শিল্প (অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড)
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
এই নিবন্ধ অথবা অনুচ্ছেদটি শিল্প (অর্থশাস্ত্র) নিবন্ধের সাথে একত্রিত করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। (আলোচনা করুন) |
অর্থশাস্ত্রের আলোচনায় শিল্প (Industry) বলতে কারখানায় কাঁচামাল থেকে পণ্য উৎপাদন করা বা সেবা প্রদান করার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বোঝায়।[১] কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীর আয়ের মুখ্য উৎস এর সঙ্গে সম্পর্কিত শিল্পোদ্যোগটিকেই বোঝায়।[২] যখন কোনো এক বৃহৎ গোষ্ঠীর আয়ের উৎস অনেকগুলি হয় তখন সেই গোষ্ঠীটি কয়েকটি শিল্পোদ্যোগ পরিচালনা করে বলে ধরা হয়। উদাহরণস্বরূপ, রিয়ালেন্স শিল্পোদ্যোগিক গোষ্ঠী অনেকগুলি দিকে ব্যাবসায়িক কাজ-কর্ম সম্প্রসারণ করেছে এবং সেজন্য এটি যোগাযোগ, জীবন বীমা, খারুয়া তেল ইত্যাদি অনেকগুলি শিল্পোদ্যোগিক ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।
শ্রেণিবিভাগ
[সম্পাদনা]সাধারণ শ্রেণিবিভাগ
[সম্পাদনা]শিল্পোদ্যোগসমূহকে বিভিন্ন ভাবেই শ্রেণিবিভাগ করা যায়। এর ভিতর তিন খাতের তত্ত্ব (three-sector theory) এবং উৎপাদিত সামগ্রীর ভিত্তিতে করা শ্রেণিবিভাগই প্রধান।
- তিন খণ্ডের সূত্র: অর্থনীতির এই সূত্র অনুসারে শিল্পোদ্যোগসমূহকে তিনটি অর্থনৈতিক খণ্ড, যথাক্রমে প্রাথমিক বা আহরণ খণ্ড, গৌণ বা নির্মাণ খণ্ড এবং তৃতীয় বা পরিষেবা খণ্ডে ভাগ করা যায়। কোনো কোনো পণ্ডিত চতুর্থ বা জ্ঞান খণ্ড এবং পঞ্চম বা সংস্কৃতি এবং গবেষণা খণ্ডর কথাও উল্লেখ করেছেন।
- উৎপাদিত সামগ্রী: উৎপাদিত সামগ্রীর ভিত্তিতে শিল্পোদ্যোগসমূহকে বিভিন্ন খণ্ড যেমন নির্মাণ, রসায়ন, খারুয়া তেল, খাদ্য, সফটওয়ার, বস্ত্র, বৈদ্যুতিন ইত্যাদিতে ভাগ করা যায়।
বিত্ত এবং মার্কেট রিসার্চ ইত্যাদির ক্ষেত্রে বাজারের ভিত্তিতে শিল্পোদ্যোগের শ্রেণিবিভাজন করা হয়।
আন্তঃরাষ্ট্রীয় মানক শিল্পোদ্যোগিক শ্রেণিবিভাগ
[সম্পাদনা]রাষ্ট্রসংঘের পরিসংখ্যান বিভাগের করা আন্তঃরাষ্ট্রীয় মানক শিল্পোদ্যোগিক শ্রেণিবিভাগ (ইংরেজি) বা সংক্ষেপে ISIC হল সম্পূর্ণ তথা শৃংখলাবদ্ধ শিল্পোদ্যোগিক শ্রেণিবিভাগ।[৩]
শিল্পোদ্যোগিক উৎপাদনের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশসমূহের ক্রম
[সম্পাদনা]অর্থনীতি | শিল্পোদ্যোগিক উৎপাদনের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশসমূহ (বিলিয়ন আমেরিকান ডলার)
|
---|---|
(01) গণচীন | ৪,৯২২
|
(—) ইউরোপীয় ইউনিয়ন | ৪,১৬২
|
(02) যুক্তরাষ্ট্র | ৩,৭৫২
|
(03) জাপান | ১,০৮২
|
(04) জার্মানি | ১,০৫১
|
(05) যুক্তরাজ্য | ৫৮৮
|
(06) ভারত | ৫৫৯
|
(07) দক্ষিণ কোরিয়া | ৫৫৫
|
(08) ফ্রান্স | ৪৭৯
|
(09) কানাডা | ৪৫৬
|
(10) ব্রাজিল | ৪৫৩
|
(11) মেক্সিকো | ৪৪৮
|
(12) ইতালি | ৪৪০
|
(13) রাশিয়া | ৪২৭
|
(14) ইন্দোনেশিয়া | ৪০৮
|
(15) সৌদি আরব | ৩৮৭
|
(16) অস্ট্রেলিয়া | ৩৬২
|
(17) স্পেন | ৩১২
|
(18) সংযুক্ত আরব আমিরাত | ২১৪
|
(19) তুরস্ক | ২০২
|
(20) সুইজারল্যান্ড | ১৮৪
|
আন্তঃরাষ্ট্রীয় মুদ্রা নিধি এবং সি আই এ ওয়র্ল্ড ফ্যাক্টবুকের ২০১৫ সালের তথ্যের ভিত্তিতে শিল্পোদ্যোগিক উৎপাদনের ক্রম অনুসারে বিশ্বের ২০ টি দেশ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]সহায়ক গ্রন্থ
[সম্পাদনা]- Krahn, Harvey J., and Graham S. Lowe. Work, Industry, and Canadian Society. Second ed. Scarborough, Ont.: Nelson Canada, 1993. xii, 430 p. ISBN 0-17-603540-0