বিষয়বস্তুতে চলুন

শিমলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ৩১°৬′১২″ উত্তর ৭৭°১০′২০″ পূর্ব / ৩১.১০৩৩৩° উত্তর ৭৭.১৭২২২° পূর্ব / 31.10333; 77.17222
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sahoorohan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Sahoorohan (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ, অনুবাদ, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন, চিত্র, ট্যাগ যোগ/বাতিল ইতিহাস
৮৫ নং লাইন: ৮৫ নং লাইন:
| footnotes =
| footnotes =
}}
}}
'''শিমলা''' ({{lang-en|Shimla}}) [[ভারত|ভারতের]] [[হিমাচল প্রদেশ]] রাজ্যের [[শিমলা জেলা|শিমলা]] জেলার একটি শহর ও পৌর কর্পোরেশনাধীন এলাকা। এটি [[হিমাচল প্রদেশ]] রাজ্যের রাজধানী। 1864 সালে, শিমলাকে [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] [[:en:Summer_capita|গ্রীষ্মকালীন রাজধানী]] হিসাবে ঘোষণা করা হয়। [[:en:Indian_independence_movement|স্বাধীনতার]] পর, শহরটি [[:en:East_Punjab|পূর্ব পাঞ্জাবের]] রাজধানী হয়ে ওঠে এবং পরে হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শহর করা হয়।এটি রাজ্যের প্রধান বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাকেন্দ্র।
'''শিমলা''' ({{lang-en|Shimla}}) [[ভারত|ভারতের]] [[হিমাচল প্রদেশ]] রাজ্যের [[শিমলা জেলা|শিমলা]] জেলার একটি শহর ও পৌর কর্পোরেশনাধীন এলাকা। এটি [[হিমাচল প্রদেশ]] রাজ্যের রাজধানী। ১৮৬৪ সালে, শিমলাকে [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] [[:en:Summer_capita|গ্রীষ্মকালীন রাজধানী]] হিসাবে ঘোষণা করা হয়। [[:en:Indian_independence_movement|স্বাধীনতার]] পর, শহরটি [[:en:East_Punjab|পূর্ব পাঞ্জাবের]] রাজধানী হয়ে ওঠে এবং পরে হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শহর করা হয়।এটি রাজ্যের প্রধান বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাকেন্দ্র।


1815 সালের আগে যখন ব্রিটিশ বাহিনী এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন ছোট গ্রামগুলি রেকর্ড করা হয়েছিল।জলবায়ু পরিস্থিতি ব্রিটিশদের [[হিমালয় পর্বতমালা|হিমালয়ের]] ঘন অরণ্যে শহরটি প্রতিষ্ঠা করতে আকৃষ্ট করেছিল। গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে, সিমলা [[:en:Simla_Convention|1914 সালের সিমলা চুক্তি]] এবং [[:en:Simla_Conference|1945 সালের সিমলা সম্মেলন]] সহ অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল।স্বাধীনতার পরে, 28টি [[:en:Princely_state|রাজ্যের]] একীকরণের ফলে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য 1948 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এমনকি স্বাধীনতার পরেও, শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল, যা [[:en:Simla_Agreement|1972 সালের সিমলা চুক্তির]] আয়োজন করে।হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের পুনর্গঠনের পর, বিদ্যমান মহাসু জেলার নামকরণ করা হয় শিমলা।
১৮১৫ সালের আগে যখন ব্রিটিশ বাহিনী এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন ছোট গ্রামগুলি রেকর্ড করা হয়েছিল।জলবায়ু পরিস্থিতি ব্রিটিশদের [[হিমালয় পর্বতমালা|হিমালয়ের]] ঘন অরণ্যে শহরটি প্রতিষ্ঠা করতে আকৃষ্ট করেছিল। গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে, সিমলা [[:en:Simla_Convention|১৯১৪ সালের সিমলা চুক্তি]] এবং [[:en:Simla_Conference|১৯৪৫ সালের সিমলা সম্মেলন]] সহ অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল।স্বাধীনতার পরে, ২৮ টি [[:en:Princely_state|রাজ্যের]] একীকরণের ফলে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এমনকি স্বাধীনতার পরেও, শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল, যা [[:en:Simla_Agreement|১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তির]] আয়োজন করে।হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের পুনর্গঠনের পর, বিদ্যমান মহাসু জেলার নামকরণ করা হয় শিমলা।


শিমলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে যা ঔপনিবেশিক যুগের [[:en:Tudor_Revival_architecture#Tudorbethan|টিউডরবেথান]] এবং [[:en:Gothic_Revival_architecture|নিও-গথিক]] স্থাপত্যের শৈলীতে তৈরি, সেইসাথে একাধিক মন্দির এবং গীর্জা রয়েছে।ঔপনিবেশিক স্থাপত্য এবং গীর্জা, মন্দির এবং শহরের প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে।শহরের কেন্দ্রের প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে [[:en:Shri_Hanuman_Jakhu_(statue)|শ্রী হনুমান জাখু (মূর্তি)]], [[:en:Jakhu_Temple|জাখু মন্দির]], [[:en:Rashtrapati_Niwas|ভাইসারেগাল লজ]], [[:en:Christ_Church,_Shimla|ক্রাইস্ট চার্চ]], [[:en:Mall_Road,_Shimla|মল রোড]], [[:en:The_Ridge,_Shimla|দ্য রিজ]] এবং [[:en:Annadale,_Shimla|আন্নাডেল]]<nowiki/>৷শহরের কেন্দ্রের উত্তরতম বিন্দু হল জাখু এবং দক্ষিণের অবস্থান হল আন্নাডেল, পূর্বতম বিন্দু হল [[:en:Sanjauli|সানজাউলি]] এবং পশ্চিমের বিন্দু হল ছোট শিমলা।ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত [[:en:Kalka–Shimla_Railway|কালকা-সিমলা রেললাইন]]<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/oso/9780197627112.003.0002|শিরোনাম=The Bengali Intervention|শেষাংশ=Strube|প্রথমাংশ=Julian|তারিখ=2022-02-17|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=38–68}}</ref>, একটি [[:en:World_Heritage_Site|ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট]], এটিও একটি প্রধান পর্যটক আকর্ষণ।এর খাড়া ভূখণ্ডের কারণে, সিমলা মাউন্টেন বাইকিং রেস [[:en:MTB_Himalaya|MTB হিমালয়]] আয়োজন করে, যা 2005 সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ায় এই ধরণের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট হিসাবে বিবেচিত হয়। সিমলায় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম [[:en:Ice_rink|প্রাকৃতিক তুষার ক্রিড়াঙ্গন]] রয়েছে।একটি পর্যটন কেন্দ্র হওয়া ছাড়াও, শহরটি বেশ কয়েকটি কলেজ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সহ একটি শিক্ষাকেন্দ্রও বটে৷
শিমলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে যা ঔপনিবেশিক যুগের [[:en:Tudor_Revival_architecture#Tudorbethan|টিউডরবেথান]] এবং [[:en:Gothic_Revival_architecture|নিও-গথিক]] স্থাপত্যের শৈলীতে তৈরি, সেইসাথে একাধিক মন্দির এবং গীর্জা রয়েছে।ঔপনিবেশিক স্থাপত্য এবং গীর্জা, মন্দির এবং শহরের প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে।শহরের কেন্দ্রের প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে [[:en:Shri_Hanuman_Jakhu_(statue)|শ্রী হনুমান জাখু (মূর্তি)]], [[:en:Jakhu_Temple|জাখু মন্দির]], [[:en:Rashtrapati_Niwas|ভাইসারেগাল লজ]], [[:en:Christ_Church,_Shimla|ক্রাইস্ট চার্চ]], [[:en:Mall_Road,_Shimla|মল রোড]], [[:en:The_Ridge,_Shimla|দ্য রিজ]] এবং [[:en:Annadale,_Shimla|আন্নাডেল]]<nowiki/>৷শহরের কেন্দ্রের উত্তরতম বিন্দু হল জাখু এবং দক্ষিণের অবস্থান হল আন্নাডেল, পূর্বতম বিন্দু হল [[:en:Sanjauli|সানজাউলি]] এবং পশ্চিমের বিন্দু হল ছোট শিমলা।ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত [[:en:Kalka–Shimla_Railway|কালকা-সিমলা রেললাইন]]<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1093/oso/9780197627112.003.0002|শিরোনাম=The Bengali Intervention|শেষাংশ=Strube|প্রথমাংশ=Julian|তারিখ=2022-02-17|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=38–68}}</ref>, একটি [[:en:World_Heritage_Site|ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট]], এটিও একটি প্রধান পর্যটক আকর্ষণ।এর খাড়া ভূখণ্ডের কারণে, সিমলা মাউন্টেন বাইকিং রেস [[:en:MTB_Himalaya|MTB হিমালয়]] আয়োজন করে, যা ২০০৫ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ায় এই ধরণের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট হিসাবে বিবেচিত হয়। সিমলায় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম [[:en:Ice_rink|প্রাকৃতিক তুষার ক্রিড়াঙ্গন]] রয়েছে।একটি পর্যটন কেন্দ্র হওয়া ছাড়াও, শহরটি বেশ কয়েকটি কলেজ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সহ একটি শিক্ষাকেন্দ্রও বটে৷

