সীতাকুণ্ড হত্যাকাণ্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সীতাকুণ্ড হত্যাকাণ্ড
সীতাকুণ্ড হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
সীতাকুণ্ড হত্যাকাণ্ড
স্থানসীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম, পূর্ব বাংলা, পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য
তারিখফেব্রুয়ারি ১৫, ১৯৫০ (ইউটিসি+৬:০০)
লক্ষ্যবাঙালি হিন্দু
হামলার ধরনহত্যাকাণ্ড
ব্যবহৃত অস্ত্রতলোয়ার, রামদা
হামলাকারী দলমুসলিম জনতা, আনসার[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

সীতাকুণ্ড হত্যাকাণ্ড (ইংরেজি: Sitakunda massacre) যা ১৯৫০ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি হিন্দু তীর্থযাত্রীদের উপর সংগঠিত হত্যাকাণ্ডকে নির্দেশ করে।[১] সমগ্র পূর্ব বাংলা, আসামত্রিপুরা থেকে তীর্থযাত্রীরা মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে হিন্দু ধর্মের পূর্ণ্যভূমি সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির যাওয়ার পথে সীতাকুণ্ড রেলস্টেশন এলাকায় সশস্ত্র আনসার ও মুসলিমদের আক্রমণের শিকার হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

পটভূমি[সম্পাদনা]

১৯৫০শে ১৫ই ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রির দিন স্বাভাবিকভাবেই তীর্থযাত্রীরা সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। অন্যদিকে ১০ তারিখ থেকেই গোটা পূর্ববঙ্গে হিন্দু গণহত্যা শুরু হয় এবং যেটি চট্টগ্রামে ১২ই ফেব্রুয়ারি শুরু হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এ লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিন্দুদের মেলা বন্ধ করার হুমকিও দেওয়া হয়।[২]

ঘটনাবলী[সম্পাদনা]

তীর্থযাত্রীরা সীতাকুন্ড যাওয়ার আগে চাটগাঁয় এসে পৌঁছুলে তাদের ওপর আনসাররা আক্রমণ করে।[২] ১৪ই ফেব্রুয়ারির সন্ধেবেলার মধ্যেই চাটগাঁয় অবস্থিত সমস্ত তীর্থযাত্রীকে হত্যা করা হয়।[২] ১৫ই ফেব্রুয়ারির সকালে প্রচুর তীর্থযাত্রী সীতাকুন্ড স্টেশনে নামে। নামার সাথে সাথেই আনসাররা তাদের ওপর আক্রমণ করে। ট্রেনের প্রতিটা কামরায় ঢুকে ঢুকে সবাইকে হত্যা করে।[১][৩] একইভাবে যতগুলো ট্রেন প্লাটফর্মে ঢোকে, প্রতিটায় বসে থাকা তীর্থযাত্রীদের হত্যা করা হয়।[২] স্টেশনের কাছে অনেক হিন্দু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sinha, Dinesh Chandra, সম্পাদক (২০১২)। ১৯৫০: রক্তরঞ্জিত ঢাকা বরিশাল এবং [1950: Bloodstained Dhaka Barisal and more] (Bengali ভাষায়)। Kolkata: Codex। পৃষ্ঠা 71। 
  2. Kamra, A.J. (২০০০)। The Prolonged Partition and its Pogroms: Testimonies on Violence Against Hindus in East Bengal 1946-64। New Delhi: Voice of India। পৃষ্ঠা 67। আইএসবিএন 81-85990-63-8 
  3. Sinha, Dinesh Chandra, সম্পাদক (২০১২)। ১৯৫০: রক্তরঞ্জিত ঢাকা বরিশাল এবং [1950: Bloodstained Dhaka Barisal and more] (Bengali ভাষায়)। Kolkata: Codex। পৃষ্ঠা 85।