মামাং দাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে


মামাং দাই
জন্ম২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭ সাল
পেশাকবি, ঔপন্যাসিক, ঐতিহাসিক, সাংবাদিক
ভাষা
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার

মামাং দাই একজন ভারতীয় কবি, ঔপন্যাসিক, ঐতিহাসিক এবং সাংবাদিক। তিনি অরুণাচল প্রদেশেইটানগরে বসবাস করেন।তিনি ২০১৭ সালে তাঁর ব্ল্যাক হিল উপন্যাসের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। শিক্ষা এবং সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্যে ২০১১ সালে তিনি ভারতের চতুর্থ সর্ব্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী লাভ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

মামাং দাই ১৯৫৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি অরুণাচল প্রদেশেপূর্ব সিয়াং জেলাপাসিঘাটে মতিন দাই এবং ওডি দাইয়ের ঘরে এক আদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মেঘালয়ের শিলংয়ের পাইন মাউন্ট স্কুল থেকে তাঁর পড়াশোনা শেষ করার পরে আসামেগৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে সাম্মানিক সহ স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছেন[১][২]

বিদ্যালয়ে পড়াকালীন প্রথমে তিনি উদ্ভিদবিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলেন। কিশোরীবেলায় অনেক উচ্চমানের লেখকদের রচনা পড়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর; তখন থেকেই ধীরে ধীরে সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে থাকে তাঁর। তিনি হেমিংওয়ে এবং ফিটজগারেল্ডের মতো সাহিত্যিক হতে চেয়েছিলেন।

১৯৭৯ সালে তিনি আইএএস-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তবে পরে সাংবাদিক রূপে কাজ করার জন্য তিনি এই পদ ত্যাগ করেন। তিনিই ছিলেন অরুণাচল প্রদেশের প্রথম মহিলা যিনি আইএএস নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাংবাদিক হিসাবে কাজ করার সময়, তিনি টেলিগ্রাফ, হিন্দুস্তান টাইমস এবং দ্য সেন্টিনেল-এ অবদান রেখেছিলেন। তিনি আকাশবাণী, দূরদর্শন কেন্দ্র-ইটানগর এবং টিভি-এআইআর-য়েও কাজ করেছেন[৩][৪]

তিনি ডাব্লুডাব্লুএফ নামে পরিচিতওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড অফ নেচারে অনুষ্ঠান আধিকারিক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন, যেখানে তিনি পূর্ব হিমালয়এর জৈববৈচিত্র্যের অনুষ্ঠানে কাজ করেছিলেন। তিনি ইটানগর প্রেসক্লাবের ভূতপূর্ব সম্পাদক। বর্তমানে তিনি অরুনাচল প্রদেশের কর্মজীবী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (এপিইউডাব্লু)[২]। ২০১১ সালে তিনি অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য হিসাবে নিযুক্ত হন।

সাহিত্য[সম্পাদনা]

তাঁর অ-কাল্পনিক বা নন-ফিকশনাল রচনার মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ: দ্য হিডেন ল্যান্ড (২০০৩) এবং মাউন্টেন হারভেস্ট: দ্য ফুড অফ অরুণাচল (২০০৪)। দ্য স্কাই কুইন এবং ওয়ান্স আপন আ মুনটাইম (২০০৩) তাঁর দ্বারা চিত্রিত লোককাহিনীর একটি সংগ্রহ। তিনি ২০০০ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য লেজেন্ডস অফ পেনসাম প্রকাশ করেছিলেন, এরপরে স্টুপিড কিউপিড (২০০৮) এবং দ্য ব্ল্যাক হিল (২০১৪) প্রকাশিত হয়েছিল। রিভার পোয়েমস (২০০৪), দ্য বাম অফ টাইম (২০০৮) হামব্রেলসাইয়ের তাঁত (২০১৪), মিডসামার সার্ভাইভাল লিরিক্স (২০১৪)- ইত্যাদি তাঁর কবিতার বই[১]

তিনি যখন লিখতে শুরু করেন, তিনি প্রধানত রোম্যান্টিক কবিতা এবং গল্প লিখতেন। তারপরে তিনি রোম্যান্সের প্রতিপাদ্য থেকে একটি বৃহত্তর বাস্তবতার দিকে মনোনিবেশ করেন[৫]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তিনি ভারত সরকার দ্বারা ২০১১ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। অরুণাচল প্রদেশ সরকার তাঁকে অরুণাচল প্রদেশ: দ্য হিডেন ল্যান্ড বইয়ের জন্য ২০১৩ সালে বার্ষিক ভারিয়ার এলউইন পুরস্কার প্রদান করে[২][৬]। তিনি তাঁর ব্ল্যাক হিল উপন্যাসের জন্য ২০১৭ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন[৭][৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sarangi, Jaydeep; Dai, Mamang (২ আগস্ট ২০১৭)। "In Conversation with Mamang Dai"। Flinders University। 
  2. Ramaṇika Gupta (২০০৬)। Indigenous Writers of India: North-East India। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 23–24। আইএসবিএন 978-81-8069-300-7। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  3. "Mamang Dai (poet) - India - Poetry International"www.poetryinternationalweb.net (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৬ 
  4. "RædLeafPoetry-India – The Phenomenal Woman- An interview of Mamang Dai by Ananya Guha"rlpoetry.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৬ 
  5. "The Land as "Living Presence" (article) - India - Poetry International"www.poetryinternationalweb.net (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৬ 
  6. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। নভেম্বর ১৫, ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৫ 
  7. "Mamang Dai and Ramesh Kuntal Megh win Sahitya Akademi award- Entertainment News, Firstpost"Firstpost। ২০১৭-১২-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৩ 
  8. "Arunachal author Mamang Dai among 24 winners of 2017 Sahitya Akademi awards"scroll.in। scroll.in। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