সুপারহিরো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এমএলজে কমিকসের ১৯৪০ দশকের সুপারহিরো ব্লাক হুড

আধুনিক জনপ্রিয় কল্পকাহিনীতে সুপারহিরো (মাঝেমধ্যে লেখা হয় “সুপার-হিরো” বা “সুপার হিরো” হিসাবে) হচ্ছে এক ধরনের পোশাকপরা বীরত্বপূর্ণ চরিত্র যে অতিপ্রাকৃত বা অতিমানবীয় শক্তি ধারণ করে রাখে এবং যে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করে, জনগণকে রক্ষা করে এবং সাধারণত সুপারভিলেনের সাথে লড়াই করে। একজন নারী সুপারহিরোকে একজন সুপারহিরোইন (একেও লেখা হয় “সুপার-হিরোইন” বা “সুপার হিরোইন” হিসাবে) নামেও ডাকা হয়। কল্পকাহিনী এমন চরিত্রকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কমিক্স বইগুলোতে ১৯৩০ এর দশক থেকে যেটি “সুপারহিরো ফিকশন” নামে পরিচিত।

বেশিরভাগ সংজ্ঞায়, চরিত্রগুলোর আসলে কোন অতিপ্রাকৃত বা অতিমানবিক শক্তি বা ঘটনার দরকার হয় না সুপারহিরো হতে।[১][২][৩] যেখানে অভিধানিক অর্থে সুপারহিরো হচ্ছে একটি প্রতীক বিশেষ করে কমিক বা কার্টুনের মধ্যে, অন্বিত করা হয় অতিমানবীয় শক্তি দ্বারা এবং সাধারণত চিত্রিত করা হয় খারপ দুষ্টু বা অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করছে,[৪] দীর্ঘকালস্থায়ী মরিয়ম-ওয়েভস্টার অভিধান সংজ্ঞা প্রধান করে-“ একজন কাল্পনিক হিরো যার অসাধারণ বা অতিমানবীয় শক্তি আছে এছাড়াও বিশেষভাবে অভিজ্ঞ বা সফল ব্যক্তি।”[৫] পরিভাষা হিসাবে যেমন অপরাধী বিরুদ্ধে লড়াইকারী মুখোশধারী বা মুখোশধারী পাহারাদারকারী ব্যক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় চরিত্রগুলোকে বর্ণনা করতে যেমন “দা স্পিরিট”কে কখনো সুপারহিরো হিসাবে বর্ণনা করা হয় না।

কিছু সুপারহিরো তাদের শক্তি ব্যবহার করে প্রতিদিনের অপরাধসমূহ দমন করে এছাড়াও মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ সুপারভিলেনদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যারা তাদের অপরাধীর প্রতিরূপ। মাঝেমধ্যে এদের মধ্যে একজন সুপারভিলেন হয়ে উঠবে সুপারহিরোর প্রধান শত্রু। দীর্ঘদিন ধরে চলা সুপারহিরো যেমন সুপারম্যান, ব্যাটম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকা আয়রন ম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান এবং স্পাইডার-ম্যান এর একটি দুর্বৃত্তদের সংক্রমণিকা আছে অসংখ্য ভিলেনের।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাথমিক ইতিহাস[সম্পাদনা]

সুপারহিরো শব্দটি তারিখ নির্দেশ করে ১৯১৭ এ।[৬] পূর্ববর্তি আদিরুপের মধ্যে পড়ে লোকজগাঁতা এর হিরো রবিন হুড যে দুঃসাহসিক অভিযান করত আলাদা বৈশিষ্ঠপূর্ণ পোশাকে।[৭] ১৯০৩ এর নাটক “দা স্কারলেট পিম্পারনেল” যেটি জনপ্রিয়তা এনে দেয় মুখোশধারী যোদ্ধার এবং পরিচয় গোপন রেখে চলা সুপারহিরোর।[৭] এর কিছুদিন পরেই মুখোশধারী এবং ভিন্ন পোশাকধারী চরিত্রদের আবির্ভাব ঘটে কথা-সাহিত্যে যেমন জরো (১৯১৯) বা দা শ্যাডো (১৯৩০) এবং কমিক্স হিরোদের যেমন দা ফ্যানথম (১৯৩৬) আবির্ভাব শুরু হয়, এছাড়াও সাধারণ পোশাকের হিরো যারা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন যেমন পাতরুজু (১৯২৮), পপাই (১৯২৯) এবং লেখক ফিলিপ ওয়াইল এর নায়ক হুগো ড্যানার (১৯৩০)[৮]

১৯৩০ দশকের প্রবণতা শুরু হয় গোড়ার দিককার অতিশক্তিশালী পোশাকধারী হিরো যেমন জাপানের অজোন ব্যাট[৯][১০] (দৃষ্টিগোচর করে প্যানেলে আঁকা ব্যবহৃত হয় কামিশিবাই জাপানের গল্পকথক দ্বারা ১৯৩১ সাল থেকে), মান্দ্রাকে দা ম্যাজিশিয়ান[১১][১২][১৩] (১৯৩৪), ১৯৩৮ সালে ডিসির সুপারম্যান এবং ১৯৩৯ সালে ডিসির ক্যাপ্টেন মার্বেল প্রকাশ পেয়ে কমিক্স বইয়ে সোনালী দিনের যাত্রা শুরু করে।

১৯৪০ এর দশক[সম্পাদনা]

ফক্স ফিচার সিন্ডিকেটের ১৯৩০-১৯৪০ দশকের সুপারহিরো ফ্লেইম

১৯৪০ এর দশকে অসংখ্য সুপারহিরো ছিল এবং এদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন নারী ছিল। দা ফ্ল্যাশ, গ্রীন ল্যান্টার্ন এবং ব্লু বীটল এর যাত্রা শুরু হয় এই যুগে। এই যুগ দেখে প্রথম নারী সুপারহিরো লেখক-শিল্পী ফ্লেচার হ্যাংকস এর চরিত্র ফ্যান্তোমাহ, একজন বয়সহীন মিশরী নারী আধুনিক দিনে যে পরিবর্তিত হতে পারে খুলিপূর্ণ মুখের জীবে সাথে দুষ্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করার উচ্চশক্তি, সে ফিকশন হাউজের “জঙ্গল কমিক্স #২” এ প্রথম আবির্ভাবিত হয় ১৯৪০ এর ফেব্রুয়ারিতে, ছদ্মনামে লেখার স্বীকৃত দেয়া হয় “ব্রাসলি ফ্লাগ”কে।[১৪][১৫] “দা ইনভিসবল স্কার্লেট অ’নেইল” একটি আলাদা পোশাকবিহীন চরিত্র যে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং যুদ্ধের সময় অন্তর্ঘাত করে অদৃশ্য হওয়ার উচ্চশক্তি দ্বারা যেটি তৈরি করেন রাসেল স্টাম যার আবির্ভাব হয় সিন্ডিকেট পত্রিকার কমিক ফালাতে কয়েক মাস পরেই জুন ৩, ১৯৪০ সালে।[১৬]

একটি অতিবক্ষমতাশালী চরিত্র চিত্রিত করা হয়েছিল খলনায়িকা হিসাবে, সেসময় অনুযায়ী যা ছিল বিরলঃ দা ব্লাক উইডো, যে শয়তানের চরদের পোশাক পড়ে এবং খারাপলোকদের হত্যা করে যাতে তারা নরখে যায়,- এর আবির্ভাব হয়েছিল আগস্ট ১৯৪০ এর মিস্টিক কমিক্স #৪ এ, তৈরি করেছিল টাইমলি কমিক্স, যেটি ১৯৪০ দশকের বর্তমান মার্বেল কমিক্সের পূর্বপুরুষ। অন্যান্য নারী অপরাধ-বিরোধীরা সেসময় উচ্চক্ষমতার ঘাটতি ছিল। প্রসিদ্ধ চরিত্রগুলোর মধ্যে ছিল দা উম্যান ইন রেড[১৭][১৮] যেটি পরিচয় করে দিয়েছিল স্ট্যান্ডার্ড কমিকস থ্রিলিং কমিকস #২ (মার্চ ১৯৪০); লেডি লাক, রবিবারের পত্রিকায় দা স্পিরিট অনুচ্ছেদে আবির্ভাব ঘটে জুন ২ ১৯৪০ থেকে, হাস্যরসাত্নক চরিত্র রেড টর্নাডো, আবির্ভাব ঘটে অল-আমেরিকান কমিক্স #২০ (নভেম্বর ১৯৪০), মিস ফিউরি[১৯] আবির্ভাব ঘটে কমিক কলামে একজন নারী কার্টুনিস্ট ট্রাপি মিলস দ্বারা এপ্রিল ৬, ১৯৪১ এ, দা ফ্যান্টম ল্যাডি পরিচয় করিয়ে দেয় কোয়ালিটি কমিক্স পুলিশ কমিক্স #১ (আগস্ট ১৯৪১), দা ব্লাক ক্যাট[২০][২১] পরিচয় করিয়ে দেয় হার্ভে কমিক্স পকেট কমিক্স#১ (আগস্ট ১৯৪১); এবং ব্লাক ক্যানারি পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ফ্ল্যাশ কমিক্স #৮৬ (আগস্ট ১৯৪৭) এ একজন পার্শ্ব চরিত্রে।[২২] সবচেয়ে অসাধারণ কমিক বইয়ের সুপারহিরোইন যার আবির্ভাব স্বর্ণ যোগে হয়েছিল সেটি হচ্ছে “ওয়ান্ডার ওম্যান”[২৩] গ্রীক পুরাণের অ্যামাজন্স থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চরিত্রটি তৈরি করেন মনোবিজ্ঞানী উইলিয়াম মাউল্টেন মার্টসন, তাকে সাহায্য ও অনুপ্রাণিত করেন তার স্ত্রী এলিজাবেথ এবং উভয়ের বন্ধু অলিভ বাইরণ।[২৪][২৫] ওয়ান্ডার ওম্যান এর প্রথম আগমণ ঘটে অল স্টার কমিকস #৮ (ডিসেম্বর ১৯৪১) এ প্রকাশ করে অল-আমেরিকান পাবলিকেশন, দুইটি প্রতিষ্ঠানের একটি যেটি পরবর্তিতে ডিসি কমিক্সের সাথে যুক্ত হয় ১৯৪৪ সালে।

