রাগীব আলী
রাগীব আলী | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ |
মাতৃশিক্ষায়তন | রাজা জি.সি উচ্চ বিদ্যালয় সিলেট কলেজ |
পেশা | উদ্যক্তা, শিল্পপতি, চা-উৎপাদক, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, ব্যাংকার |
কর্মজীবন | ১৯৬১ – বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | রাবেয়া খাতুন চৌধুরী (বি. ১৯৬৩; মৃ. ২০০৬) |
রাগীব আলী (জন্ম: ১০ অক্টোবর ১৯৩৮) হলেন একজন বাংলাদেশী শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা। তিনি উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা বাগান মালনীছড়া চা বাগানের বর্তমান স্বত্ত্বাধিকারী।
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]রাগীব আলী তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের আসামের সিলেটের বিশ্বনাথের তালিবপুর রাগীবনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ রাশীদ আলী এবং মায়ের নাম বেগম রাবেয়া বানু।[২]
তিনি বিশ্বনাথের তালিবপুর পাঠশালা ও লক্ষীবাসা মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন করে রাজা জি.সি. হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে এসএসসি পাশ করেন। স্টুডেন্টশীপ ভিসা নিয়ে ইংল্যাণ্ড গমন করে জেরার্ড স্ট্রিটের অ্যাশলি কলেজ থেকে এ-লেভেল সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ ও এমবিএ ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। তিনি আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৩ সালে “টি ফর ফুড সিকিউরিটি” বিষয়ের ওপর সম্মানসূচক পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। চা-শিল্পের ওপর তিনি ‘ডিপ্লোমা ইন টি’ কোর্স সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]রাগীব আলী ১৯৬১ সাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যে মনোনিবেশ করেন। তিনি সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান।
মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
তিনি বাংলাদেশের প্রাচীন চা বাগান মালনীছড়া টি এস্টেট, রাজনগর চা বাগান, তারাপুর চা বাগান, লোভাছড়া চা বাগান, দলই চা বাগান, কাশীপুর চা বাগানের বর্তমান স্বত্ত্বাধিকারী। তিনি দি সিলেট টি কোম্পানীর স্বত্বাধিকারী।
শিক্ষাক্ষেত্রে
[সম্পাদনা]রাগীব আলী বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা[৩][৪]। তিনি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উদ্যোক্তা এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, সাউথ ইষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়েরও তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সিলেটে প্রথম বেসরকারী মালিকানার মেডিক্যাল কলেজ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ[৫] এবং লিডিং ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান
[সম্পাদনা]মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে তথা লন্ডন থেকে দেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্য সহায়তা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেন।
সমালোচনা
[সম্পাদনা]রাগীব আলী সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে, হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল প্রভৃতি।[৬][৭][৮] সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে তিনি জেল খেটেছেন এবং পরবর্তীতে সুপ্রীমকোর্ট কর্তৃক জামিনে মুক্তিলাভ করেন।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]- শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদ পুরস্কার-১৯৯৪,
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী পুরস্কার ২০০৩-২০০৪,
- মীর মোশাররফ হোসেন স্বর্ণপদক-২০০৫,
- এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এসএমই পুরস্কার ২০০৫,
- হোমিও পেশাজীবী সমিতি (হোপেস) কর্তৃক হ্যানিম্যান পদক-২০০৫,
- লন্ডনের ‘চ্যানেল এস’ কর্তৃক লাইফ টাইম এচিভম্যান্ট অ্যাওয়ার্ড-২০০৯,
- ঐতিহ্য ফাউন্ডেশন কর্তৃক নওয়াব সলিমুল্লাহ স্বর্ণপদক-২০১০,
- British Bangladesh Chamber of Commerce Lifetime achievement Award, Uk-2010,
- যুক্তরাজ্যের লণ্ডন কর্তৃক হুজ’হু অ্যাওয়ার্ড-২০১২
পারিবারিক জীবন
[সম্পাদনা]রাগীব আলী ২৯ মার্চ ১৯৬৩ সালে সিলেটের আম্বরখানার রায়হুসেন মাহফিজ হাউজ পাক্কাবাড়ির ইরফান আলী চেীধুরীর পঞ্চম সন্তান রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুই সন্তান আব্দুল হাই ও রেজিনা কাদির।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Loke, Steven। "Richest Man In Bangladesh"। The Richest People In The World। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১২-১৭।
- ↑ http://www.kalerkantho.com/~dailykal/?view=details&archiev=yes&arch_date=29-08-2010&type=gold&data=Study&pub_no=269&cat_id=1&menu_id=43&news_type_id=1&index=15#.UM9t7Xk0G9s[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=37&dd=2010-09-24&ni=34131[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=43824[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১২-১৭।
- ↑ http://surmatimes.com/2011/10/13/1545.aspx/[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ http://www.dailynayadiganta.com/new/404.shtml[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]