[[File:Shimla Montage.jpg|thumb|right|200px| উপর থেকে দক্ষিণাবর্তে : দক্ষিণ শিমলার দিগন্ত ,রাষ্ট্রপতি নিবাস (১৯৮৮ তে নির্মিত প্রাক্তন "ভাইস রিগাল লজ" , টাউন হল, রাতের শিমলা ,শিমলা গির্জা]]
== ব্যুৎপত্তি ==
সিমলা শহরের নাম হয়েছে শ্যামলা মাতা, [[:en:Kali|দেবী কালীর]] এক নির্ভীক অবতার থেকে।দেবীর মন্দিরটি [[:en:The_Ridge,_Shimla|দ্য রিজের]] কাছে বান্টনি পাহাড়ে অবস্থিত, যার নাম [[:en:Kali_Bari,_Shimla|কালী বাড়ি মন্দির]]<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.2307/j.ctv161f3mv.21|শিরোনাম=I Told You So|তারিখ=2020-11-01|প্রকাশক=Nebraska|পাতাসমূহ=141–153}}</ref>।অন্য একটি সংস্করণ অনুসারে সিমলা নামটি এসেছে 'শ্যামলা'<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1007/978-1-0716-0738-1_263-5|শিরোনাম=Chandrasekhar, Subrahmanyan|শেষাংশ=Garstang|প্রথমাংশ=Roy H.|তারিখ=2022|প্রকাশক=Springer US|অবস্থান=New York, NY|পাতাসমূহ=1–3|আইএসবিএন=978-1-0716-0738-1}}</ref> শব্দ থেকে যার অর্থ জাখুর উপর ফকিরের নীল স্লেট।কিন্তু সাধারণত, সমাজ প্রথম সংস্করণটিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য এবং যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করে।

২০১৮ সালে, [[:en:Government_of_Himachal_Pradesh|রাজ্য সরকার]] শহরের নাম পরিবর্তন করে সিমলা থেকে শ্যামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। যাইহোক, জনসাধারণ এবং স্থানীয়দের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখে, রাজ্য সরকার পরিকল্পনাটি বাতিল করে দেয়<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Khimta|প্রথমাংশ=Abha Chauhan|তারিখ=2018-08-29|শিরোনাম=POLITICAL PARTICIPATION OF WOMEN IN HIMACHAL PRADESH IN INDIA: IMPACT ON SOCIAL CHANGE|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.17501/icfow.2018.1102|সাময়িকী=International Conference on Future of Women|প্রকাশক=The International Institute of Knowledge Management-TIIKM|doi=10.17501/icfow.2018.1102}}</ref>।

== ইতিহাস ==
১৮ শতকে বর্তমান সিমলা শহরের বেশির ভাগ এলাকা ছিল ঘন জঙ্গল। সভ্যতার একমাত্র নিদর্শন ছিল [[:en:Jakhu_Temple|জাখু মন্দির]] এবং কয়েকটি বিক্ষিপ্ত বাড়ি<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/35754332|শিরোনাম=Shimla then & now : summer capital of the Raj|শেষাংশ=Pubby|প্রথমাংশ=Vipin|তারিখ=1996|প্রকাশক=Indus Pub. Co|অবস্থান=New Delhi|আইএসবিএন=81-7387-046-2|oclc=35754332|সংস্করণ=2nd rev. ed}}</ref>। এই এলাকাটিকে 'শিমলা' বলা হত, যা [[:en:Devi|হিন্দু দেবী]] শ্যামলা দেবীর নামে নামকরণ করা হয়েছিল,যা [[কালী|কালীর]] অবতার<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Kaushal|প্রথমাংশ=Richa|শেষাংশ২=Thakur|প্রথমাংশ২=DS|শেষাংশ৩=Kumar|প্রথমাংশ৩=Arjun|তারিখ=2017-07-31|শিরোনাম=GROWTH AND CONTRIBUTION OF HORTICULTURE OF HIMACHAL PRADESH: A CASE STUDY OF KOTGARH VALLEY OF SHIMLA DISTRICT, HIMACHAL PRADESH.|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.21474/ijar01/4731|সাময়িকী=International Journal of Advanced Research|খণ্ড=5|সংখ্যা নং=7|পাতাসমূহ=393–400|doi=10.21474/ijar01/4731|issn=2320-5407}}</ref>।
[[চিত্র:শিমলা ও ছোটা শিমলা যোগকারি ব্রিজ.png|থাম্ব|শিমলা ও ছোটা শিমলা যোগকারি ব্রিজ]]


বর্তমান সিমলার এলাকাটি ১৮০৬ সালে [[নেপাল|নেপালের]] [[:en:Bhimsen_Thapa|ভীমসেন থাপা]] আক্রমণ করে দখল করে। [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]] [[:en:Anglo-Nepalese_War|ইঙ্গ-নেপালী যুদ্ধের (]]<nowiki/>১৮১৪-১৬) পরে [[:en:Treaty_of_Sugauli|সুগৌলি চুক্তি]] অনুসারে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়।১৮১৫ সালের মে মাসে [[ডেভিড অক্টারলোনি|ডেভিড অকটারলোনির]] নেতৃত্বে মালাউনের দুর্গে ঝড়ের মাধ্যমে [[গোর্খা|গুর্খা]] নেতাদের দমন করা হয়েছিল। ৩০আগস্ট ১৮১৭ তারিখের একটি ডায়েরি এন্ট্রিতে, জেরার্ড ভাইয়েরা, যারা এলাকাটি জরিপ করেছিলেন, তারা সিমলাকে "একটি মাঝারি আকারের গ্রাম হিসাবে বর্ণনা করেছেন যেখানে ভ্রমনকারিদের জল দেওয়ার জন্য একটি ফকির অবস্থিত।"১৮১৯ সালে, [[:en:Hill_States_of_India|পার্বত্য রাজ্যের]] সহকারী রাজনৈতিক এজেন্ট লেফটেন্যান্ট রস শিমলায় একটি কাঠের কুটির স্থাপন করেন।তিন বছর পর, তার উত্তরসূরি এবং [[স্কটল্যান্ড|স্কটিশ]] বেসামরিক কর্মচারী [[:en:Charles_Pratt_Kennedy|চার্লস প্র্যাট কেনেডি]] ১৮২২ সালে [[:en:Annadale,_Shimla|আন্নাডেলের]] কাছে কেনেডি কটেজ নামে এলাকায় প্রথম [[পাক্কা বাড়ি|পাকা বাড়ি]] তৈরি করেন, যা এখন CPWD অফিসের বাড়ি।ব্রিটেনের মত জলবায়ুর বিবরণ গ্রীষ্মকালে বেশ কিছু ব্রিটিশ অফিসারকে এই এলাকায় আকৃষ্ট করতে শুরু করে।১৮২৬ সাল নাগাদ, কিছু অফিসার তাদের পুরো ছুটি শিমলায় কাটাতে শুরু করেছিলেন।১৮২৭ সালে, [[:en:Governor-General_of_India|বাংলার গভর্নর-জেনারেল]] [[উইলিয়াম আমহার্স্ট]] শিমলা সফর করেন এবং কেনেডি হাউসে অবস্থান করেন।এক বছর পরে, ভারতে ব্রিটিশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক [[:en:Stapleton_Cotton,_1st_Viscount_Combermere|স্ট্যাপলটন কটন]] একই বাসভবনে অবস্থান করেন। তাঁর অবস্থানকালে [[:en:Jakhu_Temple|জাখুর]] কাছে তিন মাইল রাস্তা ও একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।১৮৩০ সালে, ব্রিটিশরা রাউইন [[:en:Pargana|পরগনা]] এবং ভারাউলি পরগনার একটি অংশের বিনিময়ে [[:en:Keonthal|কেওনথাল]] এবং [[পাটিয়ালা|পাতিয়ালার]] প্রধানদের কাছ থেকে আশেপাশের জমি অধিগ্রহণ করে। এর পরে বসতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়, ১৮৩০ সালে ৩০টি বাড়ি থেকে ১৮৮১ সালে ১,১৪১টি বাড়িতে<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/35754332|শিরোনাম=Shimla then & now : summer capital of the Raj|শেষাংশ=Pubby|প্রথমাংশ=Vipin|তারিখ=1996|প্রকাশক=Indus Pub. Co|অবস্থান=New Delhi|আইএসবিএন=81-7387-046-2|oclc=35754332|সংস্করণ=2nd rev. ed}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Charpentier|প্রথমাংশ=Jarl|তারিখ=1925-10|শিরোনাম=Reviews on Indian Subjects by Jarl Carpentier - 13. Heaven and Hell in Buddhist Perspective. By Bimala Charan Law. 8¾ × 5½, xlvii + 128 pp. Calcutta and Simla: Thacker, Spink &amp; Co., 1925.|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/s0035869x00169643|সাময়িকী=Journal of the Royal Asiatic Society|খণ্ড=57|সংখ্যা নং=4|পাতাসমূহ=812–812|doi=10.1017/s0035869x00169643|issn=1356-1863}}</ref>৷

