ফরিদা হোসেন
ফরিদা হোসেন | |
---|---|
জন্ম | ফরিদা হোসেন ১৯ জানুয়ারি ১৯৪৫ কোলকাতা, ভারত |
পেশা | গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, অনুবাদক, সম্পাদক |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
ধরন | গল্প, উপন্যাস, নাটক, শিশুসাহিত্য |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি |
|
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | একুশে পদক |
সক্রিয় বছর | ১৯৬৫–বর্তমান |
দাম্পত্যসঙ্গী | মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (বি. ১৯৬৬–২০১৪) |
সন্তান | ৩ মেয়ে |
ফরিদা হোসেন একজন বাংলাদেশী গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, অনুবাদক ও সাহিত্য সম্পাদক। তিনি মূলত শিশুসাহিত্যের জন্য জনপ্রিয়। তিনি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন পি.ই.এন এর বাংলাদেশ সেন্টারের সভাপতি ও 'অবিনশ্বর' সাহিত্য পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক-এ ভূষিত হন।[১]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]ফরিদা হোসেন চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার শাহেরখালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ফয়েজ আহমেদ ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শ্রমিক নেতা ও আই. এল. ও এর গর্ভনিং বডির প্রাক্তন পরিচালক এবং মা বেগম ফয়েজুন্নেছা একজন গৃহিণী। ফরিদা তাদের প্রথম কন্যা।[২]
পারিবারিক জীবন
[সম্পাদনা]ফরিদা হোসেন ১৯৬৬ সালে ফেনী জেলার রাজনীতিবিদ মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনকে বিয়ে করেন। তাদের তিন মেয়ে। মোশাররফ হোসেন ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট মারা যান।[৩]
সাহিত্যকর্ম
[সম্পাদনা]ফরিদা হোসেন ষাটের দশকে ছাত্রী অবস্থায় তার প্রথম গল্পগ্রন্থ অজন্তা রচনা করেন। পাইওনিয়ার পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ করেন প্রখ্যাত চিত্রকর মুস্তাফা মনোয়ার। ১৯৬৫ সালে তার রচিত ও পরিচালিত প্রথম শিশুতোষ নাটক রূপকথার দেশে বিটিভিতে প্রচারিত হয়। তার রচিত বই মুক্তধারা, অঙ্কুর, নন্দন, মমন প্রকাশনী, মাওলা ব্রাদার্স, মাম্মী প্রকাশনী, শিকড় প্রকাশনী, শিল্পতরু, হাতেখড়ি এবং তার নিজের প্রকাশনী আঞ্জুম থেকে প্রকাশিত হয়েছে।[২]
গ্রন্থতালিকা
[সম্পাদনা]গল্প
- অজন্তা
- সহযাত্রী[৪]
- একজন কাজলীর কথা
- একটি শীতল মৃত্যু
- ঘুম
- শাড়ী
- হিমালয়ের দেশে
- শ্রেষ্ঠ গল্প সম্ভার
- নির্বাচিত গল্প
- দুই বাংলার শ্রেষ্ঠ ভূতের গল্প
- স্মৃতি কণিকা
- জীবন যেমন
ইংরেজি গল্প
- Short Stories from Bangladesh
- Blessing
- Selected Short Stories
- Devotion
উপন্যাস
- আরাধনা
- মুখোশ
- ক’জনার কথা
শিশু সাহিত্য
- তেলেদা’র তেলাতঙ্ক
- লুকোচুরি
- মিতালী
- আনন্দ ফুলঝুরি
- সুরে ছন্দে ছড়াগান
- রোজ রোজ
- রূপকথার দেশে
- মায়া দ্বীপে অভিযান
- চাঁদ কন্যার কথা
- ভাই-বোনের গল্প[৫]
- শিশু সাহিত্য সমগ্র
- দুই বাংলার সেরা রূপকথা
- রূপকথাসমগ্র
নাটক
- খুকুর স্বপ্ন
- সপ্তবর্ণা
- ঝড়ের পরে
- অচীনপুরের রূপকথা
- তুষার কন্যা
- তারার খোঁজে
- আনন্দ ভ্রমণ
প্রবন্ধ
- নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]- একুশে পদক (২০০৪)
- মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার
- অতন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার
- মাওলানা ভাসানী স্বর্ণ পদক
- অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণ পদক
- ধারা স্বর্ণ পদক
- কলি স্বর্ণ পদক
- মিরসরাই সমিতি সাহিত্য পুরস্কার
- বাংলাদেশ লেখক সমিতি সাহিত্য পুরস্কার
- নন্দিনী সাহিত্য পুরস্কার
- তমিজউদ্দিন মজলিশ সাহিত্য পুরস্কার
- কমল মস্তারি সাহিত্য পুরস্কার
- জাতীয় সাহিত্য সংসদ পুরস্কার
- আন্তর্জাতিক লায়ন'স ক্লাব পুরস্কার
- ফুলকলি সাহিত্য পুরস্কার
- ঢাকা পোস্ট স্বর্ণ পদক (২০০৮)
- নারীকণ্ঠ শাইনিং পারসোনালিটি পুরস্কার (২০০৮)[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "PM calls for nat'l unity to face global competition - Ekushey Padak awarded"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা, বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০০৪। ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ "কথা সাহিত্যিক ফরিদা হোসেনকে নিয়ে লেখা-একজন ফরিদা হোসেন"। অপরাজিতা। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১১ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "এমপি মোশাররফ হোসেন জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী ছিলেন"। দৈনিক সংগ্রাম। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৮ আগস্ট ২০১৫। ১৩ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "সহযাত্রী : ফরিদা হোসেন"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৬ জুলাই ২০১৫। ২ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ অঞ্জন আচার্য (৩ মে ২০১৫)। "চার 'গল্পকার'-এর কথা"। রাইজিংবিডি। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "ফরিদা হোসেন"। বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ। ৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬।