রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন
রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন | |
---|---|
দেশ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
ব্যবস্থাপক | ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) |
খেলার ধরন | প্রথম-শ্রেণী (৪-দিন) |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ১৯৬৫-৬৬ |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড রবিন, সেমি-ফাইনাল |
দলের সংখ্যা | ৮ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | বার্বাডোস |
সর্বাধিক সফল | বার্বাডোস – ২২ শিরোপা (এছাড়াও ১টি যৌথভাবে) |
সর্বাধিক রান | গর্ডন গ্রীনিজ (বার্বাডোস) - ৯৯৫৬ |
সর্বাধিক উইকেট | কোর্টনি ওয়ালশ (জ্যামাইকা) - ৪১৯ |
২০১৯-২০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়নশীপ |
রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন (ইংরেজি: Regional Four Day Competition) ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতাবিশেষ।[১] পূর্বে এ প্রতিযোগিতাটি শেল শীল্ড ও ক্যারিব বিয়ার কাপ নামে পরিচিত ছিল। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃক এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ২০১৩-১৪ মৌসুমের প্রতিযোগিতায় শিরোপা বিজয়ী দলকে ডব্লিউআইসিবি প্রেসিডেন্টস ট্রফি ও নক-আউট প্রতিযোগিতায় জর্জ হ্যাডলি/এভারটন উইকস ট্রফি প্রদান করা হয়।[২] পূর্বেকার কয়েক মৌসুমে প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ী দলকে হ্যাডলি/উইকস ট্রফি প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ মৌসুম থেকে প্রতিযোগিতায় বাণিজ্যিকভাবে ডিজিসেলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় এ প্রতিযোগিতাটি ডিজিসেল ফোর ডে চ্যাম্পিয়নশীপ নামে পরিচিতি পাচ্ছে।[৩][৪] ২০১৯-২০ মৌসুমের প্রতিযোগিতাটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়নশীপ নামে পরিচতি পাচ্ছে।
সাতটি ক্যারিবীয় দলের মাঝে এ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে-মধ্যে অন্যান্য দেশের দলও এতে অংশ নেয়। চারটি ক্যারিবীয় দল - বার্বাডোস, গায়ানা, জ্যামাইকা এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো তাদের দেশ থেকে এবং দুইটি দল - লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস ও উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস দল এতে অংশ নেয়। শেষের দুইটি দল কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস নামে কয়েকটি দেশ ও অঞ্চলকে যুক্ত করে পূর্বে অংশ নিয়েছিল। ২০০৭-০৮ মৌসুমের শুরুতে কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজের ক্রিকেট দল (সিসিসি ক্রিকেট দল) এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত হয়। তবে, জুলাই, ২০১৪ সালে ডব্লিউআইসিবি ঘোষণা করে যে, ডব্লিউআইসিবির ক্রিকেট পরিচালক রিচার্ড পাইবাস মার্চ, ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদনে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দলটিকে বাদ দেয়া হয়েছে।[৫]
বর্তমানে এ প্রতিযোগিতায় দ্বৈত রাউন্ড-রবিন লীগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সর্বাধিকসংখ্যক পয়েন্ট লাভের অধিকারী দল শিরোপা বিজয় করবে। ২০১৪-১৫ মৌসুমের পূর্বে প্রতিযোগিতাটি কেবলমাত্র একবার রাউন্ড-রবিন লীগ পদ্ধতিতে খেলার পর সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল খেলায় সীমাবদ্ধ ছিল। অতীতে কোন নক-আউট পদ্ধতি ছিল না ও প্রয়োজনে যৌথভাবে ট্রফি প্রদান করা হতো।
বর্তমান শিরোপাধারী দল হচ্ছে গায়ানা। বার্বাডোস দল সর্বাধিকসংখ্যক বাইশবার (একবার যৌথভাবে) শিরোপা জয় করে। অন্যদিকে, জ্যামাইকা সর্বাধিকসংখ্যক ধারাবাহিকভাবে পাঁচবার জয় করেছে।
অংশগ্রহণকারী দল
[সম্পাদনা]২০০৭-০৮ মৌসুম থেকে নিম্নবর্ণিত দলগুলো প্রত্যেক প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে:
- বার্বাডোস (বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম হচ্ছে বার্বাডোস প্রাইড)[৬]
