যোবায়দা হান্নান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডঃ

যোবায়দা হান্নান
জন্ম(১৯৪৫-১১-১৪)১৪ নভেম্বর ১৯৪৫
মৃত্যু২ নভেম্বর ২০১১(2011-11-02) (বয়স ৬৫)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাচিকিৎসক
দাম্পত্য সঙ্গীওয়ালী উল্লাহ
সন্তান২ পুত্র
পিতা-মাতামাহফুজুল হক (পিতা)
পুরস্কারএকুশে পদক (২০০৪)

যোবায়দা হান্নান (জন্মঃ ১৪ নভেম্বর, ১৯৪৫ – মৃত্যুঃ ২২ নভেম্বর, ২০১১)[১] ছিলেন একজন বাংলাদেশী বরেণ্য চিকিৎসক ও সমাজসেবী। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০৪ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।[২]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

যোবায়দা তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাহফুজুল হক ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী। ডাঃ ওয়ালী উল্লাহের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তিনি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় আশারকোটা গ্রামে বসবাস শুরু করেন।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

যোবায়দা কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় আশারকোটা গ্রামকে স্ব-নির্ভর এলাকা করতে ভূমিকা পালন করেন।[৪] তিনি সেখানে ১৯৮৪ সালে ডা. যোবায়দা হান্নান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ১৯৮৫ সালে ডা. যোবায়দা হান্নান মহিলা কলেজ, এবং ১৯৯০ সালে ডা. যোবায়দা হান্নান প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] তিনি বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির কুমিল্লা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এবং শিশু চক্ষু ফাউন্ডেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।[৫][৬]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

যোবায়দা হান্নান ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।[৭]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

  • ঊষসী পুরস্কার, ১৯৮৫
  • জাতীয় অধ্যাপক মোঃ ইব্রাহিম পুরস্কার, ১৯৯৫
  • চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি কর্তৃক ত্রিরত্ন পুরস্কার, ১৯৯৬
  • জাতীয়ভিত্তিক সমাজসেবা পুরস্কার, ১৯৯৭
  • সমাজসেবায় একুশে পদক, ২০০৪[৩]
  • রোটারি সিড পুরস্কার, ২০০৪-০৫[৪]
  • অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার, ২০০৬[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মৃত্যুবার্ষিকী: যোবায়দা হান্নান"দৈনিক প্রথম আলো। ২২ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৭ 
  2. "10 awarded Ekushey Padak"দ্য ডেইলি স্টার। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৪। ১৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৭ 
  3. মোঃ শাকিল মোল্লা (২৩ নভেম্বর ২০১১)। "দেশবরেণ্য নারী নেত্রী একুশে পদকপ্রাপ্ত ডা. যোবায়দা আর নেই"দৈনিক জনকণ্ঠ। ২০১৬-০৮-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৭ 
  4. "Dr Zobaida gets Rotary SEED Award"দ্য ডেইলি স্টার। ২৭ জুন ২০০৫। ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৭ 
  5. "US to continue support for polls by 2008"দ্য ডেইলি স্টার। ১২ নভেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৭ 
  6. "Underprivileged children to get free eye surgeries"দ্য ডেইলি স্টার। ৩১ মার্চ ২০০৫। ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৭ 
  7. "ডা. যোবায়দা হান্নান আর নেই"কুমিল্লা ওয়েব ডট কম। ২২ নভেম্বর ২০১১। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৭ 
  8. "Ten women receive Anannya award"দ্য ডেইলি স্টার। ৩ মার্চ ২০০৬। ২৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৭