১৯৫০ এর দশক[সম্পাদনা]

১৯৫২ সালে, অসামো টেযুকার মাঙ্গা “টেটসোয়ান এটম” (পাশ্চাত্যে যেটি ‘এস্ট্রো বয়’ নামে জনপ্রিয়) প্রকাশ পায়। সিরিজটি কেন্দ্রীভূত করে একটি রোবট বালক যেটি একজন বিজ্ঞানী তৈরি করেন তার মৃত বালকের জায়গা পূরণ করতে। একটি অসম্পূর্ণ রোবট থেকে তৈরি করা হয়েছিল যেটি মূলত সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল এস্ট্রো বয় অসাধারণ ক্ষমতা ধারণ করে যেমন তার পায়ে রকেট ইঞ্জিনের দ্বারা সে উড়তে পারে এবং তার দেহে অবিশ্বাস্য যান্ত্রিক শক্তি রয়েছে।

১৯৫০ দশক কমিক্সের রুপালী যোগ দেখেছে। সেই যুগে ডিসি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ব্যাটওম্যান ১৯৫৬ সালে, সুপারগার্ল, মিস এরোওয়েত্তে এবং ব্যাটগার্ল; সকল সুপারহিরোর নারী শিক্ষাদীক্ষিক। ১৯৫৮ দেখেছে জাপানী টেলিভিশনে সুপারহিরো মুনলাইট মাস্ক এর আবির্ভাব।

১৯৬০ এর দশক[সম্পাদনা]

১৯৬০ দশকের প্রথম দিকের মার্বেল কমিক্স দল প্রতীকস্বরূপ একজন (এবং একমাত্র) নারী সদস্য যুক্ত করে, অনেকটা ডিসির সুপারহিরো দল জাস্টিস লীগ অব আমেরিকা (যাতে নারী প্রধান চরিত্র ছিল ওয়ান্ডার ওম্যান) অনুকরণে, উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ফ্যান্টাসটিক ফোরের ইনভিসিবল গার্ল, এক্স-ম্যান এর জিন গ্রে (আসলভাবে মার্বেল গার্ল নামে পরিচিত), এভেঞ্জারের ওয়াসপ এবং ব্রাদারহুড মিউট্যান্ট এর স্কার্লেট উইচ (যে পরবর্তিতে এভেঞ্জারে যুক্ত হয়)। ১৯৬৩ সালে এস্ট্রো বয় ধার নেয়া হয় একটি সম্পূর্ণভাবে অনুপ্রাণিত আনিমে টেলিভিশন সিরিজে। ১৯৬৪ সালে ফ্যান্টম এজেন্টস যেগুলো নিঞ্জাদের কেন্দ্রীভূত করে তৈরি করা হয় যারা জাপানের সরকারের হয়ে কাজ করে এবং পরবর্তিতে সেন্টাই ধরনের সিরিজের ভিত্তি হয়। ১৯৬৬ সাল আবির্ভাব দেখে ভৌতিক-বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী সিরিজ আল্ট্রা কিউ যেটি তৈরি করেছিলেন ইজি সুভুরায়া যেটি পরবর্তিতে আল্ট্রাম্যান সিকুয়েল এর পথপদর্শন করে, সৃষ্টি করে একটি সফল ফ্রাঞ্চাইজের যেটি দৃষ্টি দেয় বিশাল হিরোর দকে যেখানে সুপারহিরো হবে কাইজো এর মত দানব আকৃতির যার সাথে তারা লড়াই করেছিল।

১৯৭০ এর দশক[সম্পাদনা]

১৯৭২ সালে দ্য সাইন্স নিঞ্জা টিম গেচম্যান'' আনেমি এর আবির্ভাব হয়, যেটি তৈরি হয়েছিল সুপারহিরো দলের সরসরি-আক্রমণাত্নক ধর্মী সিরিজ ফ্যান্টম এজেন্টস এর ধারণা থেকে, যেটি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল বিভিন্ন বর্ণের দলের সদ্যসের এবং তাদেরকে বিশেষ প্রকার গাড়ীর সাথে, বলা হয়ে থাকে যে গাড়ীগুলো একসাথে করে আরো বিশাল একটি গাড়ি সৃষ্টি করা যাবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আবির্ভাব হয়েছিল তা হচ্ছে গ ণাগাইর ম্যাগাজিন জেড, যেটি সুপার রোবট ধরন তৈরি করে। ১৯৭৩ সালে মাঙ্গা কিউটি হানিও লিখেছিলেন গ ণাগাই, যদিও ম্যাজিকাল গার্ল এর ধরন আগে থেকেই ছিল, ণাগাইর মাঙ্গা পরিচয় করিয়ে দেয় ক্রমান্বয়িক পরিবর্তন ধরনের সাথে যেটি পরবর্তিতে ম্যাজিকাল গার্ল মিডিয়া লেগে থাকে।

১৯৭০ দশকে অসংখ্য নায়কের বিপরীতে কাজ করা চরিত্রের সাথে পরিচয় ঘটে সুপারহিরো ফিকশনে যেমন যার আবির্ভাব গুলোর মধ্যে পড়ে ১৯৭০ সালে শটারো ইশনিমরির স্কাল ম্যান, ১৯৭২ সালে গ ণাগাইর ডেভিলম্যান, ১৯৭৪ সালে জন রমিটার পানিশার

অন্ধকার স্কাল ম্যান মাঙ্গা পরবর্তিতে টেলিভিশনের জন্য ধার নেয়া হয় এবং অসংখ্য পরিবর্তন হয়।ঘাসফড়িং এর মত করে নায়ককে সাজানো হয়, এবং যেটি হয়ে উঠে কামেন রাইডারের অতি পরিচিত মুখোশধারী হিরো। কামেন রাইডার হচ্ছে মটোরসাইকেলে চড়া হিরো যারা পোকার মত দেখতে পোশাক পরিধান করে, যে চিৎকার করে পরিবর্তিত হতে পারে এবং অতিমানবীয় শক্তি লাভ করে।

১৯৬০ দশকের নারীবাদের ধারণার দ্বিতীয় স্রোত ১৯৭০ দশক পর্যন্ত ছড়ায়, যা কমিক বইয়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে এবং তারা তাদের নারী চরিত্রগুলোর প্রচারণা করতে শুরু করে, ওয়ান্ডার ওম্যান পুনরায় সাজানো হয় মার্শাল-আর্টিস্ট হিসাবে এবং এমা পিলের ব্রিটিশ টেলিভিশন সিরিজ দা এভেঞ্জারস (একই নামে অন্য সুপারহিরো টিমের সাথে এর কোন সংযোগ নেই) এর চরিত্রগুলো থেকে সরাসরি অনুপ্রাণিত হয়ে,[২৬] কিন্তু পরবর্তিতে মার্টসনের প্রধান ধারণায় পুনরায় ফিরিয়ে নেয়া হয় মিস ম্যাগাজিনে তার আগের পোশাক ছাড়া লোকসম্মুক্ষে সম্মতি না পাওয়ায়;[২৭]সুপারগার্লকে স্থানান্তর করা হয় দ্বিতীয়ধর্মী ফিচার একশন কমিক্স থেকে এডবেঞ্চার কমিক্সের শিরোনামে ১৯৬৯ সালে; লেডি লিবারেটরর আবির্ভাব ঘটে দা এবেঞ্জারস এর মধ্যে যেখানে একটি সুপারহিরোইনের দল নেতৃত্ব দেয় ভালকেরি (প্রকৃতপক্ষে একজন সুপারভিলেন) এবং যেটি মূলত নকশা করা হয়েছিল নারীবাদীদের ব্যাঙ্গাতে।[২৮] এবং অফুরন্ত ক্ষমতা দ্বারা জীন গ্রে মার্বেল কমিক্সের কসমিক এনটিটির অবিচ্ছেদ অংশ হয়ে পড়েন যেটি ফনিক্স ফোর্স নামে পরিচিত ছিল ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে, যেখানে এক যুগ আগে দলের সবচেয়ে দূর্বল সদস্য হিসাবে দেখা হত।

