আবদুল করিম খন্দকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সাধারণ সম্পাদনা |
উপ-প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। |
||
৯ নং লাইন: | ৯ নং লাইন: | ||
| birth_date =[[জানুয়ারি ১| জানুয়ারি ১]], [[১৯৩০]] |
| birth_date =[[জানুয়ারি ১| জানুয়ারি ১]], [[১৯৩০]] |
||
| birth_place = |
| birth_place = |
||
| known = [[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধের]] [[সেক্টর কমান্ডার]] |
| known = [[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধের]] [[সেক্টর কমান্ডার]], উপ-প্রধান সেনাপতি |
||
| occupation = সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান |
| occupation = সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান |
||
| birth name = আব্দুল করিম খন্দকার |
| birth name = আব্দুল করিম খন্দকার |
||
২২ নং লাইন: | ২২ নং লাইন: | ||
| footnotes = |
| footnotes = |
||
}} |
}} |
||
'''এ.কে. খন্দকার''' (জন্ম: [[জানুয়ারি ১| জানুয়ারি ১]], [[১৯৩০]]) বাংলাদেশের একজন সেনাকর্মকর্তা যিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তাঁর পুরো নাম আব্দুল করিম খন্দকার। তিনি [[বাংলাদেশ]] বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। অবসরগ্রহণকালে তাঁর পদবী ছিল [[এয়ার ভাইস মার্শাল]]। [[২০০৯]]-এ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশ সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মন্ত্রী নিয়োগ করেন।<ref>http://www.groundreport.com/Politics/Awami-League-President-Sheikh-Hasina-form-a-new-go</ref> রাষ্ট্রপতি জিয়া ও এরশাদের শাসনামলে তিনি [[অস্ট্রেলিয়া]] ও [[ভারত|ভারতে]] বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপরন্তু রাষ্ট্রপতি এরশাদের আমলেও তিনি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁকে সচরাচর '''এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এ.কে. খন্দকার''' হিসাবে উল্লেখ করা হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ |
'''এ.কে. খন্দকার''' (জন্ম: [[জানুয়ারি ১| জানুয়ারি ১]], [[১৯৩০]]) বাংলাদেশের একজন সেনাকর্মকর্তা যিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তাঁর পুরো নাম আব্দুল করিম খন্দকার। তিনি [[বাংলাদেশ]] বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। অবসরগ্রহণকালে তাঁর পদবী ছিল [[এয়ার ভাইস মার্শাল]]। [[২০০৯]]-এ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশ সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী [[শেখ হাসিনা]] তাঁকে মন্ত্রী নিয়োগ করেন।<ref>http://www.groundreport.com/Politics/Awami-League-President-Sheikh-Hasina-form-a-new-go</ref> রাষ্ট্রপতি জিয়া ও এরশাদের শাসনামলে তিনি [[অস্ট্রেলিয়া]] ও [[ভারত|ভারতে]] বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপরন্তু রাষ্ট্রপতি এরশাদের আমলেও তিনি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁকে সচরাচর '''এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এ.কে. খন্দকার''' হিসাবে উল্লেখ করা হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন ও উপ-প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।<ref>[http://nl.dw.de/DTS?url=http%3A%2F%2Fwww.dw-world.de%2Fdw%2Farticle%2F0%2C%2C15682488%2C00.html%3Fmaca%3Dben-newsletter_ben_auf_einen_blick-5180-html-newsletter&emv_key=F9X7CqlXaJ5i8SA9MKJCgIkY54O102IMNfcStGb5lw8W0bBhOG5mpqVsje_Hhe-g21q9 পঞ্চম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু, সংগ্রহঃ ২২ জানুয়ারি, ২০১২ইং]</ref> বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন।<ref>[http://www.sheershanews.com/?view=details&data=Soccer&news_type_id=1&menu_id=5&news_id=21026 শীর্ষ নিউজ]</ref> |
||
==জন্ম ও শিক্ষাজীবন== |
==জন্ম ও শিক্ষাজীবন== |
||
২৮ নং লাইন: | ২৮ নং লাইন: | ||
== কর্মজীবন == |
