কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দর
অবস্থান
দেশ ভারত
অবস্থানকাকদ্বীপ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ
বিস্তারিত
পরিচালনা করেপশ্চিমবঙ্গ মৎস্য দপ্তর
মালিকপশ্চিমবঙ্গ সরকার
পোতাশ্রয়ের ধরনমৎস্য বন্দর
উপলব্ধ নোঙরের স্থান
পরিসংখ্যান
জলযানের আগমন২০০ টি /প্রতিদিন

কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দর পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপে অবস্থিত। এটি ভারতের একটি গুরুত্ব পূর্ণ মৎস্য বন্দর। বন্দরটি বাম আমলে গড়ে ওঠে। এই বন্দরে প্রতিদিন উপকূল এলাকা ও গভীর সমুদ্র থেকে মাছ নিয়ে ট্রলার নোঙর করে।

অবস্থান[সম্পাদনা]

কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দর কাকদ্বীপে মুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কালনাগিনী খালে অবস্থিত। কলকাতা থেকে বন্দরটি প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[১]

বিবরণ[সম্পাদনা]

কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দর আসলে এমন একটি জায়গা যেখানে মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলারগুলি লোড, আনলোড এবং মেরামত এবং আশ্রয়ের জন্য একটি অ-সংগঠিত পদ্ধতিতে নোঙর করে। এই জায়গাটি মাছ ধরার কাজে সহায়তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চাহিদা রয়েছে এবং একই সাথে মাছ ব্যবসায় সংগঠিত করার জন্য। মৎস্য অধিদপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আধুনিক মাছ ধরার বন্দর নির্মাণ করে যার খরচের ৫০% ভারত সরকার এবং বাকি ৫০% রাজ্য সরকার দেয়। মন্ত্রী শ্রীযুক্ত কিরণময় নন্দা বন্দরটির সফলতা কামনা করেন। ব্রায়থ বার্ন নির্মাণ লিমিটেড (ভারতের সরকারের কলকাতায় অবস্থিত একটি সংস্থা) প্রকল্পের জন্য ঠিকাদার ছিল। প্রকল্পটির কনসালটেন্ট জি স্থলবিশেষ এবং অ্যাসোসিয়েটস, একটি স্থপতি সংস্থা, পশ্চিমবঙ্গে মাছ ধরার আশ্রয় প্রকল্পের জন্য অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। প্রকল্প পরিকল্পনা ও ডিজাইনের জন্য প্রধান ব্যক্তি গৌতম ব্যানার্জি, পপ্রধান স্থপতি। প্রকল্পটি ৬৫০ মিমি পুরু ডায়ফ্রার্রাম দেওয়ালের নির্মাণাধীন আরসিটি জেটি দ্বারা গঠিত। এই প্রদ্ধতির জেট ভূমি অংশের একটি দেয়াল প্রদানের জন্য প্রয়োগ করা হয় এবং এটি প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গে তথা ভারতে চালু হয়।

সমস্যা[সম্পাদনা]

বন্দরটির প্রচুর সম্ভবনা থাকলেও এটি সমস্যায় জর্জরিত। এর প্রধান সমস্যা হল কালনাগিনী খালের নাব্যতা হ্রাস। বন্দরটি তৈরির সময় কালনাগিনী খাল যথেষ্ট গভীর ছিল কিন্তু বন্দর নির্মানের কয়েক বছরের মধ্যে খালে পলি জমতে থাকে। এখন এই খালে জোয়ারের সময় ছাড়া অন্য সময় প্রায় জল থাকেনা ফলে মাছ বোঝাই ট্রলার বা জাহাজগুলি মুড়ি গঙ্গা নদীতে অপেক্ষা করে জোয়ারের জন্য। এই বন্দরে নেই কোনো বরফ কল যা মৎস বন্দরের অপরিহার্য অঙ্গ। জাহাজ মেরামতের জন্য নেই কোনো ড্রাই ডক। মাছ ধরা ট্রলার বা জাহাজ গুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য নেই ওয়ারলেস ব্যবস্থা।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সমস্যায় কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীরা লাগাতার ধর্মঘট বরফকলের শ্রমিকদের"। ৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬-০১-২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]