বাদল গুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) অ Bengalibaidyas-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Ibrahim Husain Meraj-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত ট্যাগ: পুনর্বহাল |
|||
২৪ নং লাইন: | ২৪ নং লাইন: | ||
== প্রাথমিক জীবন == |
== প্রাথমিক জীবন == |
||
বাদল গুপ্তের আসল নাম সুধীর গুপ্ত। |
বাদল গুপ্তের আসল নাম সুধীর গুপ্ত। তার জন্ম [[ঢাকা জেলা|ঢাকার]] [[বিক্রমপুর]] এলাকার পুর্ব শিমুলিয়া গ্রামে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের [[মুন্সীগঞ্জ জেলা]]র অন্তর্গত। <ref name="banglapedia">[http://banglapedia.search.com.bd/HT/G_0229.htm Article on Badal Gupta], by Sambaru Chandra Mohanta, [[Banglapedia]]</ref> বানারিপাড়া স্কুলে পড়ার সময়ে সেখানকার শিক্ষক নিকুঞ্জ সেন বাদলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেন। বাদল বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে যোগ দেন। |
||
== রাইটার্স ভবনে হামলা == |
== রাইটার্স ভবনে হামলা == |
||
বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের বিপ্লবীরা কারাবিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল কর্নেল এন এস সিম্পসনের উপরে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। সিম্পসন কারাগারে রাজবন্দীদের উপরে অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত ছিলেন। সিম্পসনকে হত্যা করা ছাড়াও বিপ্লবীদের লক্ষ্য ছিলো কলকাতার ব্রিটিশ শাসকদের সচিবালয় [[রাইটার্স বিল্ডিং|রাইটার্স ভবনে]] হামলা চালিয়ে ব্রিটিশ শাসকদের মনে ত্রাস সৃষ্টি করা। [[১৯৩০]] সালের [[ডিসেম্বর ৮|৮ই ডিসেম্বর]] [[দীনেশ গুপ্ত]] ও [[বিনয় বসু]]<nowiki/>র সাথে মিলে বাদল বসু ইউরোপীয় বেশভুষার ছদ্মবেশ নিয়ে রাইটার্স ভবনে প্রবেশ করেন, এবং কর্নেল সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন। ব্রিটিশ পুলিশ পালটা গুলি চালাতে শুরু করে। বন্দুকযুদ্ধে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার টোয়াইনাম, প্রেন্টিস ও নেলসন আহত হন। নিকটের লালবাজার থেকে কমিশনার টেগার্টের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে এবং অচিরেই তিন বিপ্লবী পরাস্ত হন। তবে |
বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের বিপ্লবীরা কারাবিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল কর্নেল এন এস সিম্পসনের উপরে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। সিম্পসন কারাগারে রাজবন্দীদের উপরে অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত ছিলেন। সিম্পসনকে হত্যা করা ছাড়াও বিপ্লবীদের লক্ষ্য ছিলো কলকাতার ব্রিটিশ শাসকদের সচিবালয় [[রাইটার্স বিল্ডিং|রাইটার্স ভবনে]] হামলা চালিয়ে ব্রিটিশ শাসকদের মনে ত্রাস সৃষ্টি করা। [[১৯৩০]] সালের [[ডিসেম্বর ৮|৮ই ডিসেম্বর]] [[দীনেশ গুপ্ত]] ও [[বিনয় বসু]]<nowiki/>র সাথে মিলে বাদল বসু ইউরোপীয় বেশভুষার ছদ্মবেশ নিয়ে রাইটার্স ভবনে প্রবেশ করেন, এবং কর্নেল সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন। ব্রিটিশ পুলিশ পালটা গুলি চালাতে শুরু করে। বন্দুকযুদ্ধে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার টোয়াইনাম, প্রেন্টিস ও নেলসন আহত হন। নিকটের লালবাজার থেকে কমিশনার টেগার্টের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে এবং অচিরেই তিন বিপ্লবী পরাস্ত হন। তবে তারা পুলিশের হাতে ধরা দিতে চাননি, তাই বাদল [[পটাশিয়াম সায়ানাইড]] খান এবং বিনয় ও দীনেশ আত্মহত্যার জন্য নিজেদের উপরে গুলি চালান। বিষ খেয়ে ঘটনাস্থলেই বাদল গুপ্তের মৃত্যু হয়। ইতিহাসে এই তিন বীরের মহাকরণ আক্রমন 'অলিন্দ যুদ্ধ' নামে খ্যাত। |