== কর্মজীবন == |
||
[[১৯৫২]] সালের সেপ্টেম্বরে পিএএফ থেকে তিনি তার কমিশন লাভ করেন। [[১৯৫৫]] সাল পর্যন্ত তিনি ফাইটার স্কোয়াড্রন হিসেবে কাজ করেন ও পরে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হয়ে ওঠেন। তিনি [[পাকিস্তান]] এয়ার ফোর্স একাডেমীতে [[১৯৫৭]] সাল পর্যন্ত ছিলেন। ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর স্কুলে তিনি [[১৯৫৮]] সাল পর্যন্ত ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন [[১৯৬০]] সাল পর্যন্ত। [[১৯৬১]] সাল পর্যন্ত তিনি [[স্কোয়াড্রন কমান্ডার]] হিসেবে কাজ করেন পিএএফ একাডেমীতে। পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন [[১৯৬৫]] সাল পর্যন্ত। ট্রেনিং উইং-এর অফিসার কমান্ডিং হিসেবে [[১৯৬৬]] সাল পর্যন্ত তিনি পিএএফ একাডেমীতে দায়িত্ব পালন করেন। পিএএফ প্ল্যানিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ১৯৬৯ সালের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পিএএফ বেইসের দায়িত্ব পান ঢাকায় [[১৯৬৯]] সালে। |
[[১৯৫২]] সালের সেপ্টেম্বরে পিএএফ থেকে তিনি তার কমিশন লাভ করেন। [[১৯৫৫]] সাল পর্যন্ত তিনি ফাইটার স্কোয়াড্রন হিসেবে কাজ করেন ও পরে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হয়ে ওঠেন। তিনি [[পাকিস্তান]] এয়ার ফোর্স একাডেমীতে [[১৯৫৭]] সাল পর্যন্ত ছিলেন। ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর স্কুলে তিনি [[১৯৫৮]] সাল পর্যন্ত ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন [[১৯৬০]] সাল পর্যন্ত। [[১৯৬১]] সাল পর্যন্ত তিনি [[স্কোয়াড্রন কমান্ডার]] হিসেবে কাজ করেন পিএএফ একাডেমীতে। পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন [[১৯৬৫]] সাল পর্যন্ত। ট্রেনিং উইং-এর অফিসার কমান্ডিং হিসেবে [[১৯৬৬]] সাল পর্যন্ত তিনি পিএএফ একাডেমীতে দায়িত্ব পালন করেন। পিএএফ প্ল্যানিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ১৯৬৯ সালের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পিএএফ বেইসের দায়িত্ব পান ঢাকায় [[১৯৬৯]] সালে। |
||
==মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ== |
|||
এ.কে. খন্দকার [[উইং কমান্ডার]] হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বাংলাদেশের [[মুক্তিযুদ্ধ]] ছড়িয়ে পড়ে। [[নভেম্বর ২১|২১শে নভেম্বর]] [[১৯৭১]] সালে তিনি পদোন্নতি পান [[গ্রুপ ক্যাপ্টেন]] হিসেবে বাংলাদেশের তৎকালীন অন্তর্বতী সরকার থেকে এবং জেনারেল [[এম. এ. জি. ওসমানী|এম. এ. জি. ওসমানী'র]] ব্যক্তিগত ডেপুটি ইন চার্জ বা উপ-প্রধান সেনাপতি হিসেবেও নিয়োগ পান।<ref>http://www.sectorcommandersforum.org</ref> ১৯৭১ সালের [[ডিসেম্বর ১৬|১৬ই ডিসেম্বর]] ভারতীয় সরকার বাংলাদেশে অন্তর্বতী সরকারের প্রায় সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে, যেমন -প্রধানমন্ত্রী [[তাজউদ্দিন আহমেদ]], ১১ জন সেক্টর কমান্ডার, লেফট্যানেন্ট কর্নেল [[কে. এম. সফিউল্ল্যাহ]]-সহ এ.কে. খন্দকারকেও ঢাকায় নিয়ে আসেন পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান দেখতে। স্বাধীনতার পর তিনি এয়ার কমোডর হিসেবে দায়িত্ব পান ও আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতায় বীরত্বের পুরস্কার কমিটিতে জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী'র প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এই কমিটির কাজের ফলাফল ছিল ছিদ্রযুক্ত ও ব্যাখাহীন। যিনি [[কলকাতা|কলকাতায়]] স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একটা দালানে সময় কাটিয়েছেন তিনি রহস্যজনকভাবে [[বীরউত্তম]] খেতাব পান। তার সহকারী স্কোয়াড্রন লিডার [[বদরুল আলম|বদরুল আলমও]] বীরউত্তম খেতাব পান। [[১৯৭৩]] সালে তিনি এয়ার ভাইস মার্শাল হিসেবে পদন্নোতি পান ও সিওএএস হিসেবে [[১৯৭৫]] সালের আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। [[১৯৭২]] সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি [[বাংলাদেশ বিমান]]-এর [[চেয়ারম্যান]] হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অবসরে যান মুশতাকের সরকারের সময়। |
