শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
সার্সটেক | |
ধরন | সরকারি টেক্সটাইল প্রকৌশল কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ২০১০ |
অধ্যক্ষ | জনাব ইঞ্জিনিয়ার মো: আব্দুল কাদের বেপারী[১] |
শিক্ষার্থী | বি.এস.সি.তে ১২০ জন |
ঠিকানা | , , |
অধিভুক্তি | বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স |
ওয়েবসাইট | www |
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভূক্ত একটি স্নাতক পর্যায়ের সরকারি প্রকৌশল কলেজ।[২] কলেজটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভাগীয় শহর বরিশালে অবস্থিত। বাংলাদেশের বস্ত্র সম্পর্কিত শিক্ষার একটি অন্যতম বিদ্যাপীঠ এটি।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৮০ সালে বরিশালের প্রাণকেন্দ্র সি এন্ড বি রোডে জেলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট নামে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। তখন ২ বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট ইন টেক্সটাইল কোর্স চালু ছিল। ১৯৯৪ সালে টেক্সটাইল ডিপ্লোমার ব্যাপকতার কথা বিবেচনা করে বস্ত্র দপ্তর প্রতিষ্ঠানটিতে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে। তখন প্রতিষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয়েছিল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি। ১৯৯৬ সালে নামকরণ করা হয় টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, বরিশাল । বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির নাম শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল। ২০১০ সালে কলেজটিতে বি.এসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করে। বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ কলেজটির শুভ উদ্বোধন করেন।[৩]
অবস্থান
[সম্পাদনা]বরিশালের সি এন্ড বি রোড সংলগ্ন টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এর বিপরীত দিকে অবস্থিত । এটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক নামেও পরিচিত। এটি বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল (নথুল্লাবাদ) থেকে ০.২ কিমি দক্ষিণে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ কিমি উত্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।
আবাসিক ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]কলেজ সংলগ্ন মেসে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের আবাসন ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও বর্তমানে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল নির্মান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বি এস সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র এবং ছাত্রীদের হোস্টেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে সকল উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত চলছে।
কোর্স সমূহ
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজটিতে যেসব বিষয়ে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স[৪] চালু রয়েছেঃ-
- ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং
- ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং
- ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং
- অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং
- ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি (প্রক্রিয়াধীন)
একাডেমিক কার্যক্রম
[সম্পাদনা]ভর্তি প্রক্রিয়া
[সম্পাদনা]ডিপ্লোমা কোর্সে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী এবং বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ এসএসসি এবং এইচএসসি এর ফলাফলের ভিত্তিতে ছাত্র ছাত্রী ভর্তির আবেদন করতে হয়। সরকারী বিধি মোতাবেক অনলাইনে শুধুমাত্র টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে পারে। ভর্তির ফলাফল প্রার্থীর ব্যবহৃত নম্বরে (মনোনীতদের) এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয। উল্লেখ্য, ডিপ্লোমা কোর্সে শুধুমাত্র জিপিএ [৫] এবং বিএসসি তে জিপিএ এর পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
আসন সংখ্যা
[সম্পাদনা]- বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে আসন সংখ্যা ১২০ জন
বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের আসন বিন্যাস নিম্নরূপ :
ডিপার্টমেন্টের নাম | আসন সংখ্যা |
---|---|
ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
মোট আসন সংখ্যা | ১২০ |
পাঠ্য বিষয় নির্বাচন
[সম্পাদনা]পাঠ্য বিষয়ের ক্ষেত্রে বোর্ড এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের মতামত চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। এক্ষেত্রে সকলের মেধার যোগ্যতাকেই বিবেচনা করা হয়।
শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক। কোন ছাত্র ছাত্রী ক্লাসে উপস্থিত না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত ফলপ্রসূ পাঠদান, পড়া আদায় এবং নিয়মিত শ্রেণীকুইজ পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারাই এই কলেজের মূল লক্ষ্য। ছাত্র ছাত্রী শিক্ষাবোর্ডের বিধি মোতাবেক শ্রেণী কার্যক্রমে শতকরা ৮০ ভাগের বেশি উপস্থিত না হলে তাকে ডিসকলেজিয়েট ঘোষণা করা হয় এবং পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ব্যবহারিক ক্লাস নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা পুরো ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই সংযোগের সাহায্য উচ্চ গতির ইন্টারনেট বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। আদর্শ পাঠদানে ব্যবহার করা হচ্ছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন
[সম্পাদনা]প্রতি পর্ব এবং বর্ষোন্নয়ন পরীক্ষাতে ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তী পর্বে বা বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারে। সকল পর্বে শ্রেণিকুইজ এবং বোর্ড নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরবর্তী পর্বে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।
নাম্বার শ্রেণী | গ্রেড লেটার | গ্রেড পয়েন্ট |
---|---|---|
৮০-১০০ | A+ | ৪.০০ |
৭৫-৭৯ | A | ৩.৭৫ |
৭০-৭৪ | A- | ৩.৫০ |
৬৫-৬৯ | B+ | ৩.২৫ |
৬০-৬৪ | B | ৩.০০ |
৫৫-৫৯ | B- | ২.৭৫ |
৫০-৫৪ | C+ | ২.৫০ |
৪৫-৪৯ | C | ২.২৫ |
৪০-৪৪ | D | ২.০০ |
০০-৩৯ | F | ০.০০ |
সহপাঠক্রমিক কর্মকাণ্ড
[সম্পাদনা]ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
[সম্পাদনা]প্রতিবছর অক্টোবর-জানুয়ারি এর মধ্যে কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটিতে বি এস সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রছাত্রী বৃন্দরা অংশগ্রহণ করে।
শিক্ষা সফর
[সম্পাদনা]কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরই বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় শিক্ষা সফর অর্থাৎ ভ্রমনের ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি প্রতি পর্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন সুপ্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল মিল গুলোতে ভ্রমনের সুযোগ দেয়।
বিতর্ক প্রতিযোগিতা
[সম্পাদনা]স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
[সম্পাদনা]- সার্সটেক বন্ধুসভা
- জীবনের আলো
- জীবনের আলো- সেচ্ছাসেবী সংগঠন
- জীবনের আলো - রক্তদাতা সংগঠন
অন্যান্য সংগঠন
[সম্পাদনা]- উছ্বাস (বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড)
- রক্তদান কর্মসূচী (SBDC)
- প্রয়াস (সুবিধা বঞ্চিতদের সাহায্যের জন্য মানবসেবী সংগঠন)
- সারসটেক মিডিয়া এবং ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
- ডিবেটিং ক্লাব
- সার্সটেক ক্যারিয়ার ক্লাব
- ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব
গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]এ কলেজে সুসজ্জিত গ্রন্থাগার আছে। এখানে স্থান পেয়েছে দেশি ও বিদেশী সহস্রাধিক টেক্সটাইল ও সাহিত্য বিষয়ক বই। রয়েছে ধর্মীয় ও অন্যান্য জ্ঞান মূলক বই। লাইব্রেরী কার্ড জমাদান সাপেক্ষে যে কেউ প্রয়োজনীয় বই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইস্যু করে নিতে পারে। লাইব্রেরিতে দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকার ব্যবস্থা রয়েছে। লাইব্রেরিতে পৃথক পৃথক টেবিলে বসে পুস্তক এবং পত্র পত্রিকা পাঠ করা যায়।
ক্যান্টিন
[সম্পাদনা]শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ক্যান্টিন বানানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
ডরমিটরি ভবন
-
জুট স্পিনিং ছাউনি
-
কটন স্পিনিং ছাউনি
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বরিশাল টেক্সটাইল কলেজের অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৪।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট সমূহে ছাত্র/ছাত্রীর পরিসংখ্যান
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Brief History"। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Academic Program"। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Admission Nitimala - Bangladesh Technical Education Board(BTEB)" (পিডিএফ)। www.bteb.gov.bd। সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫। জুলাই ৪, ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫।