বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন লোগো
নীতিবাক্যপড়বো . খেলবো . শিখবো
প্রতিষ্ঠাকাল২০১৩
প্রতিষ্ঠাতাকিশোর কুমার দাস
ধরনস্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
সদরদপ্তরবাড়ি: ১৩ (২য় তলা), সড়ক: ২/বি, পল্লবী আবাসিক এলাকা, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
অবস্থান
এলাকাগত সেবা
বাংলাদেশ
পুরস্কারএকুশে পদক (২০২৩)
ওয়েবসাইটwww.bidyanondo.org

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন একটি বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা শিশুদের নিয়ে কাজ করে।[১][২][৩] সংগঠনটি পথশিশু, সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র ও অসচ্ছল শিশুদের মৌলিক শিক্ষা, আহার, চিকিৎসা এবং আইন সেবা প্রদান করে থাকে।[৪][৫] প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০২৩ সালের একুশে পদকে ভূষিত হয়।[৬]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বিদ্যানন্দ ২০১৩ সালের ২২ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত।[৭] এরপর ২০১৪ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম শাখা এবং সবশেষে ২০২১ সালে খাগড়াছড়িতে বিদ্যানন্দের দ্বাদশ শাখা চালু করা হয়। বিদ্যানন্দের মোট ১৭টি শাখা রয়েছে।[৮][৯]

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য বেশ কিছু কাজ করে। সংগঠনটির উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মৌলিক শিক্ষা প্রদান,[১০][১১][১২] এক টাকায় সতন্ত্রভাবে খাবার,[১৩][১৪][১৫] চিকিৎসা[১০][১৬][১৭][১৮] ও আইনি সেবা প্রদান প্রদান। বাংলাদেশের রামু ও রাজবাড়ীতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিজস্ব জমিতে দুইটি আলাদা এতিমখানা রয়েছে। সংগঠনটি বিনামূল্যের গ্রন্থাগার,[১০] প্রকাশনা[১৯][২০][২১] ও অনাথালয়সহ প্রভৃতি প্রকল্প পরিচালনা করে। এর প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাস ২০২২ সালের এপ্রিলে কমনওয়েলথ পুরস্কার লাভ করেন।[২২]

অর্থায়ন[সম্পাদনা]

বিদ্যানন্দ একটি ছোট অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যেখানে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মাত্র ৪০ জন পূর্ণকালীন কর্মী ছিল।[২৩]বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাসের মতে,২০১৭ সালে এর বাজেট ছিল প্রায় ২০,০০০,০০০ বাংলাদেশী টাকা (২০১৭ সালের হিসেবে ২৫০,০০০ মার্কিন ডলার)।[২৪] ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫,০০০ দাতার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা আসতো যার বেশিরভাগই বাংলাদেশ থেকে। তবে অনুদানের একটি বড় অংশ আসে বিদেশ থেকে।[২৫]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক একটি ফেসবুক পোষ্টে অন্যের ছবি বিনা অনুমতিতে ব্যবহার এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করার জের ধরে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বিদ্যানন্দ বিতর্ক বেশ প্রসার লাভ করে।[২৬][২৭] এর পরেই নেটিজেনরা বিদ্যানন্দের পুরাতন কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয়ের অসঙ্গতি তুলে ধরে পোস্ট করতে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে একই গরুর ছবি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে বারবার পোস্ট দেওয়া, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পোস্টে মজিদ চাচা নামক ব্যক্তিকে কখনো বৃদ্ধ, নৌকার মাঝি, দুঃস্থ, দিন মজুর, মৃত্যুপথ যাত্রী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইত্যাদি হিসেবে উল্লেখ করা।[২৮][২৯][৩০] সমালোচনার জের ধরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে ব্যাখা দেওয়া হয়।[৩১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মেধা বৃত্তির পুরস্কার বিতরণ"দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৬-০৬-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 
  2. "'বিজয়ের আনন্দে বিদ্যানন্দ'"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০১৫-১২-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 
  3. "'বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন' পরিদর্শনে পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির শিার্থীরা"দৈনিক নয়া দিগন্ত। ২০১৬-১২-০২। ২০২১-০১-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 
  4. "A nonprofit group strives for zero hunger in Bangladesh" (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  5. "অসহায়ের সহায় 'বিদ্যানন্দ'"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  6. "বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে একুশে পদক"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  7. "ভাইবোনের বিদ্যানন্দ"দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৫-০৪-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 
  8. "বিদ্যানন্দ: জীবনের আনন্দপাঠ"। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  9. "সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের হাসি যার আনন্দ"। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  10. "ইশকুলের নাম বিদ্যানন্দ"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০১৫-০১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 
  11. "সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে বিদ্যানন্দ"দৈনিক যুগান্তর। ২০১৪-১২-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 
  12. "এক টাকায় দুপুরের খাবার"দৈনিক পূর্বকোন। ২০১৭-০৩-০৩। ২০১৭-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-০৩ 
  13. "পথশিশুদের 'এক টাকায় আহার' যোগায় বিদ্যানন্দ"। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  14. "এক টাকায় শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য দুপুরের খাবার"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  15. "এক টাকায় আহার"। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  16. "Bidyanondo making protective gowns for health service providers"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  17. "এক টাকায় বিদ্যানন্দের চিকিৎসা সেবা!"। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  18. "এক টাকায় বিদ্যানন্দের খাবার, চিকিৎসা আইনি সেবা!"। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  19. "Bidyanondo making a difference at Amar Ekushey Book Fair"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  20. "বিক্রেতা নেই, বই কিনুন নিজ দায়িত্বে"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  21. "ঘরে পড়ে থাকা মোবাইল ল্যাপটপ কম্পিউটারের বিনিময়ে বই!"bdnews24.com। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  22. কমনওয়েলথ পুরস্কার পেলেন বিদ্যানন্দের কিশোর, কালের কন্ঠ, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  23. শিহাব সুমন (১৭ অক্টোবর ২০১৯)। "A nonprofit group strives for zero hunger in Bangladesh"Arab News। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  24. ইয়াসমিন পিউ (১৬ জুন ২০১৭)। "সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের হাসি যার আনন্দ"দৈনিক ইত্তেফাক। ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০ 
  25. Nawaz Farhin Antara (৭ মে ২০২০)। "Bidyanondo founder: The core reason behind my resignation was not communal hatred"ঢাকা ট্রিবিউন 
  26. "দুঃখপ্রকাশ করে যা বলল বিদ্যানন্দ"samakal.com। ১৬ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২৩ 
  27. "পুরোনো অলংকারের ছবিকে পোড়া কাপড় থেকে তৈরি বিদ্যানন্দের অলংকার দাবি"। ২০২৩-০৪-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১৬ 
  28. "ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সমালোচনার মুখে বিদ্যানন্দ"dhakatribune.com। ১৬ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২৩ 
  29. "একাধিক পোস্টে মজিদ চাচার নাম, সমালোচনা, কী বলছে বিদ্যানন্দ (ভিডিও)"মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২৩ 
  30. "এক মজিদ চাচাকে সব জায়গায় হাজির করা হয়ে থাকলে সেটা অসততা নিশ্চয়ই"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১৬ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২৩ 
  31. "ভুলের ব্যাখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করল বিদ্যানন্দ"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ১৬ এপ্রিল ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২৩