বৌদ্ধ রাজত্ব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''বৌদ্ধ রাজত্ব''' বলতে বোঝায় প্রথাগত বৌদ্ধ সমাজে রাজা ও রাণীদের বিষয়ে বিশ্বাস ও অনুশীলন, যেমনটি বৌদ্ধ শিক্ষার দ্বারা জানানো হয়েছে। রাজত্বটি [[পালি সাহিত্য|পালি]] এবং [[সংস্কৃত সাহিত্য|সংস্কৃত]] সাহিত্যে প্রকাশ ও বিকশিত হয়েছে, [[প্রাথমিক বৌদ্ধ দর্শন|প্রাথমিক]] ও পরবর্তী বৌদ্ধ দর্শনে, সেইসাথে আঞ্চলিক ভাষায় এবং লিপিগ্রাফিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত। রাজত্বের যে রূপগুলিকে বৌদ্ধ রাজত্ব হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে তা অন্তত সম্রাট [[অশোক|অশোকের]] সময় থেকেই বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ রাজত্ব সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলি হল [[যোগ্যতা (বৌদ্ধধর্ম)|যোগ্যতা]], [[পারমিতা]] (যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি, [[চক্রবর্তী (সংস্কৃত শব্দ)|চক্রবর্তী]]) এবং [[বোধিসত্ত্ব]]। এই বিশ্বাস এবং অনুশীলনের অনেকগুলি সমসাময়িক বৌদ্ধ দেশগুলিতে বর্তমান রাজত্বকে অনুপ্রাণিত করে এবং অবহিত করে। ২০০০ এর দশক থেকে, [[এশিয়ার ইতিহাস|এশিয়ার ইতিহাসে]] বৌদ্ধ রাণীদের ভূমিকার উপরও গবেষণা করা শুরু হয়েছে। |
'''বৌদ্ধ রাজত্ব''' বলতে বোঝায় প্রথাগত বৌদ্ধ সমাজে রাজা ও রাণীদের বিষয়ে বিশ্বাস ও অনুশীলন, যেমনটি বৌদ্ধ শিক্ষার দ্বারা জানানো হয়েছে। রাজত্বটি [[পালি সাহিত্য|পালি]] এবং [[সংস্কৃত সাহিত্য|সংস্কৃত]] সাহিত্যে প্রকাশ ও বিকশিত হয়েছে, [[প্রাথমিক বৌদ্ধ দর্শন|প্রাথমিক]] ও পরবর্তী বৌদ্ধ দর্শনে, সেইসাথে আঞ্চলিক ভাষায় এবং লিপিগ্রাফিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত। রাজত্বের যে রূপগুলিকে বৌদ্ধ রাজত্ব হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে তা অন্তত সম্রাট [[অশোক|অশোকের]] সময় থেকেই বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ রাজত্ব সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলি হল [[যোগ্যতা (বৌদ্ধধর্ম)|যোগ্যতা]], [[পারমিতা]] (যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি, [[চক্রবর্তী (সংস্কৃত শব্দ)|চক্রবর্তী]]) এবং [[বোধিসত্ত্ব]]। এই বিশ্বাস এবং অনুশীলনের অনেকগুলি সমসাময়িক বৌদ্ধ দেশগুলিতে বর্তমান রাজত্বকে অনুপ্রাণিত করে এবং অবহিত করে। ২০০০ এর দশক থেকে, [[এশিয়ার ইতিহাস|এশিয়ার ইতিহাসে]] বৌদ্ধ রাণীদের ভূমিকার উপরও গবেষণা করা শুরু হয়েছে। |
||
==উৎপত্তি== |
==উৎপত্তি== |
||
থাইল্যান্ডের মতো ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ সমাজে, সমাজে রাজার ভূমিকা ও শ্রেণিবিন্যাসে অবস্থান [[বৌদ্ধ মহাবিশ্বতত্ত্ব]] দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল, যেটি কারো ভূমিকা ও অবস্থানকে বহু জীবনকাল ধরে সঞ্চিত কর্মফলের ফল হিসেবে বিবেচনা করে।<ref name="Malitz 2017">{{cite encyclopedia|last1=Malitz|first1=D.|editor1-last=Banerjee|editor1-first=Milinda|editor2-last=Backerra|editor2-first=Charlotte|editor3-last=Sarti|editor3-first=Cathleen|title=The Monarch's New Clothes|encyclopedia=Transnational Histories of the "Royal Nation"|date=2017|publisher=[[Springer Nature]]|isbn=978-3-319-50523-7|url=https://books.google.com/books?id=g1DCDgAAQBAJ|page=159}}</ref> [[ত্রিপিটক]], সুশাসন সম্পর্কে ধারণাগুলি চক্কবতীর আদর্শের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করা হয়েছে, রাজা যিনি [[ধর্ম (ভারতীয় দর্শন)|ধর্ম]] অনুসারে ন্যায়পরায়ণ ও অহিংসভাবে শাসন করেন।{{sfn|Harvey|2000|p=114–5}} তার ভূমিকা ও কর্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে, বিশেষ করে মহাসুদাসনা সুত্ত এবং চক্কবত্তি-সিহনদ সুত্তে।<ref>{{cite encyclopedia|last1=Moore|first1=Matthew J.|encyclopedia=Comparative Political Theory in Time and Place|title=Buddhism and International Law|date=2016|editor1-last=Kapust|editor1-first=D.J.|editor2-last=Kinsella|editor2-first=H.M.