শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৮৮ নং লাইন: | ৮৮ নং লাইন: | ||
[[বিষয়শ্রেণী:রবীন্দ্র পুরস্কার বিজয়ী]] |
[[বিষয়শ্রেণী:রবীন্দ্র পুরস্কার বিজয়ী]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:ব্যোমকেশ বক্সী]] |
[[বিষয়শ্রেণী:ব্যোমকেশ বক্সী]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়]] |
১৫:২৫, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | ৩০ মার্চ ১৮৯৯ জৌনপুর, উত্তরপ্রদেশ, বৃটিশ ভারত |
মৃত্যু | ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ মুম্বই, ভারত |
পেশা | লেখক, সাহিত্যিক |
ভাষা | বাংলা |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | ব্যোমকেশ বক্সি, ঝিন্দের বন্দী, তুঙ্গভদ্রার তীরে, ভূমিকম্পের পটভূমি, |
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (৩০ মার্চ ১৮৯৯ - ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭০) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তার জন্ম উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর শহরে। তার রচিত প্রথম সাহিত্য প্রকাশিত হয় তার ২০ বছর বয়সে, যখন তিনি কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে আইন নিয়ে পড়াশুনো করছিলেন। পড়াশুনোর সাথেই তিনি সাহিত্য চর্চাও করতে থাকেন। তার সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী আত্মপ্রকাশ করে ১৯৩২ সালে।
শরদিন্দু ১৯৩৮ সালে বম্বের বম্বে টকিজ এ চিত্রনাট্যকাররূপে কাজ শুরু করেন। ১৯৫২এ সিনেমার কাজ ছেড়ে স্থায়ীভাবে পুনেতে বসবাস করতে শুরু করেন। পরবর্তী ১৮ বছর তিনি সাহিত্য চর্চায় অতিবাহিত করেন। ১৯৭০ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।[১]
সাহিত্যজীবন
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র হল ব্যোমকেশ বক্সী। ব্যোমকেশ একজন ডিটেকটিভ। নিজেকে তিনি সত্যান্বষী বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। ১৯৩২ এ 'পথের কাঁটা' উপন্যাসে ব্যোমকেশের আত্মপ্রকাশ। প্রথমে শরদিন্দু অজিতের কলমে লিখতেন। কিন্তু পরে তিনি তৃতীয়পুরুষে লিখতে শুরু করেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপন্যাস। যেমন 'কালের মন্দিরা', 'গৌর মল্লার', 'তুমি সন্ধ্যার মেঘ', 'তুঙ্গভদ্রার তীরে', ইত্যাদি। সামাজিক উপন্যাস যেমন 'জাতিস্মর', 'বিষের ধোঁয়া' বা অতিপ্রাকৃত নিয়ে তার 'বরদা সিরিজ' ও অন্যান্য গল্প এখনো বেস্টসেলার। শরদিন্দু ছোটগল্প ও শিশুসাহিত্য রচনাতেও পারদর্শী ছিলেন। তার সৃষ্ট চরিত্র সদাশিব মারাঠা বীর শিবাজীর অভিযানের সাথে সম্পৃক্ত।
শরদিন্দু ও সিনেমা
শরদিন্দুর জীবনে সিনেমার, বিশেষ করে বম্বের সিনেমার, খুব বড় ভূমিকা ছিল। তিনি যে ছবিগুলিতে চিত্রনাট্যকারের কাজ করেছেন সেগুলি হল দূর্গা (১৯৩৯), কঙ্গন (১৯৩৯), নবজীবন(১৯৩৯) ও আজাদ (১৯৪০)। তাঁর বিভিন্ন রচনা থেকেও সিনেমা তৈরি হয়েছে, যেমন নিম্নলিখিত বাংলা সিনেমাগুলি
- চিড়িয়াখানা - নির্দেশক সত্যজিত রায়
- ঝিন্দের বন্দী - নির্দেশক তপন সিংহ
- বিষের ধোঁয়া
- দাদার কীর্তি - নির্দেশক তরুণ মজুমদার
'তিশগ্নি' নামে একটি পুরস্কারপ্রাপ্ত হিন্দি ছবি লেখকের ঐতিহাসিক ছোটগল্প 'মরু ও সঙ্ঘ'র চিত্ররুপ। তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার (উপন্যাস 'তুঙ্গভদ্রার তীরে'র জন্য), শরৎস্মৃতি পুরস্কার, মতিলাল পুরস্কার প্রভৃতি পুরস্কার লাভ করেন।
সাহিত্যকর্ম
ব্যোমকেশ বক্সী সিরিজ
- ব্যোমকেশের ডায়েরী (১৯৩৩)
- ব্যোমকেশের কাহিনী (১৯৩৩)
- ব্যোমকেশের গল্প (১৯৩৭)
- দুর্গরহস্য (১৯৫২)
- চিড়িয়াখানা (১৯৫৩)
- আদিম রিপু (১৯৫৫)
- বহ্নি-পতঙ্গ (১৯৫৬)
- সসেমিরা (১৯৫৯)
- কহেন কবি কালিদাস (১৯৬১)
- ব্যোমকেশের ছ'টি (১৯৬২)
- ব্যোমকেশের ত্রিনয়ন (১৯৬২)
- মগ্নমৈনাক (১৯৬৩)
- শজারুর কাঁটা (১৯৬৭)
- বেণীসংহার (১৯৬৮)
- সংকলন
- শরদিন্দু অমনিবাস: প্রথম খণ্ড (১৯৭০)
- শরদিন্দু অমনিবাস: দ্বিতীয় খণ্ড (১৯৭১)
- ব্যোমকেশ সমগ্র (১৯৯৫)
ঐতিহাসিক উপন্যাস
- কালের মন্দিরা (১৯৫৩)
- গৌড়মল্লার (১৯৫৪)
- তুমি সন্ধ্যার মেঘ (১৯৫৮)
- কুমারসম্ভবের কবি (১৯৬৩)
- তুঙ্গভদ্রার তীরে (১৯৬৫)
- শিবাজী আর সদাশিব
গল্প-সংকলন
- জাতিস্মর (১৯৩২)
- চুয়াচন্দন (১৯৩৫)
- বুমের্যাং (১৯৩৮)
- কাঁচামিঠে (১৯৪২)
- শাদা পৃথিবী (১৯৪৮)
- এমন দিনে (১৯৬২)
- শঙ্খ-কঙ্কণ (১৯৬৩)
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র
উপন্যাস
- মনচোরা (২০১৬) - মনচোরা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সন্দীপ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্র। ব্যোমকেশ চরিত্রটি নিয়ে বাংলা এবং হিন্দী দুটো ভাষাতেই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। বাংলায় নির্মিত আবার ব্যোমকেশ, ব্যোমকেশ ফিরে এলো ব্যোমকেশ বক্সী,হর হর ব্যোমকেশ, ব্যোমকেশ পর্ব এবং হিন্দীতে সুশান্ত সিং রাজপুতের চরিত্রায়নে ব্যোমকেশ বক্সী।[২]
হিন্দিতে ডিটেকটিভ ব্যোমকেবক্সী নামে একটি ছবি করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র
- ↑ Bomokesh Shomogro,Sharadindu Bandyopadhyay, Ananda Publishers Pvt. Ltd. 45 Beniatola Lane, Calcutta
- ↑ "Eros International's Bengali film Monchora directed by Sandip Ray to release this Christmas"।