সম্বন্ধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

"সম্বন্ধ " শব্দটি একটি সংস্কৃত শব্দ যার অর্থ "সম্পর্ক"। এটি সংস্কৃত ব্যাকরণ এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্বে একটি মূল ধারণা। হিন্দুধর্মের এই ঐতিহ্যের পরিপ্রেক্ষিতে, সম্বন্ধ-জ্ঞান অর্থ সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কৃষ্ণ, শক্তি, জীব এবং জগতের মধ্যে সম্পর্কের জ্ঞান। তদনুসারে, সম্বন্ধ-জ্ঞানে তিনটি তত্ত্ব বা সত্যজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত: কৃষ্ণ-তত্ত্ব, শক্তি-তত্ত্ব এবং জীব-তত্ত্ব।

ধর্মতত্ত্ব[সম্পাদনা]

গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মে সম্বন্ধ হল কৃষ্ণ, জীব এবং জড় জগতের মধ্যে সম্পর্ক। সমস্ত জীবই নিত্য এবং অবিচ্ছেদ্যভাবে কৃষ্ণের সাথে যুক্ত। কৃষ্ণ সমস্ত সম্পর্কের প্রকৃত বস্তু। কৃষ্ণ এবং জীবের মধ্যে মূল সম্পর্ক হল একজন ভৃত্যের মনোভাব। সাধনা( যার মধ্যে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম কীর্তন এবং জপ-এর পুনরাবৃত্তি) মানুষকে মায়া থেকে মুক্ত করে।

বৈদিক সাহিত্য কৃষ্ণের সাথে জীবের চিরন্তন সম্পর্ককে বর্ণনা করে। সম্পর্কের বোধগম্যতা, এবং এই বোঝাপড়ার ভিত্তিতে পরবর্তী যে কোনো কার্যকে বলা হয় "অভিধেয়"। বিশুদ্ধ কৃষ্ণ প্রেম লাভ করে (কৃষ্ণপ্রেমে পৌঁছানো) কৃষ্ণ ও তার সহযোগী (পার্ষদ) প্রযুক্ত চিন্ময় জগতে প্রত্যাবর্তন করাই হল জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য যাকে বলা হয় "প্রয়োজন"।

গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যে সনাতন গোস্বামীকে সম্বন্ধ-জ্ঞানের আচার্য বিবেচনা করা হয়। মদন মোহন-দেবতা, বৃন্দাবন-এ সনাতন দ্বারা স্থাপিত, মদনমোহন সম্বন্ধের সঙ্গে যুক্ত। বিশ্বাস করা হয় যে তিনি জড় বাসনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এবং কৃষ্ণের ভক্তিমূলক সেবায় মনোনিবেশ করতে সাহায্য করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

Additional reference: Tadatmya Sambandha: A study in Relation of Identity, R.I. Ingalalli 1990 আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭০৩০-২৩৯-১

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]