মীর মকসুদুস সালেহীন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মীর মকসুদুস সালেহীন
জন্ম১৯২৯
মৃত্যু১৯৮৮
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সালের পূর্বে)
 পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ (১৯৭১ সালের পর)
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মাতৃশিক্ষায়তনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যকার

মীর মকসুদুস সালেহীন (১৯২৯-১৯৮৮) নাট্য-নির্দেশক, অভিনেতা, গ্রুপ থিয়েটার সংগঠক। তার নেতৃত্ব ও পরিচালনায় ড্রামা সার্কল  কলকাতা ও পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে নাটক প্রদর্শন করে। তিনি তনিহা (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে সহকারী চিত্র পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।[১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

মীর মকসুদুস সালেহীন জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৯ সালে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও'এ। ১৯৫৫ সালে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে আইকম ও বিকম পাস করেন। পর তিনি এমকমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। নাটকের ওপর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে তিনি ১৯৬১ সালে বৃত্তি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টারে চলে যান। বর্তমানে নিউইয়র্কে স্থায়িভাবে বসবাস করেন। সেখানে ‘সাগর লিমিটেড’ নামে একটি শিপিং এজেন্সির মালিক তিনি।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মকসুদুস সালেহীনের নাট্যচর্চা শুরু করেন স্কুলজীবন থেকে। তিনি ১৯৪৬-১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি গ্রামে অনেক নাটকের অভিনয় ও পরিচালনা করেন। ১৯৫৫-১৯৬০ সালে জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক নাটকে অংশ নেন। ডাকসুর নীলদর্পণ নাটক কার্জন হলে যৌথ ভাবে পরিচালনা করেন ১৯৫৫ সালে। তিনি সলিমুল্লাহ হল দুই পুরুষ নাটকে অভিনয় করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্টি সংসদের নবসংস্করণ নাটক পরিচালনাও তিনি করেন। ডাকসুর প্রমোদ সম্পাদক হিসেবে তার উদ্যোগে আয়োজিত সাংস্কৃতিক উৎসবে ১৯৫৫-৫৬ সালে পাঁচটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। এতে তার পরিচালিত মানচিত্র নাটকটি প্রশংসিত হয়। তিনি তনিহা চলচ্চিত্রে সহকারী চিত্র পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন ১৯৬৪ সালে।[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মীর মকসুদুস সালেহীন ১৯৮৮ সালে মারা যান। [১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সালেহীন, মীর মকসুদুস - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৭ 

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]

বাংলাপিডিয়ায়মীর মকসুদুস সালেহীন