শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২ মে ২০২১
সংসদীয় এলাকাইংলিশ বাজার, মালদা
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর জেন্ডার জাস্টিসের চেয়ারপার্সন[১]
কাজের মেয়াদ
২০১৪ – ২০১৬
ধর্ষণ, পাচার এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সম্পর্কিত বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (ভারত) চেয়ারম্যান
কাজের মেয়াদ
ডিসেম্বর ২০১২ – ডিসেম্বর ২০১৩
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৬৪/১৯৬৫ (৫৯–৬০ বছর)[২]
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলভারতীয় জনতা পার্টি[২]
দাম্পত্য সঙ্গীআর. কে. মিত্র
বাসস্থানদক্ষিণ বালুচর, মালদা, পশ্চিমবঙ্গ[৩]
শিক্ষাস্নাতকোত্তর
এমএ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়[৩]

শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, যিনি নির্ভয়া দিদি নামে পরিচিত, একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। এছাড়াও তিনি একজন সমাজকর্মী, নারী অধিকার কর্মী এবং প্রাক্তন সাংবাদিক।[৪][৫]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার দক্ষিণ বালুচর বটতলার বাসিন্দা। তিনি একজন স্নাতকোত্তর এবং ১৯৮৭ সালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টসে মাস্টার্স করেন। তিনি আর কে মিত্রকে বিয়ে করেছেন।[৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

২০০৪ সালে তিনি জাতীয় আইনী সাক্ষরতা মিশনে অংশ নিয়েছিলেন।[৬] ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি আইন ও বিচার মন্ত্রনালয়ের জাতীয় আইনী সেবা কর্তৃপক্ষের জাতীয় উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬] ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি এনজিও সুদিনালয়ের সভাপতি ছিলেন।[৭]

কলকাতায় নির্ভয়া দিদি নামে পরিচিত তিনি ধর্ষণের শিকারদের পুনর্বাসন এবং মহিলাদের টয়লেট প্রদানের প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন।[৪] তিনি ২০১২ সালের দিল্লিতে গণধর্ষণের পর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কর্তৃক গঠিত ধর্ষণ, পাচার এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার উপর বিশেষ টাস্ক ফোর্সের সভাপতিত্ব করেছিলেন।[৪][৮][৯] তিনি ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন, এই জল্পনাগুলির মধ্যে যে তিনি মালদা আসন থেকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন।[৮]

২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ দিল্লি লোকসভা আসনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।[৪][৫] ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, তিনি মালদহ দক্ষিণ আসন থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।[৩] কিন্তু অল্প ব্যবধানে হেরে যান আবু হাসেম খান চৌধুরীর কাছে।[১০]

২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে চৌধুরী ইংরেজবাজার থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং টিএমসি থেকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে আসনটি জিতেছিলেন।[১১][১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "National Institute for Gender Justice honours Rani Mukerji with National Award"www .oneindia.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৯ 
  2. "Sreerupa Mitra Chaudhury: Sreerupa Mitra Chaudhury BJP from MALDAHA DAKSHIN in Lok Sabha Elections | Sreerupa Mitra Chaudhury News, images and videos"The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৯ 
  3. "Sreerupa Mitra Chaudhury(Bharatiya Janata Party(BJP)):Constituency- MALDAHA DAKSHIN(WEST BENGAL) - Affidavit Information of Candidate"myneta.info। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২১ 
  4. Akram, Maria (২৯ মার্চ ২০১৪)। "Beauty queen Ruby loses lustre in poll heat and dust"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২১ 
  5. "Biswajit's candidature gives Trinamool's Delhi fight some lift"The Siasat Daily। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২১ 
  6. "Pitch in for victims of rights violation, Sreerupa to students"Tribune। ১৮ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২১ 
  7. Basu, Indrani (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Mentally unwell woman locked up in dirty room for 3 years rescued"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২১ 
  8. "PM's Nirbhaya Task Force Chairperson Resigns"Echo of India। ১৩ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২১ 
  9. "Special court sought to try cases of human trafficking"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২১ 
  10. "Maldaha Dakshin Election Result 2019: Congress MP Abu Hasem defeats BJP, attains fourth term in Lok Sabha"Times Now (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২১ 
  11. "BJP candidate selection Anger elation in three districts"The Statesman। ১৯ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২১ 
  12. De Sarkar, Soumya (১১ এপ্রিল ২০২১)। "Bengal Elections 2021: BJP frowns at Englishbazar"The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২১