উভয় বড় বড় প্রকাশনীগুলো পরিচয় করিয়ে দিতে থাকে নতুন নতুন সুপারহিরোইনদের তাদের গল্প বা চরিত্র উন্নয়নের অংশ হিসাবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় বিগ বার্দা, পাওয়ার গার্ল এবং ডিসি কমিক্সের দা হান্ট্রেস আর মার্বেলে থেকে ব্লাক উইডো, সান্না দা শি-ডেভিল এবং টাইগ্রা দা ক্যাট[২৯] নারী পার্শ্ব চরিত্রগুলো বাণিজ্যিকভাবে সফল বা তারা ক্ষমতায় তাদের স্থান দখল করে রাখে ১৯৫০ দশক থেকে বিভিন্ন জনপ্রিয় সুপারহিরো ভূমিকার সাথেঃ হাল জর্ডানের প্রেমিকা ক্যারল ফেরিসকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ফেরিস এয়ারক্রাফটের সহ-সভাপতি হিসাবে এবং পরবর্তিতে সে তার পিতার কাছে থেকে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা দখল করে, মেডুসা যাকে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ফ্যান্টাসটিক ফোর সিরিজের মধ্যে এবং যে ইনহিউম্যান্স রাজকীয় পরিবারের একজন সদস্য এবং বিখ্যাত হয় তার জনগণের প্রথার সমাজে; এবং ক্যারল ড্যানভারস যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা যে পরবর্তিতে কয়েক বছর পর একজন সুপারহিরো হয়। ১৯৭৫ সালে সুথারো ইশিনোমরির হিমিচু সেন্থাই গ্রেঙ্গার এর আবির্ভাব হয় টিভি আশাইয়ে যেটি ধারণা দেয় বিভিন্ন বর্ণের দলের এবং সহকারী যানের যেটি গ্যাচম্যানে আবির্ভাব হয়েছিল। ১৯৭৮ সাকে টোয়ি ধার নেয় স্পাইডার-ম্যানকে একটি সরাসরি-আক্রমণাত্নক সিরিজের জন্য। যার মধ্যে স্পাইডার-ম্যানের একটি গাড়ী ছিল মার্ভেলার নামে যেটি পরিবর্তিত হতে পারে বড় এবং শক্তিশালী রোবটে যাকে লিওপার্ডন নামে ডাকা হত, একই ধারণা বাহিত হয় টোয়ির ব্যাটল ফিভার জেতে এবং এখন বিভিন্ন বর্ণের দলের শুধুমাত্র গাড়ী নয় বিশাল রোবটও রয়েছে যারা দানবদের সাথে লড়াই করতে সহযোগীতা করে।

১৯৮০ এর দশক থেকে বর্তমান[সম্পাদনা]

পরবর্তি যুগগুলোতে, জনপ্রিয় চরিত্র যেমন ডেজলার, শি-হাল্ক, ইলেক্ট্রা, ক্যাটওম্যান, উইচব্লেইড, স্পাইডার-গার্ল, ব্যাটগার্ল, বার্ডস অব প্রে দীর্ঘদিন ধরে চলা ভূমিকায় তারকা হয়ে উঠে। নারী চরিত্রগুলো বিভিন্ন সুপারহিরোদলের নেতৃত্ব পেতে থাকে; “আঞ্চেনি এক্স-ম্যান” সিরিজ এবং এর সাথের বিভিন্ন সিরিজগুলোতে অনেকগুলো নারী চরিত্র বিভিন্ন ভূমিকায় যুক্ত করা হয় ১৯৭০ দশক থেকে।[৩০] এক্স-ম্যান এর ভলিউম ৪ এর মধ্যে সকল নারী চরিত্রের দল নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে “মার্ভেল নাও!” এর একটি অংশ হিসাবে যার প্রারম্ভ হয় ২০১৩ সালে।[৩১] অতিক্ষমতাশালী নারী চরিত্র যেমন বাফি দা ভেম্পায়ার স্লেয়ার[৩২] এবং ডার্না[৩৩][৩৪] একটি বিশাল প্রভাব ফেলে তাদের নিজেদের জায়গায়।

আরো এবং আরো আনেমি, মাঙ্গা এবং তকুসাথো অনুবাদ কিংবা ধার নেয়া হতে থাকে, পাশ্চ্যাত্যের দর্শকরা অভিজ্ঞতা নিতে থাকেন আগের চেয়ে বেশিভাবে জাপানী ধরনের সুপাহিরো কল্পকাহিনীর সাথে। সাবানের মাইটি মরপিন পাওয়ার রেঞ্জার যেটি ধার নেয়া হয়েছিল যিউরেঞ্জার, থেকে একটি মাল্টিমিডিয়া ফ্রাঞ্চাইজের তৈরি হয় যেটি সুপার সেনটাই এর চিত্র ব্যবহার করেছিল।[৩৫] আন্তর্জাতিক মাঙ্গা বা জাপানী কমিক বই চরিত্র সেইলর মুন পরিচিতি পায় এখন পর্যন্ত তৈরি হওয়া একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ নারী সুপারহিরো হিসাবে। যদিও সরাসরি সুপারহিরো নয় কিন্তু সুপার মারিও সিরিজের মারিওকে সাধারণত সুপারহিরোদের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।[৩৬][৩৭][৩৮][৩৯][৪০]

সাধারণ বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

অনেক সুপারহিরো চরিত্রের নিম্নে উল্লেখিত বৈশিষ্ঠগুলো প্রদর্শন করেঃ

  • অসাধারণ ক্ষমতা বা শক্তি। সুপারহিরোর ক্ষমতা অনেক বৃস্তিত; অতিমানবীয় শক্তি, উড়ার ক্ষমতা, অনুভবের ব্যাপ্তি, শক্তির অংশ এগুলো সবই সাধারণ। কিছু চরিত্র যেমন ব্যাটম্যান, মকিংবার্ড, দা ফ্যান্টম এবং কোয়েশ্চন এরা কোন অতিমানবীয় ক্ষমতা ধারণ করে না কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা লাভ করেছে যেমন মার্শাল আর্টস, গোয়েন্দাগিরি এবং ফলিত বা ব্যবহারিক বিজ্ঞানে একটি উচ্চ বিখ্যাত স্নাতক। অন্যরা নির্ভর করে কাল্পনিক অস্ত্র এবং প্রযুক্তিতে যেমন আয়রন ম্যানের আয়রন সুইট, গ্রীন লেন্টার্নের আংটি, এবং গ্রীন এরো এবং হকআই এর বিশেষ তীর। অনেক চরিত্রেরই অতিমানবীয় ক্ষমতার সাথে বিশেষ অস্ত্রও থাকে (যেমন ক্যাপ্টেন আমেরিকার ঢাল, ওয়ান্ডার ওম্যানের সত্যের দড়ি এবং ব্রেসলেইট, থরের হাতুড়ী এবং ওলবারিনের ইচ্ছাশক্তির নখ।)
  • একটি শক্ত “নৈতিক আদর্শ”, যার মধ্যে আছে কোন পুরুস্কারের আশা ছাড়া ভাল এর জন্য নিজের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেয়ার ইচ্ছা। এমন আদর্শের মধ্যে পড়ে হত্যা বা অস্ত্র পরিচালনা অস্বীকার বা অনিচ্ছা।
    আমেরিকার বেস্ট কমিক্স ভলিউম ৩ (অক্টোবর ১৯৪৩) কমিক্সের সোনালী যুগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উদাহরণ যেখানে সুপারহিরোরা সমসাময়িক নেতাদের সাথে লড়াই করে।
  • একটি “প্রেরণা”, যেমন দায়িত্ববোধ ও অপরাধবোধ (যেমন স্পাইডার-ম্যান), আনুষ্ঠানিক আহ্বান (যেমন ওয়ান্ডার ওম্যান), শৈশবের মানসিক আঘাত কিংবা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত বিবাদ (যেমন ব্যাটম্যান), অথবা মানবতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস (যেমন সুপারম্যান)।

  • একটি “গোপন পরিচয়” যেটি সুপারহিরোদের তাদের শত্রুর হাত থেকে পরিবার এবং বন্ধুদের রক্ষা করে, যেমন ক্লার্ক কেন্ট (সুপারম্যান), বা পুলিশের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা, স্পাইডার-ম্যানের মত, যদিও প্রত্যেক সুপারহিরোর একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকে যে সুপারহিরোর পরিচয় সম্পর্কে জানে। বেশিরভাগ সুপারহিরোই তাদের কার্যকলাপ চালনার জন্য একটি বর্ণনামূলক বা রুপক সাংকেতিক নাম রাখে। কিন্তু কিছু সুপারহিরো আছে যাদের আসল পরিচয় সবাই জানে এমনকি সুপারহিরোর পোশাকেও (যেমন আয়রন ম্যান এবং ক্যাপ্টেন আমেরিকা)।
  • একটি স্বাতন্ত্র্য “পোশাক”, মাঝেমধ্যে ব্যবহার করা হয় পরিচয় গোপন রাখার জন্য দেখুন (সাধারণ পোশাক বৈশিষ্ট্য)।
  • একটি অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য বা বিষয় যেটি হিরোর নাম, পোশাক, ব্যক্তিগত প্রভাব এবং চারিত্রিকভাবে প্রভাব ফেলে (যেমন ব্যাটম্যান ব্যাটসুইট পরিধান করে কিংবা তার সরঞ্জামসমূহ সবকিছুই বাদুড় থেকে অনুপ্রাণিত এবং সে রাতে তার কার্যকলাপ চালায়; স্পাইডার ম্যান জাল ছুড়তে পারে এবং তার পোশাকেও মাকড়শার জাল রয়েছে এবং তার মধ্যে মাকড়শার অন্যান্য ক্ষমতাও আছে)।
  • মূল চরিত্রের সাথে একটি পার্শ্ব চরিত্র যার মধ্যে হিরোর বন্ধু, সহকর্মী বা প্রেমিকা থাকবে, যে হয়ত সুপারহিরোর গোপন পরিচয় জানে কিংবা জানেনা। মাঝেমধ্যে এই দ্বি-মুখী জীবনের জন্য হিরোর ব্যক্তিগত সম্পর্ক জঠিল হয়ে পড়ে, এটি ব্যাটম্যান, স্পাইডার-ম্যান এবং সুপারম্যানের গল্পের স্বতন্ত্রভাবে একটি সাধারণ বিষয়।
  • খারাপ লোকদের একটি তালিকা যাদের সাথে সুপারহিরো প্রায়ই লড়াই করে। মাঝেমধ্যে সুপারহিরো সুপারভিলেনের গল্প আসার আগে লড়াই করতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সুপারহিরোই সুপারভিলেন তৈরি করতে দায়ী থাকে (দা স্কর্পিয়ান তৈরি হয়েছে স্পাইডার-ম্যানকে পরাস্ত করার জন্য; সেন্টিনেলস নকশা করা হয়েছে মিউট্যান্টদের শিকার করার জন্য; ব্যাটম্যান কমিকসে ব্যাটম্যান দায়ী থাকে প্রায় সকল ভিলেন তৈরি করতে যে পূর্বে তার সাথে লড়াইয়ে অসাবধানতাবশত তৈরি হয়েছে)। অনেকসময় সুপারহিরোর প্রধান শত্রু থাকে যে হুমকিস্বরূপ বা প্রতিশোধের আশায় ব্যার্থ (যেমন ওলবারিন শারীরিকভাবে সাবারটুথের কাছে কিছুই না যে তার হিংস্র স্বত্বার সাথে জড়িয়ে রাখে যেখানে অন্যজন তাকে ছড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে; মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত রিভার্স-ফ্লাস এর ক্ষমতা এবং পোশাক প্রায় ফ্লাশের মতই; গম্ভীর এবং ভয়নাক ব্যাটম্যানের তুলনায় জোকার অতিরিক্ত সজ্জিত এবং রঙিন; শান্ত প্রফেসর এক্স এর বিপরীতে ম্যাগনিটো অশান্ত)।
  • অশেষ সম্পদ (যেমন ব্যাটম্যানের পরিবারের ভাগ্য, এক্স-ম্যানের পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর এক্স, আয়রন ম্যানের বাবার অস্ত্র এবং প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান) কিংবা একটি চাকরি যেটি তাদেরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে (যেমন স্পাইডার-ম্যান এর ফটোগ্রাফার হিসাবে চাকরি)।
  • একটি গল্প যেটি চরিত্রের অবস্থানের বর্ণনা করে যার মাধ্যমে সে ক্ষমতা লাভ করে এবং প্রেরণা লাভ করে সুপারহিরো হতে। বেশিরভাগ গল্পই বিষাদময় হয় কিংবা দুর্ঘটনা হয় যার ফলে চরিত্রের ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটে।
  • সাধারণ মানুষ যেমন বেহিসাবী টনি স্টার্ক (আয়রন ম্যান), আক্রমণাত্নক উলভারিন, কিংবা একটি ক্রিয়াহীন পরিবার (যেমনঃ ব্যাটম্যান, ম্যাগনেটো)।

