সুশীল রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
{{তথ্যছক ব্যক্তি
|name=সুশীল রায়
|name=সুশীল রায়
|image= পুরুষ
|image= সুশীল রায়.jpg
|alt=
|alt=
|caption=
|caption= সুশীল রায়
|birth_date=<!-- {{Birth date|YYYY|MM|DD}} -->
|birth_date=<!-- {{Birth date|YYYY|MM|DD}} -->
|birth_place=
|birth_place=

১৪:৩৬, ২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সুশীল রায়
সুশীল রায়
মৃত্যু১৮ জুন, ২০১৪
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামসোম, অশোকদা
পেশাপেশাদার বিপ্লবী
প্রতিষ্ঠানভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)
পরিচিতির কারণভারতের মাওবাদী আন্দোলন
উল্লেখযোগ্য কর্ম
আমার স্মৃতিকথা

সুশীল রায় (মৃত্যুঃ ১৮ জুন, ২০১৪) একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) দলের পলিটব্যুরো সদস্য ছিলেন। তিনি মাওবাদ অনুসৃত রাজনীতির জগতে সোম বা অশোকদা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। সম্পর্কে তিনি ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহীদ দীনেশ গুপ্তের ভাইপো।[১]

রাজনৈতিক জীবন

১৯৬৩ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন সুশীল রায়। তিনি কলকাতার বাঁশদ্রোনী এলাকায় ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতেন। ১৯৬৪ সালে সপ্তম পার্টি কংগ্রেসের পর নবগঠিত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলে যোগ দেন। সাম্রাজ্যবাদী ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে মিছিল, ১৯৬৬ সালের খাদ্য আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন সুশীল। এজন্য তাকে পুলিশি অত্যাচার ও ধরপাকড়ের শিকার হতে হয়েছিল। ১৯৬৭ সালে নকশাল আন্দোলনের প্রভাবে সিপিআই (এম) ছেড়ে নকশালপন্থী রাজনীতিতে যোগদান করেন। ১৯৮০ সালে মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার বা এম সি সি দলের সাধারণ সম্পাদক হন। চোখের সমস্যার কারণে সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যহত নেওয়ার আগে এক দশকেরও অধিক সময় তিনি বিহার রাজ্যে এম.সি.সি'র সংগঠন গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত থাকেন। ২০০৪ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী - লেনিনবাদী) (জনযুদ্ধ) ও মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টারের ঐক্য সম্মেলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। ঐক্যবদ্ধ দল সিপিআই (মাওবাদী) এর পলিটব্যুরো সদস্য নির্বাচিত হন। মূলত তিনি ছিলেন দলের প্রবীনতম ও তাত্ত্বিক নেতা।[১][২]

গ্রেপ্তার

২০০৫ সালে হুগলী জেলাকোন্নগর হিন্দমোটর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ও কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়। জামিন পাওয়ার পর একই বছর তাকে ঝাড়খণ্ড পুলিশ গ্রেপ্তার করে ও রাঁচি পাঠায়। তার মুক্তির দাবীতে মানবাধিকার সংগঠন ও বুদ্ধিজীবীরা সরব হন।[৩] দীর্ঘদিন বন্দী থাকার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মানবিক বিচারে ঝাড়খণ্ড উচ্চ আদালত তাকে ২০১২ সালে জামিনে মুক্ত করার আদেশ দেন।[৪]

মৃত্যু

সুশীল রায় বয়সজনিত কারণে ও ক্যানসার রোগে ভুগছিলেন। তাকে দিল্লীর অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়। ২০১৪ সালের ১৮ জুন ৭৮ বছর বয়েসে মারা যান সুশীল রায়। তার ইচ্ছানুযায়ী মরদেহ এইমসে দান করা হয়।[২][৪] তার মৃত্যুর পর তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'আমার স্মৃতিকথা' প্রকাশিত হয় বাংলাদেশ থেকে।

তথ্যসূত্র

  1. Harsh Thakor। "Unchaining the Dialectic"frontierweekly.com। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. Rakhi Chakrabarty। "Maoist veteran Sushil Roy dies in AIIMS"। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  3. "বন্দিমুক্তির নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার"। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  4. "Top Maoist leader Roy dies at 78"indianexpress.com। ১৯ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