রাম ভি সুতার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রাম ভি সুতার
राम वांजी सुतार
রাম সুতার (বামদিকে) ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে পদ্মভূষণ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন সুতার
জন্ম (1925-02-19) ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫ (বয়স ৯৯)
জাতীয়তা India ভারতীয়
শিক্ষাস্যার জে. জে. স্কুল অফ আর্ট
উল্লেখযোগ্য কর্ম
ঐক্যের মূর্তি
সমৃদ্ধির মূর্তি
দাম্পত্য সঙ্গীপ্রমিলা সুতার
পুরস্কারপদ্মভূষণ (২০১৬)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার (২০১৬)
পদ্মশ্রী (১৯৯৯)
হ্যানোভারে রাম ভি. সুতারের মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য

রাম সুতার (পুরো নাম 'রাম ভাঞ্জি সুতার') (জন্ম:- ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫) একজন খ্যাতনামা ভারতীয় ভাস্কর। শত শত মূর্তির কারিগর গুজরাটে নর্মদা নদীর কাছে সর্দার সরোবর বাঁধে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৮২ মিটার (৫৯৭ ফুট) উচ্চতার বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি তথা ঐক্যের মূর্তির নকশাকার ছিলেন তিনি। এই মূর্তিটি চীনে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধের বসন্ত মন্দিরের চাইতে ৫৪ মিটার দীর্ঘ। [১]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

রাম সুতার মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার গোন্টুর গ্রামে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারি এক হিন্দু কারিগর তথা সূত্রধর বা ছুতোর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন কাঠের মিস্ত্রি। গ্রামের স্কুলেই প্রাথমিক শিক্ষার পর গুরু রামকৃষ্ণ জোশীর কাছে তিনি প্রতিমা গড়ার কাজ শেখেন। এরপর রাম কারিগরি জন্য বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুণের স্যার জে জে স্কুল অফ আর্টে হন। ভাস্কর্যের নতুন সমস্ত কৌশল আয়ত্ত করে পড়াশোনার শেষে কিছুদিন চাকরি করেন।[২] ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রমিলাকে বিবাহ করেন। [৩] ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে রাম সুতার দিল্লিতে চলে আসেন এবং প্রথমদিকে কিছুদিন লক্ষ্মীনগরে বসবাস করার পর নয়ডাতে নিজস্ব স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

রাম সুতার গুজরাটে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি ঐক্যের মূর্তি নকশা করেন এবং তারই তত্ত্বাবধানে এটি নির্মিত হয়। তিনি ৪৫ ফুট দীর্ঘ চম্বল স্মৃতিস্তম্ভ, সেইসাথে মহাত্মা গান্ধীর একটি আবক্ষ মূর্তিও নির্মাণ করেছিলেন যা অনুলিপি করে অন্যান্য দেশে পাঠানো হয়। [৪][৫][৬] ভারতের সংসদ ভবন চত্বরে উপবিষ্ট অবস্থার মহাত্মা গান্ধীর ১৭ ফুট উঁচু মূর্তি তিনিই তৈরি করেন। ব্রোঞ্জের তৈরি তৈরি এই মূর্তির এক বৃহত্তর প্রতিরূপ বিধান সৌধের জন্য করা হয়েছিল। তার একটি বৃহত্তর প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছিল । তিনি বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১০৮-ফুট উচ্চতার কেম্পেগৌড়া মূর্তির নকশাকারও তিনিই। [৭]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

রাম ভি সুতার শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী লাভ করেন ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে এবং ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে পান তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ[৮] ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে সাংস্কৃতিক সংহতি ও সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির মূল্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লাভ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার[৯]

শিল্পকর্ম[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "India unveils world's tallest statue"BBC News। ৩১ অক্টোবর ২০১৮। ২০১৮-১০-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. "সর্দার প্যানেলের সর্বোচ্চ মূর্তি বানিয়ে ৯২ বৎসরের এই শিল্পী"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  3. Ram Vanji Sutar's Biography ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ এপ্রিল ২০১২ তারিখে
  4. "'Statue of Unity' To Be Completed in 2 Years: Renowned Sculptor Ram Sutar"NDTV.com। ১২ মে ২০১৬। ২০১৬-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৬ 
  5. "Meet the man who sculpted Sardar Vallabhbhai Patel's Statue of Unity – Monumental ambitions"The Economic Times। ২০১৮-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৮ 
  6. Sutar's studio ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ এপ্রিল ২০১২ তারিখে
  7. "PM Modi to inaugurate Terminal 2 of Bengaluru international airport in November"The News Minute (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১০ 
  8. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ২০১৫-১০-১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫ 
  9. "Tagore Awards for Cultural Harmony: Manipuri dancer, Bangladeshi sculptor among recipients"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১২