|||
== রাজনৈতিক জীবন == |
== রাজনৈতিক জীবন == |
||
১৯৭৭ সালে [[জিয়াউর রহমান]] |
১৯৭৭ সালে [[জিয়াউর রহমান|জিয়াউর রহমানের]] সরকারের সময় [[ভারত|ভারতে]] বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৮৬ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৯০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি এরশাদের সরকারের সাথে কাজ করেন [[পরিকল্পনা মন্ত্রী]] হিসেবে। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের [[রাষ্ট্রদূত]] হিসেবে নিয়োগ পান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জনসচেতনতা ছড়ানো উদ্দেশ্যে [[বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম|বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের]] চেয়ারম্যান হিসেবে ২ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ৬ই জানুয়ারী ২০০৯ সালে তিনি বর্তমান [[আওয়ামী লীগ]] সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান ও তিনি একজন [[সংসদ সদস্য]]। নিজ এলাকার জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন যে, নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে তাদের রক্ষা করতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।<ref>http://www.thedailystar.net/profile/index.htm</ref> |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৫:৪১, ২২ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আবদুল করিম খন্দকার | |
---|---|
জন্ম | জানুয়ারি ১, ১৯৩০ |
পেশা | সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান |
পরিচিতির কারণ | মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, উপ-প্রধান সেনাপতি |
অফিস | পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় |
রাজনৈতিক দল | আওয়ামী লীগ |
এ.কে. খন্দকার (জন্ম: জানুয়ারি ১, ১৯৩০) বাংলাদেশের একজন সেনাকর্মকর্তা যিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তাঁর পুরো নাম আব্দুল করিম খন্দকার। তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। অবসরগ্রহণকালে তাঁর পদবী ছিল এয়ার ভাইস মার্শাল। ২০০৯-এ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশ সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মন্ত্রী নিয়োগ করেন।[১] রাষ্ট্রপতি জিয়া ও এরশাদের শাসনামলে তিনি অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপরন্তু রাষ্ট্রপতি এরশাদের আমলেও তিনি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁকে সচরাচর এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এ.কে. খন্দকার হিসাবে উল্লেখ করা হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন ও উপ-প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[২] বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন।[৩]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
এ.কে. খন্দকারের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি। পিতার তৎকালীন কর্মস্থল রংপুর শহরে। তাঁর বাড়ি পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার ভারেঙ্গা গ্রামে। তাঁর পিতা খন্দকার আব্দুল লতিফ ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন এবং মাতা আরেফা খাতুন ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিনী। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে এ কে খন্দকার ছিলেন তৃতীয়। পিতার চাকুরির সুবাদে তাঁর শিক্ষা জীবনের শুরু হয় বগুড়া শহরে। তিনি সেখানে বগুড়া করোনেশন স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। তারপর পিতার বদলির কারণে তাঁদেরকে নওগাঁ চলে যেতে হয়। সেখানে নওগাঁ করোনেশন স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এবং মালদা জেলা স্কুলে। ভারত বিভাগের সময় এ.কে. খন্দকার ১৯৪৭ সালে মালদা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।
কর্মজীবন
