বিষয়বস্তুতে চলুন

আন্সেরিফর্মিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আন্সেরিফর্মিস
সময়গত পরিসীমা: অন্ত্য ক্রিটেশিয়াস–বর্তমান, ৬.৫–০কোটি
মান্দারিন হাঁস
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
উপপর্ব: মেরুদণ্ডী
শ্রেণী: পক্ষী
মহাবর্গ: গ্যালোয়ানসেরাই
বর্গ: Anseriformes
ওয়াগলার, ১৮৩১
উপদলসমূহ
আন্সেরিফর্মিস গোত্রভুক্ত পাখিদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি

আন্সেরিফর্মিস পাখিদের একটি বর্গ। প্রায় ১৫০ প্রজাতির পাখি এ বর্গের অন্তর্ভুক্ত। জীবিত পাখিদের তিনটি গোত্র এ বর্গের অন্তর্ভুক্ত। বর্গগুলো হল: আনিমিডাই, আন্সেরানাটিডাইঅ্যানাটিডাইহাঁস, রাজহাঁসমরালরা এ বর্গের অন্তর্গত।

এ বর্গের সব সদস্য জলবহুল অঞ্চলে বসবাস ও চলাচলের জন্য অভিযোজিত। এরা সহজে পানিতে সাঁতার কাটতে ও ভেসে থাকতে পারে। সহজে সাঁতার কাটার জন্য এদের সকলের পা লিপ্তপাদ

বিবর্তন

[সম্পাদনা]
শিল্পীর দৃষ্টিতে ড্রোমর্নিথিড

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পুরোন আন্সেরিফর্ম হল অধুনা আবিষ্কৃত ভেগাভিস। ক্রিটেশাস যুগে এরা পৃথিবীতে বসবাস করত।[] গ্যালোয়ানসেরাই মহাবর্গ ভেঙে গ্যালিফর্মিস (মুরগিজাতীয় পাখি) ও আন্সেরিফর্মিস (হাঁসজাতীয় পাখি) নামে দু'টি পৃথক বর্গের উদ্ভব হয়েছে। প্রাচীন জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ড্রোমর্নিথিড[] এবং সম্ভবত গ্যাস্টর্নিসদের সাথে আন্সেরিফর্মরা সম্পর্কিত। প্রাচীন আন্সেরিফর্মদের ঠোঁটের আকার-আকৃতি তাদের বংশধরদের ক্ষেত্রে খুব একটা বদলায়নি। এদের ঠোঁটের বিশেষ অভ্যন্তরীন গঠন ও জিহ্বার বিশেষ আকৃতি পুরো ঠোঁটকে একটি চোষকযন্ত্রে রূপ দেয়। যার ফলে ঠোঁটের আগা দিয়ে খুব সহজে পানি মুখের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে এবং মুখের দু'ধারে গড়িয়ে পড়তে পারে না। ল্যামেলাই নামক এক বিশেষ ফিল্টারে পানি ছাঁকা হয় এবং ক্ষুদ্র খাদ্যকণা তাতে লেগে থাকলে তা খাওয়া হয়। স্ক্রিমারদের ঠোঁটের গঠন হাঁসদের মত নয়, বরং মুরগির সাথে তাদের ঠোঁটের মিল বেশি। তাদের ঠোঁটেও ল্যামেলাই থাকে।

আন্সেরিফর্মদের সাধারণ গঠন প্রায় একই রকম। কেবল তাদের খাদ্যগ্রহণ কৌশল ভিন্ন। রাজহাঁস ঘাস-লতাপাতা খায়; করাতঠুঁটি হাঁস মাছ ধরে খায়; ডুবুরি হাঁসেরা ডুব দিয়ে শিকার ধরে। হাঁসেরা তুলনামূলক হালকা আর ছোটোখাটোো, রাজহাঁসেরা একটু ভারি আর বড়সড়। মরালদের বড় প্যাঁচানো গলা থাকে।

অন্তর্ভুক্ত গোত্রসমূহ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Clarke; ও অন্যান্য (২০০৫)। "Definitive fossil evidence for the extant avian radiation in the Cretaceous"। Nature433: 305–308। ডিওআই:10.1038/nature03150 
  2. Murray, P. F. & Vickers-Rich, P (২০০৪)। "Magnificent Mihirungs: The Colossal Flightless Birds of the Australian Dreamtime"। Indiana University Press