বেশিরভাগ সুপারহিরোই একা কাজ করে। কিন্তু কিছু সুপারহিরো আছে যারা দলগতভাবে কাজ করে যেমন ফ্যান্টাসটিক ফোর, ডিএনএজেন্টস, এবং দা এক্স-ম্যান, একটি সাধারণ গল্প থাকে এবং সাধারণত দলগতভাবে কাজ করে। কিছু পরিবার আছে যেখানে পিতা-মাতা এবং তাদের সন্তানদের অতিমানবীয় ক্ষমতা থাকে যেমন দা ইনক্রেডিভলস। অন্যান্য উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ডিসি কমিকস এর জাস্টিস লীগ, এবং মার্ভেল এর এভেঞ্জারস, যেখানে সবাই তারকা হিরো এবং তাদের সবার নিজস্ব আলাদা গল্প আছে এবং প্রত্যেকে একা কাজ করে কিন্তু বড় ধরনের হুমকি মোকাবেলা সবাই একসাথে মিলে দলীয়ভাবে করে। নিয়মিত সুপারহিরোর গল্প বা পরিবেশ ভাগ করে দল তৈরি করে নেয়া বা সমন্বয় করা ডিসি, মার্ভেল এবং অন্যন্য প্রকাশনীরা করে থাকে। কিছু সুপারহিরো বিশেষ করে যাদেরকে ১৯৪০ এর দশকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছিল তারা একজন সহকারীর সাথে কাজ করে (যেমন ব্যাটম্যান এবং রবিন, ক্যাপ্টেন আমেরিকা এবং বাকি)। এটি কম গৃহীত হতে থাকে কারণ এটি চরিত্রগুলো শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল যার ফলে জ্যৈষ্ঠ পাঠকরা একে অপ্রাকৃতভাবে দেখেন। সহকারী চরিত্র বা সাইডকিককে সুপারহিরোর আলদা শ্রেণীতে ফেলা হয়।

যদিও সুপারহিরো গল্প তুলনা করা হয় কল্পকাহিনী/রোমাঞ্চ গল্প হিসাবে, এটি বিভিন্ন ধরনকেই অতিক্রম করে। কিছু সুপারহিরো গল্প হচ্ছে অপরাধ-ধর্মী (যেমন ব্যাটম্যান, স্পাইডার ম্যান), ভৌতিক (যেমন হেলবয়, স্পেকটার), বিভ্রম কাহিনী (যেমন ওয়াচম্যান,[৪১] মার্ভেলম্যান/মিরাকল ম্যান) এবং বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী (যেমন গ্রীন ল্যান্টার্ন। গার্ডিয়ান অব দা গ্যালাক্সি)। অনেক প্রাথমিক সময়ের সুপারহিরো যেমন স্যান্ডম্যান এবং দা ক্লককে তাদের পূর্বসুরীরা পাল্প ফিকশন পর্যন্ত গভীর করেছেন।

তাদের নিজস্ব আলাদা কল্পকাহিনী জগৎ এর মধ্যে, সুপারহিরো সম্পর্কে সাধারণ জনগণের সাড়া ভিন্ন ভিন্ন। কিছু, যেমন সুপারম্যান এবং ফ্যান্টাসটিক ফোর তাদেরকে দেখা হয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসাবে এবং মাঝেমধ্যে তারকা হিসাবে দেখা হয়। অন্যান্য চরিত্র যেমন হাল্ক, স্পাইডার-ম্যান এবং ওয়াচম্যানের চরিত্রসমূহ নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় কাজ করে এবং সরাসরি তাদের বিরোধিতা করে। অন্যান্যরা যেমন এক্স-ম্যান এবং ডুম পেট্রোল জনসাধারণকে রক্ষা করে এবং প্রায় সবাই তাদের ভুল বুঝে এবং ঘৃণা করে।

সাধারণ পোশাক বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

১৯৪০ দশকে এমজে কমিকসের সুপারহিরো ফায়ারফ্লাই

একটি সুপারহিরোর পোশাক সহয়তা করে সুপারহিরোকে সাধারণ জনগণের দ্বারা চিনতে। পোশাকগুলো মাঝেমধ্যে চোখ ধাঁধানো হয় এবং এটি চরিত্রের নাম ও ধরন সম্পর্কে ধারণা দেয়। উদাহরণস্বরূপ ডেয়ারডেভিল একটি লাল অপদেবতার ন্যায়, ক্যাপ্টেন আমেরিকার পোশাক আমেরিকার পতকার ন্যায়, ব্যাটম্যানের পোশাক একটি বিশাল বাদুড়ের ন্যায়, স্পাইডার-ম্যানের পোশাক মাকড়শার জালের চিত্র বিশিষ্ট।সুপারহিরোর মুখোশ পড়া (শুধুমাত্র চোখ দুটো দৃশ্যমান) এবং আঁটসাট পোশাক পড়ার প্রচলন শুরু হয় লি ফাল্কের কমিক দা ফ্যান্টম থেকে। সুপারহিরোদের পোশাকের অনেক ধরন ঘন ঘন আবৃত্ত হয় নিম্নোল্লিখিত ধরন দ্বারাঃ

