বে ভাবমূর্তি উন্নয়নের জন্য প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ বিদেশ মন্ত্রকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এরই অংশ হিসেবে মন্ত্রকের তথ্য মন্ত্রকের সাথে পরামর্শক্রমে বিদেশী সংবাদমাধ্যমে ইতিবাচক প্রচারণার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী গ্রহণ করে থাকে। এছাড়া শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক পরিষদের মাধ্যমে যথোপযুক্ত কর্মসূচী পরিচালনা করে।[৩]

রাষ্ট্রাচার[সম্পাদনা]

বিদেশের সাথে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের আতিথ্যমূলক সকল কর্মকা- এর অন্তর্ভুক্ত। বিদেশী অভ্যাগতরা আনুষ্ঠানিক তথা প্রতিনিধিত্বমূলক কোন সফরে এলে এর আয়োজন, অভ্যর্থনা ও আতিথ্য প্রদান এবং আনুষঙ্গিক সহায়তার দায়িত্ব বিদেশ মন্ত্রক পালন ক’রে থাকে। একইভাবে, রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের বৈদেশিক ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল যোগাযোগ ও আয়োজন, উচ্চপর্যায়ের সকল সাক্ষাৎকার ইত্যাদি রাষ্ট্রাচারের কর্মপরিধিভুক্ত। সমরূপ অন্যান্য কার্যাদির মধ্যে রয়েছে বিদেশ থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের পরিচয় পত্র উপস্থাপনের আনুষ্ঠানিকতা ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁদের সাক্ষাৎ ইত্যাদি আয়োজন।[৩]

কনস্যুলার ও কল্যাণমূলক সেবা[সম্পাদনা]

বিদেশ মন্ত্রকের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ বিদেশে অবস্থিত দূতাবাসসমূহ এবং নাগরিকদের বহুমুখী কনস্যুলার সেবা প্রদান ক’রে থাকে। বিদেশে অবস্থানকালে কোন ব্যক্তির যদি কোন প্রকার কনস্যুলার সেবার প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি নিকটস্থ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ ক’রে কিংবা দেশে তাঁর নিকটজন তাঁর পক্ষে বিদেশ মন্ত্রকের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগের সাথে যোগাযোগপূর্বক কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করতে পারেন। কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ নিম্নোক্ত সেবাসমূহ প্রদান করেঃ

  • দূতাবাসের মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী নানাবিধ কল্যাণমূলক কাজের সমন্বয় ;
  • বিদেশে অবস্থানরত জরুরি কনস্যুলার সহায়তাসহ অন্যান্য সেবা প্রদান ;
  • বিধি মোতাবেক বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজের সীল ও স্বাক্ষরসমূহের প্রত্যয়ন।

বিদেশ মন্ত্রকের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগ কর্তৃক এই সকল সেবা সম্পূর্ণ বিনামূলে প্রদান করা হয়।

বিদেশস্থ মিশনসমূহের কার্যবলী[সম্পাদনা]

(ক) বিদেশস্থ মিশনসমূহ নিম্নবর্ণিত কনস্যুলার সেবা প্রদান করে থাকে :

  • বিদেশস্থ প্রবাসী নাগরিকদের পাসপোর্ট প্রদান ও নবায়ন ;
  • বিদেশীদের ভিসা প্রদান ;
  • বংশোদ্ভুত বিদেশী নাগরিকদের পাসপোর্টে “ঘড় ঠরংধ জবয়ঁরৎবফ ঝবধষ” প্রদান ;
  • বিধি মোতাবেক দেশী ও বিদেশী দলিলাদির প্রত্যায়ন ;
  • দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন পত্র গ্রহণ।

(খ) বিদেশে আটক দেশে প্রত্যাবাসন

(গ) প্রবাসী চাকুরিকালীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে চাকুরির শর্তানুযায়ী তাঁদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ। এছাড়াও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা পঙ্গুত্ববরণকারী প্রবাসী ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রেও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

(ঘ) দ্বৈত নাগরিকত্বধারী প্রবাসী জন্য কনস্যুলার সেবা প্রদান

(ঙ) প্রবাসে মৃতুবরণ করলে তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা

(চ) প্রবাসী ব্যক্তিগণ সংশ্লিষ্ট দেশে বসবারত অবস্থায় হঠাৎ কোন জরুরি বা দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার শিকার হলে সে দেশে অবস্থিত দূতাবাস প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে। যেমন : প্রাকৃতিক বা অন্য কোন দুর্যোগ আক্রান্ত প্রবাসীদের এক স্থান থেকে অন্য নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা। এছাড়া প্রবাসে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কোন ব্যক্তির সন্ধান লাভের জন্যও যথাসম্বব চেষ্টা করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "MOFA"। ১১ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৭ 
  2. "MEA JSs" 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১২