সুব্বারমণ বিজয়লক্ষ্মী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুব্বারমণ বিজয়লক্ষ্মী
২০১৮ সালে সুব্বারমণ বিজয়লক্ষ্মী
দেশ ভারত
জন্ম (1979-03-25) ২৫ মার্চ ১৯৭৯ (বয়স ৪৫)
মাদ্রাজ, ভারত
খেতাবআন্তর্জাতিক মাস্টার (২০০১)
মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার (২০০১)
ফিদে রেটিং২৩৩২ (মার্চ ২০২০)
সর্বোচ্চ রেটিং২৪৮৫ (অক্টোবর ২০০৫)

সুব্বারমন বিজয়লক্ষ্মী (জন্ম ২৫শে মার্চ ১৯৭৯) হলেন একজন ভারতীয় দাবা খেলোয়াড়। তিনি একজন আন্তর্জাতিক মাস্টার (আইএম) এবং মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার (ডব্লিউজিএম) এর ফিদে খেতাবের (আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন) অধিকারী। ভারতের প্রথম মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে তিনি এই খেতাব অর্জন করেছেন।[১] তিনি দাবা অলিম্পিয়াডে ভারতের হয়ে অন্য যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি পদক জিতেছেন। তিনি সিনিয়র শিরোপা সহ প্রায় সব জাতীয় বয়সের শিরোপা জিতেছেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তিনি মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২] তিনি নিজের বাবার কাছ থেকে খেলা শিখেছিলেন। তিনি ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার শ্রীরাম ঝাকে বিয়ে করেছেন। তাঁর বোন সুব্বারমন মীনাক্ষী (জন্ম ১৯৮১) এবং এস. ভানুপ্রিয়াও দাবা খেলোয়াড়। এর মধ্যে মীনাক্ষী হলেন একজন ডব্লিউজিএম।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তাঁর প্রথম টুর্নামেন্ট ছিল ১৯৮৬ সালে তাল মুক্ত দাবা। ১৯৮৮ এবং ১৯৮৯ সালে তিনি অনূর্ধ ১০ মেয়েদের বিভাগে ভারতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। এছাড়াও অনূর্ধ ১২ বিভাগে তিনি দুবার জিতেছেন।

মাদ্রাজের জোন টুর্নামেন্টে (১৯৯৫) তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে তেহেরান এবং ১৯৯৯ সালে মুম্বাইতে এশিয়ান জোন টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন। ১৯৯৬ সালে কলকাতায় তিনি কমনওয়েলথ মহিলা চ্যাম্পিয়ন হন। এই শিরোপাটি তিনি ২০০৩ সালে মুম্বাইতে আবার জিতেছিলেন।[৩] বিজয়লক্ষ্মী ১৯৯৫ (মাদ্রাজ), ১৯৯৬ (কলকাতা), ১৯৯৯ ( কোঝিকোড় ), ২০০০ (মুম্বাই), ২০০১ (নতুন দিল্লি ) এবং ২০০২ ( লখনৌ ) ভারতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। তিনি ১৯৯৮ সালে ভারতীয় জাতীয় দলের সাথে মহিলা দাবা অলিম্পিয়াডে অংশ নেন। ২০০০ সালে, ইস্তাম্বুলে ৩৪ তম দাবা অলিম্পিয়াডে তিনি বোর্ড ১ এ তাঁর পারদর্শিতার জন্য একটি রৌপ্য পদক পেয়েছিলেন। ২০০২ সালে ব্লেডে এরই পুনরাবৃত্তি হয়েছিল। ২০০৭ সালে, তিনি ইতালির কুত্রোতে লিওনার্দো ডি বোনা মেমোরিয়াল জিতেছিলেন।

১৯৯৬ সালে চেন্নাইতে ফিদে জোনাল টুর্নামেন্টে তাঁর ফলাফলের জন্য তাঁকে ওম্যান ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার (ডব্লিউআইএম) খেতাব দেওয়া হয়। ২০০১ সালে, তিনি মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার (ডব্লিউজিএম) খেতাব অর্জনকারী প্রথম ভারতীয় মহিলা হয়েছিলেন। দাবা অলিম্পিয়াড ২০০০-এ তাঁর ফলাফলের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক মাস্টার (আইএম) খেতাবও পেয়েছেন। তিনিই প্রথম মহিলা ভারতীয় খেলোয়াড় যিনি আইএম হয়েছেন। ২০০৬ সালে কালামারিয়াতে তিনি একটি গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম অর্জন করেছিলেন এবং ২০০৭ সালেও কুট্রোতে তাঁর জয়ের জন্য আরেকটি গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম পেয়েছিলেন।

২০০৫ সালের জুলাই মাসে তিনি বিয়েল অ্যাকসেন্টাস লেডিস টুর্নামেন্টে খেলেন, যেখানে তিনি সাড়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন, যা টাই-ব্রেকে বিজয়লক্ষ্মীকে পরাজিত করা আলমিরা স্ক্রিপচেঙ্কোর সমান স্কোর ছিল।[৪] জার্মানিতে ২০০৬ সালে তিনি নুরেমবার্গে এলজিএ ওপেনে অংশ নেন এবং ২০০৬ / ২০০৭ সালে তিনি এনআরডব্লিউ প্রতিযোগিতায় ব্র্যাকওয়েডার এসসি-র হয়ে খেলেন।

২০১৬ সালে বিজয়লক্ষ্মী ৮ম চেন্নাই ওপেনে রাশিয়ান গ্র্যান্ডমাস্টার বরিস গ্র্যাচেভের সাথে যুগ্মভাবে ২য় - ৩য় স্থানে ছিলেন।[৫]

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

২০০১ সালে ভারত সরকার তাঁকে অর্জুন পুরস্কার দেয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sagar Shah (২৫ মার্চ ২০১৫)। "Vijayalakshmi, India's first WGM"। ChessBase। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৫ 
  2. D.K. Bharadwaj (13 May 2003). "A big boom in the brain game". Press Information Bureau, Government of India.
  3. Crowther, Mark (২৮ এপ্রিল ২০০৩)। "TWIC 442: Commonwealth Chess Championships"। The Week in Chess। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Volokitin, Gelfand win Biel GM Tournament"। ChessBase। ২৮ জুলাই ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৫ 
  5. "8th Chennai Open International Grandmaster Chess tournament 2016"। FIDE। ২৭ জানুয়ারি ২০১৬। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]