ছুঁচো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পুনর্নির্দেশ টেমপ্লেট যোগ
Trinanjon (আলোচনা | অবদান)
গন্ধমূষিক-এ করা পুনর্নির্দেশ সরানো হয়েছে
ট্যাগ: পুনর্নির্দেশ সরানো হয়েছে
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Taxobox
#redirect [[গন্ধমূষিক]]
| name = ছুঁচো
| image = Talpa europaea MHNT.jpg
| regnum = [[Animal]]ia
| phylum = [[কর্ডাটা]]
| classis = [[Mammal]]ia
|infraclassis = [[Eutheria]]
| ordo = [[Soricomorpha]]
| familia = [[Talpidae]]
| familia_authority = অংশবিশেষ
| subdivision_ranks = [[গণ (জীববিদ্যা)|গণ]]
| subdivision =
১২ [[গণ (জীববিদ্যা)|গণ]]
}}
'''ছুঁচো''' বা '''ছুঁচা''' বা '''ছুছুন্দর''' বা '''গন্ধমূষিক''' ({{lang-en|Mole}}) [[নল|নলাকৃতি]] [[ইঁদুর|ইঁদুরজাতীয়]] [[স্তন্যপায়ী প্রাণী|স্তন্যপায়ী প্রাণীবিশেষ]]। অপূর্ণাঙ্গ ও ক্ষুদ্রাকৃতি চোখ; নরম, পুরু, কোমল পশম; লম্বাটে মুখের গড়ন এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও এটি ছোট পা; প্রশস্ত পায়ের পাতা, লম্বা ও শক্তিশালী থাবার অধিকারী। [[ইউরোপ]], [[এশিয়া]] এবং [[উত্তর আমেরিকা|উত্তর আমেরিকার]] [[দেশ|দেশসমূহের]] মাটির [[গর্ত|গর্তে]] এদের প্রধান আবাসস্থল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://home.cc.umanitoba.ca/~campbelk/moledistribution.html |accessdate=2010-03-11 |title=Mole Distribution Maps |author=Kevin Campbell |publisher=University of Manitoba}}</ref>


ভূ-গর্ভস্থ মাটি খননের মাধ্যমে [[কেঁচো]] এবং [[আর্থ্রোপোড|পোকামাকড়ের]] [[ডিম]] সংগ্রহ করে এ [[প্রাণী]] জীবনধারণ করে। [[চতুষ্পদী প্রাণী]] হিসেবে গন্ধমূষিক তার সামনের শক্তিশালী [[পা]] জোড়ার [[থাবা]] দিয়ে খুব দ্রুত [[মাটি|মাটিকে]] পেছনে ধাক্কা দিয়ে বের করার মাধ্যমে খনন করতে পারে। চলাফেরার সুবিধার্থে মাটির অভ্যন্তরে অনেকগুলো প্রকোষ্ঠসহ [[ভূমি]] সংযোগকারী গর্ত তৈরী করে।
{{একটি পুনর্নির্দেশ}}

''ট্রু মোল'' বা প্রকৃত গন্ধমূষিক হিসেবে এটি সোরিকোমোরফা বর্গের তালপিডে গোত্রের আওতাধীন। [[অস্ট্রেলিয়া]] এবং [[আফ্রিকা|আফ্রিকার]] দক্ষিণে শারীরিক গড়নে একই হলেও পুরোটাই সম্পৃক্তবিহীন স্তন্যপায়ী রয়েছে যা গন্ধমূষিকের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে না।

== উৎপত্তি ==
শুরুর দিককার আধুনিক ইংরেজিতে গন্ধমূষিক বা মোল-কে মুল্ডিওয়ার্প নামে অভিহিত করা হতো যা [[জার্মান ভাষা|জার্মান]] (''Maulwurf''),<ref>[[Oliver Rackham|Rackham, Oliver]], ''The Illustrated History Of The Countryside'' page 130 (quoting J. Seddon, ''The boke of surveying and improvments<!--sic-->'' – [[sic]]) {{আইএসবিএন|0-297-84335-4}}</ref> [[ড্যানিশ ভাষা|ড্যানিশ]], [[নরওয়েজীয় ভাষা|নরওয়েজিয়ান]], [[সুইডিশ ভাষা|সুইডিশ]] এবং [[আইসল্যান্ডীয় ভাষা|আইসল্যান্ডীয়]] ''মুল্ডভার্প'', ''মুলভাড'', ''মোল্ডভার্পা'' থেকে উদ্ভূত। অর্থগতভাবে মুল্ড/মুল/মোল্ড শব্দের অর্থ হচ্ছে ''মাটি'' এবং ভার্প/ভাড/ভার্পার শব্দের অর্থ ''নিক্ষেপ করা''; সুতরাং, মোল বা গন্ধমূষিকের ভাবগত অর্থ দাঁড়ায় ''যে মাটি নিক্ষেপ করে'' বা ''নোংরা নিক্ষেপণকারী''। পুরুষ গন্ধমূষিক ''বোর'' এবং স্ত্রী গন্ধমূষিককে ''সো'' নামে ডাকা হয়। অন্যদিকে একপাল গন্ধমূষিককে ''লেবার'' বা ''শ্রমিক'' নামে ডাকা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.animalcorner.co.uk/britishwildlife/moles.html |title=Moles |publisher=animalcorner.co.uk}}{{Dead link|date=July 2011}}</ref>

== প্রকারভেদ ==
গন্ধমূষিকের গণের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে, [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে]] ৫টি গণ দেখা যায়। মাঝারি আকারের ''ইস্টার্ন মোল'' ([[বৈজ্ঞানিক নাম]]: ''Scalopus aquaticus'') [[ধূসর]] আকৃতির। এটি লম্বায় প্রায় ১২ থেকে ২১ সে.মি লম্বা। এর নগ্নাকৃতির লেজের দৈর্ঘ্য ২ থেকে ৪ সেন্টিমিটার। ''ওয়েস্টার্ন মোল'' (''Scapanus townsendii'') আমেরিকান [[প্রজাতি (জীববিদ্যা)|প্রজাতির]] মধ্যে তুলনামূলকভাবে বড় এবং লম্বায় ২৪ বা ততোধিক সেন্টিমিটারবিশিষ্ট। ''লোমশ লেজবিশিষ্ট গন্ধমূষিকের'' (''Parascalops breweri'') বক্র-চাঁদের ন্যায় নাসারন্ধ্র রয়েছে। ''তারা-নাকের অধিকারী গন্ধমূষিকের'' (''Condylura cristata'') ২২টি [[শুঁড়]] রয়েছে। এগুলোর ইন্দ্রিয়শক্তি হিসেবে কাজ করে [[পরিবেশ|পরিবেশে]] অভিযোজিত হতে সাহায্য করে। নীচু-মাত্রার বিদ্যুৎ তরঙ্গ প্রয়োগ করে কেঁচোর আবাসস্থল নির্দিষ্ট করতে পারে। প্রাণীটি চমৎকারভাবে [[সাঁতার|সাঁতারও]] কাটতে জানে। ''ধূর্ত প্রকৃতির গন্ধমূষিক'' (''Neurotrichus gibbsii'') আমেরিকার অন্যান্য গন্ধমূষিকের তুলনায় সবচেয়ে ছোট। এগুলো দৈর্ঘ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৩ সে.মি হয়ে থাকে। তন্মধ্যে লেজের দৈর্ঘ্য ৩ থেকে ৪ সে.মি।

