সমযোজী বন্ধন
সমযোজী বন্ধন (ইংরেজি: Covalent bond) হল এমন এক ধরনের রাসায়নিক বন্ধন যেখানে পরমাণুসমূহ তাদের নিজেদের মধ্যে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে আবদ্ধ থাকে। ইলেকট্রন শেয়ার করা পরমাণুদ্বয়ের মধ্যেকার আকর্ষন ও বিকর্ষনের ফলে যে সুস্থিত ভারসাম্য বল তৈরী হয় তাই সমযোজী বন্ধনের সৃষ্টি করে।[১] সমযজী বন্ধন এদের গঠনের ধরন অনুযায়ী পাই-বন্ধন, সিগমা বন্ধন, অ্যাগস্টিক মিথস্ক্রিয়া এবং ত্রিকেন্দ্রীক দ্বিইলেক্ট্রন বন্ধন ইত্যাদী ধরনের হয়ে থাকে।[২][৩] সমযোজী বন্ধন শব্দটির প্রচলন ১৯৩৯ সাল থেকে।[৪]
পরমাণুসমুহের মধ্যে সমযোজী বন্ধন তখনই গঠিত হয় যখন এদের তড়িৎ ঋণাত্মকতা সমান বা অতি নিকটবর্তী হয়। শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যদি দুটি পরমাণুর মধ্যে নির্দিষ্ট না থেকে অনেকগুলি পরমাণু দ্বারা শেয়ার হয়ে থাকে তখন একে ডিলোকালাইজড ইলেকট্রন বলা হয়।
সিগমা বন্ধন[সম্পাদনা]
সিগমা বন্ধন এমন একটি বন্ধন যা দুটি পরমাণুর অরবিটালের মুখমুখি সংযুক্তি ঘটে।
![]() | এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। |
পাই বন্ধন[সম্পাদনা]
দুটি পরমাণুর প্রত্যেকটি হতে একটি করে দুটি সমান্তরাল p অরবিটালের পার্শ্ব অধিক্রমনের ফলে যে বন্ধন সৃষ্টি হয় তাকে পাই বন্ধন বলে ।
পাই বন্ধনের বৈশিষ্ট্য:
- দুটি পরমাণু সিগমা বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর উভয় পরমাণুর সমান্তরাল অক্ষবিশিষ্ট দুটি অরবিটাল এর পাশাপাশি অধিক্রমন
- অধিক্রমন এলাকায় ইলেকট্রন মেঘের ঘনত্ব কম থাকে।
- পাই বন্ড সিগমা বন্ড অপেক্ষা দুর্বল ।
- সংকর অরবিটালে পাই বন্ধন ঘটেনা। s অরবিটাল ব্যতীত বিশুদ্ধ অন্য অরবিটালে ঘটে।
ডেলটা বন্ধন[সম্পাদনা]
![]() | এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। |
সমযোজী যৌগ
সমযোজী যৌগ দুুই প্রকার।
বন্ধন শক্তি[সম্পাদনা]
বন্ধনের দৈর্ঘ্য pm এককে বন্ধন শক্তি kJ/mol এককে। ১০০ দিয়ে ভাগ (১ Å = ১০০ pm) করার দ্বারা বন্ধনের দৈর্ঘ্য Å-এ রুপান্তর করা যায়। [৫] | ||
বন্ধন | দৈর্ঘ্য (pm) |
বন্ধন শক্তি (kJ/mol) |
---|---|---|
H — হাইড্রোজেন | ||
H–H | 74 | 436 |
H–C | 109 | 413 |
H–N | 101 | 391 |
H–O | 96 | 366 |
H–F | 92 | 568 |
H–Cl | 127 | 432 |
H–Br | 141 | 366 |
C — কার্বন | ||
C–H | 109 | 413 |
C–C | 154 | 348 |
C=C | 134 | 614 |
C≡C | 120 | 839 |
C–N | 147 | 308 |
C–O | 143 | 360 |
C–F | 135 | 488 |
C–Cl | 177 | 330 |
C–Br | 194 | 288 |
C–I | 214 | 216 |
C–S | 182 | 272 |
N — নাইট্রোজেন | ||
N–H | 101 | 391 |
N–C | 147 | 308 |
N–N | 145 | 170 |
N≡N | 110 | 945 |
O — অক্সিজেন | ||
O–H | 96 | 366 |
O–C | 143 | 360 |
O–O | 148 | 145 |
O=O | 121 | 498 |
F, Cl, Br, I — হ্যালোজেন সমূহ | ||
F–H | 92 | 568 |
F–F | 142 | 158 |
F–C | 135 | 488 |
Cl–H | 127 | 432 |
Cl–C | 177 | 330 |
Cl–Cl | 199 | 243 |
Br–H | 141 | 366 |
Br–C | 194 | 288 |
Br–Br | 228 | 193 |
I–H | 161 | 298 |
I–C | 214 | 216 |
I–I | 267 | 151 |
S — সালফার | ||
C–S | 182 | 272 |
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Campbell, Neil A. (২০০৬)। Biology: Exploring Life। Boston, Massachusetts: Pearson Prentice Hall। আইএসবিএন 0-13-250882-6। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-০৫। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ March, Jerry (১৯৯২)। Advanced organic chemistry: reactions, mechanisms, and structure। John Wiley & Sons। আইএসবিএন 0-471-60180-2।
- ↑ Gary L. Miessler (২০০৪)। Inorganic chemistry। Prentice Hall। আইএসবিএন 0-13-035471-6। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ Merriam-Webster – Collegiate Dictionary (2000).
- ↑ "Bond Lengths and Energies"। Science.uwaterloo.ca। ২০০৭-১২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-১৫।