সুনুয়ার জাতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নেপালের ললিতপুরের নাখিপটে সুনুয়ার উধৌলি।

সুনুয়ার বা কোইঞ্চ ( নেপালি: सुनुवार/कोइँच  ; সুনুয়ার জাতি ) নেপাল, ভারতের কিছু অংশ ( পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম ) এবং দক্ষিণ ভুটানে বসবাসকারী স্থানীয় কিরাটি উপজাতি। তারা সুনুয়ার ভাষায় কথা বলে। নেপালের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এই উপজাতির অন্তর্গত ১৭% লোক কিরান্ট ধর্ম অনুসরণ করে এবং মুন্ডুম (কিরান্টি) সংস্কৃতি অনুসরন করে। [১]

সুনুয়ারদের স্বতন্ত্র ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি এবং সামাজিক রীতিনীতি রয়েছে। [২] তারা নেপাল এবং হিমালয়ের পূর্ব অঞ্চলে বসবাস করে। তাদের বসতি প্রধানত মোলুং খোলা, লিখু খোলা এবং খিমতি খোলা (ইন্দো-আর্য ভাষায় খোলা কথার অর্থ 'নদী') অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত। প্রশাসনিক বিভাগ অনুসারে, তারা নেপালের ওখালধুঙ্গা, রামেছাপ এবং দোলাখা জেলায় বাস করে।

জীবনধারা[সম্পাদনা]

বেশিরভাগ সুনুয়ার জনজাতির লোকেরা কৃষিজীবী (প্রায় ৫৫%)। বর্তমান নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড় জুড়ে তারা বসবাস করে। ধান, বাজরা, গম, সয়াবিন, আলু এবং ভুট্টা ইত্যাদি খাদ্যশস্যের চাষ এবং গবাদি পশু পালন তাদের প্রধান জীবিকা। সুনুয়ার জনগণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল এবং গোর্খালি যোদ্ধা হিসাবে পরিচিত ছিল। কিছু সুনুয়ার এখনও নেপাল সেনাবাহিনী, ভারতীয় সেনাবাহিনী, সিঙ্গাপুর পুলিশ বাহিনী এবং ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কাজ করে।

ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

সুনুয়ারদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। জটিল আচার-অনুষ্ঠান ও নিয়ম-কানুনসহ তাদের অসংখ্য ঐতিহ্যবাহী উৎসব রয়েছে। প্রতিটি উৎসবের নিজস্ব উদ্দেশ্য, বৈশিষ্ট্য এবং উদযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিছু বিশেষ উৎসব, যেমন বৈশাখ পূর্ণিমায় চণ্ডী নৃত্য, সাকেলা (শ্যাদার-পিদার), গিল পূজা (গিল-পিদার), এবং মেসেরানী পূজা (মেসেরানি-পিদার) অন্যান্য উৎসবের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। তারা তাদের রীতি অনুযায়ী নেপালি ক্যালেন্ডার অনুসারে বুদ্ধ পূর্ণিমার ৫ দিন পরে (পঞ্চমী) শ্যাদর-পিদার উৎসব উদযাপন করে। বসন্ত পঞ্চমীর দিনে সুনুয়ার নববর্ষ উদযাপিত হয়। একটি সম্প্রদায় হিসাবে তারা চান্দ্র ক্যালেন্ডারের উপর ভিত্তি করে বছরে দুবার মেসেরানি পিদার উৎসব উদযাপন করে।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Archived copy" (পিডিএফ)। ২০১১-০৫-১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-০২ 
  2. A Grammar of Sunuwar। Dörte Borchers। ২০০৮। আইএসবিএন 978-9004167094। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৮