  • সুপারহিরো যারা তাদের পরিচয় গোপন রাখেন তারা একটি মুখোশ পড়েন, রবিন এবং গ্রীন ল্যান্টার্ন এর মত মুখের উপরের অংশ ঢাকার জন্য মুখোশ থেকে স্পাইডারম্যান এবং ব্লাক প্যান্থার এর মত পুরো মুখ ঢাকার জন্য মুখোশ ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে প্রচলিত মুখোশ হচ্ছে মুখের উপরের অংশ ঢাকার জন্য ব্যবহৃত মুখোশ, যেখানে শুধুমাত্র চোয়াল দেখা যায়। এর মাধ্যমে ছদ্মবেশ এবং মুখের ভঙ্গি দুটোই বোঝা যায়। একটি আলাদা উদাহরণ হচ্ছে সুপারম্যান যে অপরাধীদের সাথে লড়াই করার সময় মুখে কিছুই পড়ে না, কিন্তু সাধারণ জীবন-যাপনের সময় একটি বড় চশমা ব্যবহার করে ক্লার্ক কেন্ট হিসাবে। কিছু চরিত্র হেলমেট পরে যেমন ডক্টর ফেইট বা ম্যাগনেটো।
  • একটি প্রতীক, যেমন শৈলীকৃত বর্ণ বা দৃশ্যমান প্রতীক, সাধারণত বুকে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় সুপারম্যানের বড় হাতের “S”, ব্যাটম্যানের বাদুড়ের প্রতীক। মাঝেমধ্যে তারা একটি সাধারণ প্রতীক ব্যবহার করে তাদের দলকে সম্বোধন করতে, যেমন ফ্যান্টাসটিক ফোর এর ‘4’, এক্স-ম্যানের ‘X’, কিংবা দা ইঙ্ক্রেডিবলস পরিবারের পোশাকে ‘i’ ব্যবহার করে।
  • মানানসই পোশাক মাঝেমধ্যে আঁটসাঁট পোশাক নির্দেশ করে যদিও ব্যবহৃত উপাদান সাধারণত জানা যায় না। এমন উপাদান দৃশ্যমান করে পালোয়ানের মত শরীর এবং নায়কীয় ভাব যেটি নকশাকারীরা একটি সহজ নকশার মাধ্যমে করেন যাতে এটি পুনরায় অনুলিপি করা যায়।
  • যদিও বেশিরভাগ সুপারহিরোর পোশাকে “স্কন্ধাবরণ” নেই কিন্তু একে পোশাকের অংশ হিসাবে দেখা হয় কারণ সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই সুপারহিরো ব্যাটম্যান এবং সুপারম্যান স্কন্ধাবরণ পড়েন। এমনকি ব্যাটম্যানের শহর গোটাম সিটির পুলিশরা স্কন্ধাবরণ বা ক্যাপ শব্দ ব্যবহার করে থাকেরন সকল সুপারহিরো এবং পোশাক পরিদেয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াইকারীদের উল্লেখ করতে ব্যবহার করত। কমিক বই মিনি সিরিজ ওয়াচম্যান এবং দা ইঙ্ক্রেডিভলস মন্তব্য করে স্কন্ধাবরণ হচ্ছে অবাস্তব এবং সম্ভাব্য প্রাণনাশক। মার্ভেল কমিক্সের মধ্যে ক্যাপ-কিলার শব্দ ব্যবহার করা হয় একটি সংঘঠনকে নির্দেশ করতে যারা অতিমানবীয় শক্তি বিশিষ্ঠদের ধ্বংস করে, যদিও মার্ভেলের সামান্য কিছু সদস্য স্কন্ধাবরণ পড়ে।
  • যেখানে বেশিরভাগ সুপারহিরোর পোশাক সুপারহিরোর পরিচয় গোপন রাখে এবং একটি পরিচিতি দেয় যেখানে পোশাকই সুপারহিরোকে নির্দেশ করে। যেমন ভেনমের সিম্বায়োট পোশাক এবং স্পন এর নেক্রোপ্লাজমিক বর্ম তাদের দুজনের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার ব্যবহারে সহায়তা করে। আয়রন ম্যানের বর্ম তাকে রক্ষা করে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা করে।
  • যখন বিষয়বস্তু যথাযথ, কিছু সুপারহিরো পোশাক পরিধান করে বিভিন্ন পেশার বা সংস্কৃতির। জাতানা যার উইজার্ডের মত ক্ষমতা আছে এবং মঞ্চ জাদুকরের পোশাক পড়ে, গোস্ট রাইডার যে অতিক্ষমতাশালী মোটরসাইকেল চড়ে বেড়ায় সে বাইকারদের পোশাক পড়ে।
  • কিছু চরিত্র ঐতিহ্যগত সুপারহিরোর পোশাক পরিহার করে বরং আরো বাস্তবধর্মী ও উপযোগী পোশাক পড়ে। ঘাড়, হাঁটু এবং কনুইয়ের প্যাড, কেবলার জামা, ধাতুপট্টাবৃত বর্ম, বেল্ট এবং গুলা-বারুদের থলে দেখা যায় ১৯৯০ দশকের এন্টিহিরো চরিত্রে যেমন ক্যাবল, ডেডপুল এবং অসংখ্য চরিত্রে। অন্যান্য চরিত্র যেমন রানওয়েস ও ইনফেমাস ভিডিও গেইম সিরিজের চরিত্ররা স্বাতন্ত্র্যসূচক কোন পোশাক পড়ে না।

ঘাঁটি/ কেন্দ্রস্থান[সম্পাদনা]

অনেক সুপারহিরো (এবং সুপারভিলেন) একটি প্রধান কেন্দ্রস্থান বা ঘাঁটি থেকে কার্য পরিচালনা করে। এগুলো প্রায়ই সাজানো হয় উন্নত প্রযুক্তি, এবং/বা ভীনগ্রহের প্রযুক্তিতে। এগুলো ছদ্মাবারণ করা হয় এবং গোপন জায়গায় তৈরি করা হয় যাতে শত্রু বা সাধারণ মানুষ যাতে চিনতে না পারে (উদাহরণস্বরূপ সুপারম্যানের নির্জন দূর্গ বা ব্যাটম্যানের ব্যাটকেইভ)। কিছু ঘাঁটি যেমন বাক্সটার বিল্ডিং বা হল অব জাস্টিস সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অবগত আছে (যদিও এর সঠিক ঠিকানা গোপন রাখা হয়)। যে সকল সুপারহিরো এবং ভিলেনের কোন স্থায়ী কেন্দ্রস্থান থাকে না তাদের কার্য পরিচালনার জন্য পরিবর্তনশীল ঘাঁটি থাকে। যেসকল হিরো বা ভিলেনদের গোপন ঘাঁটি থাকে সেগুলোতে নিম্নোলিখিত সকল কাজ (শুধুমাত্র উল্লেখিত কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়) সম্পাদন করা হয়ঃ

  • একটি পরিচালনা কক্ষ যেখানে বিভিন্ন মনিটর এবং উন্নত প্রযুক্তি সুপারহিরোকে তাদের কার্য পরিচালনা হস্তক্ষেপ সম্পর্কে অবিহিত করে
  • একটি আদেশ কেন্দ্র যেখানে তারা পর্যবেক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে আদেশ দেয়
  • একটি কার্য পরিচালনা কক্ষ যেখানে তারা তাদের প্রযুক্তি যন্ত্রসমূহ সংরক্ষণ করে রাখে
  • একটি গবেষণাঘার থাকে পরীক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক শিক্ষা এর জন্য
  • একটি নিরাপদ ঘর যেখানে হিরো তাদের শত্রুদের হাত থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখে
  • একটি গবেষণা গ্রন্থাগার যেটি বিজ্ঞান, ইতিহাস বা অপরাধীর পরিচয় সম্পর্কে তথ্যসমূহ জমা রাখে
  • একটি অস্ত্রাগার, যেখানে অস্ত্র নকশা, মেরামত এবং সংরক্ষণ করা হয়
  • একটি গ্যারেজ, হ্যাঙ্গার (বিমান রাখার জায়গা) বা ডক থাকে যেখানে যানবাহন সমূহ রাখা হয়
  • একটি তথ্য বা যোগাযোগ কেন্দ্র
  • একটি অস্ত্রের প্লাটফর্ম যেটি সুবিধাসমূহ রক্ষা করে (এটি সাধারণত সুপারভিলেনদের মধ্যে বেশি দেখা যায়)
  • একটি স্মৃতিচিহ্নের কক্ষ যেখানে বড় লড়াই এবং অভিযানসমূহের স্মৃতি সংরক্ষির করা হয়
  • একটি সাধারণ স্থান সামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য (বিশেষ করে ব্যবহৃত হয় বড় দলসমূহের ক্ষেত্র যেমন জাস্টিস লীগ বা এভেঞ্জারস)

ট্রেডমার্ক প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]

বেশিরভাগ অভিধানের সংজ্ঞা[৬][৪২] এবং শব্দটির ব্যবহার হচ্ছে জাতিবাচক এবং কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানসমূহের চরিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তা সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্রে শব্দটির পরিবর্তিত রূপ “সুপার হিরো” এর মালিকানা দাবি করছে যৌথভাবে ডিসি কমিক্স এবং মার্বেল কমিক্স ট্রেডমার্ক হিসাবে। ১৯৬০ দশক থেকে “সুপার হিরো” নিবন্ধন প্রতিপালন করে আসছে ডিসি এবং মার্বেল,[৪৩] যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেডমার্ক ক্রমিক নং ৭২২৪৩২২৫ এবং ৭৩২২২০৭৮। ২০০৯ সালে “সুপার হিরোস” শব্দটি নিবন্ধিত করা হয় মুদ্রণের জন্য স্বাধীন “বর্ণনামূলকভাবে” যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেডমার্কে সহ-মালিকানাধীন ডিসি এবং মার্বেল দ্বারা।[৪৪]

সমালোচক এবং আইনি সম্প্রদায় বিতর্কে জড়ান যে “সুপার হিরো” চিহ্ন আইনি মানদন্ডের সাথে মিশবে কিনা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেডমার্ক রক্ষায় একটি নির্দিষ্ট উৎসের সেবা বা পণ্যের স্বাতন্ত্র্যসূচক নামে। বিতর্ক থেকে থাকে প্রতিটি উপাদানের মানদন্ডেঃ “সুপার হিরো” বর্ণনামূলকের চেয়ে স্বাতন্ত্র্যমূলক কিনা, “সুপার হিরো” উপাদানের বা সেবার একটি উৎসের মনোনীত কিনা, এবং ডিসি এবং মার্বেল যৌথভাবে একটি উৎস প্রতিনিধিত্ব করে কিনা।[৪৫] কিছু সমালোচোক মনে করেন যে এটি ট্রেডমার্ক আইনের অপব্যবহার শীতল প্রতিযোগিতায়।[৪৬]

সংখ্যালঘু সুপারহিরো[সম্পাদনা]

১৯৩০ এর দশকে সুপারহিরোর চরিত্রগুলো প্রধানত বর্ণনা করা হত শ্বেত বর্ণের আমেরিকান মধ্য বা উচ্চবিত্তের তরুণ যুবক যে লম্বা, পালোয়ান, শিক্ষিত, শারীরিকভাবে আকর্ষনীয় এবং স্বাস্থ্যের দিক থেকে যথাযথ। ১৯৬০ দশকে নাগরিক অধিকার আন্দোলন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে, এবং যেটি রাজনৈতিক শুদ্ধি সম্পর্কে চিন্তা বাড়িয়ে তুলে ১৯৮০ দশকে, সুপারহিরো কাহিনী তখন দৃষ্টি দিতে থাকে সাংস্কৃতিক, জাতিগত, জাতীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি। এটি শুরু হয় ১৯৬০ দশকের কৃষ্ণবর্ণের সুপারহিরো এর মাধ্যমে এবং যেটি অনুসরণ করা হয় ১৯৭০ এর দশকে কিছু অন্যান্য জাতির সুপারহিরো তৈরির মাধ্যমে।[৪৭] রাজনৈতিক সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ১৯৮০ এর দশক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে পড়ে। ১৯৯০ দশকে এটি আরো উদ্দীপিত হয় প্রথম সমাকামী সুপারহিরো আবির্ভাব এর মাধ্যমে।

জাতিগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু[সম্পাদনা]

১৯৬৬ সালে মার্ভেল কমিক্স পরিচয় করিয়ে দেয় ব্লাক প্যান্থার এর সাথে, একজন আফ্রিকান সম্রাট যে হয়ে উঠে প্রথম কৃষ্ণবর্ণের সুপারহিরো।[৪৮] প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান সুপারহিরো ১৯৬৯ সালে অনুসৃত হয়। এবং তিন বছর পর লুইক কেইজ একজন স্বখ্যাত প্রথম সুপারহিরো যে তার নিজস্ব গল্পে তারকা হয়। ১৯৮৯ সালে মনিকা রাম্বিয়াও, ক্যাপ্টেন মার্বেল হচ্ছে প্রথম কৃষ্ণবর্ণের নারী সুপারহিরো বড় ধরনের কোন প্রকাশনী থেকে। ১৯৭১ সালে রেড ওলফ হচ্ছে প্রথম জন্মগত আমেরিকান যে সুপারহিরো প্রথায় একটি সিরিজ শিরোনাম করে।[৪৯] ১৯৭৩ সালে সাং-চি হচ্ছে প্রথম এশীয় সুপারহিরো যে যুক্তরাষ্ট্রের বই কাটোতে তারকায়িত হয়।[৫০] কিটি প্রাইডে, এক্স-ম্যানের একজন সদস্য যে প্রকাশ্যভাবে একজন ইহুদী সুপারহিরো ১৯৭৮ সালের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণীর কমিক বইয়ে দেখা যায়।[৫১]

কমিক-বই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথম দিকের সাংস্কৃতিক সম্প্রসারণ এবং বেশিরভাগ চরিত্রগুলোই একটি নির্দিষ্ট বাঁধাধরার মধ্যে ছিল; কেইজ এবং তার সমসাময়িক লোক কিছু ভাষার চাকরি দেন যেটি চলচিত্রে কৃষ্ণবর্ণের লোক শোষণের মত, জন্মগত যুক্তরাষ্ট্রীয়কে মিলিত করা হত ওঝা এবং হিংস্র প্রাণী হিসাবে এবং এশীয়-যুক্তরাষ্ট্রীয়কে চিত্রিত করা হত চীনা মার্শাল আর্টিস্ট হিসাবে। পরবর্তী সংখ্যালঘু সুপারহিরো যেমন এক্স-ম্যানের স্ট্রম এবং টিন টাইটানের সাইবর্গ এইসকল রীতি এড়িয়ে গেছে; তারা উভয়েই দলের অবিচ্ছেদ অংশ হয়ে পড়ে পরবর্তী বছর সমূহে। এক্স-ম্যানে ১৯৭৫ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে চরিত্র এনে দল তৈরি করা হয় যার মধ্যে কেনিয়ার স্টর্ম, জার্মান নাইটক্রলার, রাশিয়ার ক্লসুস, আইরিশ বানশী, এবং জাপানি সানফায়ার

১৯৯৩ সালে মাইলস্টোন কমিক্স একটি আফ্রিকান-আমেরিকান মালিকানাধীন প্রকাশনী ডিসি কমিক্সের সাথে প্রকাশনা চুক্তিতে ঢুকে যেটি পরিচয় করিয়ে দেয় অনেক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্টির চরিত্রের সাথে। মাইলস্টোনের শুরু চার বছর পর্যন্ত টিকে থাকে সেসময় এটি পরিচয় করিয়ে দেয় সুপারহিরো স্ট্যাটিক এর সাথে যেটি ওয়ার্নার ব্রস নেটওয়ার্কের একটি এনিমেটেড সিরিজ স্ট্যাটিক শক থেকে চরিত্র ধার নেয়া হয়েছিল।

উপরন্তু নতুন সংখ্যালঘু হিরো তৈরি করতে প্রকাশনীরা পরিচয় এবং ভূমিকা ভর্তি করেন একজন ককশিয়ান হিরো নতুন চরিত্রে যার নৃ গোষ্ঠী পটভূমি রয়েছে। আফ্রিকান-আমেরিকান জন স্টোয়ার্ট এর আবির্ভাব হয় ১৯৭০ দশকে পৃথিবীর গ্রীন ল্যান্টার্ন হাল জর্ডানের একজন পরিবর্তন হিসাবে এবং গ্রীন ল্যান্টার্ন করপোরেশন এর একজন নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠে ১৯৮০ দশক থেকে। ২০০০ দশকের জাস্টিস লীগ এনিমেটেড সিরিজের সৃষ্টিকারী স্টোয়ার্টকে সিরিজের গ্রীন ল্যান্টার্ন হিসাবে নির্বাচন করেন। আল্টিমেট মার্ভেল ইউনিভার্সে মাইলস মরালস একজন বহুজাতিক আমেরিকান যুবক যে স্পাইডার-ম্যান হিসাবে আবির্ভূত হয় মূল স্পাইডার ম্যানের মৃত্যুর পর। কমলা খান একজন পাকিস্তানি-আমেরিকান কিশোরী যে মিস মার্ভেল হিসাবে আবির্ভূত হয় ইনহিউমেন্স বংশে যাকে ২০১৪ সালে মিস মার্ভেল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তার নিজস্ব কমিক বই সিরিজ সাংস্কৃতিক বিস্ময় হয়ে পড়ে সিএনএন, দা নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং দা কলবার্ট রিপোর্ট এর ব্যাপক মিডিয়া কভারেজের কারণে এবং যেটি স্যান ফ্রান্সিসকোতে ইসলাম বিরোধী ক্যাম্পেইনে আশ্লিষ্ট হয় যেখানে অমুসলিমদের জন্য বাসগুলোতে কমলার স্টিকার দ্বারা বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।[৫২] অন্যান্য উত্তরাধিকারী হিরো যেমন জেমস “রডি” রোদস আয়রন ম্যানের একজন পরিবর্তন হিসাবে আসে।, রায়ান চই এটম হিসাবে, জেমি রাইস ব্লু বেটলি হিসাবে। প্রতিষ্ঠিত চরিত্রগুলোর যখন জাতিগত পরিবর্ন করা হত বা ধার নেয়া হত তখন চরিত্রগুলোর নিজস্ব আলাদা ধারাবাহিকতা থাকে। একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হচ্ছে নিক ফিউরি যাকে আফ্রিকান-আমেরিকান হিসাবে পরবর্তিতে উপস্থাপন করা হয় আল্টিমেট মার্ভেল এবং আল্টিমেট সিনেমাটিক ইউনিভার্স উভয়েই তার ধারাবাহিকতা রাখা হয়।

লিঙ্গ পরিচয় এবং ঝোঁক[সম্পাদনা]

১৯৯২ সালে মার্ভেক প্রকাশ করে যে নর্থস্টার, কানাডীয় মিউট্যান্ট সুপারহিরো দল আলফা ফ্লাইটের একজন সদস্য হচ্ছে সমকামী, কয়েকবছরের ইঙ্গিতের পর।[৫৩] এটি সমাপ্তি টানে দীর্ঘ দিনের সম্পাদকীয় আজ্ঞার যে মার্ভেল কমিক্সে কোন সমকামী থাকবে না।[৫৪] যদিও ডিসি কমিক্সের দ্বিতীয় শ্রেণীর কিছু চরিত্র ১৯৮০ দশকে পরিপক্ব পাঠকের জন্য মিনি সিরিজ ওয়াচম্যান সমকামী ছিল। নর্থস্টারকে ধরা হয় প্রথম শ্রেণীর সুপারহিরো যে প্রকাশ্যে সমকামী হিসাবে প্রকাশিত হয়। ২০০০ দশকের মাঝামাঝি থেকে মার্ভেল এবং ডিসি কমিক্সের কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত চরিত্র (বা পরিবর্তিত চরিত্র)কে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় সমকামী হিসাবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ১৯৮৮ সালের স্টারম্যানের মিকাল থমাস, আল্টিমেট এক্স-ম্যানের ক্লসাস; ডিসির রেনে মনটোয়া গোটাম সেন্ট্রাল সিরিজ ২০০৩ সালে; ২০০৬ সালে ব্যাটওম্যানের কেইট কান; ২০০৯ সালে এক্স-ফ্যাক্টরের একটি পর্বে রিক্টর এবং সাটারস্টার; সোনালী যুগের গ্রীন ল্যান্টার্ন এলান স্কটকে প্রকাশ্যে পুনরায় চিত্রিত করা হয় সমকামী হিসাবে দা নিউ ৫২ রিবুটে;[৫৫][৫৬] এবং ২০১৫ সালে অল নিউ এক্স-ম্যান এর একটি পর্বে আইসম্যানকে।[৫৭]

