দ্য রেইপ অব লুক্রিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Tarquin attacking nude Lucretia with a dagger
তিতিয়ান কর্তৃক চিত্রিত তারকুইন এবং লুক্রেটিয়া

দ্য রেইপ অব লুক্রিস/লিউকিরিস (১৫৯৪) কিংবদন্তি রোমান সম্ভ্রান্ত মহিলা লুক্রেটিয়া সম্পর্কে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের একটি আখ্যানকাব্য। তার আগের আখ্যানকাব্য, ভেনাস এবং অ্যাডোনিস (১৫৯৩), শেক্সপিয়র তার পৃষ্ঠপোষক, সাউদাম্পটনের আর্লকে একটি উত্সর্গীকৃত চিঠি অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, যেখানে তিনি একটি "গ্রেভার লেভার" রচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তদনুসারে, দ্য রেপ অফ লুক্রেস জুড়ে একটি গুরুতর সুর রয়েছে।

কবিতাটি শুরু হয় সরাসরি সাউদাম্পটনের আর্লকে সম্বোধন করা একটি গদ্য উৎসর্গের মাধ্যমে যা শুরু হয়, "আমি আপনার প্রভুত্বের প্রতি যে ভালোবাসা উৎসর্গ করছি তা শেষ নেই।" এটি কবিতাটিকে একটি প্যামফলেট হিসাবে উল্লেখ করে, যা ১৫৯৪ সালে এর মূল প্রকাশনার রূপ বর্ণনা করে।

উৎসর্গটি "দ্য আর্গুমেন্ট" দ্বারা অনুসরণ করা হয়, একটি গদ্য অনুচ্ছেদ যা কবিতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে সংক্ষিপ্ত করে, যা মিডিয়াস রেস থেকে শুরু হয়।

কবিতাটিতে ১৮৫৫টি লাইন রয়েছে, প্রতিটি সাতটি লাইনের ২৬৫টি স্তবকে বিভক্ত। প্রতিটি লাইনের মিটার হল আইম্বিক পেন্টামিটার। প্রতিটি স্তবকের জন্য ছড়ার স্কিম হল ABABBCC, একটি বিন্যাস যা "রাইম রয়্যাল" নামে পরিচিত, যা জেফ্রি চসার, জন মিলটন এবং জন মেসফিল্ড ব্যবহার করেছেন।[১]

কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

পতিব্রতা নারী লিউকিরিস এর স্বামী ছিল কলেটাইন। যিনি তার সুন্দরী স্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন রোমান সেনাদের জেনারেল এবং রোমান রাজার পুত্র টেরিকুইন এর নিকট। অতঃপর পরের দিন টেরিকুইন তার কিছু সৈন্য নিয়ে লিউকিরিসের নিকট গমন করে তার পরিচয় দেয় এবং তার স্বামী কলেটাইনের যুদ্ধ ক্ষেত্রের বিরত্বমূলক কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়ে তার বিশ্বাস অর্জন করে। ধীরে ধীরে টেরিকুইন তার প্রতি দুর্বল হয়ে যায় এবং তার (লিউকিরিস) সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের বাসনা পোষণ করে আবার পরক্ষণেই চিন্তা করে তাকে বিয়ে করবে কিন্তু সমগ্র রোমানিদের মাঝে সুন্দরি হলেও ত সে বিবাহিত। সকল চিন্তার শেষে, বিশ্বাসের মাত্রা বাড়িয়ে টেরিকুইন সেদিন কলেটাইনের ঘরে থেকে যায়। সবায় যখন ঘুমের ঘোরে সম্পূর্ণ ডুবে আছে তখন লিউকিরিস তার স্বামীর জন্য অপেক্ষার চিন্তায় অন্যমনস্ক হয়ে থাকে। এমন সময় কলেটাইনও জেগে রয়েছে তার উগ্র বাসনা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে আবার সে ভাবছে তার সম্মান এবং সততা নিয়ে। একটি সময় সে সব চিন্তা পিছনে ফেলে লিউকিরিসের নিকট যায় এবং তার মুখ চেপে ধরে, এতে লিউকিরিস ভয় পেয়ে যায়। অতঃপর টেরিকুইন তাকে তার বাসনা জানালে লিউকিরিস তীব্রভাবে তার প্রতিবাদ করে। ফলস্বরুপ হত্যা করে তার কলঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে জোড় পূর্বক টেরিকুইন লিউকিরিসকে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণ শেষে টেরিকুইন তার ভুল বুঝতে পারে এবং অনুতপ্ত ও লজ্জায় পালিয়ে যায়। অপরদিকে লিউকিরিস আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়, পরক্ষণেই ভাবে স্বামীকে জানানোর পরই সে আত্মহত্যা করবে। অতঃপর স্বামীকে পত্রযোগে খবর পাঠিয়ে ডেকে এনে সে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা করে কিন্তু ধর্ষকের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে।

কলেটােইন যখন তাকে শক্তভাবে আবদার করে তখনও সে ধর্ষকের নাম গোপন রাখে। অতঃপর কলেটাইন তার সকল সেনা সঙ্গিদের একত্রিত করে প্রতিশোধ নেয়ার প্রত্যয় গ্রহণ করলে লিউকিরিস ধর্ষকের নাম প্রকাশ করে এবং ছুড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।

লিউকিরিসের মৃত্যুতে কলেটাইন একেবারে ভেঙ্গে পড়ে এবং সেও আত্মহত্যা করতে চায়। কিন্তু তার বন্ধুরা তাকে বাধা দেয় এবং বদলা নেয়ার জন্য তাকে অনুপ্রাণিত করে। অতঃপর কলেটাইন ও তার বন্ধুরা লিউকিরিসের মৃত দেহ নিয়ে রোমের অলিতে-গলিতে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করলে, লোকজন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে টেরিকুইন ও তার পরিবারকে রোম থেকে তাড়িয়ে দেয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Duncan-Jones, Katherine, and H. R. Woudhuysen (eds). Shakespeare, William. Shakespeare's Poems: Third Series. Arden Shakespeare (2007) আইএসবিএন ৯৭৮-১৯০৩৪৩৬৮৭৫.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]