১৮৩২ সালে, সিমলা তার প্রথম রাজনৈতিক বৈঠক দেখেছিল: গভর্নর-জেনারেল [[লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক|লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক]] এবং [[:en:Ranjit_Singh|মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের]] দূতদের মধ্যে<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/cbo9781107239371|শিরোনাম=Researches and Missionary Labours among the Jews, Mohammedans, and Other Sects|শেষাংশ=Wolff|প্রথমাংশ=Joseph|তারিখ=2014-03-20|প্রকাশক=Cambridge University Press|আইএসবিএন=978-1-108-06884-0}}</ref>। কর্নেল চার্চিলকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন:

“লুদিয়ানা ([[লুধিয়ানা জেলা|লুধিয়ানা]]) থেকে সিমলা মাত্র চার দিনের পথ, প্রবেশ করা সহজ, এবং হিন্দুস্তান ([[হিন্দুস্তান]]) এর জ্বলন্ত সমভূমি থেকে একটি খুব সম্মত আশ্রয় প্রমাণ করে।”
[[চিত্র:জাখু মন্দির.png|থাম্ব|জাখু মন্দির]]


কমবারমেরের উত্তরসূরি [[:en:James_Broun-Ramsay,_1st_Marquess_of_Dalhousie|আর্ল ডালহৌসি]] একই বছরে সিমলা সফর করেন। এর পরে, শহরটি পশ্চিমবঙ্গের বালির নবাব (রাজা) কুমার ঘোষালের অধীনে ছিল এবং ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর-জেনারেল এবং প্রধান কমান্ডারের নিয়মিত সফর দেখেছিল। বেশ কিছু তরুণ ব্রিটিশ অফিসার উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশা করার জন্য এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন; তাদের অনুসরণ করা হত সেইসব মহিলাদের দ্বারা, যারা তাদের আত্মীয়দের জন্য বিবাহের জোট খুঁজছেন৷ এইভাবে সিমলা বল, পার্টি এবং অন্যান্য উৎসবের জন্য বিখ্যাত একটি হিল স্টেশন হয়ে ওঠে। পরবর্তীকালে, উচ্চ-বিত্ত পরিবারের ছাত্রদের জন্য আবাসিক স্কুলগুলি কাছাকাছি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।১৮৩০এর দশকের শেষের দিকে, শহরটি থিয়েটার এবং শিল্প প্রদর্শনীর কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শহরে বেশ কয়েকটি বাংলো তৈরি করা হয়েছিল এবং একটি বড় বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।ভারতীয় ব্যবসায়ীরা, প্রধানত [[:en:Sood|সুদ]] এবং [[:en:Parsis|পার্সি]] সম্প্রদায়ের, ক্রমবর্ধমান ইউরোপীয় জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে এই এলাকায় এসেছিলেন। ১৮৪৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, [[:en:Christ_Church,_Shimla|ক্রাইস্ট চার্চের]] ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে, বেশ কয়েকটি রাস্তা প্রশস্ত করা হয় এবং ১৮৫১-৫২ সালে ৫৬০-ফুট টানেল সহ [[:en:National_Highway_22_(India)|হিন্দুস্তান-তিব্বত সড়ক]] নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এই টানেল, বর্তমানে ধল্লি টানেল নামে পরিচিত, মেজর ব্রিগস ১৮৫০ সালে শুরু করেছিলেন এবং ১৮৫১-৫২ সালের শীতকালে শেষ করেছিলেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1515/9781400874439-006|শিরোনাম=Chapter 2. Shock|তারিখ=2015-12-31|প্রকাশক=Princeton University Press|অবস্থান=Princeton|পাতাসমূহ=16–38}}</ref>। [[:en:Indian_Rebellion_of_1857|১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ]] শহরের ইউরোপীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু শিমলা বিদ্রোহের দ্বারা প্রভাবিত হয়নি<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/35754332|শিরোনাম=Shimla then & now : summer capital of the Raj|শেষাংশ=Pubby|প্রথমাংশ=Vipin|তারিখ=1996|প্রকাশক=Indus Pub. Co|অবস্থান=New Delhi|আইএসবিএন=81-7387-046-2|oclc=35754332|সংস্করণ=2nd rev. ed}}</ref>।

1863 সালে, [[ভারতের গভর্নর-জেনারেল|ভারতের ভাইসরয়]], [[:en:John_Lawrence,_1st_Baron_Lawrence|জন লরেন্স]], ব্রিটিশ রাজের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শিমলায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/35754332|শিরোনাম=Shimla then & now : summer capital of the Raj|শেষাংশ=Pubby|প্রথমাংশ=Vipin|তারিখ=1996|প্রকাশক=Indus Pub. Co|অবস্থান=New Delhi|আইএসবিএন=81-7387-046-2|oclc=35754332|সংস্করণ=2nd rev. ed}}</ref>। তিনি বছরে দুবার [[কলকাতা]] এবং এই পৃথক কেন্দ্রের ১,০০০ মাইল দূরত্বের মধ্যে প্রশাসন সরানোর ঝামেলা নিয়েছিলেন, যদিও পৌঁছানো কঠিন ছিল<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://worldcat.org/oclc/935680391|শিরোনাম=Kipling Sahib : India and the making of Rudyard Kipling|শেষাংশ=author.|প্রথমাংশ=Allen, Charles, 1940-2020,|আইএসবিএন=978-0-349-14215-9|oclc=935680391}}</ref>।[[:en:Robert_Bulwer-Lytton,_1st_Earl_of_Lytton|রবার্ট বুলওয়ার-লিটন]] ([[ভারতের গভর্নর-জেনারেল|ভারতের ভাইসরয়]] ১৮৭৬-১৮৮০) ১৮৭৬ সাল থেকে শহরটির পরিকল্পনা করার চেষ্টা করেছিলেন, যখন তিনি প্রথমে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন, কিন্তু পরে অবজারভেটরি হিলে নির্মিত একটি [[:en:Rashtrapati_Niwas|ভাইসারেগাল লজের]] পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন।একটি অগ্নিকাণ্ড বেশিরভাগ জায়গা খালি করেছিল, স্থানীয় ভারতীয় জনসংখ্যা যেখানে বসবাস করত ("উপরের বাজার" যা আজকাল [[:en:The_Ridge,_Shimla|রিজ]] <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/1353759423|শিরোনাম=ENTREPRENEURS OF BRITISH SHIMLA.|শেষাংশ=SUD|প্রথমাংশ=HARI|তারিখ=2013|প্রকাশক=LULU COM|অবস্থান=[S.l.]|আইএসবিএন=1-304-11357-4|oclc=1353759423}}</ref>নামে পরিচিত), এবং পূর্ব প্রান্তের ইউরোপীয় শহরের কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা তাদের রিজ থেকে খাড়া ঢাল বেয়ে নিচের সোপানে মধ্য ও নিম্ন বাজার অঞ্চলে বসবাস করতে বাধ্য করেছিল । আপার বাজারটি একটি টাউন হলের জন্য পরিষ্কার করা হয়েছিল, যেখানে একটি গ্রন্থাগার এবং থিয়েটারের মতো অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, সেইসাথে পুলিশ এবং সামরিক স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পৌর প্রশাসনের অফিসও রয়েছে।

“গরম কালের" এর সময়, শিমলা [[:en:Commander-in-Chief,_India|ভারতের সর্বাধিনায়ক]], [[ভারতীয় সেনাবাহিনী|ভারতীয় সেনাবাহিনীর]] প্রধান এবং [[:en:Government_of_India|সরকারের]] অনেক বিভাগের সদর দপ্তরও ছিল।[[পাঞ্জাব, ভারত|পাঞ্জাবের]] আঞ্চলিক সরকারের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ১৮৭৬ সালে আধুনিক পাকিস্তানের [[মুরি]] থেকে শিমলায় স্থানান্তরিত হয়। তাদের সাথে সমতল ভূমিতে থাকা পুরুষদের অনেক ব্রিটিশ স্ত্রী এবং মেয়েরা যোগ দিয়েছিল।এগুলি একসাথে শিমলা সোসাইটি গঠন করেছিল, যা [[:en:Charles_Allen_(writer)|চার্লস অ্যালেনের]] মতে<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.4324/9780429283857-16|শিরোনাম=‘I am not a Sahib’|শেষাংশ=Mudiganti|প্রথমাংশ=Usha|তারিখ=2019-06-03|প্রকাশক=Routledge India|অবস্থান=Abingdon, Oxon ; New York, NY : Routledge, 2019.|পাতাসমূহ=227–241}}</ref>, "ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার উপরের ভূত্বকের মতো কাছাকাছি ছিল।" এটি খুব ব্যয়বহুল, একটি আদর্শ জলবায়ু এবং এইভাবে কাম্য, সেইসাথে সীমিত আবাসন থাকার কারণে এটিকে এভাবে ভাবা যেতে পারে। [[:en:Indo-Gangetic_Plain|ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে]] গ্রীষ্মকালে তাপ থেকে বাঁচতে ব্রিটিশ সৈন্য, বণিক এবং বেসামরিক কর্মচারীরা প্রতি বছর এখানে চলে আসত। অনেক ব্যাচেলর এবং একাকী পুরুষের উপস্থিতি, সেইসাথে সেখানে গরম আবহাওয়া পার করা অনেক মহিলার উপস্থিতি, সিমলাকে ব্যভিচারের জন্য একটি খ্যাতি দিয়েছে এবং অন্তত ব্যভিচার সম্পর্কে গসিপ দিয়েছে: যেমন [[রুডইয়ার্ড কিপলিং]] অ্যালেনের উদ্ধৃত একটি চিঠিতে বলেছিলেন, এটি একটি খ্যাতি ছিল "তুচ্ছতা, গসিপ এবং চক্রান্ত" এর জন্য।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Kumar|প্রথমাংশ=Manjeet|শেষাংশ২=Barwal|প্রথমাংশ২=Kailash|শেষাংশ৩=Kumar|প্রথমাংশ৩=Girish|শেষাংশ৪=Raina|প্রথমাংশ৪=Pamposh|শেষাংশ৫=Dhiman|প্রথমাংশ৫=Priyanka|শেষাংশ৬=Pathania|প্রথমাংশ৬=Ridhi|তারিখ=2018-12-21|শিরোনাম=Steinstrasseafter Extracorporeal Shockwave Lithotripsy: Aetiologyand Management|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.21276/ajs.2018.1.2.3|সাময়িকী=Academia Journal of Surgery|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=2|doi=10.21276/ajs.2018.1.2.3|issn=2663-8339}}</ref>