== জীবনপ্রণালী ==
[[চিত্র:Talpa europaea MHNT pate.jpg|250px|thumb|পায়ের থাবাচিত্র]]
গন্ধমূষিক অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর তুলনায় উচ্চমাত্রার [[কার্বন ডাই অক্সাইড|কার্বন ডাই অক্সাইডযুক্ত]] পরিবেশে বসবাস করে থাকে। তাদের [[রক্তকোষ|রক্তকোষে]] বিশেষ ধরনের একীভূত [[হিমোগ্লোবিন]] [[প্রোটিন|প্রোটিনের]] কারণেই এ সক্ষমতা অর্জন। এছাড়াও এরা [[অক্সিজেন|অক্সিজেনকে]] পুণরায় ব্যবহার উপযোগী করে ব্যবহার করে। যখন পরিবেশে বিশেষ করে ভূ-অভ্যন্তরের গর্তে নিম্নমাত্রায় অক্সিজেন বিদ্যমান থাকে, তখনই আত্মরক্ষার্থে তারা এভাবে শ্বাসকার্য পরিচালনা করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি
| title = Secret of how moles breathe underground revealed
| publisher = The Telegraph | date = July 20, 2010
| url = http://www.telegraph.co.uk/science/science-news/7899216/Secret-of-how-moles-breathe-underground-revealed.html
}}</ref>

সাধারণতঃ কেঁচো তাদের প্রিয় খাবার। এছাড়াও, ভূমিতে অন্যান্য [[মেরুদণ্ডহীন প্রাণী]] ও বিভিন্ন ধরনের [[বাদাম|বাদামজাতীয়]] খাদ্য খেয়ে থাকে। কেঁচোর সন্ধানে তারা বিশেষ ধরনের ইন্দ্রিয়ের সাহায্য নেয় এবং গর্তে পড়ে গেলে দ্রুত এটিকে মেরে খেয়ে ফেলে।<ref>[http://www.pest-management.co.uk/Moles.htm Moles]. Pest-management.co.uk. Retrieved on 2012-05-12.</ref> লালাগ্রন্থীতে বিশেষ ধরনের [[টক্সিন]] রয়েছে যা কেঁচোকে অবশ করে। পরবর্তীতে খাবার হিসেবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে এটিকে সঞ্চিত রাখে। খাবার পূর্বে গন্ধমূষিক তাদের থাবা প্রয়োগের মাধ্যমে নিষ্পেষণ করে এবং কেঁচোর [[অন্ত্র]] ছিড়ে ফেলে।<ref>The Life of Mammals, David Attenborough, 2002</ref>

তারা-নাকের অধিকারী গন্ধমূষিক মানুষের পলক ফেলার পূর্বেই .৩ সেকেন্ডের মধ্যে খাদ্য সনাক্তকরণ, ধরা এবং খাদ্যগ্রহণ করতে পারে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
| last = Salisbury | first = David F.
| title = Marsh-dwelling mole gives new meaning to the term 'fast food'
| publisher = EurekAlert | date = February 2005
| url = http://www.eurekalert.org/pub_releases/2005-02/vu-mmg013105.php | accessdate = July 2011
}}</ref>

গন্ধমূষিকের থাবায় বহু [[আঙ্গুল]] রয়েছে। অতিরিক্ত বৃদ্ধাঙ্গুল ''প্রিপোলেক্স'' নামে পরিচিত যা মূল বৃদ্ধাঙ্গলের পাশে রয়েছে। অন্যান্য আঙ্গুলে অনেকগুলো সংযোগ থাকলেও এটিতে কোন সংযোগ নেই।

== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}

== বহিঃসংযোগ ==
{{commons|Talpa europaea}}
* [http://web.archive.org/web/20040722192952/http://www.defra.gov.uk/wildlife-countryside/vertebrates/reports/mole-review.pdf UK Government DEFRA paper on control the European Mole]
* [http://www.britishmolecatchers.co.uk British Traditional Molecatchers Register]

{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:ছুঁচো}}
[[বিষয়শ্রেণী:তালপিডে]]
[[বিষয়শ্রেণী:কৃষি ক্ষতিকারক প্রাণী]]
[[বিষয়শ্রেণী:অন্ধ প্রাণী]]
[[বিষয়শ্রেণী:শারীরিক পরিকল্পনা]]

১৫:৩৪, ১৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ছুঁচো
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Mammalia
অধঃশ্রেণী: Eutheria
বর্গ: Soricomorpha
পরিবার: Talpidae
অংশবিশেষ
গণ

