বিষয়বস্তুতে চলুন

বিধান সৌধ

স্থানাঙ্ক: ১২°৫৮′৪৭″ উত্তর ৭৭°৩৫′২৬″ পূর্ব / ১২.৯৭৯৬° উত্তর ৭৭.৫৯০৬° পূর্ব / 12.9796; 77.5906
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিধান সৌধ
বিধান সৌধ
কর্ণাটকের বিধানসভা বিধান সৌধ
বিধান সৌধ বেঙ্গালুরু-এ অবস্থিত
বিধান সৌধ
৩২ বেঙ্গালুরুতে বিধান সৌধর অবস্থান
সাধারণ তথ্য
ধরনবিধানসভা ভবন
স্থাপত্য রীতিনব-দ্রাবিড়িয়
অবস্থানবেঙ্গালুরু, কর্ণাটক
দেশভারত
স্থানাঙ্ক১২°৫৮′৪৭″ উত্তর ৭৭°৩৫′২৬″ পূর্ব / ১২.৯৭৯৬° উত্তর ৭৭.৫৯০৬° পূর্ব / 12.9796; 77.5906
নির্মাণকাজের আরম্ভ১৯৫২
নির্মাণকাজের সমাপ্তি১৯৫৬
নির্মাণব্যয় ১৪.৮ মিলিয়ন (ইউএস$ ১,৮০,৯০৪.৮৪)
স্বত্বাধিকারীকর্ণাটকের সরকার
উচ্চতা১৫০ ফুট (৪৬ মি)
কারিগরী বিবরণ
আকার৬০ একর (২৪ হেক্টর)
তলার সংখ্যাভিত্তি ৪ + ১
তলার আয়তন৫,০৫,৫০৫ বর্গফুট (৪৬,৯৬৩.০ মি)
নকশা এবং নির্মাণ
স্থপতিবি.আর. মানিক্যাম, কে.সি.রেড্ডি এবং কাঙ্গাল হনুমানথাইয়া
প্রধান ঠিকাদারকেপিডব্লিওডি
অন্যান্য তথ্য
আসন ধারণক্ষমতা৩০০ সদস্য

বিধান সৌধ ভারতের কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত রাজ্য বিধানসভার আসন।[] ১৯৫০-এর দশকের এই স্থাপনাটি প্রায়শই মহীশূর নব-দ্রাবিড়িয় স্থাপত্যের উদাহরণ হিসাবে বর্ণিত,[] এবং ইন্দো-সারেসনিক এবং দ্রাবিড় শৈলীর উপাদানগুলির সমন্বয়ে নির্মিত।[] এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল ১৯৫২ সালে।

নির্মাণ ইতিহাস

[সম্পাদনা]

উৎপত্তি

[সম্পাদনা]
বিধান সৌধ

বিধান সৌধের ধারণা ও নির্মাণের কৃতিত্ব দেয়া হয় কাঙ্গাল হনুমানথাইয়াকে[] ১৯৫১ সালের ১৩ জুলাই ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং মুখ্যমন্ত্রী কে সি রেড্ডি এটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।[] তবে, হনুমানথাইয়া বিধান সৌধের নতুন নকশা ও দ্রুত নির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ইউরোপ, রাশিয়া, আমেরিকা এবং অন্যান্য স্থান ঘুরে স সেখানকার ভবনগুলির বিভিন্ন নকশার থেকে বিধান সৌধ নির্মাণের ধারণা লাভ করেন। এই দুর্দান্ত গ্রানাইট ভবনটি নির্মাণে তিনি অনেক আগ্রহ এবং প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন যেটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। এটি ব্রিটিশ-নির্মিত অথরা কাচেরি (উচ্চ আদালত) ভবনের অভিপ্রেতের তুলনায় ক্ষুদ্র প্রতীয়মান করা হয়েছে।[] হনুমানথাইয়ার নকশাকৃত ভবনটি নব দ্রাবিড়িয় শৈলীর এক অসামান্য গঠন, ৬০ একর জমির উপরে যেটি নির্মাণে প্রায় ১৫ মিলিয়ন রুপি ব্যয় করে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন।[]

নকশা ও নির্মাণ

[সম্পাদনা]
বিধান সৌধ, সংমুখভাগ
কন্নড় এবং ইংরেজি ভাষায় লেখা "সরকারের কাজ ঈশ্বরের কাজ" শ্লোগান।

