আন্তর্জাতিক নারী দিবস
আন্তর্জাতিক নারী দিবস | |
---|---|
পালনকারী | বিশ্বব্যাপী পুরুষ ও নারীগণ |
ধরন | আন্তর্জাতিক |
তাৎপর্য | জনসচেতনতা দিবস নারী ও কন্যা দিবস |
তারিখ | ৮ মার্চ (বার্ষিকভিত্তিতে) |
সম্পর্কিত | মা দিবস, বিশ্ব শিশু দিবস, আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস |
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ( পূর্বনাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস) প্রতি বছর মার্চ মাসের ৮ তারিখে পালিত হয়।[১] সারা বিশ্বব্যাপী একটি প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবস উদ্যাপন হয়ে থাকে। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদ্যাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদ্যাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়।
ফিলিস্তিনে নারী
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এই দিবসটি উদ্যাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধরা।বাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে। সারা বিশ্বের সকল দেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
আধুনিক সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]বিশ্বের অনেক দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। তন্মধ্যে - আফগানিস্তান,[২] আর্মেনিয়া,[৩] আজারবাইজান,[৪] বেলারুশ,[৫] বুরকিনা ফাসো,[৬] কম্বোডিয়া,[৭] কিউবা,[৮] জর্জিয়া,[৯] গিনি-বিসাউ,[২] ইরিত্রিয়া,[২] কাজাখস্তান,[১০] কিরগিজিস্তান,[১১] লাওস,[১২] মলদোভা,[১৩] মঙ্গোলিয়া,[১৪] মন্টেনিগ্রো, রাশিয়া,[২] তাজিকিস্তান,[২] তুর্কমেনিস্তান,[২] উগান্ডা,[২] ইউক্রেন,[২] উজবেকিস্তান,[১৫] ভিয়েতনাম[১৫] এবং জাম্বিয়া।[১৬]
এছাড়া, চীন,[১৭] মেসিডোনিয়া, মাদাগাস্কার,[১৮] নেপালে[২] শুধুমাত্র নারীরাই সরকারি ছুটির দিনভোগ করেন।
নারী দিবসে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য
[সম্পাদনা]বছর | জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য[১৯] | |||
---|---|---|---|---|
১৯৯৬ | অতীত উদ্যাপন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা | |||
১৯৯৭ | নারী এবং শান্তি | |||
১৯৯৮ | নারী এবং মানবাধিকার | |||
১৯৯৯ | নারী প্রতি সহিংসতামুক্ত পৃথিবী | |||
২০০০ | শান্তি স্থাপনে একতাবদ্ধ নারী | |||
২০০১ | নারী ও শান্তি : সংঘাতের সময় নারীর অবস্থান | |||
২০০২ | আফগানিস্তানের নারীদের বাস্তব অবস্থা ও ভবিষ্যৎ | |||
২০০৩ | লিঙ্গ সমতা ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা | |||
২০০৪ | নারী এবং এইহ আই ভি/ এইডস | |||
২০০৫ | লিঙ্গ সমতার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যত | |||
২০০৬ | সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী | |||
২০০৭ | নারী ও নারী শিশুর ওপর সহিংসতার দায়মুক্তির সমাপ্তি | |||
২০০৮ | নারী ও কিশোরীদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ | |||
২০০৯ | নারী ও কিশোরীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে নারী-পুরুষের একতা | |||
২০১০ | সমান অধিকার, সমান সুযোগ- সকলের অগ্রগতি | |||
২০১১ | শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণ | |||
২০১২ | গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সমাপ্তি | |||
২০১৩ | নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময় | |||
২০১৪ | নারীর সমান অধিকার সকলের অগ্রগতির নিশ্চয়তা | |||
২০১৫ | নারীর ক্ষমতায়ন ও মাবতার উন্নয়ন | |||
২০১৬ | অধিকার মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান[২০][২১] | |||
২০১৭ | নারী-পুরুষ সমতায় উন্নয়নের যাত্রা, বদলে যাবে বিশ্ব কর্মে নতুন মাত্রা। | |||
২০১৮ | সময় এখন নারীর: উন্নয়নে তারা, বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরের কর্ম-জীবনধারা | |||
২০১৯ | সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো[২২] | |||
২০২০ | প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারী অধিকার | |||
২০২১ | করোনাকালে নারী নেতৃত্ব গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব | |||
২০২২ | যত্নসই আগামীকালের জন্য আজ লিঙ্গ সমতা | ২০২৩
ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন। (DG)|- |
২০২৪
নারীতে বিনিয়োগ: অগ্রগতি ত্বরান্বিত করুন|-} তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা] |