মানকচু
এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। (জুন ২০২০) অনুবাদ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী পড়ার জন্য [দেখান] ক্লিক করুন।
|
Alocasia macrorrhizos | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
বিভাগ: | Tracheophyta |
শ্রেণী: | Liliopsida |
বর্গ: | Alismatales |
পরিবার: | Araceae |
গণ: | Alocasia |
প্রজাতি: | A. macrorrhizos |
দ্বিপদী নাম | |
Alocasia macrorrhizos (L.) G.Don[১] | |
প্রতিশব্দ[১] | |
তালিকা
|
মানকচু (বৈজ্ঞানিক নাম: Alocasia macrorrhizos) অরাম পরিবারের (Araceae) একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ প্রজাতি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, নিউ গিনি এবং কুইন্সল্যান্ড দ্বীপের অতিবৃষ্টি অরণ্য মানকচুর আদি জন্মস্থান।[২] এটি দীর্ঘকাল ধরে ফিলিপাইন, বিভিন্ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ এবং অন্যান্য গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে চাষ করা হচ্ছে।
বাংলায় এটি মানকচু নামেই বহুল পরিচিত। তবে অঞ্চলভেদে অন্যান্য নামও পাওয়া যায়। যেমন উত্তরবঙ্গে এটি ফ্যানকচু নামে পরিচিত। ইংরেজিতে মানকচু দানব কচু (Giant Taro)[৩] , দানব অ্যালোকাসিয়া (Giant Alocasia) নামে পরিচিত এবং অস্ট্রেলিয়ায় 'cunjevoi'[৪] নামে পরিচিত (একই শব্দ সামুদ্রিক প্রাণীকেও বোঝায়)।
উৎপত্তি
[সম্পাদনা]মানকচু মূলত ফিলিপাইনে চাষোপযোগী করা হয়, তবে তাইওয়ানের বুনো জাত থেকেই আদি অস্ট্রোনেশীয়রা মানকচুর সাথে পরিচিত হয়। ফিলিপাইন থেকে এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাকী অংশ এবং পূর্ব দিকে ওশেনিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের প্রধান ফসলে পরিণত হয়।[৫][৬] অস্ট্রোনেশীয়রা শর্করা উৎস হিসাবে যে চারটি প্রধান কচুর প্রজাতি চাষ করে তার মধ্যে মানকচু একটি। অন্যগুলো হলো Amorphophallus paeoniifolius, Colocasia esculenta এবং Cyrtosperma merkusii। প্রতিটির একাধিক চাষের জাত রয়েছে। এগুলির পাতা এবং ডাঁটা ভালভাবে রান্না করা হলে খাওয়া যায়, যদিও পুরো মানকচুর কম অংশই খাওয়া হয় কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে রাইফাইড (Raphide) রয়েছে যা গলা চুলকানির কারণ হয়ে থাকে।[৭][৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Alocasia macrorrhizos"। World Checklist of Selected Plant Families। Royal Botanic Gardens, Kew। ২০১২-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-৩০।
- ↑ "Alocasia macrorrhizos". World Checklist of Selected Plant Families. Royal Botanic Gardens, Kew. Retrieved 2016-09-30.
- ↑ "Alocasia macrorrhizos" (ইংরেজি ভাষায়)। ন্যাচারাল রিসোর্সেস কনসারভেশন সার্ভিস প্ল্যান্টস ডেটাবেস। ইউএসডিএ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-৩০।
- ↑ "Alocasia macrorrhizos"। জার্মপ্লাজম রিসোর্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (জিআরআইএন)। কৃষি গবেষণা পরিসেবা (এআরএস), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-২৩।
- ↑ Osmond, Meredith (১৯৯৮)। "Horticultural practices" (পিডিএফ)। Ross, Malcolm; Pawley, Andrew; Osmond, Meredith। The lexicon of Proto Oceanic : The culture and environment of ancestral Oceanic society। Vol. 1: Material Culture। Pacific Linguistics। পৃষ্ঠা 115–142। ডিওআই:10.15144/PL-C152.115।
- ↑ Nauheimer, Lars; Boyce, Peter C.; Renner, Susanne S. (এপ্রিল ২০১২)। "Giant taro and its relatives: A phylogeny of the large genus Alocasia (Araceae) sheds light on Miocene floristic exchange in the Malesian region"। Molecular Phylogenetics and Evolution। 63 (1): 43–51। ডিওআই:10.1016/j.ympev.2011.12.011। পিএমআইডি 22209857।
- ↑ Manner, Harley I. (২০০৬)। "Farm and Forestry Production Marketing Profile for Giant Tao (Alocasia macrorrhiza)" (পিডিএফ)। Elevitch, Craig R.। Specialty Crops for Pacific Island Agroforestry। Permanent Agricultural Resource (PAR)।
- ↑ Matthews, Peter J. (১৯৯৫)। "Aroids and the Austronesians"। Tropics। 4 (2/3): 105–126। ডিওআই:10.3759/tropics.4.105 ।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিমিডিয়া কমন্সে Alocasia macrorrhizos সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।