৫০০ ফুট (১৫০ মিটার) লোয়ার বাজার টানেলটি ১৯০৫ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং খাছর সুরাং নামকরণ করা হয়েছিল। এলিসিয়াম টানেলও (বর্তমানে অকল্যান্ড টানেল নামে পরিচিত), দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ ফুট (৩৭ মিটার), ১৯০৫ সালে নির্মিত হয়েছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1515/9781400874439-006|শিরোনাম=Chapter 2. Shock|তারিখ=2015-12-31|প্রকাশক=Princeton University Press|অবস্থান=Princeton|পাতাসমূহ=16–38}}</ref>

১৯১৩ এবং ১৯১৪ সালে [[:en:Simla_Convention|সিমলা কনভেনশন]], [[চীন প্রজাতন্ত্র]], [[তিব্বত (১৯১২-১৯৫১)|তিব্বত]] এবং গ্রেট ব্রিটেনের প্রতিনিধিদের দ্বারা তিব্বতের স্থিতি সম্পর্কিত একটি অস্পষ্ট [[চুক্তি]] স্বাক্ষরিত হয়েছিল<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|তারিখ=2015-01-31|শিরোনাম=CONVENTION BETWEEN GREAT BRITAIN AND CHINA RELATING TO SIKKIM AND TIBET|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/cbo9781316160626.029|সাময়িকী=Lhasa and its Mysteries|পাতাসমূহ=452–454|doi=10.1017/cbo9781316160626.029}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.worldcat.org/oclc/19128747|শিরোনাম=India and the China crisis|শেষাংশ=Hoffmann|প্রথমাংশ=Steven A.|তারিখ=1990|প্রকাশক=University of California Press|অবস্থান=Berkeley|আইএসবিএন=0-520-06537-9|oclc=19128747}}</ref>। কনভেনশনে [[তিব্বত (১৯১২-১৯৫১)|তিব্বত]] এবং ভারতের [[:en:Northeast_India|উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের]] মধ্যে একটি সীমানা রেখা প্রস্তাব করেছিলেন [[:en:Henry_McMahon|স্যার হেনরি ম্যাকমোহন]]।লাইনটি ম্যাকমোহন লাইন নামে পরিচিত হয় এবং বর্তমানে এটি চীন ও ভারতের মধ্যে কার্যকর সীমানা, যদিও এর আইনি অবস্থান চীনা সরকার দ্বারা বিতর্কিত। সেই সময়কার ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ভারতের স্বাধীনতার জন্য একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য [[:en:Archibald_Wavell,_1st_Earl_Wavell|ভাইসরয় ওয়াভেল]] কর্তৃক অনুষ্ঠিত একাধিক আলোচনার স্থানও এটি ছিল। সিমলা সম্মেলনের আলোচনা কোনো সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়।

১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত [[বার্মায় ব্রিটিশ শাসন|ব্রিটিশ বার্মার]] (বর্তমান [[মিয়ানমার|মায়ানমার]]) নির্বাসিত রাজধানী ছিল শিমলা।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Eshleman|প্রথমাংশ=Matthew|তারিখ=2018-12-01|শিরোনাম=Could Sartre have been a Free Market Capitalist?|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.3167/ssi.2018.240206|সাময়িকী=Sartre Studies International|খণ্ড=24|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=84–100|doi=10.3167/ssi.2018.240206|issn=1357-1559}}</ref>

১৯০৩ সালে খোলা [[:en:Kalka–Shimla_Railway|কালকা-শিমলা রেললাইন]], শিমলার প্রবেশযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা বাড়ায়। ৮০৬ টিরও বেশি সেতু এবং ১০৩ টি টানেল সহ কালকা থেকে সিমলা পর্যন্ত রেলপথটি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কৃতিত্ব হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল এবং এটি "প্রাচ্যের ব্রিটিশ জুয়েল" হিসাবে পরিচিত হয়েছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Kumar|প্রথমাংশ=Manjeet|শেষাংশ২=Barwal|প্রথমাংশ২=Kailash|শেষাংশ৩=Kumar|প্রথমাংশ৩=Girish|শেষাংশ৪=Raina|প্রথমাংশ৪=Pamposh|শেষাংশ৫=Dhiman|প্রথমাংশ৫=Priyanka|শেষাংশ৬=Pathania|প্রথমাংশ৬=Ridhi|তারিখ=2018-12-21|শিরোনাম=Steinstrasseafter Extracorporeal Shockwave Lithotripsy: Aetiologyand Management|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.21276/ajs.2018.1.2.3|সাময়িকী=Academia Journal of Surgery|খণ্ড=1|সংখ্যা নং=2|doi=10.21276/ajs.2018.1.2.3|issn=2663-8339}}</ref> ২০০৮ সালে, এটি [[:en:World_Heritage_Site|ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের]] অংশ হয়ে ওঠে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1163/ej.9789004164543.1-0.81|শিরোনাম=UNESCO Declaration Concerning the Intentional Destruction of Cultural Heritage 17 October 2003|প্রকাশক=Martinus Nijhoff Publishers|পাতাসমূহ=729–732}}</ref> [[:en:Partition_of_India|ভারত ভাগের]] পর, [[চণ্ডীগড়|চণ্ডীগড়ের]] নতুন শহর (বর্তমান ভারতের [[পাঞ্জাব, ভারত|পাঞ্জাব]] ও [[হরিয়ানা]] রাজ্যের রাজধানী) নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত এটি সংক্ষিপ্তভাবে পূর্ব পাঞ্জাবের রাজধানী হিসেবে কাজ করে। ১৯৭১ সালে [[হিমাচল প্রদেশ]] রাজ্য গঠনের পর, শিমলা এর রাজধানী নামকরণ করা হয়।

স্বাধীনতার পর ১৫ এপ্রিল ১৯৪৮ সালে . পশ্চিম [[হিমালয় পর্বতমালা|হিমালয়ের]] প্রবর্তক অঞ্চলে ২৮ টি ছোট রাজকীয় রাজ্য (সামন্ত রাজপুত্র এবং জৈলদার সহ) একীভূত হওয়ার ফলে হিমাচল প্রদেশের প্রধান কমিশনার প্রদেশের উদ্ভূত হয়েছিল, যা সম্পূর্ণরূপে সিমলা পার্বত্য রাজ্য এবং চারটি পাঞ্জাব দক্ষিণ পার্বত্য রাজ্য হিসাবে পরিচিত হিমাচল প্রদেশ (প্রশাসন) আদেশের দ্বারা, ১৯৪৮-এর অতিরিক্ত-প্রাদেশিক এখতিয়ার আইন, ১৯৪৭ এর ধারা ৩ এবং ৪ এর অধীনে (পরে ১৯৫০ সালের A.O. দ্বারা বিদেশী এখতিয়ার আইন, ১৯৪৭ হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে) ৷বিলাসপুর রাজ্য, হিমাচল প্রদেশ এবং বিলাসপুর (নতুন রাজ্য) আইন, ১৯৫৪ দ্বারা ১ এপ্রিল ১৯৫৪ সালে হিমাচল প্রদেশে একীভূত হয়। ২৬ জানুয়ারী ১৯৫০-এ [[ভারতের সংবিধান]] এবং লে. গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার সাথে হিমাচল রাজ্যের অংশ হয়৷ ১৯৫২ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়। হিমাচল প্রদেশ ১ নভেম্বর ১৯৫৬-এ একটি [[কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল|কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে]] পরিণত হয়<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Rathore|প্রথমাংশ=Sumati|শেষাংশ২=Thakur|প্রথমাংশ২=Usha|শেষাংশ৩=Shashni|প্রথমাংশ৩=Sarla|তারিখ=2020-09-30|শিরোনাম=POTTERY: A UNIQUE TRADITIONAL CRAFT IN INNER SIRAJ VALLEY OF NORTHWESTERN HIMALAYAN DISTRICT OF KULLU, HIMACHAL PRADESH|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.21474/ijar01/11766|সাময়িকী=International Journal of Advanced Research|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=9|পাতাসমূহ=1106–1111|doi=10.21474/ijar01/11766|issn=2320-5407}}</ref>। পাঞ্জাব রাজ্যের নিম্নলিখিত অঞ্চলগুলি-সিমলা, কাংড়া, কুলু এবং লাহুল এবং স্পিতি জেলা, আম্বালা জেলার নালাগড় তহসিল, লোহারা, আম্ব এবং উনা কানুনগো সার্কেল, সন্তোখগড় কানুনগো সার্কেলের কিছু এলাকা এবং হোশিয়ারপুর জেলার [[উনা জেলা|উনা]] তহসিলের কিছু নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়াও [[পাঠানকোট জেলা|পাঠানকোট জেলার]] [[:en:Dhar_Kalan|ধর কালান]] তহসিলের কিছু অংশ; [[পাঞ্জাব পুনর্গঠন আইন, ১৯৬৬]] পার্লামেন্ট দ্বারা ১৯৬৬সালের ১ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশের সাথে একীভূত হয়। ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭০ তারিখে, হিমাচল প্রদেশ রাজ্য আইন সংসদ দ্বারা পাশ হয় এবং ২৫ জানুয়ারী ১৯৭১-এ নতুন রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এইভাবে হিমাচল ভারতীয় ইউনিয়নের অষ্টাদশ রাজ্য হিসাবে আবির্ভূত হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Rathore|প্রথমাংশ=Sumati|শেষাংশ২=Thakur|প্রথমাংশ২=Usha|শেষাংশ৩=Shashni|প্রথমাংশ৩=Sarla|তারিখ=2020-09-30|শিরোনাম=POTTERY: A UNIQUE TRADITIONAL CRAFT IN INNER SIRAJ VALLEY OF NORTHWESTERN HIMALAYAN DISTRICT OF KULLU, HIMACHAL PRADESH|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.21474/ijar01/11766|সাময়িকী=International Journal of Advanced Research|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=9|পাতাসমূহ=1106–1111|doi=10.21474/ijar01/11766|issn=2320-5407}}</ref>