|page=58}}</ref> চক্কবত্তি অবশ্যই মানুষের কাছে নৈতিক উদাহরণ হতে হবে এবং যথেষ্ট আধ্যাত্মিক যোগ্যতা ও প্রজ্ঞার অধিকারী হতে হবে। এর মাধ্যমেই সে তার সার্বভৌমত্ব অর্জন করে, কেবল উত্তরাধিকারী হওয়ার বিপরীতে। অধিকন্তু, তিনি সমাজের নৈতিকতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে বলে বর্ণনা করা হয়েছে।{{sfn|Harvey|2000|p=115}}<ref>{{Cite book|editor1-last=Holt|editor1-first=John Clifford|editor2-last=Kinnard|editor2-first=Jacob N.|editor3-last=Walters|editor3-first=Jonathan S.|work=Constituting communities Theravada Buddhism and the religious cultures of South and Southeast Asia|first=John S.|last=Strong|title=Toward a Theory of Buddhist Queenship|date=2003|publisher=State University of New York Press|page=47|location=Albany|isbn=978-0-7914-5691-0|url=http://www.khamkoo.com/uploads/9/0/0/4/9004485/constituting_communities_-_theravada_buddhism_and_the_religious_cultures_of_south_and_southeast_asia.pdf|access-date=2016-10-15|archive-url=https://web.archive.org/web/20200414082807/http://www.khamkoo.com/uploads/9/0/0/4/9004485/constituting_communities_-_theravada_buddhism_and_the_religious_cultures_of_south_and_southeast_asia.pdf|archive-date=2020-04-14|url-status=dead}}</ref> |
|||
==রাজত্ব এবং যোগ্যতা তৈরি করা== |
==রাজত্ব এবং যোগ্যতা তৈরি করা== |
||
{{মূল|যোগ্যতা (বৌদ্ধধর্ম)}} |
{{মূল|যোগ্যতা (বৌদ্ধধর্ম)}} |
০৫:৩৩, ৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৬ মাস আগে Gc Ray (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
বৌদ্ধ রাজত্ব বলতে বোঝায় প্রথাগত বৌদ্ধ সমাজে রাজা ও রাণীদের বিষয়ে বিশ্বাস ও অনুশীলন, যেমনটি বৌদ্ধ শিক্ষার দ্বারা জানানো হয়েছে। রাজত্বটি পালি এবং সংস্কৃত সাহিত্যে প্রকাশ ও বিকশিত হয়েছে, প্রাথমিক ও পরবর্তী বৌদ্ধ দর্শনে, সেইসাথে আঞ্চলিক ভাষায় এবং লিপিগ্রাফিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত। রাজত্বের যে রূপগুলিকে বৌদ্ধ রাজত্ব হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে তা অন্তত সম্রাট অশোকের সময় থেকেই বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ রাজত্ব সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলি হল যোগ্যতা, পারমিতা (যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি, চক্রবর্তী) এবং বোধিসত্ত্ব। এই বিশ্বাস এবং অনুশীলনের অনেকগুলি সমসাময়িক বৌদ্ধ দেশগুলিতে বর্তমান রাজত্বকে অনুপ্রাণিত করে এবং অবহিত করে। ২০০০ এর দশক থেকে, এশিয়ার ইতিহাসে বৌদ্ধ রাণীদের ভূমিকার উপরও গবেষণা করা শুরু হয়েছে।
উৎপত্তি
থাইল্যান্ডের মতো ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ সমাজে, সমাজে রাজার ভূমিকা ও শ্রেণিবিন্যাসে অবস্থান বৌদ্ধ মহাবিশ্বতত্ত্ব দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল, যেটি কারো ভূমিকা ও অবস্থানকে বহু জীবনকাল ধরে সঞ্চিত কর্মফলের ফল হিসেবে বিবেচনা করে।[১] ত্রিপিটক, সুশাসন সম্পর্কে ধারণাগুলি চক্কবতীর আদর্শের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করা হয়েছে, রাজা যিনি ধর্ম অনুসারে ন্যায়পরায়ণ ও অহিংসভাবে শাসন করেন।[২] তার ভূমিকা ও কর্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে, বিশেষ করে মহাসুদাসনা সুত্ত এবং চক্কবত্তি-সিহনদ সুত্তে।[৩] চক্কবত্তি অবশ্যই মানুষের কাছে নৈতিক উদাহরণ হতে হবে এবং যথেষ্ট আধ্যাত্মিক যোগ্যতা ও প্রজ্ঞার অধিকারী হতে হবে। এর মাধ্যমেই সে তার সার্বভৌমত্ব অর্জন করে, কেবল উত্তরাধিকারী হওয়ার বিপরীতে। অধিকন্তু, তিনি সমাজের নৈতিকতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে বলে বর্ণনা করা হয়েছে।[৪][৫]
রাজত্ব এবং যোগ্যতা তৈরি করা
বেসান্তর জাতক
রাজত্ব এবং আদেশ
কথোপকথনের বিষয় হিসাবে
তথ্যসূত্র
- ↑ Malitz, D. (২০১৭)। "The Monarch's New Clothes"। Banerjee, Milinda; Backerra, Charlotte; Sarti, Cathleen। Transnational Histories of the "Royal Nation"। Springer Nature। পৃষ্ঠা 159। আইএসবিএন 978-3-319-50523-7।
