সিরিল ভিনসেন্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সিরিল ভিনসেন্ট
১৯৩১ সালে সিরিল ভিনসেন্ট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামসিরিল লেভারটন ভিনসেন্ট
জন্ম(১৯০২-০২-০১)১ ফেব্রুয়ারি ১৯০২
জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা
মৃত্যু২৪ আগস্ট ১৯৬৮(1968-08-24) (বয়স ৬৬)
জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১১৮)
২৪ ডিসেম্বর ১৯২৭ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৭ আগস্ট ১৯৩৫ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৫ ৮৫
রানের সংখ্যা ৫২৬ ১৫৮২
ব্যাটিং গড় ২০.২৩ ১৭.৯৭
১০০/৫০ ০/২ ০/৫
সর্বোচ্চ রান ৬০ ৮৩
বল করেছে ৫৮৫১ ১৬৬৩৫
উইকেট ৮৪ ২৯৩
বোলিং গড় ৩১.৩২ ২৩.৯১
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৬
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৫১ ৭/৩৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৭/- ৬৯/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ আগস্ট ২০১৭

সিরিল লেভারটন ভিনসেন্ট (ইংরেজি: Cyril Vincent; জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯০২ - মৃত্যু: ২৪ আগস্ট, ১৯৬৮) ট্রান্সভাল প্রদেশের জোহেন্সবার্গে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। এছাড়াও, প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও সমান ভূমিকা রেখে গেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সিরিল ভিনসেন্ট। ১৯২৭ থেকে ১৯৩৫ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গটেংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বোলারের ভূমিকায় পালন করতেন। স্লো বামহাতি অর্থোডক্স বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে কার্যকরী ব্যাটিংয়ের দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯২০-২১ মৌসুম থেকে ১৯৪২-৪৩ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গটেংয়ের পক্ষে খেলেছেন। পর্যাপ্ত সময় না থাকায় কারি কাপের মাত্র দুই খেলায় অংশ নিতে পেরেছেন। একনাগাড়ে দীর্ঘ সময় ধরে বোলিং করার সক্ষমতার জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯২৭ থেকে ১৯৩৫ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২৫ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।[১] ২৪ ডিসেম্বর, ১৯২৭ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে। ১৭ আগস্ট, ১৯৩৫ তারিখে একই দলের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে সর্বশেষ অংশ নেন।

১৯২৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। পাঁচ টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে কেবলমাত্র দ্বিতীয় টেস্টে তার আঘাতপ্রাপ্তির কারণে কুইন্টিন ম্যাকমিলানের টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। সিরিল ভিনসেন্ট সুস্থ হয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। এ সফরের শুরুরদিকের খেলাগুলোর মধ্যে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাকমিলান ৫/৩৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়লেও ভিনসেন্ট খেলায় ৮৯ রান খরচায় এগারো উইকেট লাভ করেছিলেন।[২]

১৯৩০-৩১ মৌসুমে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান ৬/৫১। এরফলে ডারবানে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ১৯৩৫ সালে হেডিংলি টেস্টে ৮/১৪৯ তুলে খেলায় ব্যক্তিগত সেরা বোলিং গড়েন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি মনোনীত হন। ২৪ আগস্ট, ১৯৬৮ তারিখে ৬৬ বছর বয়সে নাটাল প্রদেশের ডারবানের বুলওয়ার এলাকায় সিরিল ভিনসেন্টের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Cyril Vincent"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-১২ 
  2. "Scorecard: Glamorgan v South Africans"। www.cricketarchive.com। ১৮ মে ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]