- গায়ানা (বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম হচ্ছে গায়ানা জাগুয়ার্স)[৬]
- জ্যামাইকা (জ্যামাইকা ফ্রাঞ্চাইজ নামে ডাকা হলেও[৬] পরবর্তীতে বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম জ্যামাইকা স্কর্পিয়ন্স রাখা হয়।)[৭]
- লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস (বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম হচ্ছে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস হারিক্যান্স)[৬]
- ত্রিনিদাদ ও টোবাগো (বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম হচ্ছে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো রেড ফোর্স)[৬]
- উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস (বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম হচ্ছে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস ভলক্যানোস)[৬]
এছাড়াও, নিম্নবর্ণিত দলসমূহ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে:
- কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস – ১৯৬৫/৫৫ - ১৯৮০/৮১
- ইংল্যান্ড লায়ন্স – ২০০০/০১ (ইংল্যান্ড এ দল নামে), ২০১০-১১
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ বি দল - ২০০০/০১ - ২০০৩/০৪
- বাংলাদেশ এ দল – ২০০১/০২
- ভারত এ দল – ২০০২/০৩
- কেনিয়া – ২০০৩/০৪
- কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজেস - ২০০৭/০৮ - ২০১৩/১৪
পয়েন্ট পদ্ধতি
[সম্পাদনা]২০১০-১১ মৌসুম থেকে পেশাদারী ক্রিকেট লীগ চালু হবার পূর্ব-পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী দলসমূহ একে-অপরের সাথে একবার দ্বৈত রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে অংশ নেয়। এরপর, লীগের শীর্ষ চার দল সেমি-ফাইনালে অবতীর্ণ হয়।
নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে পয়েন্ট প্রদান করা হয়:
- সরাসরি জয় - ১২
- ১ম ইনিংসে এগিয়ে থেকে পরাজয় - ৪
- ১ম ইনিংসে টাই থেকে পরাজয় - ৩
- ১ম ইনিংসে পিছিয়ে থেকে পরাজয় - ০
- টাই - ৮
অসমাপ্ত খেলা
- ১ম ইনিংসে এগিয়ে থাকলে - ৬
- ১ম ইনিংসে পিছিয়ে থাকলে - ৩
- ১ম ইনিংসে টাই হলে - ৪
ড্র খেলায় সমান রান
- ৪র্থ ইনিংসে ব্যাটিংরত - ৮
- ১ম ইনিংসে এগিয়ে থেকে ৪র্থ ইনিংসে ফিল্ডিংরত - ৬
- ১ম ইনিংসে রান সমান হলে - ৪
- ১ম ইনিংসে পিছিয়ে থাকলে - ৩
পরিত্যক্ত খেলা
কোন কারণে খেলা না হলে বা ১ম ইনিংসের মাধ্যমে ফলাফল না হলে উভয় দল ৩ পয়েন্ট করে পাবে।[৮]
প্রতিযোগিতায় অবস্থান
[সম্পাদনা]দল অনুযায়ী শিরোপা
[সম্পাদনা]দল | শিরোপা লাভ |
---|---|
বার্বাডোস | ২২ (এছাড়াও ১বার যৌথভাবে) |
জ্যামাইকা | ১২ |
গায়ানা | ১০ (এছাড়াও ১বার যৌথভাবে) |
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ৪ (এছাড়াও ১বার যৌথভাবে) |
লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস | ৩ (এছাড়াও ১বার যৌথভাবে) |
কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস | ১ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Regional Four Day Competition 2008/09"। ১০ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;WICB 4 day media release
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "2017-18 Digicel Regional 4-Day schedule"। ১৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Digicel 4-Day Championship - Jaguars win again[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Combined Campuses and Colleges excluded from WI first-class
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Jamaica Franchise at home against Leeward Islands Hurricanes ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে
- ↑ Myers, Sanjay (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Jamaica Scorpions is said to be name of cricket franchise"। Jamaica Observer। ৩১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০।
- ↑ "Regional Four Day Competition, 2011/12 / Points table"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১২।