[[:en:Simla_Agreement|সিমলা চুক্তিতে]] [[পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি]] [[জুলফিকার আলী ভুট্টো]] এবং [[ভারতের প্রধানমন্ত্রী]] [[ইন্দিরা গান্ধী]] সিমলায় স্বাক্ষর করেছিলেন। চুক্তির ফলে পাকিস্তান কর্তৃক [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] কূটনৈতিক স্বীকৃতির পথ প্রশস্ত হয়৷টেকনিক্যালি ডকুমেন্টটি ৩ জুলাই রাতে ১২ঃ৪০ টায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল; যদিও এই সরকারী নথি ২ জুলাই ১৯৭২তারিখের ছিল৷<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.1017/cbo9781139644907.004|শিরোনাম=OCTOBER|তারিখ=2013-09-05|প্রকাশক=Cambridge University Press|পাতাসমূহ=41–57}}</ref>

.প্রাক-স্বাধীনতা কাঠামো এখনও সিমলায় কিছু রয়ে গেছে; প্রাক্তন [[:en:Rashtrapati_Niwas|ভাইসারেগাল লজ]], অ্যাসেম্বলি চেম্বার, [[:en:Auckland_House_School,_Shimla|অকল্যান্ড হাউস]], [[:en:Christ_Church,_Shimla|ক্রাইস্ট চার্চ]], গর্টন ক্যাসেল, সিমলা টাউন হল এবং [[:en:Mall_Road,_Shimla#Gaiety_Theatre|গেইটি থিয়েটারের]] মতো ভবনগুলি যা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অনুস্মারক<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Mokta|প্রথমাংশ=Mamta|শেষাংশ২=Kaur|প্রথমাংশ২=Satwant|তারিখ=2012|শিরোনাম=Administering District in Himachal Pradesh: A Case Study of Shimla District|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5958/j.0975-3907.29.1.003|সাময়িকী=Dynamics of Public Administration|খণ্ড=29|সংখ্যা নং=1|পাতাসমূহ=64|doi=10.5958/j.0975-3907.29.1.003|issn=0975-3907}}</ref><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Another Time|ইউআরএল=http://dx.doi.org/10.5040/9781580816182.01|সাময়িকী=Another Time|doi=10.5040/9781580816182.01}}</ref>।মূল [[:en:Peterhoff,_Shimla|পিটারহফ]], আরেকটি [[:en:Governor-General_of_India|ভাইসারেগাল]] বাসভবন, ১৯৮১ সালে পুড়ে যায়। ব্রিটিশ সিমলা জাখু হিল এবং প্রসপেক্ট হিলের মধ্যে রিজ বরাবর প্রায় দেড় মাইল প্রসারিত ছিল৷কেন্দ্রীয় মেরুদণ্ড ছিল [[:en:Mall_Road,_Shimla|মল রোড]], যেটি রিজের দৈর্ঘ্য বরাবর চলত, যা দক্ষিণ দিকে মলে প্রসারিত ছিল, যা ভাইসরয় এবং তার স্ত্রীর গাড়ি ছাড়া সমস্ত গাড়ির জন্য বন্ধ ছিল।[[File:Shimla Montage.jpg|thumb|right|200px| উপর থেকে দক্ষিণাবর্তে : দক্ষিণ শিমলার দিগন্ত ,রাষ্ট্রপতি নিবাস (১৯৮৮ তে নির্মিত প্রাক্তন "ভাইস রিগাল লজ" , টাউন হল, রাতের শিমলা ,শিমলা গির্জা]]


== জনসংখ্যার উপাত্ত ==
== জনসংখ্যার উপাত্ত ==

২০:০৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শিমলা
शिमला (শিমলা)
শহর
শিমলা হিমাচল প্রদেশ-এ অবস্থিত
শিমলা
শিমলা
ভারতের হিমাচল প্রদেশে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৩১°৬′১২″ উত্তর ৭৭°১০′২০″ পূর্ব / ৩১.১০৩৩৩° উত্তর ৭৭.১৭২২২° পূর্ব / 31.10333; 77.17222
Country ভারত
রাজ্যহিমাচল প্রদেশ
জেলাশিমলা
নামকরণের কারণহিন্দু দেবী শ্যামলা দেবী[১]
সরকার
 • সাংসদবিরেন্দ্রর কাশ্যপ (ভারতীয় জনতা পার্টি)
 • বিধায়কসুরেশ ভরদ্বাজ (ভারতীয় জনতা পার্টি)
 • পৌর প্রশাসকপঙ্কজ রাই[২]
 • মেয়রসঞ্জয় চৈহান[২] (CPI(M))
আয়তন
 • মোট২৫ বর্গকিমি (১০ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম1st
উচ্চতা২,২০৫ মিটার (৭,২৩৪ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)[৩]
 • মোট৮,১৪,০১০
 • ক্রম১ (in হি.প্রদেশ)
 • জনঘনত্ব১২০/বর্গকিমি (৩০০/বর্গমাইল)
ভাষাসমূহ
 • সরকারিহিন্দি
সময় অঞ্চলIST (ইউটিসি+5:30)
PIN১৭১০০১
টেলিফোন কোড৯১ ১৭৭ XXX XXXX
আইএসও ৩১৬৬ কোডISO 3166-2
যানবাহন নিবন্ধনHP-03, HP-51, HP-52
জলবায়ুCwb (Köppen)
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ১,৫৭৭ মিমি (৬২ ইঞ্চি)
বার্ষিক গড় তাপমাত্রা১৩ °সে (৫৫ °ফা)
গরমকালে গড় তাপমাত্রা১৮ °সে (৬৪ °ফা)
শীতকালে গড় তাপমাত্রা৫ °সে (৪১ °ফা)
ওয়েবসাইটhpshimla.gov.in

শিমলা (ইংরেজি: Shimla) ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের শিমলা জেলার একটি শহর ও পৌর কর্পোরেশনাধীন এলাকা। এটি হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের রাজধানী। ১৮৬৪ সালে, শিমলাকে ব্রিটিশ ভারতের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতার পর, শহরটি পূর্ব পাঞ্জাবের রাজধানী হয়ে ওঠে এবং পরে হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শহর করা হয়।এটি রাজ্যের প্রধান বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাকেন্দ্র।

১৮১৫ সালের আগে যখন ব্রিটিশ বাহিনী এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন ছোট গ্রামগুলি রেকর্ড করা হয়েছিল।জলবায়ু পরিস্থিতি ব্রিটিশদের হিমালয়ের ঘন অরণ্যে শহরটি প্রতিষ্ঠা করতে আকৃষ্ট করেছিল। গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে, সিমলা ১৯১৪ সালের সিমলা চুক্তি এবং ১৯৪৫ সালের সিমলা সম্মেলন সহ অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল।স্বাধীনতার পরে, ২৮ টি রাজ্যের একীকরণের ফলে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এমনকি স্বাধীনতার পরেও, শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল, যা ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তির আয়োজন করে।হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের পুনর্গঠনের পর, বিদ্যমান মহাসু জেলার নামকরণ করা হয় শিমলা।

শিমলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে যা ঔপনিবেশিক যুগের টিউডরবেথান এবং নিও-গথিক স্থাপত্যের শৈলীতে তৈরি, সেইসাথে একাধিক মন্দির এবং গীর্জা রয়েছে।ঔপনিবেশিক স্থাপত্য এবং গীর্জা, মন্দির এবং শহরের প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে।শহরের কেন্দ্রের প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্রী হনুমান জাখু (মূর্তি), জাখু মন্দির, ভাইসারেগাল লজ, ক্রাইস্ট চার্চ, মল রোড, দ্য রিজ এবং আন্নাডেল৷শহরের কেন্দ্রের উত্তরতম বিন্দু হল জাখু এবং দক্ষিণের অবস্থান হল আন্নাডেল, পূর্বতম বিন্দু হল সানজাউলি এবং পশ্চিমের বিন্দু হল ছোট শিমলা।ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত কালকা-সিমলা রেললাইন[৪], একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, এটিও একটি প্রধান পর্যটক আকর্ষণ।এর খাড়া ভূখণ্ডের কারণে, সিমলা মাউন্টেন বাইকিং রেস MTB হিমালয় আয়োজন করে, যা ২০০৫ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ায় এই ধরণের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট হিসাবে বিবেচিত হয়। সিমলায় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক তুষার ক্রিড়াঙ্গন রয়েছে।একটি পর্যটন কেন্দ্র হওয়া ছাড়াও, শহরটি বেশ কয়েকটি কলেজ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সহ একটি শিক্ষাকেন্দ্রও বটে৷

ব্যুৎপত্তি

সিমলা শহরের নাম হয়েছে শ্যামলা মাতা, দেবী কালীর এক নির্ভীক অবতার থেকে।দেবীর মন্দিরটি দ্য রিজের কাছে বান্টনি পাহাড়ে অবস্থিত, যার নাম কালী বাড়ি মন্দির[৫]।অন্য একটি সংস্করণ অনুসারে সিমলা নামটি এসেছে 'শ্যামলা'[৬] শব্দ থেকে যার অর্থ জাখুর উপর ফকিরের নীল স্লেট।কিন্তু সাধারণত, সমাজ প্রথম সংস্করণটিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য এবং যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করে।

২০১৮ সালে, রাজ্য সরকার শহরের নাম পরিবর্তন করে সিমলা থেকে শ্যামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। যাইহোক, জনসাধারণ এবং স্থানীয়দের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখে, রাজ্য সরকার পরিকল্পনাটি বাতিল করে দেয়[৭]

ইতিহাস

১৮ শতকে বর্তমান সিমলা শহরের বেশির ভাগ এলাকা ছিল ঘন জঙ্গল। সভ্যতার একমাত্র নিদর্শন ছিল জাখু মন্দির এবং কয়েকটি বিক্ষিপ্ত বাড়ি[৮]। এই এলাকাটিকে 'শিমলা' বলা হত, যা হিন্দু দেবী শ্যামলা দেবীর নামে নামকরণ করা হয়েছিল,যা কালীর অবতার[৯]

শিমলা ও ছোটা শিমলা যোগকারি ব্রিজ


বর্তমান সিমলার এলাকাটি ১৮০৬ সালে নেপালের ভীমসেন থাপা আক্রমণ করে দখল করে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ইঙ্গ-নেপালী যুদ্ধের (১৮১৪-১৬) পরে সুগৌলি চুক্তি অনুসারে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়।১৮১৫ সালের মে মাসে ডেভিড অকটারলোনির নেতৃত্বে মালাউনের দুর্গে ঝড়ের মাধ্যমে গুর্খা নেতাদের দমন করা হয়েছিল। ৩০আগস্ট ১৮১৭ তারিখের একটি ডায়েরি এন্ট্রিতে, জেরার্ড ভাইয়েরা, যারা এলাকাটি জরিপ করেছিলেন, তারা সিমলাকে "একটি মাঝারি আকারের গ্রাম হিসাবে বর্ণনা করেছেন যেখানে ভ্রমনকারিদের জল দেওয়ার জন্য একটি ফকির অবস্থিত।"১৮১৯ সালে, পার্বত্য রাজ্যের সহকারী রাজনৈতিক এজেন্ট লেফটেন্যান্ট রস শিমলায় একটি কাঠের কুটির স্থাপন করেন।তিন বছর পর, তার উত্তরসূরি এবং স্কটিশ বেসামরিক কর্মচারী চার্লস প্র্যাট কেনেডি ১৮২২ সালে আন্নাডেলের কাছে কেনেডি কটেজ নামে এলাকায় প্রথম পাকা বাড়ি তৈরি করেন, যা এখন CPWD অফিসের বাড়ি।ব্রিটেনের মত জলবায়ুর বিবরণ গ্রীষ্মকালে বেশ কিছু ব্রিটিশ অফিসারকে এই এলাকায় আকৃষ্ট করতে শুরু করে।১৮২৬ সাল নাগাদ, কিছু অফিসার তাদের পুরো ছুটি শিমলায় কাটাতে শুরু করেছিলেন।১৮২৭ সালে, বাংলার গভর্নর-জেনারেল উইলিয়াম আমহার্স্ট শিমলা সফর করেন এবং কেনেডি হাউসে অবস্থান করেন।এক বছর পরে, ভারতে ব্রিটিশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক স্ট্যাপলটন কটন একই বাসভবনে অবস্থান করেন। তাঁর অবস্থানকালে জাখুর কাছে তিন মাইল রাস্তা ও একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।১৮৩০ সালে, ব্রিটিশরা রাউইন পরগনা এবং ভারাউলি পরগনার একটি অংশের বিনিময়ে কেওনথাল এবং পাতিয়ালার প্রধানদের কাছ থেকে আশেপাশের জমি অধিগ্রহণ করে। এর পরে বসতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়, ১৮৩০ সালে ৩০টি বাড়ি থেকে ১৮৮১ সালে ১,১৪১টি বাড়িতে[১০][১১]

১৮৩২ সালে, সিমলা তার প্রথম রাজনৈতিক বৈঠক দেখেছিল: গভর্নর-জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক এবং মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের দূতদের মধ্যে[১২]। কর্নেল চার্চিলকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন:

“লুদিয়ানা (লুধিয়ানা) থেকে সিমলা মাত্র চার দিনের পথ, প্রবেশ করা সহজ, এবং হিন্দুস্তান (হিন্দুস্তান) এর জ্বলন্ত সমভূমি থেকে একটি খুব সম্মত আশ্রয় প্রমাণ করে।”

জাখু মন্দির


কমবারমেরের উত্তরসূরি আর্ল ডালহৌসি একই বছরে সিমলা সফর করেন। এর পরে, শহরটি পশ্চিমবঙ্গের বালির নবাব (রাজা) কুমার ঘোষালের অধীনে ছিল এবং ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর-জেনারেল এবং প্রধান কমান্ডারের নিয়মিত সফর দেখেছিল। বেশ কিছু তরুণ ব্রিটিশ অফিসার উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশা করার জন্য এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন; তাদের অনুসরণ করা হত সেইসব মহিলাদের দ্বারা, যারা তাদের আত্মীয়দের জন্য বিবাহের জোট খুঁজছেন৷ এইভাবে সিমলা বল, পার্টি এবং অন্যান্য উৎসবের জন্য বিখ্যাত একটি হিল স্টেশন হয়ে ওঠে। পরবর্তীকালে, উচ্চ-বিত্ত পরিবারের ছাত্রদের জন্য আবাসিক স্কুলগুলি কাছাকাছি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।১৮৩০এর দশকের শেষের দিকে, শহরটি থিয়েটার এবং শিল্প প্রদর্শনীর কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শহরে বেশ কয়েকটি বাংলো তৈরি করা হয়েছিল এবং একটি বড় বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।ভারতীয় ব্যবসায়ীরা, প্রধানত সুদ এবং পার্সি সম্প্রদায়ের, ক্রমবর্ধমান ইউরোপীয় জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে এই এলাকায় এসেছিলেন। ১৮৪৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, ক্রাইস্ট চার্চের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে, বেশ কয়েকটি রাস্তা প্রশস্ত করা হয় এবং ১৮৫১-৫২ সালে ৫৬০-ফুট টানেল সহ হিন্দুস্তান-তিব্বত সড়ক নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এই টানেল, বর্তমানে ধল্লি টানেল নামে পরিচিত, মেজর ব্রিগস ১৮৫০ সালে শুরু করেছিলেন এবং ১৮৫১-৫২ সালের শীতকালে শেষ করেছিলেন[১৩]১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ শহরের ইউরোপীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু শিমলা বিদ্রোহের দ্বারা প্রভাবিত হয়নি[১৪]

