বিষয়বস্তুতে চলুন

ইয়ান থমসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Ian Thomson (cricketer) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ইয়ান থমসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
নরম্যান ইয়ান থমসন
জন্ম(১৯২৯-০১-২৩)২৩ জানুয়ারি ১৯২৯
ওয়ালসল, স্টাফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১ আগস্ট ২০২১(2021-08-01) (বয়স ৯২)
হেনফিল্ড, ওয়েস্ট সাসেক্স, ইংল্যান্ড
উচ্চতা৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪২৬)
৪ ডিসেম্বর ১৯৬৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪২৫
রানের সংখ্যা ৬৯ ৭,১২০
ব্যাটিং গড় ২৩.০০ ১৪.৭৪
১০০/৫০ –/– –/১৩
সর্বোচ্চ রান ৩৯ ৭৭
বল করেছে ১,৪৮৮ ৮৮,৬৬২
উইকেট ১,৫৯৭
বোলিং গড় ৬৩.১১ ২০.৫৮
ইনিংসে ৫ উইকেট ৭৩
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৫৫ ১০/৪৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/– ১৩৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ নভেম্বর ২০২০

নরম্যান ইয়ান থমসন (ইংরেজি: Ian Thomson; জন্ম: ২৩ জানুয়ারি, ১৯২৯ - মৃত্যু: ১ আগস্ট, ২০২১) স্টাফোর্ডশায়ারের ওয়ালসল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ইয়ান থমসন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

স্টাফোর্ডশায়ারের ওয়ালসল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইয়ান থমসন মিডিয়াম-ফাস্ট ডানহাতি সুইং ও সিম বোলার ছিলেন। বলে নিখুঁতভাব বজায়সহ ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী বজায় রাখতেন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ইয়ান থমসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বিশ্বস্ত মিডিয়াম-ফাস্ট সিম বোলারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী হিসেবে বলকে পর্যাপ্ত বাউন্স আনয়ণে সক্ষমতা দেখান। পাশাপাশি, সবুজ কিংবা পোতানো পিচেও সাফল্যতা লাভ করেছেন।

১৯৫২ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত চৌদ্দ মৌসুম সাসেক্সের বোলিং আক্রমণের প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। এ পর্যায়ে প্রথম ও শেষ মৌসুম বাদে প্রত্যেক মৌসুমেই শতাধিক উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন।[] দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাকে আন্তর্জাতিক খেলার জন্যে মনোনীত করা হয়। কাউন্টি ক্রিকেটে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ নিজস্ব ৩৬তম জন্মদিন উদযাপনের এক সপ্তাহ পূর্বে টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন।[]

থমসনের খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে প্রথমবারের মতো একদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৬৪ সালের জিলেট কাপের চূড়ান্ত খেলায় সাসেক্স দল ওয়ারউইকশায়ারকে পরাজিত করে। ইনসুইঙ্গার সহযোগে ৪/২৩ নিয়ে জিলেট কাপের দ্বিতীয় আসরের চূড়ান্ত খেলায় সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ডোনাল্ড কারের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান গমন করেছিলেন। ঐ সফরে কেবলমাত্র অনানুষ্ঠানিক টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু তার একটিতেও তার অংশগ্রহণ ছিল না। কেবলমাত্র চারটি গুরুত্বহীন খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ইয়ান থমসন। সবগুলো টেস্টই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৪ তারিখে ডারবানে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে এম. জে. কে. স্মিথের নেতৃত্বাধীন মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমণার্থে তাকে রাখা হয়। ঐ সফরের পাঁচ টেস্টের সবকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। ফ্রেড টিটমাসডেভিড অ্যালেনের ন্যায় স্পিনার অধিকাংশ উইকেট লাভ করায় তাকে প্রায়শঃই সংরক্ষিত বোলার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আঘাতগ্রস্ত দলে স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণকর্মে নিয়োজিত কেন পালমারকে সফররত দলটিতে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি জিওফ্রে বয়কটকেও বোলিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পাঁচ টেস্টে অংশ নিয়ে তিনি ৬৩.১১ গড়ে নয় উইকেট পেয়েছিলেন। কেবলমাত্র বয়কটের তুলনায় চারটি উইকেট বেশি পেয়েছিলেন তিনি।

১৯৬৫ সাল শেষে ইয়ান থমসন অবসর গ্রহণ করেন।[] অবশ্য, ১৯৭২ সালে তিনি আরও দুইটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ পর্যায়ে সাসেক্স দল আঘাতজনিত সমস্যায় জর্জড়িত ছিল। ১৯৬১ সালে ২০-এর অধিক গড়ে ৭৮০ রান তুলেন। অন্যান্য বছরগুলোর কয়েকটিতে পাঁচ শতাধিক রান তুলেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 172আইএসবিএন 1-869833-21-X 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]