১২ গণ

ছুঁচো বা ছুঁচা বা ছুছুন্দর বা গন্ধমূষিক (ইংরেজি: Mole) নলাকৃতি ইঁদুরজাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীবিশেষ। অপূর্ণাঙ্গ ও ক্ষুদ্রাকৃতি চোখ; নরম, পুরু, কোমল পশম; লম্বাটে মুখের গড়ন এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও এটি ছোট পা; প্রশস্ত পায়ের পাতা, লম্বা ও শক্তিশালী থাবার অধিকারী। ইউরোপ, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকার দেশসমূহের মাটির গর্তে এদের প্রধান আবাসস্থল।[১]

ভূ-গর্ভস্থ মাটি খননের মাধ্যমে কেঁচো এবং পোকামাকড়ের ডিম সংগ্রহ করে এ প্রাণী জীবনধারণ করে। চতুষ্পদী প্রাণী হিসেবে গন্ধমূষিক তার সামনের শক্তিশালী পা জোড়ার থাবা দিয়ে খুব দ্রুত মাটিকে পেছনে ধাক্কা দিয়ে বের করার মাধ্যমে খনন করতে পারে। চলাফেরার সুবিধার্থে মাটির অভ্যন্তরে অনেকগুলো প্রকোষ্ঠসহ ভূমি সংযোগকারী গর্ত তৈরী করে।

ট্রু মোল বা প্রকৃত গন্ধমূষিক হিসেবে এটি সোরিকোমোরফা বর্গের তালপিডে গোত্রের আওতাধীন। অস্ট্রেলিয়া এবং আফ্রিকার দক্ষিণে শারীরিক গড়নে একই হলেও পুরোটাই সম্পৃক্তবিহীন স্তন্যপায়ী রয়েছে যা গন্ধমূষিকের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে না।

উৎপত্তি

শুরুর দিককার আধুনিক ইংরেজিতে গন্ধমূষিক বা মোল-কে মুল্ডিওয়ার্প নামে অভিহিত করা হতো যা জার্মান (Maulwurf),[২] ড্যানিশ, নরওয়েজিয়ান, সুইডিশ এবং আইসল্যান্ডীয় মুল্ডভার্প, মুলভাড, মোল্ডভার্পা থেকে উদ্ভূত। অর্থগতভাবে মুল্ড/মুল/মোল্ড শব্দের অর্থ হচ্ছে মাটি এবং ভার্প/ভাড/ভার্পার শব্দের অর্থ নিক্ষেপ করা; সুতরাং, মোল বা গন্ধমূষিকের ভাবগত অর্থ দাঁড়ায় যে মাটি নিক্ষেপ করে বা নোংরা নিক্ষেপণকারী। পুরুষ গন্ধমূষিক বোর এবং স্ত্রী গন্ধমূষিককে সো নামে ডাকা হয়। অন্যদিকে একপাল গন্ধমূষিককে লেবার বা শ্রমিক নামে ডাকা হয়।[৩]

প্রকারভেদ

গন্ধমূষিকের গণের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫টি গণ দেখা যায়। মাঝারি আকারের ইস্টার্ন মোল (বৈজ্ঞানিক নাম: Scalopus aquaticus) ধূসর আকৃতির। এটি লম্বায় প্রায় ১২ থেকে ২১ সে.মি লম্বা। এর নগ্নাকৃতির লেজের দৈর্ঘ্য ২ থেকে ৪ সেন্টিমিটার। ওয়েস্টার্ন মোল (Scapanus townsendii) আমেরিকান প্রজাতির মধ্যে তুলনামূলকভাবে বড় এবং লম্বায় ২৪ বা ততোধিক সেন্টিমিটারবিশিষ্ট। লোমশ লেজবিশিষ্ট গন্ধমূষিকের (Parascalops breweri) বক্র-চাঁদের ন্যায় নাসারন্ধ্র রয়েছে। তারা-নাকের অধিকারী গন্ধমূষিকের (Condylura cristata) ২২টি শুঁড় রয়েছে। এগুলোর ইন্দ্রিয়শক্তি হিসেবে কাজ করে পরিবেশে অভিযোজিত হতে সাহায্য করে। নীচু-মাত্রার বিদ্যুৎ তরঙ্গ প্রয়োগ করে কেঁচোর আবাসস্থল নির্দিষ্ট করতে পারে। প্রাণীটি চমৎকারভাবে সাঁতারও কাটতে জানে। ধূর্ত প্রকৃতির গন্ধমূষিক (Neurotrichus gibbsii) আমেরিকার অন্যান্য গন্ধমূষিকের তুলনায় সবচেয়ে ছোট। এগুলো দৈর্ঘ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৩ সে.মি হয়ে থাকে। তন্মধ্যে লেজের দৈর্ঘ্য ৩ থেকে ৪ সে.মি।