1863 সালে, ভারতের ভাইসরয়, জন লরেন্স, ব্রিটিশ রাজের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শিমলায় স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন[১৫]। তিনি বছরে দুবার কলকাতা এবং এই পৃথক কেন্দ্রের ১,০০০ মাইল দূরত্বের মধ্যে প্রশাসন সরানোর ঝামেলা নিয়েছিলেন, যদিও পৌঁছানো কঠিন ছিল[১৬]রবার্ট বুলওয়ার-লিটন (ভারতের ভাইসরয় ১৮৭৬-১৮৮০) ১৮৭৬ সাল থেকে শহরটির পরিকল্পনা করার চেষ্টা করেছিলেন, যখন তিনি প্রথমে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন, কিন্তু পরে অবজারভেটরি হিলে নির্মিত একটি ভাইসারেগাল লজের পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন।একটি অগ্নিকাণ্ড বেশিরভাগ জায়গা খালি করেছিল, স্থানীয় ভারতীয় জনসংখ্যা যেখানে বসবাস করত ("উপরের বাজার" যা আজকাল রিজ [১৭]নামে পরিচিত), এবং পূর্ব প্রান্তের ইউরোপীয় শহরের কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা তাদের রিজ থেকে খাড়া ঢাল বেয়ে নিচের সোপানে মধ্য ও নিম্ন বাজার অঞ্চলে বসবাস করতে বাধ্য করেছিল । আপার বাজারটি একটি টাউন হলের জন্য পরিষ্কার করা হয়েছিল, যেখানে একটি গ্রন্থাগার এবং থিয়েটারের মতো অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, সেইসাথে পুলিশ এবং সামরিক স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পৌর প্রশাসনের অফিসও রয়েছে।

“গরম কালের" এর সময়, শিমলা ভারতের সর্বাধিনায়ক, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান এবং সরকারের অনেক বিভাগের সদর দপ্তরও ছিল।পাঞ্জাবের আঞ্চলিক সরকারের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ১৮৭৬ সালে আধুনিক পাকিস্তানের মুরি থেকে শিমলায় স্থানান্তরিত হয়। তাদের সাথে সমতল ভূমিতে থাকা পুরুষদের অনেক ব্রিটিশ স্ত্রী এবং মেয়েরা যোগ দিয়েছিল।এগুলি একসাথে শিমলা সোসাইটি গঠন করেছিল, যা চার্লস অ্যালেনের মতে[১৮], "ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার উপরের ভূত্বকের মতো কাছাকাছি ছিল।" এটি খুব ব্যয়বহুল, একটি আদর্শ জলবায়ু এবং এইভাবে কাম্য, সেইসাথে সীমিত আবাসন থাকার কারণে এটিকে এভাবে ভাবা যেতে পারে। ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে গ্রীষ্মকালে তাপ থেকে বাঁচতে ব্রিটিশ সৈন্য, বণিক এবং বেসামরিক কর্মচারীরা প্রতি বছর এখানে চলে আসত। অনেক ব্যাচেলর এবং একাকী পুরুষের উপস্থিতি, সেইসাথে সেখানে গরম আবহাওয়া পার করা অনেক মহিলার উপস্থিতি, সিমলাকে ব্যভিচারের জন্য একটি খ্যাতি দিয়েছে এবং অন্তত ব্যভিচার সম্পর্কে গসিপ দিয়েছে: যেমন রুডইয়ার্ড কিপলিং অ্যালেনের উদ্ধৃত একটি চিঠিতে বলেছিলেন, এটি একটি খ্যাতি ছিল "তুচ্ছতা, গসিপ এবং চক্রান্ত" এর জন্য।[১৯]

৫০০ ফুট (১৫০ মিটার) লোয়ার বাজার টানেলটি ১৯০৫ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং খাছর সুরাং নামকরণ করা হয়েছিল। এলিসিয়াম টানেলও (বর্তমানে অকল্যান্ড টানেল নামে পরিচিত), দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ ফুট (৩৭ মিটার), ১৯০৫ সালে নির্মিত হয়েছিল।[২০]

১৯১৩ এবং ১৯১৪ সালে সিমলা কনভেনশন, চীন প্রজাতন্ত্র, তিব্বত এবং গ্রেট ব্রিটেনের প্রতিনিধিদের দ্বারা তিব্বতের স্থিতি সম্পর্কিত একটি অস্পষ্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল[২১][২২]। কনভেনশনে তিব্বত এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মধ্যে একটি সীমানা রেখা প্রস্তাব করেছিলেন স্যার হেনরি ম্যাকমোহন।লাইনটি ম্যাকমোহন লাইন নামে পরিচিত হয় এবং বর্তমানে এটি চীন ও ভারতের মধ্যে কার্যকর সীমানা, যদিও এর আইনি অবস্থান চীনা সরকার দ্বারা বিতর্কিত। সেই সময়কার ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ভারতের স্বাধীনতার জন্য একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভাইসরয় ওয়াভেল কর্তৃক অনুষ্ঠিত একাধিক আলোচনার স্থানও এটি ছিল। সিমলা সম্মেলনের আলোচনা কোনো সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়।

১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ বার্মার (বর্তমান মায়ানমার) নির্বাসিত রাজধানী ছিল শিমলা।[২৩]

১৯০৩ সালে খোলা কালকা-শিমলা রেললাইন, শিমলার প্রবেশযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা বাড়ায়। ৮০৬ টিরও বেশি সেতু এবং ১০৩ টি টানেল সহ কালকা থেকে সিমলা পর্যন্ত রেলপথটি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কৃতিত্ব হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল এবং এটি "প্রাচ্যের ব্রিটিশ জুয়েল" হিসাবে পরিচিত হয়েছিল।[২৪] ২০০৮ সালে, এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অংশ হয়ে ওঠে।[২৫] ভারত ভাগের পর, চণ্ডীগড়ের নতুন শহর (বর্তমান ভারতের পাঞ্জাবহরিয়ানা রাজ্যের রাজধানী) নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত এটি সংক্ষিপ্তভাবে পূর্ব পাঞ্জাবের রাজধানী হিসেবে কাজ করে। ১৯৭১ সালে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য গঠনের পর, শিমলা এর রাজধানী নামকরণ করা হয়।

স্বাধীনতার পর ১৫ এপ্রিল ১৯৪৮ সালে . পশ্চিম হিমালয়ের প্রবর্তক অঞ্চলে ২৮ টি ছোট রাজকীয় রাজ্য (সামন্ত রাজপুত্র এবং জৈলদার সহ) একীভূত হওয়ার ফলে হিমাচল প্রদেশের প্রধান কমিশনার প্রদেশের উদ্ভূত হয়েছিল, যা সম্পূর্ণরূপে সিমলা পার্বত্য রাজ্য এবং চারটি পাঞ্জাব দক্ষিণ পার্বত্য রাজ্য হিসাবে পরিচিত হিমাচল প্রদেশ (প্রশাসন) আদেশের দ্বারা, ১৯৪৮-এর অতিরিক্ত-প্রাদেশিক এখতিয়ার আইন, ১৯৪৭ এর ধারা ৩ এবং ৪ এর অধীনে (পরে ১৯৫০ সালের A.O. দ্বারা বিদেশী এখতিয়ার আইন, ১৯৪৭ হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে) ৷বিলাসপুর রাজ্য, হিমাচল প্রদেশ এবং বিলাসপুর (নতুন রাজ্য) আইন, ১৯৫৪ দ্বারা ১ এপ্রিল ১৯৫৪ সালে হিমাচল প্রদেশে একীভূত হয়। ২৬ জানুয়ারী ১৯৫০-এ ভারতের সংবিধান এবং লে. গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার সাথে হিমাচল রাজ্যের অংশ হয়৷ ১৯৫২ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়। হিমাচল প্রদেশ ১ নভেম্বর ১৯৫৬-এ একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়[২৬]। পাঞ্জাব রাজ্যের নিম্নলিখিত অঞ্চলগুলি-সিমলা, কাংড়া, কুলু এবং লাহুল এবং স্পিতি জেলা, আম্বালা জেলার নালাগড় তহসিল, লোহারা, আম্ব এবং উনা কানুনগো সার্কেল, সন্তোখগড় কানুনগো সার্কেলের কিছু এলাকা এবং হোশিয়ারপুর জেলার উনা তহসিলের কিছু নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়াও পাঠানকোট জেলার ধর কালান তহসিলের কিছু অংশ; পাঞ্জাব পুনর্গঠন আইন, ১৯৬৬ পার্লামেন্ট দ্বারা ১৯৬৬সালের ১ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশের সাথে একীভূত হয়। ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭০ তারিখে, হিমাচল প্রদেশ রাজ্য আইন সংসদ দ্বারা পাশ হয় এবং ২৫ জানুয়ারী ১৯৭১-এ নতুন রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এইভাবে হিমাচল ভারতীয় ইউনিয়নের অষ্টাদশ রাজ্য হিসাবে আবির্ভূত হয়।[২৭]

সিমলা চুক্তিতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সিমলায় স্বাক্ষর করেছিলেন। চুক্তির ফলে পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্বীকৃতির পথ প্রশস্ত হয়৷টেকনিক্যালি ডকুমেন্টটি ৩ জুলাই রাতে ১২ঃ৪০ টায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল; যদিও এই সরকারী নথি ২ জুলাই ১৯৭২তারিখের ছিল৷[২৮]

