থুসিডাইডিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
থুসিডাইডিস এর আবক্ষ মূর্তি, রয়েল অন্টারিও মিউজিয়াম, টরোন্টো

থুসিডাইডিস (প্রাচীন গ্রিকΘουκυδίδης, Thoukydídēs; আনুমানিক: ৪৬০ খ্রিস্ট্রপূর্ব – সি. ৩৯৫ খ্রিস্টপূর্ব) ছিলেন একজন গ্রিক ইতিহাসবিদ ও এথেনিয়ান জেনারেল[১] তার লেখা পিলোপনেশিয়ান যুদ্ধের ইতিহাস গ্রন্থে খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর ৪১১ খ্রিস্টপূর্বের স্পার্টাঅ্যাথেন্স এর মধ্যকার যুদ্ধের বর্ণনা রয়েছে। তার এই লেখা ক্লাসিক বলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও এটি এই বিষয়ের উপর প্রথম গ্রন্থ হিসেবেও সমাদৃত। থুসিডাইডিসকে বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক বলে আক্ষায়িত করা হয়। কারণ, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ, ও দেবতাদের হস্তক্ষেপ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের কারণ এবং প্রভাকে কোন প্রকার উৎস ব্যতীত বিশ্লেষণ করাই ছিল তার প্রধান কাজ। প্রাচীন ইতিহাস হল মূলত সাহিত্য। সেখানে থুসিডাইডিস সর্বজনীন মানবিক সমস্যাগুলো অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাকে রাজনৈতিক বাস্তবতার জনকও বলা হয়ে থাকে।

৪২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। স্পার্টার কমান্ডার ব্রাসিডাস এথেন্সের গূরত্বপূর্ণ এলাকা এম্ফিপোলিস আক্রমণ করে কিন্তু থুসিডাইডিস তার ছোট বাহিনী নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছতে দেরি করেন এবং ব্রাসিডাসের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যার্থ হন। কিন্তু তিনি তার বাহিনী নিয়ে আইওনের কাছের বন্দরে ব্রাসিডাসের আক্রমণ প্রতিহত করেন। যুদ্ধের এই ব্যার্থতার ফলে তাকে থ্রাসিয়ানে নির্বাসিত করা হয় ও তিনি নির্বাসিত হওয়ার প্রায় বিশ বছর পর এথেন্স ফিরে আসেন।[২]

এথেন্স থেকে নির্বাসিত হয়ে তিনি পিলোপনেশিয়ান এলাকাগুলো ভ্রমণ করেন ও পিলোপনেশিয়ান যুদ্ধের ইতিহাস গ্রন্থটি রচনা করেন। গ্রন্থটি লেখার সময় তিনি যুদ্ধরত দুই পক্ষের সাক্ষাৎকার গ্রহণের সুযোগ পান ও প্রচুর তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেন।

থুসিডাইডিস ৪৩০ খ্রিস্টপূর্বের এথেন্সের বিখ্যাত প্লেগ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, যে প্লেগে এথেন্সের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ নিহত হয়েছিল। এই প্লেগেই এথেন্স নেতা পেরিক্লিস মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The secret of happiness is freedom, and the secret of freedom, courage."। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৩ 
  2. "Thucydides (460-400 BC) The Author of "The Peloponessian War""। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৩ 

পদটীকা ও আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

প্রাথমিক উৎস[সম্পাদনা]

সেকেন্ডারি উৎস[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]