জীবনপ্রণালী

পায়ের থাবাচিত্র

গন্ধমূষিক অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর তুলনায় উচ্চমাত্রার কার্বন ডাই অক্সাইডযুক্ত পরিবেশে বসবাস করে থাকে। তাদের রক্তকোষে বিশেষ ধরনের একীভূত হিমোগ্লোবিন প্রোটিনের কারণেই এ সক্ষমতা অর্জন। এছাড়াও এরা অক্সিজেনকে পুণরায় ব্যবহার উপযোগী করে ব্যবহার করে। যখন পরিবেশে বিশেষ করে ভূ-অভ্যন্তরের গর্তে নিম্নমাত্রায় অক্সিজেন বিদ্যমান থাকে, তখনই আত্মরক্ষার্থে তারা এভাবে শ্বাসকার্য পরিচালনা করে।[৪]

সাধারণতঃ কেঁচো তাদের প্রিয় খাবার। এছাড়াও, ভূমিতে অন্যান্য মেরুদণ্ডহীন প্রাণী ও বিভিন্ন ধরনের বাদামজাতীয় খাদ্য খেয়ে থাকে। কেঁচোর সন্ধানে তারা বিশেষ ধরনের ইন্দ্রিয়ের সাহায্য নেয় এবং গর্তে পড়ে গেলে দ্রুত এটিকে মেরে খেয়ে ফেলে।[৫] লালাগ্রন্থীতে বিশেষ ধরনের টক্সিন রয়েছে যা কেঁচোকে অবশ করে। পরবর্তীতে খাবার হিসেবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে এটিকে সঞ্চিত রাখে। খাবার পূর্বে গন্ধমূষিক তাদের থাবা প্রয়োগের মাধ্যমে নিষ্পেষণ করে এবং কেঁচোর অন্ত্র ছিড়ে ফেলে।[৬]

তারা-নাকের অধিকারী গন্ধমূষিক মানুষের পলক ফেলার পূর্বেই .৩ সেকেন্ডের মধ্যে খাদ্য সনাক্তকরণ, ধরা এবং খাদ্যগ্রহণ করতে পারে।[৭]

গন্ধমূষিকের থাবায় বহু আঙ্গুল রয়েছে। অতিরিক্ত বৃদ্ধাঙ্গুল প্রিপোলেক্স নামে পরিচিত যা মূল বৃদ্ধাঙ্গলের পাশে রয়েছে। অন্যান্য আঙ্গুলে অনেকগুলো সংযোগ থাকলেও এটিতে কোন সংযোগ নেই।

তথ্যসূত্র

  1. Kevin Campbell। "Mole Distribution Maps"। University of Manitoba। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-১১ 
  2. Rackham, Oliver, The Illustrated History Of The Countryside page 130 (quoting J. Seddon, The boke of surveying and improvmentssic) আইএসবিএন ০-২৯৭-৮৪৩৩৫-৪
  3. "Moles"। animalcorner.co.uk। [অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Secret of how moles breathe underground revealed"। The Telegraph। জুলাই ২০, ২০১০। 
  5. Moles. Pest-management.co.uk. Retrieved on 2012-05-12.
  6. The Life of Mammals, David Attenborough, 2002
  7. Salisbury, David F. (February 2005)। "Marsh-dwelling mole gives new meaning to the term 'fast food'"। EurekAlert। সংগ্রহের তারিখ July 2011  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