হেমিসেলুলোজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হেমিসেলুলোজ এক ধরণের জৈব রাসায়নিক পলিমার ( পলিওজ নামেও পরিচিত) যা প্রায় প্রতিটি কোষ প্রাচীরেই সেলুলোজের সাথে উপ্রস্থিত থাকে, যেমনঃ অ্যারাবিনোজাইল্যান। সেলুলোজ একটি স্ফটিকাকার, আর্দ্র বিশ্লেষণ প্রতিরোধী জৈব যৌগ। তবে হেমিসেলুলোজ সাধারণত শাখায়িত হয়ে থাকে, কিন্তু এদের শিকলের দৈর্ঘ্য সেলুলোজের তুলনায় কম হয় এবং এদেরও স্ফটিক তৈরী করার প্রবণতা দেখা যায়। হেমিসেলুলোজগুলোকে আর্দ্রবিশ্লেষন করা যায় লঘু অম্ল, লঘু ক্ষারক এবং অসংখ্য হেমিসেলুলোজেজ এনজাইন দ্বারা।

গঠন[সম্পাদনা]

অসংখ্য ধরণের হেমিসেলুলোজ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ উদাহরন হল, জাইল্যান, গ্লুকুরোনোজাইল্যান, অ্যারাবিনোজাইল্যান, গ্লুকোমান্নান এবং জাইলোগ্লুক্যান।

হেমিসেলুলোসগুলি প্রায়শই সেলুলোজের সাথে যুক্ত পলিস্যাকারাইড, তবে তাদের আছে স্বতন্ত্র মিশ্রণ এবং গঠনকাঠামো। যেখানে সেলুলোজ একচেটিয়াভাবে গ্লুকোজ থেকে উদ্ভূত হয়, হেমিসেলুলোজগুলি বিভিন্ন শর্করার সমন্বয়ে গঠিত এবং এতে পাঁচ-কার্বন শর্করা জাইলোজ এবং অ্যারাবিনোস, ছয়-কার্বন শর্করা গ্লুকোজ, ম্যানোজ এবং গ্যালাকটোজ এবং ছয়-কার্বন ডিঅক্সি সুগার রামনোজ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। হেমিসেলুলোসে বেশিরভাগ ডি-পেন্টোজ সুগার থাকে এবং মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণে এল-সুগারও থাকে। জাইলোজ এর মনোমার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে, যদিও নরম কাঠগুলোতে ম্যানোজ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকতে পারে। হেমিসেলুলোজে কেবল নিয়মিত শর্করাই পাওয়া যায় না, তবে তাদের অ্যাসিডিফাইড ফর্মগুলিও পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ গ্লুকুরোনিক অ্যাসিড এবং গ্যালাক্টুরোনিক অ্যাসিড থাকতে পারে।

সেলুলোজের সাথে কাঠামোগত তুলনা[সম্পাদনা]