টিম ম্যাকিন্টশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টিম ম্যাকিন্টশ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামটিমোথি গেভিন ম্যাকিন্টশ
জন্ম (1979-12-04) ৪ ডিসেম্বর ১৯৭৯ (বয়স ৪৪)
অকল্যান্ড, অকল্যান্ড অঞ্চল, নিউজিল্যান্ড
উচ্চতা৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৯১ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৪২)
১১ ডিসেম্বর ২০০৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট৯ জানুয়ারি ২০১১ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৮/৯৯ - ২০০৩/০৪অকল্যান্ড
২০০৪/০৫ক্যান্টারবারি
২০০৫/০৬ - ২০১৩/১৪অকল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৭ ১৩১ ৫৩
রানের সংখ্যা ৮৫৪ ৭,১৬৯ ১,৫৪৫
ব্যাটিং গড় ২৭.৫৪ ৩৪.১৩ ৩০.২৯
১০০/৫০ ২/৪ ১৯/৩৩ ৩/৮
সর্বোচ্চ রান ১৩৬ ২৬৮ ১৬১
বল করেছে ৩৪৬
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১০/– ১৩০/– ২৮/–

টিমোথি গেভিন ম্যাকিন্টশ (ইংরেজি: Tim McIntosh; জন্ম: ৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৯) অকল্যান্ড অঞ্চলের অকল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৮ থেকে ২০১১ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন টিম ম্যাকিন্টশ। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

মূলতঃ চারদিনের খেলায় বিশেষ দক্ষতা লাভ করেছেন। মার্ক রিচার্ডসন ব্যাটিং স্কুল থেকে ডিগ্রীধারী তিনি। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম ২০১৪ সাল পর্যন্ত টিম ম্যাকিন্টশের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান টিম ম্যাকিন্টশ ২৯ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে অকল্যান্ডে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পূর্বে ঘরোয়া আসরের পূর্বেকার দুই মৌসুমে বেশ ভালো খেলা উপহার দিয়েছিলেন।

পরবর্তী তিন মৌসুমেও অকল্যান্ড এইসেস দলের পক্ষে খেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। তন্মধ্যে, ২০০২-০৩ মৌসুমে ৫৮.৫৭ গড়ে ৮২০ রান তুলেছিলেন তিনি।

দল পরিবর্তন[সম্পাদনা]

ক্যান্টারবারি দলের পক্ষে এক মৌসুম খেলেন। এ পর্যায়ে তিনি মাত্র ৪.৯০ গড়ে রান তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। এছাড়াও, স্কটল্যান্ডীয় দল গ্রীনকের পক্ষে ২০০৭-০৮ মৌসুমে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তুলনামূলকভাবে বেশ ভালো খেলেন ও পাঁচটি সেঞ্চুরির সন্ধান পান।

২০০৪-০৫ মৌসুমে ক্যান্টারবারিতে অবস্থানকালে বিশেষ সুবিধে করতে পারেননি টিম ম্যাকিন্টশ। তাসত্ত্বেও, ঐ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৬৮ রান তুলেন। ২০০৮-০৯ মৌসুমের শুরুতে দূর্দান্তভাবে খেলতে শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে, দল নির্বাচকমণ্ডলী নিউজিল্যান্ডের শীর্ষসারিতে ভাঙ্গন ঠেকাতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সতেরোটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন টিম ম্যাকিন্টশ। ১১ ডিসেম্বর, ২০০৮ তারিখে ডুনেডিনে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৭ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে হ্যামিল্টনে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ডুনেডিনের অভিষেক টেস্টে বেশ স্নায়বিক চাপে ভুগেন। নিউজিল্যান্ডের সদস্যরূপে নিজস্ব প্রথম টেস্ট খেলায় প্রথম রান সংগ্রহ করতে তাকে ৩৮ বল মোকাবেলা করতে হয়েছিল।[১] তবে, নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত পরের টেস্টেই নিজেকে মেলে ধরতে সমর্থ হন। নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হয়েছিলেন তিনি। পরম ধৈর্যশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে নিজস্ব প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকান। এরফলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার দল ড্র করতে সক্ষম হয়েছিল।

২০১০ সালে ভারত গমন করেন। তবে, তার এ সফরটি বেশ বিপর্যয়কর ছিল। আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে জোড়া শূন্য রানে তাকে বিদেয় নিতে হয়েছিল। তবে, হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত পরের টেস্টেই রুখে দাঁড়ান তিনি। ধৈর্যশীল অবস্থায় মাঠে অবস্থান করে ১০২ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, ক্রিকেটের ইতিহাসের একাদশ ব্যাটসম্যান হিসেবে পূর্ববর্তী টেস্টে জোড়া শূন্য রানের পর সেঞ্চুরি হাঁকানোর কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Tony Cozier (১১ ডিসেম্বর ২০০৮), Wayward seamers hurt West Indies, Cricinfo.com  Retrieved on 12 December 2008.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]