- ↑ Harvey 2000, পৃ. 114–5।
- ↑ Moore, Matthew J. (২০১৬)। "Buddhism and International Law"। Kapust, D.J.; Kinsella, H.M.। Comparative Political Theory in Time and Place। পৃষ্ঠা 58।
- ↑ Harvey 2000, পৃ. 115।
- ↑ Strong, John S. (২০০৩)। Holt, John Clifford; Kinnard, Jacob N.; Walters, Jonathan S., সম্পাদকগণ। Toward a Theory of Buddhist Queenship (পিডিএফ)। Constituting communities Theravada Buddhism and the religious cultures of South and Southeast Asia। Albany: State University of New York Press। পৃষ্ঠা 47। আইএসবিএন 978-0-7914-5691-0। ২০২০-০৪-১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-১৫।
উৎস
- Aung-Thwin, Michael; Aung-Thwin, Maitrii (২০১৩), A History of Myanmar since Ancient Times Traditions and Transformations (2 সংস্করণ), London: Reaktion Books, আইএসবিএন 978-1-86189-939-2
- Harvey, Peter (২০০০), An Introduction to Buddhist Ethics Foundations, Values and Issues., New York: Cambridge University Press, আইএসবিএন 978-0-511-07584-1
- Jory, Patrick (২০০২), "The Vessantara Jataka, barami and the bodhisatta kings: The origin and spread of a Thai concept of power", Crossroads: An Interdisciplinary Journal of Southeast Asian Studies, 16 (2): 36–78, জেস্টোর 40860799
- Jory, Patrick (২০১৬), Thailand's Theory of Monarchy: The Vessantara Jataka and the Idea of the Perfect Man (revised and published Ph.D. thesis), SUNY Press, আইএসবিএন 978-1-4384-6090-1
- Keyes, Charles F. (১৯৭৩), "The power of merit", Annual Publication, Bangkok: The Buddhist Association of Thailand, পৃষ্ঠা 96
- Keyes, Charles F. (১ জানুয়ারি ১৯৭৭), "Millennialism, Theravada Buddhism, and Thai Society", The Journal of Asian Studies, 36 (2): 283–302, এসটুসিআইডি 162764851, জেস্টোর 2053724, ডিওআই:10.2307/2053724
- Marasinghe, MMJ (২০০৩), "Puñña", Malalasekera, GP; Weeraratne, WG, Encyclopaedia of Buddhism, 7, Sri Lanka: Government of Ceylon, পৃষ্ঠা 458–72
- Rotman, Andy (২০০৮), Thus Have I Seen: Visualizing Faith in Early Indian Buddhism, Oxford University Press, Moral economies and market moralities, আইএসবিএন 978-0-19-045117-2
- Salguero, C. Pierce (নভেম্বর ২০১৩), "Fields of Merit, Harvests of Health: Some Notes on the Role of Medical Karma in the Popularization of Buddhism in Early Medieval China", Asian Philosophy, 23 (4): 341–349, এসটুসিআইডি 143624541, ডিওআই:10.1080/09552367.2013.831537
- Scott, Rachelle M. (২০০৯), Nirvana for Sale? Buddhism, Wealth, and the Dhammakāya Temple in Contemporary Thailand, Albany: State University of New York Press, আইএসবিএন 978-1-4416-2410-9
- Walters, Jonathan S. (২০০৩), Holt, John Clifford; Kinnard, Jacob N.; Walters, Jonathan S., সম্পাদকগণ, "Communal Karma and Karmic Community in Theravada Buddhist History" (পিডিএফ), Constituting communities Theravada Buddhism and the religious cultures of South and Southeast Asia, Albany: State University of New York Press, আইএসবিএন 978-0-7914-5691-0, ২০২০-০৪-১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-১৫
- Mérieau, Eugenie (ডিসেম্বর ২০১৮), "Buddhist Constitutionalism in Thailand: When Rājadhammā Supersedes the Constitution", Asian Journal of Comparative Law, 13 (2): 283–305, ডিওআই:10.1017/asjcl.2018.16
আরও পড়ুন
- Dubus, Arnaud (১১ নভেম্বর ২০১৪)। "Pour approfondir-Bouddhisme et politique en Thaïlande" [In depth-Buddhism and politics in Thailand]। Églises d'Asie (ফরাসি ভাষায়)। Information Agency for Foreign Missions of Paris।
- Rao, N. (2016). Royal religious beneficence in pre-modern India: social and political implications. International Journal of Dharma Studies, 4(1), 1-14.