.প্রাক-স্বাধীনতা কাঠামো এখনও সিমলায় কিছু রয়ে গেছে; প্রাক্তন ভাইসারেগাল লজ, অ্যাসেম্বলি চেম্বার, অকল্যান্ড হাউস, ক্রাইস্ট চার্চ, গর্টন ক্যাসেল, সিমলা টাউন হল এবং গেইটি থিয়েটারের মতো ভবনগুলি যা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অনুস্মারক[২৯][৩০]।মূল পিটারহফ, আরেকটি ভাইসারেগাল বাসভবন, ১৯৮১ সালে পুড়ে যায়। ব্রিটিশ সিমলা জাখু হিল এবং প্রসপেক্ট হিলের মধ্যে রিজ বরাবর প্রায় দেড় মাইল প্রসারিত ছিল৷কেন্দ্রীয় মেরুদণ্ড ছিল মল রোড, যেটি রিজের দৈর্ঘ্য বরাবর চলত, যা দক্ষিণ দিকে মলে প্রসারিত ছিল, যা ভাইসরয় এবং তার স্ত্রীর গাড়ি ছাড়া সমস্ত গাড়ির জন্য বন্ধ ছিল।

উপর থেকে দক্ষিণাবর্তে : দক্ষিণ শিমলার দিগন্ত ,রাষ্ট্রপতি নিবাস (১৯৮৮ তে নির্মিত প্রাক্তন "ভাইস রিগাল লজ" , টাউন হল, রাতের শিমলা ,শিমলা গির্জা

জনসংখ্যার উপাত্ত

ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুসারে শিমলা শহরের জনসংখ্যা হল ৮১৪,০১০ জন।[৩১] এর মধ্যে পুরুষ ৫৭% এবং নারী ৪৩%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৩.৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৯.৫৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৭.১৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে শিমলা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০.০২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

শিমলা উপত্যকা
ছোটা শিমলার সঙ্গে শিমলার সংযোগ সেতু,১৮২৯ সালে লর্ড কম্বেরেমেরে দ্বারা নির্মিত

পরিবহণ

রেল

শিমলা ন্যারো গেজ স্টেশন এই অঞ্চলের একমাত্র রেলওয়ে স্টেশন।

আকাশপথে

শিমলা বিমানবন্দর ২০ কিমি দুরত্বে অবস্থিত একমাত্র নিকটবর্তী এয়ারপোর্ট।

তথ্যসূত্র

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৯ নভেম্বর ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৫ 
  2. "Shimla Municipal Corporation"। Shimla Municipal Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-২৫ 
  3. "Population in the age group 0-6 and literates by sex—urban agglomeration/town"Census of India 2011Government of India। ২৭ মে ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-১৪ 
  4. Strube, Julian (২০২২-০২-১৭)। The Bengali Intervention। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 38–68। 
  5. I Told You So। Nebraska। ২০২০-১১-০১। পৃষ্ঠা 141–153। 
  6. Garstang, Roy H. (২০২২)। Chandrasekhar, Subrahmanyan। New York, NY: Springer US। পৃষ্ঠা 1–3। আইএসবিএন 978-1-0716-0738-1 
  7. Khimta, Abha Chauhan (২০১৮-০৮-২৯)। "POLITICAL PARTICIPATION OF WOMEN IN HIMACHAL PRADESH IN INDIA: IMPACT ON SOCIAL CHANGE"International Conference on Future of Women। The International Institute of Knowledge Management-TIIKM। ডিওআই:10.17501/icfow.2018.1102 
  8. Pubby, Vipin (১৯৯৬)। Shimla then & now : summer capital of the Raj (2nd rev. ed সংস্করণ)। New Delhi: Indus Pub. Co। আইএসবিএন 81-7387-046-2ওসিএলসি 35754332 
  9. Kaushal, Richa; Thakur, DS; Kumar, Arjun (২০১৭-০৭-৩১)। "GROWTH AND CONTRIBUTION OF HORTICULTURE OF HIMACHAL PRADESH: A CASE STUDY OF KOTGARH VALLEY OF SHIMLA DISTRICT, HIMACHAL PRADESH."International Journal of Advanced Research5 (7): 393–400। আইএসএসএন 2320-5407ডিওআই:10.21474/ijar01/4731 
  10. Pubby, Vipin (১৯৯৬)। Shimla then & now : summer capital of the Raj (2nd rev. ed সংস্করণ)। New Delhi: Indus Pub. Co। আইএসবিএন 81-7387-046-2ওসিএলসি 35754332 
  11. Charpentier, Jarl (1925-10)। "Reviews on Indian Subjects by Jarl Carpentier - 13. Heaven and Hell in Buddhist Perspective. By Bimala Charan Law. 8¾ × 5½, xlvii + 128 pp. Calcutta and Simla: Thacker, Spink & Co., 1925."Journal of the Royal Asiatic Society57 (4): 812–812। আইএসএসএন 1356-1863ডিওআই:10.1017/s0035869x00169643  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  12. Wolff, Joseph (২০১৪-০৩-২০)। Researches and Missionary Labours among the Jews, Mohammedans, and Other Sects। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-1-108-06884-0 
  13. Chapter 2. Shock। Princeton: Princeton University Press। ২০১৫-১২-৩১। পৃষ্ঠা 16–38। 
  14. Pubby, Vipin (১৯৯৬)। Shimla then & now : summer capital of the Raj (2nd rev. ed সংস্করণ)। New Delhi: Indus Pub. Co। আইএসবিএন 81-7387-046-2ওসিএলসি 35754332 
  15. Pubby, Vipin (১৯৯৬)। Shimla then & now : summer capital of the Raj (2nd rev. ed সংস্করণ)। New Delhi: Indus Pub. Co। আইএসবিএন 81-7387-046-2ওসিএলসি 35754332 
  16. author., Allen, Charles, 1940-2020,। Kipling Sahib : India and the making of Rudyard Kiplingআইএসবিএন 978-0-349-14215-9ওসিএলসি 935680391 
  17. SUD, HARI (২০১৩)। ENTREPRENEURS OF BRITISH SHIMLA.। [S.l.]: LULU COM। আইএসবিএন 1-304-11357-4ওসিএলসি 1353759423 
  18. Mudiganti, Usha (২০১৯-০৬-০৩)। ‘I am not a Sahib’। Abingdon, Oxon ; New York, NY : Routledge, 2019.: Routledge India। পৃষ্ঠা 227–241। 
  19. Kumar, Manjeet; Barwal, Kailash; Kumar, Girish; Raina, Pamposh; Dhiman, Priyanka; Pathania, Ridhi (২০১৮-১২-২১)। "Steinstrasseafter Extracorporeal Shockwave Lithotripsy: Aetiologyand Management"Academia Journal of Surgery1 (2)। আইএসএসএন 2663-8339ডিওআই:10.21276/ajs.2018.1.2.3 
  20. Chapter 2. Shock। Princeton: Princeton University Press। ২০১৫-১২-৩১। পৃষ্ঠা 16–38। 
  21. "CONVENTION BETWEEN GREAT BRITAIN AND CHINA RELATING TO SIKKIM AND TIBET"Lhasa and its Mysteries: 452–454। ২০১৫-০১-৩১। ডিওআই:10.1017/cbo9781316160626.029 
  22. Hoffmann, Steven A. (১৯৯০)। India and the China crisis। Berkeley: University of California Press। আইএসবিএন 0-520-06537-9ওসিএলসি 19128747 
  23. Eshleman, Matthew (২০১৮-১২-০১)। "Could Sartre have been a Free Market Capitalist?"Sartre Studies International24 (2): 84–100। আইএসএসএন 1357-1559ডিওআই:10.3167/ssi.2018.240206 
  24. Kumar, Manjeet; Barwal, Kailash; Kumar, Girish; Raina, Pamposh; Dhiman, Priyanka; Pathania, Ridhi (২০১৮-১২-২১)। "Steinstrasseafter Extracorporeal Shockwave Lithotripsy: Aetiologyand Management"Academia Journal of Surgery1 (2)। আইএসএসএন 2663-8339ডিওআই:10.21276/ajs.2018.1.2.3 
  25. UNESCO Declaration Concerning the Intentional Destruction of Cultural Heritage 17 October 2003। Martinus Nijhoff Publishers। পৃষ্ঠা 729–732। 
  26. Rathore, Sumati; Thakur, Usha; Shashni, Sarla (২০২০-০৯-৩০)। "POTTERY: A UNIQUE TRADITIONAL CRAFT IN INNER SIRAJ VALLEY OF NORTHWESTERN HIMALAYAN DISTRICT OF KULLU, HIMACHAL PRADESH"International Journal of Advanced Research8 (9): 1106–1111। আইএসএসএন 2320-5407ডিওআই:10.21474/ijar01/11766 
  27. Rathore, Sumati; Thakur, Usha; Shashni, Sarla (২০২০-০৯-৩০)। "POTTERY: A UNIQUE TRADITIONAL CRAFT IN INNER SIRAJ VALLEY OF NORTHWESTERN HIMALAYAN DISTRICT OF KULLU, HIMACHAL PRADESH"International Journal of Advanced Research8 (9): 1106–1111। আইএসএসএন 2320-5407ডিওআই:10.21474/ijar01/11766 
  28. OCTOBER। Cambridge University Press। ২০১৩-০৯-০৫। পৃষ্ঠা 41–57। 
  29. Mokta, Mamta; Kaur, Satwant (২০১২)। "Administering District in Himachal Pradesh: A Case Study of Shimla District"Dynamics of Public Administration29 (1): 64। আইএসএসএন 0975-3907ডিওআই:10.5958/j.0975-3907.29.1.003 
  30. "Another Time"Another Timeডিওআই:10.5040/9781580816182.01 
  31. "ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-১৫  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)