হিমবত
| হিমবত | |
|---|---|
হিমালয়ের অবয়ব | |
 হিমালয় পর্বতমালা | |
| দেবনাগরী | हिमवत् |
| আবাস | হিমালয় |
| ব্যক্তিগত তথ্য | |
| মাতাপিতা | |
| সহোদর | জাম্ববান, নারদ |
| সঙ্গী | মেনা |
| সন্তান | গঙ্গা পার্বতী মীনাক ক্রঞ্জ[১] |
হিমবত (সংস্কৃত: हिमवत्) বা হিমবন্ত বা হিমবান বা হিমরাজা বা পর্বতেশ্বর হল হিমালয় পর্বতমালার মূর্তি, যা "হিমবত পর্বত" নামেও পরিচিত। তিনি হলেন প্রাচীন ভারতের হিমালয় পর্বতমালার অভিভাবক ঈশ্বর, যা মহাকাব্য মহাভারতে উল্লেখ পাওয়া যায়।[২]
কিংবদন্তি[সম্পাদনা]
হিমবত গঙ্গা, রাগিনী,[৩] এবং পার্বতীর জন্ম দেন। তার স্ত্রী এবং রানী সহধর্মিণী হলেন বৈদিক দেবী ময়নাবতী বা দেবী মেনকা, মেরু পর্বতের কন্যা,[৪] রামায়ণ অনুসারে, বা স্বধা এবং তার স্বামী কবী এর কন্যা, পিতৃ শ্রেণীর সদস্য, বিষ্ণুপুরাণের মত অন্যান্য কিছু সূত্র অনুসারে।
শিবপুরাণ হিমবত ও মেনকার মধ্যে বিবাহের বর্ণনা দেয়।[৫] দেবীগীতার পবিত্র পাঠ, যা দেবীভাগবত পুরাণের সপ্তম স্কন্ধের শেষ নয়টি অধ্যায়ে (৩১-৪০) পাওয়া যায়, হল পার্বতী এবং তার পিতা হিমবতের মধ্যে কথোপকথন। এটি দেবীর সার্বজনীন রূপ, উপনিষদের প্রধান গ্রন্থের ধ্যান, অষ্টাঙ্গযোগ, জ্ঞানযোগ, কর্ম ও ভক্তি, দেবীকে উৎসর্গীকৃত মন্দিরগুলির অবস্থান এবং তার পূজা সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠানগুলি নিয়ে কাজ করে।
ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ ও কেন উপনিষদেও তাঁর গল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়।[৬]
কৃষ্ণ একবার হিমবতকে সন্তুষ্ট করার জন্য হিমালয়ের চূড়ায় তপস্যা করেছিলেন, যার ফলে তার জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রদ্যুম্ন তার প্রিয় স্ত্রী রুক্মিণীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৭]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Himavan, Himavān: 10 definitions, wisdomlib.org
- ↑ www.wisdomlib.org (২০১৭-০৩-০৮)। "Himavat: 15 definitions"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২১।
- ↑ Jones, Constance; Ryan, James D. (২০০৬-০১-০১)। Encyclopedia of Hinduism (ইংরেজি ভাষায়)। Infobase Publishing। আইএসবিএন 9780816075645।
- ↑ Wilkins, p. 287
- ↑ www.wisdomlib.org (২০১৮-১০-০৪)। "The marriage of Himācala [Chapter 1]"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২১।
- ↑ Kena Upanisad, III.11-IV.3, cited in Müller and in Sarma, pp. xxix-xxx.
- ↑ www.wisdomlib.org (২০১৯-০১-২৮)। "Story of Himavān"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২১।
উৎস[সম্পাদনা]
- W. J. Wilkins (২০০৩)। Hindu Gods and Goddesses। Courier Dover Publications। আইএসবিএন 0486431568।
- Dictionary of Hindu Lore and Legend (আইএসবিএন ০-৫০০-৫১০৮৮-১) by Anna Dallapiccola.