১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বরে পিএএফ থেকে তিনি তার কমিশন লাভ করেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি ফাইটার স্কোয়াড্রন হিসেবে কাজ করেন ও পরে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হয়ে ওঠেন। তিনি পাকিস্তান এয়ার ফোর্স একাডেমীতে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর স্কুলে তিনি ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৬০ সাল পর্যন্ত। ১৯৬১ সাল পর্যন্ত তিনি স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে কাজ করেন পিএএফ একাডেমীতে। পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত। ট্রেনিং উইং-এর অফিসার কমান্ডিং হিসেবে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি পিএএফ একাডেমীতে দায়িত্ব পালন করেন। পিএএফ প্ল্যানিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ১৯৬৯ সালের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পিএএফ বেইসের দায়িত্ব পান ঢাকায় ১৯৬৯ সালে।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ
এ.কে. খন্দকার উইং কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ২১শে নভেম্বর ১৯৭১ সালে তিনি পদোন্নতি পান গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে বাংলাদেশের তৎকালীন অন্তর্বতী সরকার থেকে এবং জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী'র ব্যক্তিগত ডেপুটি ইন চার্জ বা উপ-প্রধান সেনাপতি হিসেবেও নিয়োগ পান।[৪] ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় সরকার বাংলাদেশে অন্তর্বতী সরকারের প্রায় সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে, যেমন -প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, ১১ জন সেক্টর কমান্ডার, লেফট্যানেন্ট কর্নেল কে. এম. সফিউল্ল্যাহ-সহ এ.কে. খন্দকারকেও ঢাকায় নিয়ে আসেন পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান দেখতে। স্বাধীনতার পর তিনি এয়ার কমোডর হিসেবে দায়িত্ব পান ও আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতায় বীরত্বের পুরস্কার কমিটিতে জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী'র প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এই কমিটির কাজের ফলাফল ছিল ছিদ্রযুক্ত ও ব্যাখাহীন। যিনি কলকাতায় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একটা দালানে সময় কাটিয়েছেন তিনি রহস্যজনকভাবে বীরউত্তম খেতাব পান। তার সহকারী স্কোয়াড্রন লিডার বদরুল আলমও বীরউত্তম খেতাব পান। ১৯৭৩ সালে তিনি এয়ার ভাইস মার্শাল হিসেবে পদন্নোতি পান ও সিওএএস হিসেবে ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বিমান-এর চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অবসরে যান মুশতাকের সরকারের সময়।
রাজনৈতিক জীবন
১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের সরকারের সময় ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৮৬ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৯০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি এরশাদের সরকারের সাথে কাজ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জনসচেতনতা ছড়ানো উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে ২ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ৬ই জানুয়ারী ২০০৯ সালে তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান ও তিনি একজন সংসদ সদস্য। নিজ এলাকার জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন যে, নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে তাদের রক্ষা করতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।[৫]
তথ্যসূত্র
- ↑ http://www.groundreport.com/Politics/Awami-League-President-Sheikh-Hasina-form-a-new-go
- ↑ পঞ্চম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু, সংগ্রহঃ ২২ জানুয়ারি, ২০১২ইং
- ↑ শীর্ষ নিউজ
- ↑ http://www.sectorcommandersforum.org
- ↑ http://www.thedailystar.net/profile/index.htm