বানৌজা ওসমান
১৯৯১ সালে বানৌজা ওসমান ফ্রিগ্রেট
| |
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
শ্রেণী এবং ধরন: | রূপান্তরিত টাইপ ০৫৩এইচ১ ফ্রিগ্রেট |
নাম: | বানৌজা ওসমান |
নির্মাতা: | হুডং শিপইয়ার্ড, সাংহাই |
নির্মাণের সময়: | ১৯৮৬ |
অভিষেক: | ডিসেম্বর ১৯৮৮ |
অর্জন: | ১৯৮৯ |
কমিশন লাভ: | ৭ নভেম্বর ১৯৮৯ |
ডিকমিশন: | ২০২০ |
কার্যসময়: | ১৯৮৯-২০২০ |
নিয়তি: | ভেঙ্গে ফেলা হয় |
টীকা: | পরিচিতি সংখ্যাঃ এফ১৮ |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
ওজন: |
|
দৈর্ঘ্য: | ১০৩.২ মিটার |
প্রস্থ: | ১০.৮০ মিটার |
প্রচালনশক্তি: |
দুইটি টাইপ ১২ ই ৩৯০ ভোল্ট ডিজেল ইঞ্জিন; ৭,৮৮৫ অশ্বশক্তি (৮৮০ কিলোওয়াট) ২টি শ্যাফট |
গতিবেগ: | ২৬+ নট |
সীমা: | ২,৭০০ মা (৪,৩০০ কিমি) ১৮ নটে |
লোকবল: | ১৬০ (২৭ জন কর্মকর্তা) |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
যান্ত্রিক যুদ্ধাস্ত্র ও ফাঁদ: | ওয়াচডগ; রাডার সতর্কীকরণ |
রণসজ্জা: |
|
বানৌজা ওসমান বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি রূপান্তরিত টাইপ ০৫৩এইচ১ ফ্রিগেট। এটি ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দেয়া প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত ফ্রিগেট। ইসলামের ৩য় খলিফায়ে রাশেদিন হযরত ওসমান (রাঃ) এর সম্মানার্থে এটির নামকরণ করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বানৌজা ওসমান নামক এই টাইপ ০৫৩এইচ১ ফ্রিগেটটি পুর্বে চিয়াং হান নামে পরিচিত ছিল যা চীনা নৌবাহিনীর দক্ষিণ সাগরীয় নৌবহরে মোতায়েন ছিল। ১৯৮৭ সালে চীনা নৌবাহিনীতে এটি কমিশন লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে জাহাজটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে বিক্রি করা হয়। এটিই বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দেয়া প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত ফ্রিগেট।
বৃত্তান্ত
[সম্পাদনা]বানৌজা ওসমান ৭ই নভেম্বর, ১৯৮৯ বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কমিশন লাভ করে। জাহাজটি বর্তমানে চট্টগ্রাম নৌঘাঁটিতে অবস্থান করছে । ২৫০ এর উপরে নৌকর্মী এই যুদ্ধ জাহাজে দায়িত্ব পালন করছে। এই ফ্রিগেটটি ২০০৮ সালের ১২ ই মে বঙ্গোপসাগরে সফলভাবে সি-৮০২এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়, যা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ইতিহাসে প্রথম।[১] জাহাজটি বর্তমানে বড় ধরনের উন্নয়ন করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে প্রচালন ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন ও নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ব্যবস্থা স্থাপন।
বানৌজা ওসমান লেবাননে জাতিসংঘের ইউএনআইএফআইএল মিশনে ১৭ মে ২০১০ থেকে ১৪ জুন ২০১৪ পর্যন্ত মোতায়েন ছিল। ১১ অগাস্ট ২০১৪, জাহাজটি দেশে ফিরে আসে।[২]
বানৌজা ওসমানের ২৫ বছরের কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ ১১ অক্টোবর ২০১৪ তাকে জাতীয় পতাকা প্রদান করা হয়।[৩]
৩১ বছর বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সেবা দেয়ার পর ২০২০ সালে জাহাজটিকে ডিকমিশন করা হয়। পরবর্তীতে একে ভেঙ্গে ফেলা হয়
অস্ত্রব্যবস্থা
[সম্পাদনা]এই যুদ্ধজাহজটি অত্যাধুনিক জাহাজবিধ্বংসী সি-৮০২এ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করত। পাশাপাশি এতে নৌ-কামান, টর্পেডো এবং ডুবোজাহাজবিধ্বংসী অস্ত্রও ছিল। এছাড়াও এটি ৬০টি নৌ-মাইন স্থাপন করতে পারত।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Minnick, Wendell (মে ১৪, ২০০৯)। "Bangladesh Navy Tests Chinese Anti-Ship Missile"। Defense News। Army Times। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৩, ২০০৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ http://www.kalerkantho.com/online/national/2014/08/11/116093/print[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৪।