অনেক নতুন সমকামী চরিত্রকে সুপারহিরো ফিকশনে পরিচিয় করিয়ে দেয়া হয় যেমন জেন১৩ এর সারাহ রেইনমেকার; দা অথোরিটির এপলো এবং মিডনাইটার; এবং ইয়াং এভেঞ্জারস এর উইকান এবং হাল্কলিং। বহুলিঙ্গিয় চরিত্র খুব কমঃ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সুপারহিরোইন যসাসা জাতুরন্নাহ, একটি চরিত্র ফিলিপাইনের জনপ্রিয় সংস্কৃতি থেকে,[৫৮] একজন সমকামী যে একজন নারীতে পরিণত হতে পারে একটি জাদুর পাথর গ্রহণ করার পর। ডিসায়ার কমিক্সের দা স্যান্ডম্যান এবং রানওয়ে কমিক্সের এক্সাবিন নিজের ইচ্ছায় তাদের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে।বর্তমানে চলা ডিসি কমিক্সের সিরিজ ব্যাটগার্ল এর একটি পার্শ্ব চরিত্র এলিসা ইয়হ হচ্ছে বহুলিঙ্গিয় যেটি ২০১১ সালে গণমাধ্যমের দৃষ্টি লাভ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণীর কমিক বইয়ে লিখা বহুলিঙ্গিয় হিসাবে।[৫৯]

সেইলর মুন সিরিজ এর বহু চরিত্র প্রকাশ্যে সমকামী হিসাবে পরিচিত শুরু থেকেই, কারণ জাপান তার শিশুদের জন্য মাধ্যমগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবেই সমকামীতার ব্যাপারে খোলামেলা পাশ্চ্যাত্যের অন্যান্য দেশের তুলনায়।[৬০][৬১] নির্দিষ্ট চরিত্র যেগুলো সমকামী বা বহুলিঙ্গিয় সেগুলো শুধুমাত্র একটাতেই ধারাবাহিক এবং অন্যান্যগুলোতে তা প্রকাশ করা হয় না বিশেষ করে অনুবাদ এবং আন্তর্জাতিক মুক্তির ক্ষেত্রে।[৬২]

বাংলাদেশে সুপারহিরো[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের কমিক প্রকাশনাগুলি তেমন সুপারহিরো চরিত্র না আনলেও ফিকশনাল লেখায় "বাংলাদেশের অতিমানবেরা" নামে একটি গল্পের মেগাসিরিজের উল্লেখ পাওয়া যায়। এর রচয়িতা মুহাম্মদ রাগিব নিযাম। এ পর্যন্ত তিনি ৬০ টিরও বেশি চরিত্র ও গল্প উপন্যাস লিখেছেন। ভোরের কাগজ ঈদ সংখ্যা ২০১৪ ও ২০১৭, গল্পের হাট বইমেলা সংকলন ২০১৯ এবং অবিনশ্বর ঈদ সংখ্যা ২০১৮ ও ২০১৯ এ তার গল্প ছাপানো হয়েছে। "বাংলাদেশের অতিমানবেরা অমনিবাস- প্রথম খন্ড" ২০২০ সালে প্রকাশিতব্য রয়েছে।

পটভূমি[সম্পাদনা]

২০১৩ সালে “ব্লাডশট ডেডস্পট” দিয়ে যাত্রা শুরু হয় “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” ইউনিভার্সের। যদিও প্রথম দিকে এর নামকরণ হয় নি। শুধু “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” দিয়েই সিরিজটি চালু হয়। একে একে ৭টি চরিত্র সে বছর প্রকাশ করা হয় নিজস্ব অরিজিন দিয়ে। পাহাড়, জুজু, মাটি, অঙ্গার, রশ্মি, ছায়া, যন্ত্র এই নামগুলোর প্রত্যেকটির নামের সাথে মানব যোগ করা হয়।

সে বছরেই “এজেন্টস অব ডি” নামে একটি সিরিজ আসে। এজেন্ট রণিনের সলো গল্প বা অরিজিনের পরেই রাগিব নিযাম আটটি গল্প প্রকাশ করেন। এজেন্টস অব ডি সিরিজের নকল মানুষ, ক্রোধ, অপারেশন গাজা উল্লেখযোগ্য। এখানে অপারেশন গাজায় অঙ্গারমানবের উপস্থিতিও দেখা গেছে।

২০১৪ সালে অল্প সংখ্যক গল্প বের হলেও (কপিমাস্টার, নার্ভমাস্টার, রানার, রেড ব্যটেলিয়ন সিরিজ) ২০১৫ তে উল্লেখযোগ্য চরিত্র যোগ হয় “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” ইউনিভার্সে। অতন্দ্র প্রহরী, রাতের প্রহরী সে বছর প্রকাশ পায়। পরে ডিসির কিছু উল্লেখযোগ্য চরিত্র নন ক্যানন উপস্থিতি দিয়ে “দ্য রাইভাল নাইটস” নামে একটি গল্প আনেন যেখানে অতন্দ্র প্রহরী, রাতের প্রহরী, চাবুকি ও বাজের উপস্থিতি ছিলো। ক্রমানুসারে পরের বছর থেকেই বার্ষিক একটি উপন্যাস রাগিব চালু করেন যার নাম কিলিং ডিসেম্বর। এই সিরিজটির এখন পর্যন্ত তিনটি প্রকাশনা মুক্তি পেয়েছে। সে বছরই দশবজ্র বা টেন ঠান্ডার সিরিজের সূচনা হয়।

২০১৬ সালে “রাতের প্রহরী”র সাথে সংযুক্ত দুটি জোটের সূচনা হয়। একটি গোপন সংঘ, আরেকটি প্রহরী কর্প। ২০১৭ সালে রানার চরিত্রটির প্রথম সংস্করণ অবলুপ্ত ঘোষণা করেন রাগিব নিযাম। এর কিছুদিনের ভেতরেই অধিক দ্রুতগতিসম্পন্ন রানার-২ এর সূচনা আনেন রেড ব্যটেলিয়ন সিরিজের একটি গল্পে। ২০১৭ সালে মুক্তি পায় কিলিং ডিসেম্বর-২ উপন্যাসটি।

২০১৮ সালে এজেন্টস অব ডি এর মোহ, জলমানব, রাতের প্রহরীর মরণপণ, গোপন সংঘের দহন, ভোল প্রকাশ পায়। কিলিং ডিসেম্বর-৩ বিলম্বিত করে পরের বছরে নেয়া হয়। এর সাথে ‘দ্বিতীয় পৃথিবী” নামে একটি সিরিজ ও এর সংযুক্তি হিসেবে টেন ঠান্ডার বা দশবজ্র সিরিজের গল্প আসে। রাগিব পরের বছর “তৃতীয় পৃথিবী” এর ঘোষণা দেন।

২০১৯ সালের বিশাল ১৫টি পর্বে কিলিং ডিসেম্বর-৩ প্রকাশিত হয়। রাগিবের সাড়ে ছয় বছরের সবচেয়ে বড় উপন্যাস ছিলো এটি। এখানে ভিনগ্রহের মহাখলনায়ক দাফকানকে আনা হয়। এর সাথে সাথে মৌসুম ছয়ের লোগো পালটানো হয় ও আরো তিনটি যথাক্রমে- মরচে, হিমাংশু ও নীহারিকা গল্পটি প্রকাশ করা হয়।

২০২০ এ ডার্ক এজেন্টস ও কিলিং ডিসেম্বর-৪ প্রকাশিত হয়। এর পরের বছর ২০২১ সালে সিক্রেট এজেন্টস প্রকাশিত হয়।

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

২০২১ সাল রাগিব নিযামের সাফল্যের জন্য সবচেয়ে বড় বছর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশের অতিমানবেরা অমনিবাস প্রথম খন্ড ই-বুক আকারে বিক্রয় হওয়া শুরু হয়। এর ভেতরেই রাগিব ঘোষণা দেন বাংলাদেশের অতিমানবেরা ইউনিভার্স পরিণত হবে মাল্টিভার্সে। এছাড়া পুরো ইউনিভার্স নতুন চারটি লেবেল- ডার্ক, ব্লু, রেজ ও ইনফিনিটি নামে অনেকগুলো টাইটেল ও মিনি সিরিজে আসবে। জুলাইতে রাগিবের দ্বিতীয় বই পাগলাঃ এটি একটি আততায়ী বই ই-বুক প্রকাশিত হয়।

২০২১ এর অক্টোবরে রাগিবের প্রথমে কাগজের বই 'দ্যা মিয়ানমার পোস্ট' প্রকাশিত হয়। এটি ছিলো মূল চরিত্রগুলোর ক্লাসিক রিস্টোরেশন বা চরিত্রগুলোর সলো গল্পগুলোকে রিরাইট করে একটি প্লটে আনার কাজ।

২০২২ সালে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হয় "বাংলাদেশের অতিমানবেরা অমনিবাস দ্বিতীয় খন্ড"।

সুপারলর্ড ট্রিলজি[সম্পাদনা]

ডার্ক, ব্লু ও রেজ এই তিনটি লেবেলে ই-বুক প্রকাশের ঘোষণা আসে দেশ দেশান্তর ডিজিটাল পাবলিশিং নামের এক ই-বুক প্রকাশনার কাছ থেকে। অবশ্য রাগিব নিজেই এই ঘোষণা দেন।

