পাণ্ডুয়া, হুগলি জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৩°০৫′ উত্তর ৮৮°১৭′ পূর্ব / ২৩.০৮° উত্তর ৮৮.২৮° পূর্ব / 23.08; 88.28
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পাণ্ডুয়া
শহর
পাণ্ডুয়া পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
পাণ্ডুয়া
পাণ্ডুয়া
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°০৫′ উত্তর ৮৮°১৭′ পূর্ব / ২৩.০৮° উত্তর ৮৮.২৮° পূর্ব / 23.08; 88.28
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাহুগলি
উচ্চতা১৯ মিটার (৬২ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট২৭,১২৬
ভাষা
 • অফিসিয়ালবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)

পাণ্ডুয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার একটি শহর (সেন্সাস টাউন)।

ভৌগোলিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৩°০৫′ উত্তর ৮৮°১৭′ পূর্ব / ২৩.০৮° উত্তর ৮৮.২৮° পূর্ব / 23.08; 88.28[১] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৯ মিটার (৬২ ফুট)।

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পাণ্ডুয়া শহরের জনসংখ্যা হল ২৭,১২৬ জন।[২] এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৬৭%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পাণ্ডুয়া এর সাক্ষরতার হার বেশি।

এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

বড়ি মসজিদ, পাণ্ডুয়া, হুগলি
পাণ্ডুয়া মিনার, পাণ্ডুয়া, হুগলি

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পাণ্ডুয়া শহরটি প্রাচীনকালে প্রদ্যুম্ন নগর নামে পরিচিত ছিল। পাণ্ডুয়া হুগলি অন্যতম প্রাচীন জনপদ ও বাণিজ্যকেন্দ্র। কিংবদন্তি অনুসারে পান্ডু বা পান্ডুদাস হিন্দু রাজার নাম থেকে পাণ্ডুয়ার উৎপত্তি। জি.টি রোডের ধারে শাহ সুফীর সুউচ্চ মিনার ও প্রাচীন বড়ি মসজিদ (বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্তপ্রায়) অতীতের সাক্ষ্য বহন করছে।[৩]

শৃঙ্খলা শক্তিপীঠ[সম্পাদনা]

বিভিন্ন পুরাণে দক্ষ যজ্ঞ এবং সতীর আত্মহননের পৌরাণিক কাহিনীর অপরিসীম তাৎপর্য আছে এবং এমনকি ভারতের সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব লক্ষ্যনীয় । এটি শক্তিপীঠের ধারণার বিকাশ ঘটায় এবং সেখানে শাক্তধর্মকে শক্তিশালী করে। পুরাণে প্রচুর পৌরাণিক কাহিনী দক্ষ যজ্ঞকে এর উৎসের কারণ হিসাবে গ্রহণ করেছে।প্রদ্যুম্নের শক্তিপীঠকে আদি শঙ্করাচার্য কর্তৃক রচিত অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ স্তোত্রে [৪]দেবী শৃঙ্খলা দেবীর পীঠ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা বর্তমানে ধ্বংস হয়ে গেছে।[৫] এই ধারণা অনুযায়ী এখানে দেবীর পাকস্থলী পতিত হয়েছিল।

শিবচরিত গ্রন্থে এই শক্তিপীঠ এর উল্লেখ আছে । পাণ্ডুয়াকে সেখানে পুন্ডর নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেবী হলেন সর্বাক্ষিণী ও ভৈরব হলেন সর্ব। এখানে দেবীর লোমাবলী পতিত হয়েছিল ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Pandua"Falling Rain Genomics, Inc (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০০৬ 
  2. "ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি" (ইংরেজি ভাষায়)। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০০৬ 
  3. পবিত্র কুমার গুপ্ত (২০০০)। পূণ্যক্ষেত্র হরিহর ক্ষেত্রে (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা: স্বদেশ চর্চা কেন্দ্র। পৃষ্ঠা ২৩, ২৪। 
  4. Sharma, Partha (২০১৮)। The Forgotten Shivalinga of the Sati Shaktipeeths। পৃষ্ঠা 75। আইএসবিএন 978-9387456129 
  5. "Shrinkhala Devi Temple"। ১৮ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পাণ্ডুয়া রেল স্টেশন