||
[[চিত্র:Memory_of_martyrdom.jpg|থাম্ব|Memory of martyrdom]] |
[[চিত্র:Memory_of_martyrdom.jpg|থাম্ব|Memory of martyrdom]] |
||
১৪:১০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বাদল গুপ্ত Badal Gupta | |
---|---|
জন্ম | 1912 |
মৃত্যু | 8 December 1930 |
মৃত্যুর কারণ | Suicide by consuming potassium cyanide |
জাতীয়তা | Indian |
অন্যান্য নাম | Sudhir Gupta |
পরিচিতির কারণ | Writers' Building attack |
বাদল গুপ্ত (১৯১২-১৯৩০) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের শহীদ বাঙালি বিপ্লবী।
প্রাথমিক জীবন
বাদল গুপ্তের আসল নাম সুধীর গুপ্ত। তার জন্ম ঢাকার বিক্রমপুর এলাকার পুর্ব শিমুলিয়া গ্রামে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্গত। [১] বানারিপাড়া স্কুলে পড়ার সময়ে সেখানকার শিক্ষক নিকুঞ্জ সেন বাদলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেন। বাদল বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে যোগ দেন।
রাইটার্স ভবনে হামলা
বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের বিপ্লবীরা কারাবিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল কর্নেল এন এস সিম্পসনের উপরে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। সিম্পসন কারাগারে রাজবন্দীদের উপরে অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত ছিলেন। সিম্পসনকে হত্যা করা ছাড়াও বিপ্লবীদের লক্ষ্য ছিলো কলকাতার ব্রিটিশ শাসকদের সচিবালয় রাইটার্স ভবনে হামলা চালিয়ে ব্রিটিশ শাসকদের মনে ত্রাস সৃষ্টি করা। ১৯৩০ সালের ৮ই ডিসেম্বর দীনেশ গুপ্ত ও বিনয় বসুর সাথে মিলে বাদল বসু ইউরোপীয় বেশভুষার ছদ্মবেশ নিয়ে রাইটার্স ভবনে প্রবেশ করেন, এবং কর্নেল সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন। ব্রিটিশ পুলিশ পালটা গুলি চালাতে শুরু করে। বন্দুকযুদ্ধে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার টোয়াইনাম, প্রেন্টিস ও নেলসন আহত হন। নিকটের লালবাজার থেকে কমিশনার টেগার্টের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে এবং অচিরেই তিন বিপ্লবী পরাস্ত হন। তবে তারা পুলিশের হাতে ধরা দিতে চাননি, তাই বাদল পটাশিয়াম সায়ানাইড খান এবং বিনয় ও দীনেশ আত্মহত্যার জন্য নিজেদের উপরে গুলি চালান। বিষ খেয়ে ঘটনাস্থলেই বাদল গুপ্তের মৃত্যু হয়। ইতিহাসে এই তিন বীরের মহাকরণ আক্রমন 'অলিন্দ যুদ্ধ' নামে খ্যাত।
ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে বিনয়-বাদল—দীনেশের নামানুসারে কলকাতার ডালহৌসি স্কোয়ারের নাম পালটে রাখা হয় বি-বা-দী বাগ (বিনয়- বাদল-দীনেশ বাগ)। এই অলিন্দ যুদ্ধের স্মৃতিতে রাইটার্স বিল্ডিং এর দ্বিতলে একটি প্রস্তর ফলক আছে।
তথ্যসূত্র
- ↑ Article on Badal Gupta, by Sambaru Chandra Mohanta, Banglapedia
গ্রন্থপঞ্জি
- হেমেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত, ভারতের বিপ্লব কাহিনী, ২য় ও ৩য় খন্ড, কলকাতা, ১৯৪৮।
- রমেশচন্দ্র মজুমদার, History of the Freedom Movement in India, III, কলকাতা, ১৯৬৩।
- গঙ্গানারায়ণ চন্দ্র, অবিস্মরণীয়, কলকাতা, ১৯৬৬।