এরই সূত্র ধরে ডার্ক লেবেলে রানার চরিত্রের প্রথম বই "অবদ্রুতি" প্রকাশিত হয় ই-বুক আকারে। এই বই দিয়েই মূলত মহাখলনায়ক সুপারলর্ড সিরিজ শুরু হয়। এপ্রিলে শুরু হওয়া এই ট্রিলজির বাকি দুটি বই প্রকাশিতব্য রয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Niccum, John (মার্চ ১৭, ২০০৬)। "'V for Vendetta' is S for Subversive"Lawrence Journal-WorldLawrence, Kansas। নভেম্বর ১৪, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. Gesh, Lois H.; Weinberg, Robert (২০০২)। "The Dark Knight: Batman: A NonSuper Superhero"। The Science of Superheroes (পিডিএফ)। John Wiley & Sons। আইএসবিএন 978-0-471-02460-6। ১৩ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৭ 
  3. Lovece, Frank (জুলাই ১৬, ২০০৮)। "The Dark Knight"। (movie review) Film Journal International। নভেম্বর ৭, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৩, ২০১৭Batman himself is an anomaly as one of the few superheroes without superpowers… 
  4. "Superhero | Define Superhero at Dictionary.com"। Dictionary.reference.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  5. "Superhero | Definition of Superhero by Merriam-Webster"। Merriam-webster.com। ২০১৬-০৩-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  6. "Superhero - Definition and More from the Free Merriam-Webster Dictionary"। Web.archive.org। নভেম্বর ৫, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  7. Packer, Sharon (২০০৯)। Superheroes and Superegos: Analyzing the Minds Behind the Masks। Greenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 52। আইএসবিএন 978-0313355363 
  8. Lovece, Frank (নভেম্বর ১১, ২০১৩)। "Superheroes Go the American Way on PBS"NewsdayNew York / Long Island। ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-১৫ 
  9. Davisson, Zack (ডিসেম্বর ১৯, ২০১০)। "The First Superhero – The Golden Bat?"। ComicsBulletin.com। নভেম্বর ৯, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৮, ২০১৪ 
  10. Bradner, Liesl (নভেম্বর ২৯, ২০০৯)। "The superheroes of Japan who predated Superman and Batman"Los Angeles Times। জানুয়ারি ৫, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৮, ২০১৪ 
  11. "Who was the first superhero?"। Web.archive.org। মার্চ ৩০, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  12. "Don Markstein's Toonopedia: The Adventures of Patsy"। Toonopedia.com। ১৯৩৫-০৩-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  13. "First superhero ever in the world. Mandrake the Magician Lee Falk Popeye the Sailor Man Superman"। Thelongestlistofthelongeststuffatthelongestdomainnameatlonglast.com। ১৯৩৬-০২-১৭। ২০১৬-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  14. Markstein, Don। "The Black Widow"Don Markstein's Toonopedia। ১৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৬, ২০১৩Fantomah was the first female character in comics to use extraordinary powers in combatting evil. The Woman in Red was the first to wear a flashy costume and maintain a dual identity while doing so. But The Black Widow was the first to do both. 
  15. Fantomah, Mystery Woman of the Jungle at Don Markstein's Toonopedia. Archived from the original on January 29, 2015.
  16. Heintjes, Tom (মে ১১, ২০১২)। "Not Seen but not Forgotten: The Invisible Scarlet O'Neil"Hogan's Alley (17)। জুন ১২, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০১৭ 
  17. "Don Markstein's Toonopedia: The Woman in Red"। Toonopedia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  18. "GCD :: Issue :: Thrilling Comics #v1#2 (2)"। Comics.org। ১৯৪০-০১-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  19. "Don Markstein's Toonopedia: Miss Fury"। Toonopedia.com। ১৯৪১-০৪-০৬। ২০১২-০৪-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  20. "Don Markstein's Toonopedia: The Black Cat"। Toonopedia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  21. "GCD :: Issue :: Pocket Comics #1"। Comics.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  22. Jim Amash & Eric Nolen-Weathington, (2010), Carmine Infantino: Penciler, Publisher, Provocateur p.30-32
  23. Curtis M. Wong (২০১৫-০৮-১৯)। "Wonder Woman Officiates Her First Gay Wedding"। Huffingtonpost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৭ 
  24. Lamb, Marguerite (Fall ২০০১)। "Who Was Wonder Woman?"Bostonia। জানুয়ারি ১৯, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  25. Malcolm, Andrew H. (১৯৯২-০২-১৮)। "OUR TOWNS - She's Behind the Match For That Man of Steel - NYTimes.com"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  26. "We were all in love with Diana Rigg and that show she was on." Mike Sekowsky, quoted in Les Daniels, Wonder Woman: The Complete History (Chronicle, 2004), p. 129.
  27. Wonder Woman Wears Pants: Wonder Woman, Feminism and the 1972 “Women’s Lib” Issue, by Ann Matsuuchi[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], in Colloquy: text theory critique, no.24 (2012); archived at Monash University
  28. W. Wright, Bradford (২০০১)। Comic Book Nation: The Transformation of Youth Culture in America। United States: The Johns Hopkins University Press। পৃষ্ঠা 250। আইএসবিএন 0-8018-6514-X। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪ 
  29. Alter Ego #70 (July 1970): Roy Thomas interview, pp. 49-50
  30. Kristiansen, Ulrik; Sørensen, Tue (মে ১, ১৯৯৬)। "An Interview with Chris Claremont"Comic Zone। সেপ্টেম্বর ২৮, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  31. Sunu, Steve (জানুয়ারি ১৪, ২০১৩)। "Wood and Coipel Mutate "X-Men" for Marvel NOW!"Comic Book Resources। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৪, ২০১৩ 
  32. By Maria Aspan। "What We Learned About Power From Buffy the Vampire Slayer"। Inc.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  33. Name *। "From Darna To Zsazsa Zaturnnah: Desire And Fantasy « Anvil Publishing, Inc"। Anvilpublishing.com। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  34. "Darna ha ha ha!"। Philippine Daily Inquirer। ২০০৩-০২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-১৯ 
  35. "Zyu2"। GrnRngr.com। ২০০৬-১০-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-১১ 
  36. "Can Sailor Moon Break Up the Superhero Boys Club?"। The Atlantic। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-১৯ 
  37. "Sailor Moon superhero may replace Power Rangers"। Ludington Daily News। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-১৯ 
  38. Sailor Moon (superhero)। The Superhero Book: The Ultimate Encyclopedia of Comic Book Icons। ২০০৪-০১-০১। আইএসবিএন 9781578591541। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-১৯ 
  39. "Moon Prism Power! Why Sailor Moon is the perfect female superhero"। Leslie IRL। ২০১৪-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-১৯ 
  40. Comella, Anthony। "Grrrl power: why female superheroes matter"। Pop Mythology। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-১৯ 
  41. Sara J. Van Ness (২০০০)। Watchmen as Literature: A Critical Study of the Graphic NovelMcFarland & Company। পৃষ্ঠা 187, 188। আইএসবিএন 9780786444755 
  42. "Superhero | Define Superhero at Dictionary.com"। Dictionary.reference.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  43. Ulaby, Neda (মার্চ ২৭, ২০০৬)। "Comics Creators Search for 'Super Hero' Alternative"All Things ConsideredNPR। সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  44. Marvel Characters, Inc.; DC Comics; United States Patent and Trademark Office (১৬ নভেম্বর ২০০৪)। "Trademark Status & Document Retrieval"। United States Patent and Trademark Office। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩US Serial Number: 78356610 [...] Standard Character Claim: Yes. The mark consists of standard characters without claim to any particular font style, size, or color. 
  45. Coleman, Ron (মার্চ ২৭, ২০০৬)। "SUPER HERO® my foot"। Likelihood of Confusion। জুলাই ২২, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  46. Doctorow, Cory (মার্চ ১৮, ২০০৬)। "Marvel Comics: stealing our language"Boing Boing। আগস্ট ১৮, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  47. Dowling, Jennifer (মে ৭, ২০০৯)। 'Oy Gevalt': A Peek at the Development of Jewish SuperheroinesThe Contemporary Comic Book Superhero। UK। আইএসবিএন 9781135213930। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২২, ২০১৫ 
  48. Brown, Jeffrey A. (২০০১)। Black Superheroes, Milestone Comics and their Fans। University Press of Mississippi। আইএসবিএন 1-57806-281-0 
  49. "Red Wolf (Old West, Johnny Wakely)"। Marvunapp.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  50. Kim, Jonathan (১৫ জানুয়ারি ২০১১)। Why The Green Hornet's Kato Matters। The Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৫ 
  51. Kaplan, Arie (২০০৮)। From Krakow to Krypton: Jews and Comic Books। The Jewish Publication Society। পৃষ্ঠা 120। আইএসবিএন 978-0827608436In Uncanny X-Men #129 cover-dated Jan. 1979 and on sale in late 1978, writer Chris Claremont and the artist John Byrne created Katherine "Kitty" Pryde, aka Shadowcat, a young Jewish girl who possess the mutant ability to walk through walls. 
  52. Lynskey, Dorian (মার্চ ২৫, ২০১৫)। "Kapow! Attack of the feminist superheroes"The Guardian। UK। আগস্ট ১৯, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  53. Kawasaki, Anton। "Northstar – GAY LEAGUE"। Gayleague.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  54. Hick, Darren। "The Comics Journal Performs a Public Service"The Comics Journal। অক্টোবর ৫, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  55. "Entertainment | Batwoman hero returns as lesbian"। BBC News। ২০০৬-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  56. Neuman, Clayton (২০০৬-০৬-০৪)। "Caped Crusaders"। TIME। ২০০৬-০৬-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  57. Hanks, Henry (২০১৫-০৪-২২)। "'X-Men' character Iceman outed as gay"। CNN.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  58. "The return of Zsazsa Zaturnnah | Inquirer lifestyle"। Lifestyle.inquirer.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  59. Kane, Matt (২০১৩-০৪-১০)। "'Batgirl' Comic Introduces Transgender Character"। GLAAD। ২০১৯-০৮-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  60. "Intersections: Male Homosexuality and Popular Culture in Modern Japan"। She.murdoch.edu.au। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ 
  61. Anime, mon amour: Forget Pokemon - Japanese animation explodes with gay, lesbian, and trans themes - video ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে - Charles Solomon
  62. "Sailor Neptune and Uranus Come Out of the Fictional Closet"Huffington Post। মে ২১, ২০১৪।