বিধান সৌধ ভবনের উপরে চারটি তল এবং বেসমেন্টের নিচে একটি তল রয়েছে যা ২,৩০০ বাই ১,১৫০ ফুট (৭০০ মি × ৩৫০ মি) জমির উপর স্থাপিত। এটি ভারতের বৃহত্তম বিধানসভা ভবন। এর পূর্ব মুখটিতে ৪০ ফুট (১২ মি) লম্বা ১২টি গ্রানাইট কলামবিশিষ্ট বারান্দা রয়েছে। ফোয়ারের (বড় হলঘর) মুখী সিঁড়িগুলিতে ৪৫টি ধাপ রয়েছে, যা ২০০ ফুট (৬১ মি) প্রস্থের বেশি। কেন্দ্রীয় গম্বুজটির ব্যাস ৬০ ফুট (১৮ মি), যেটি ভারতীয় জাতীয় প্রতীক সদৃশ মুকুটযুক্ত। ভবনের সম্মুখে শ্লোগানে লেখা রয়েছে "সরকারের কাজ ঈশ্বরের কাজ", এবং কন্নড ভাষায় "ಸರ್ಕಾರದ ಕೆಲಸ ದೇವರ ಕೆಲಸ" (সরকারদা কেলাসা দেবারা কেলাসা)।[] ১৯৫৭ সালে, মহীশূর সরকার ৭,৫০০ রুপি ব্যয়ে সত্যমেব জয়তে শিলালিপিটি প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা করেছিল,[] তবে এর বাস্তবায়ন ঘটেনি। ১৯৯৬ সালে, ওহাইওর রাজ্যপাল জর্জ ভেনোভিচক বিধান সৌধ পরিদর্শনের পর ওহাইও স্টেটহাউসে "ঈশ্বরের সাথে, সমস্ত কিছুরই সম্ভব" নকশা প্রবর্তন পরবর্তীতে উচ্চ-প্রোফাইলের মামলায় রূপ নিয়েছিল।[]

সে সময়ে এর নির্মাণে ব্যয় ছিল মাত্র ১৭.৫ মিলিয়ন রুপি। তবে বর্তমানে, বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ২০ মিলিয়ন রূপির বেশি (যার মধ্যে মেরামত, পেইন্টিং এবং অন্যান্য বিবিধ ব্যয় অন্তর্ভুক্ত)।

রবিবার এবং সরকারি ছুটির দিন ভবনটি আলোকসজ্জিত করা হয়।

বিকাশ সৌধ

[সম্পাদনা]
বিকাশ সৌধ

কর্ণাটক সরকার ভবনের দক্ষিণে বিকাশ সৌধ নামে একটি প্রতিলিপি নির্মাণ করেছে। এস. এম. কৃষ্ণ এটির নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যিনি পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন, এবং এটি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এটি একটি এনেক্সেক্স ভবন, যাা মন্ত্রী এবং আইনসভা কার্যালয়েয় আবাসন হিসাবে নির্মিত।

অবস্থান

[সম্পাদনা]

এটি শেষাদ্রিপুরামের ডক্টর আম্বেদকর সড়কে কর্ণাটক উচ্চ আদালতের বিপরীতে অবস্থিত।[] উভয় ভবনই কে.এস.এল.টি.এ. এর নিকটস্থ (কর্ণাটক স্টেট লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশন) কাবন উদ্যানে অবস্থিত।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Vidhana Soudha, Bangalore"। ৬ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  2. Lang, Jon T. (২০০২)। A concise history of modern architecture in India। Orient Blackswan। পৃষ্ঠা 40–41। আইএসবিএন 978-81-7824-017-6 
  3. "Soudha: A tale of sweat and toil"Deccan Chronicle। ৩১ অক্টোবর ২০১০। ৫ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১০ 
  4. Harish Ramaswamy; S. S. Patagundi; Shankaragouda Hanamantagouda Patil (২০০৭)। Karnataka government and politics। Concept Publishing Company। পৃষ্ঠা 61। আইএসবিএন 978-81-8069-397-7 
  5. "Not just brick and mortar"The Hindu। ১২ সেপ্টেম্বর ২০০২। ১১ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১০ 
  6. Ranganna, T. S. (আগস্ট ২৯, ২০১২)। "A wall at Vidhana Soudha demolished"The Hindu। ডিসেম্বর ৬, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫ 
  7. Kapoor, P. C., সম্পাদক (১৯৫৭)। "'Government's Work Is God's Work'—Inscription To Go"Civic Affairs5। Citizen Press। পৃষ্ঠা ৪৪ – Google Books-এর মাধ্যমে। The Mysore Government has decided to erase the inscription "Government work is God's work" on the facade of the Vidhana Soudha, the Rs. 1.5 crore colossal Legislature and Secretariat buildings... which has been a subject of considerable controversy. It is proposed to replace this inscription with another, Satyameva Jayate, which is inscribed under the Asoka Chakra in the national emblem. This change is expected to cost Rs. 7,500. The huge expenditure incurred for the construction of Vidhana Soudha had been the subject of considerable criticism both inside the Legislature and outside. 
  8. টেমপ্লেট:Cite court
  9. "Metro Green Line launch: No parking in CBD"The Hindu। ১৬ জুন ২০১৭। ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]