শাহনাজ হোসেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাহনাজ হোসেন
শাহনাজ হোসেন
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাউদ্যোক্তা
কর্মজীবন১৯৭১–বর্তমান
প্রতিষ্ঠানশাহনাজ হোসেন গ্রুপ
পুরস্কারপদ্মশ্রী
ওয়েবসাইটshahnaz.in

শাহনাজ হোসেন ভারতে দ্য শাহনাজ হোসেন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারপারসন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ভেষজ সৌন্দর্য যত্ন আন্দোলনে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আয়ুর্বেদের ভারতীয় ভেষজ ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী প্রচারের জন্য আন্তর্জাতিক প্রশংসা পেয়েছেন।[১][২][৩] ২০০৬ সালে, তিনি বাণিজ্য ও শিল্পের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারের সম্মানজনক পদ্মশ্রী দ্বরা ভূষিত হয়েছেন।[৪]

হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল কর্তৃক, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন ছাড়াই তাঁর আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার সাফল্যে পাওয়ার গল্পটি বলতে, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এটি হার্ভার্ড কেস স্টাডিতেও পরিণত হয়েছে, যা এর পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[৫][৬] তিনি ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের শিক্ষার্থীদের জন্য বক্তৃতাও দিয়েছেন।[৭] রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা দ্বারা আয়োজিত উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ব সম্মেলনেও শাহনাজ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৯৬ সালে, তিনি সাকসেস ম্যাগাজিনে "বিশ্বের সর্বকালের সেরা নারী উদ্যোক্তা" পুরস্কার লাভ করেছেন।[৮] তিনি কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় (রেড কার্পেট) হেঁটেছেন এবং বিশিষ্ট ব্রিটিশ সংসদে হাউস অফ লর্ডস এবং হাউস অফ কমন্সে বক্তৃতা প্রদান করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

শাহনাজ বেগ হিসেবে জন্মগ্রহণকারী, তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বিচারপতি নাসির উল্লাহ বেগ (যিনি হায়দরাবাদ সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন) এবং সৈয়দা বেগমের কন্যা। তাঁর দাদা বিচারপতি সামিউল্লাহ বেগ ছিলেন যুক্তরাজ্যের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, যিনি পরে হায়দরাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর চাচা মির্জা হামেদুল্লাহ বেগ ছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি

শিক্ষা ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

শাহনাজ এলাহাবাদের সেন্ট. মেরি কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন। তিনি অল্প বয়সে নাসির হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি ইরানে আয়ুর্বেদ বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন এবং উক্ত সময়ে নাসির হোসেন তেহরানে কাজ করতেন। তারপরে তিনি পশ্চিমের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান যেমন হেলেনা রুবিনস্টাইন, শোয়ার্জকপ্ফ, ক্রিস্টিন ভাল্মি, ল্যানকম এবং কোপেনহেগেনের চর্বিহীন কসমেটিক থেরাপি এবং প্রসাধনী বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষ করেছিলেন। তিনি ভারতে ফিরে এসে নিজের বাড়ি নতুন দিল্লিতে উইমেন ওয়ার্ল্ড শুরু করেছিলেন। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রায়শই তাঁর সাথে দেখা করতেন।

নাসির ১৯৯৯ সালে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারণে মারা যান। তাঁদের ছেলে সমীর হোসেন ২০০৮ সালে পাটনায় আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁদের মেয়ে নেলোফার কারিমম্ভয় তাঁর উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নেলোফার শাহনাজ হোসেনের জীবনী "শিখা" রচনা করেছেন।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

শাহনাজ হোসেন সৌন্দর্য শিল্পে তাঁর অবদানের জন্য বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "International Acclaim of Ayurveda Herbal Beauty"। By CSR VISION। ২১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০ 
  2. "The Global Ambassador of Ayurveda in the beauty and wellness sector"medium.com 
  3. "Ayurveda's Story of World Domination"। The Lucknow Observer। ৫ জুলাই ২০১৬। 
  4. "Fourth highest civilian awards from the Government of India, presented by the President of India"। Ministry of Home Affairs (Govt. of India)। ১১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০ 
  5. "Shahnaz Husain shares her secrets behind establishing an international brand"। Brand Equity। ১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০ 
  6. "Shahnaz Husain now a subject at Harvard Business School"The Tribune। India। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯ 
  7. "Visit to MIT"। TIMES OF INDIA। ৮ মে ২০১৩। 
  8. "World Greatest Woman Entrepreneur Award"। INDIA TODAY। ১৫ জুন ১৯৯৬।