ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক বিজয়ীদের তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
একুশে পদক

ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িতদের জন্য একটি জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০০০ সাল থেকে এই ক্ষেত্রে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলন এর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে এই পদকের প্রচলন করা হয়।[১] প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তকে একটি পদক, একটি সম্মাননা সনদ, একটি রেপ্লিকা এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রদান করা হয়ে থাকে। একুশে পদকে ১৮ ক্যারেটের সোনা দিয়ে তৈরি ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি মেডেল প্রদান করা হয়; যার ডিজাইন করেছেন নিতুন কুণ্ডু[২] প্রাথমিকভাবে পুরস্কারের অর্থমূল্য ২৫,০০০ টাকা দেয়া হতো; বর্তমানে এটি ২ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।[৩]

বিজয়ীদের তালিকা[সম্পাদনা]

চাবি
মরণোত্তর বিজয়ী মরণোত্তর পদক বিজয়ী
বছর বিজয়ী সূত্র
২০০০ শহীদ আবুল বরকত মরণোত্তর বিজয়ী
শহীদ আব্দুল জব্বার মরণোত্তর বিজয়ী
শহীদ আবদুস সালাম মরণোত্তর বিজয়ী
শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ মরণোত্তর বিজয়ী
শহীদ শফিউর রহমান মরণোত্তর বিজয়ী
গাজীউল হক
২০০১ আবদুল মতিন
দ্য মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভারস্ অব দ্য ওয়ার্ল্ড (একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ)
২০০২ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী মরণোত্তর বিজয়ী
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মরণোত্তর বিজয়ী
ড. সুফিয়া আহমেদ
সাদেক খান
ডা. মঞ্জুর হোসেন মরণোত্তর বিজয়ী
অ্যাডভোকেট কাজী গোলাম মাহবুব
২০০৩ ইউনেস্কো (বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মাঝে যথাযোগ্য মর্যাদায় তুলে ধরার জন্য)
২০০৪ দেওয়া হয় নি
২০০৫ সাইফুর রহমান
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন
মোহাম্মদ আবদুল গফুর
২০০৬ দেওয়া হয় নি
২০০৭ দেওয়া হয় নি
২০০৮ খালেক নওয়াজ খান মরণোত্তর বিজয়ী
২০০৯ মাহবুব উল আলম চৌধুরী
২০১০ ডা. গোলাম মাওলা [৪]
২০১১ শওকত আলী মরণোত্তর বিজয়ী
মোশারেফ উদ্দিন আহমদ মরণোত্তর বিজয়ী
আমানুল হক
[৫]
২০১২ মমতাজ বেগম [৬]
২০১৩ এম এ ওয়াদুদ মরণোত্তর বিজয়ী
অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ মরণোত্তর বিজয়ী
মোঃ কামরুজ্জামান মরণোত্তর বিজয়ী
তোফাজ্জল হোসেন
[৭]
২০১৪ ডা. বদরুল আলম মরণোত্তর বিজয়ী
শামসুল হুদা
[৮]
২০১৫ পিয়ারু সরদার মরণোত্তর বিজয়ী [৯]
২০১৬ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া মরণোত্তর বিজয়ী
কাজী এবাদুল হক
ডা. সাঈদ হায়দার
ড. জসীম উদ্দিন আহমেদ
[১০]
২০১৭ অধ্যাপক ড. শরিফা খাতুন
২০১৮ আ. জা. ম. তকীয়ুল্লাহ মরণোত্তর বিজয়ী
অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম
২০১৯ অধ্যাপক হালিমা খাতুন মরণোত্তর বিজয়ী
অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু
অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম
২০২০ আমিনুল ইসলাম বাদশা মরণোত্তর বিজয়ী
২০২১ মোতাহার হোসেন তালুকদার মরণোত্তর বিজয়ী
শামছুল হক মরণোত্তর বিজয়ী
আফসার উদ্দীন আহমেদ (অ্যাডভোকেট) মরণোত্তর বিজয়ী
২০২২ মোস্তফা এম এ মতিন মরণোত্তর বিজয়ী
মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল মরণোত্তর বিজয়ী
২০২৩ খালেদা মনযূর-এ-খুদা

মজিবর রহমান
এ কে এম শামসুল হক মরণোত্তর বিজয়ী

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "১৬ কৃতী ব্যক্তি পাচ্ছেন একুশে পদক"দৈনিক ইত্তেফাক। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ১ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. "Obituary of Nitun Kundu"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  3. "শনিবার একুশে পদক প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী"বাংলা ট্রিবিউন। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "একুশে পদক ২০১১ দিলেন প্রধানমন্ত্রী"দৈনিক সমকাল। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "একুশে পদক ঘোষণা"দৈনিক প্রথম আলো। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  6. "একুশে পদক পাচ্ছেন তারেক মাসুদ, হুমায়ুন আজাদ"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "দেশকে রাজাকার ও অপশক্তিমুক্ত করুন : একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী"দৈনিক মানবকণ্ঠ। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. "এবার একুশে পদক পাচ্ছেন ১৫ জন"দৈনিক প্রথম আলো। ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  9. "একুশে পদক পাচ্ছেন কামাল লোহানীসহ ১৫ জন"দৈনিক যুগান্তর। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  10. "একুশে পদক নিলেন ১৬ জন"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]